শিল্পকলায় কাদেরকে শ্রদ্ধা, বনানীতে দাফন
রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে অভিনেতা আবদুল কাদেরের মরদেহ।
বাদ জোহর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় প্রয়াতের প্রথম জানাজা। এর পর মরদেহ আনা হয় শিল্পকলায়।
সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে বনানীতে দাফন করা হবে এ অভিনেতাকে।
তার পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।”
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে পারলেন না বরেণ্য অভিনেতা আব্দুল কাদের। পাড়ি জমালেন ওপারে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
প্রসঙ্গত, আবদুল কাদের কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল আলোচনায় আসেন। এ ছাড়া জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র পরিচিত মুখ তিনি। হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ছোট পর্দায় তিনি তুমুল জনপ্রিয়। নাটক, চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও দেখা গেছে তাকে। থিয়েটারেও সরব ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, অভিনেতা আবদুল কাদের ১৯৫১ সালে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুল জলিল আর মায়ের নাম আনোয়ারা খাতুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন আবদুল কাদের। কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে। তিনি অর্থনীতিতে সিঙ্গাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে শিক্ষকতা করেছিলেন।
বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরির পর ১৯৭৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক কোম্পানি ‘বাটা’তে চাকরি করেন। সেখানে ছিলেন ৩৫ বছর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অমল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আবদুল কাদেরের প্রথম নাটকে অভিনয়। ১৯৭২-৭৪, পরপর তিন বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হল ছাত্র সংসদের নাট্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।