বাবা রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির মধ্য দিয়ে ২০০০ সালে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন হৃতিক রোশন। বক্স অফিসে সুপার-ডুপার হিট হয়েছিলো ছবিটি। বিশেষ করে এই ছবিতে ব্যবহৃত গানগুলো বেশ সাড়া ফেলেছিলো দর্শক মহলে। এখনও গানগুলোর জনপ্রিয়তা কম নয়।
চমকপ্রদ তথ্য হলো- নিজের অভিনীত প্রথম ছবির ছবির গান গেয়েই ২০২১ সালকে স্বাগত জানালেন বলিউডের এই সুপারস্টার।
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালকে স্বাগত জানাতে নিজের বাড়ির ছাদে ছোট একটি পার্টির আয়োজন করেছিলেন হৃতিক রোশন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী মিকা সিংও। তার সঙ্গে মিলেই ‘এক পাল কা জিনা’ গানটি গেয়েছেন হৃতিক। গানটিতে কণ্ঠে দেওয়ার পাশাপাশি কোমরও দুলিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে হৃতিকের গাওয়া সেই গানের ভিডিও এবং তার সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেছেন মিকা সিং। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “হৃতিক রোশন, জায়েদ খান, করণ বাওয়া, রাকেশ রোশনদের সঙ্গে সুন্দর একটা পার্টি। সকলকে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পার্টির আয়োজন করার জন্য। সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। ঈশ্বর সকলকে সুস্বাস্থ্য ও খুশি দিক। বিদায় ২০২০, স্বাগত ২০২১।”
‘আরে ও সইগো নয়া বাতাস লাগলো আমার গায়’ এমন কথার গান নিয়ে তৈরি হলো জমকালো মিউজিক্যাল ফিল্ম। রকিব আলীর গীতি কবিতায়, শোভন রয়ের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘নয়া বাতাস’ গানটিতে কন্ঠ দিলেন ‘নয়া দামান’খ্যাত কণ্ঠশিল্পী তসিবা। সাথে রয়েছেন জনপ্রিয় র্যাপার রিযান। অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক শিশির সরদার, মডেল অলংকার চৌধুরীসহ প্রায় ১০০ সহশিল্পী।
‘নয়া বাতাস’ গানকে মিউজিক্যাল ফিল্মে রূপান্তর করেছেন নির্মাতা বিপ্লব হোসেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাটাফরিক ফরমেটে আমরা কাজটি করেছি, যেখানে সচরাচর গল্পের বাইরে অন্যরকম গল্প পাওয়া যাবে। রাজধানীর পুরান ঢাকার একটা বাড়িতে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে এর শুটিং সম্পন্ন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অলংকার চৌধুরী, শিশির সরদার চরিত্রের ভেতরে ঢুকে অভিনয় করার জন্য রিহার্সেল করা থেকে শুরু করে সকল বিষয়ে ভীষণ আন্তরিক ছিলেন। তাই কাজটি দর্শকপ্রিয়তা পাবে এমনটাই আশাবাদী তারা।’
গীতিকবি রকিব আলী জানান, ‘ব্যয়বহুল আয়োজন ও সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে একটি সুন্দর কাজ হয়েছে। এ রকম মিউজিক্যাল ফিল্ম সচরাচর দেখা যায় না। নির্মাতা ও পুরো টিম তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন একটা ভালো কাজ দর্শককে উপহার দিতে।’
আগামীকাল ২৪ ডিসেম্বর এইচ বি ফিল্মস ও রকেট মিউজিকের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মিউজিক্যাল ফিল্মটি মুক্তি পাবে।
কলকাতা যেমন সরকারি প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ চালু করেছেন মমতা ব্যানার্জি, তেমনি ভারতের ছত্তিশগড়ে বিজেপি সরকারও রাজ্যের বিবাহিত মহিলাদের জন্য ‘মাহতারি বন্দনা যোজনা’ চালু করেছে। এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। ছত্তিশগড়ের তালুর জেলাতেই ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা।
এই প্রকল্প থেকেই নাকি বলিউডের প্রখ্যাত তারকা সানি লিওন মাসে মাসে টাকা তুলতেন! এমন তথ্য ফাঁস হতেই শুরু হয়েছে শোরগোল। তবে এর সঙ্গে সানি লিওনির কোন যোগসূত্র নেই! সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ঢুকত ১০০০ টাকা। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বীরেন্দ্র যোশী। তার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসার পর ওই অ্যাকাউন্টে আর সরকারি প্রকল্পের কোনও টাকা পাঠানো হচ্ছে না। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও গ্রেপ্তার হননি বীরেন্দ্র।
অভিযোগ, বীরেন্দ্র নিজের স্ত্রীর নাম সানি লিওন দিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এই বিষয়ে জানতে পারে। খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরেই টনক নড়ে সবার। সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলাশাসক হরিশ এস জানান, সানি লিওনের নামে খোলা ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই ফ্রিজ় করে দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর নাম 'সানি লিওনে' দিয়ে সরকারি প্রকল্পের টাকা তুললেন, সেই বিষয়েও বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই ঘটনায় শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সভাপতি দীপক বৈজের অভিযোগ, ‘মাহতারি বন্দনা যোজনা-র আওতায় থাকা ৫০ শতাংশ উপভোক্তাই ভুয়ো।’ পাল্টা সরব হয়েছেন ছত্তিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রীও। বিজেপি নেতা অরুণ সাও পাল্টা বলেন, ‘কংগ্রেস মহিলাদের মাসিক অর্থ দিতে পারেনি ক্ষমতায় থাকাকালীন। বিজেপি মহিলাদের হাতে অর্থ তুলে দিচ্ছেন। আর তা সহ্য করতে পারছে না কংগ্রেস।’
আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) হীরক জয়ন্তী অর্থাৎ ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিটিভি নির্মাণ করেছে বিশেষ নাটক। ‘সোনার সিন্দুক’ নামের সেই নাটকটি প্রচার হবে ২৫ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৫ মিনিটে। আর তাতে প্রধাণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নন্দিত মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। তাকে দেখা যাবে দ্বৈত চরিত্রে। মৌয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা গোলাম কিবরিয়া তানভীর।
এ প্রসঙ্গে সাদিয়া ইসলাম মৌ বলেন, ‘দর্শক জানেন, আমি অভিনয় করি খুব কম। যে নাটকের গল্প মনের মতো হয় শুধু সেটিতেই অভিনয় করি। তাই টিভি খুললেই আমাকে দেখা যায় না। সেদিক থেকে, ‘সোনার সিন্দুক’ নাটকের গল্পটি আমার বেশ মজা লেগেছে। দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়ের আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে। তাছাড়া বিটিভি আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম, এই টিভি থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। তার হীরক জয়ন্তীর স্পেশ্যাল নাটকে কাজ করাটাও আলাদা ভালোলাগা দিয়েছে। আশা করছি দর্শক নাটকটি পছন্দ করবেন।’
অভিনেতা গোলাম কিবরিয়া তানভীর বলেন, ‘বিটিভির হীরক জয়ন্তীর স্পেশ্যাল নাটকে কাজ করাটা তো আনন্দের বটেই। সেইসঙ্গে আমাদের সবার প্রিয় মৌ আপুর সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেলাম। আমার খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার মতো একজন তারকা কতোটা বিনয়ের সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন সেটি নিজের চোখে দেখেছি। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, অলংকারপুরের জমিদার বাড়িটির সেই আগের জৌলুস আর নেই। জমিদার পরিবারের কেউ থাকে না এখানে। তবুও লাঠিয়াল হাশেম সর্দার লাঠি হাতে দিনরাত পাহারা দেয় এই জমিদার বাড়ী। জমিদার রাজা চৌধুরীর উইল করা ট্রাস্টেই চলে গ্রামের স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা। ট্রাস্টের শর্তে আছে জমিদারী থেকে অর্জিত সম্পদের অর্ধেক পাবে শুধুমাত্র এই বংশের সৎ, চরিত্রবান, শিক্ষিত সন্তানরা।
রাজা চৌধুরীর ছোট ছেলের একমাত্র সন্তান সোহেল চৌধুরী বিদেশ থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছে। সে এই জমিদার বাড়িতেই থাকতে চায়। উইলের শর্ত মতো সে যদি নিজেকে সৎ ও চরিত্রবান প্রমাণ করতে পারে তাহলে পাবে ট্রাস্টের টাকা ও একটি সোনার সিন্দুক। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীসহ সোহেল চৌধুরী জমিদার বাড়িতে আসলে ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতিসহ গ্রামবাসী তাদের সাদরে গ্রহণ করে। রাতে সোহেল চৌধুরীর স্ত্রী উপমা সোনার সিন্দুক খোলার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সিন্দুক খুলে টাকা-পয়সা ও সোনা যাই রাখে তাই দ্বিগুন হয়ে যায়। উপমা নিজের চেহারা দ্বিগুন সুন্দর করতে সিন্দুক খুলে ভিতরে ঢুকে পড়ে। কিন্তু সিন্দুক খুলে হবহু উপমার মতো দুজনকে দেখতে পেয়ে চমকে যায় সোহেল। এদিকে উইলের শর্ত মতো একাধিক নারীসঙ্গ প্রমাণিত হলে সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হবে সে। সোহেল এখন কী করবে? এগিয়ে যায় নাটকের গল্প...
আলী ইমরানের রচনায় ও আনোয়ার হোসেন বুলুর চিত্রগ্রহণে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা ফেরদৌস।
গত শনিবার রাতে ‘ব্ল্যাক মানি’ ওয়েব সিরিজের আইটেম গান ‘প্রেমের দোকানদার’ মুক্তি পেয়েছে। প্রায় ৪ মিনিটের গানটিতে আবেদনময়ী রূপে হাজির হয়েছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূজা চেরী। গানটি মুক্তির পর অন্তর্জালে পূজার পারফরমেন্স প্রশংসিত হয়েছে। এ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি
‘প্রেমের দোকানদার’ আইটেম গানের সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
আমার কাছে তো খুব ভালো রেসপন্স আসছে। বিভিন্ন মাধ্যমে গানটি ও আমার পারফরমেন্সের প্রশংসা পাচ্ছি। গানটিতে নেচে আমারও ভালো লেগেছে। কারণ সব সময় এতো সুন্দর গান পাওয়া যায় না। কনা আপু কি সুন্দর গেয়েছেন। এই গানে আমাকে গল্পের প্রয়োজনেই প্রেজেন্ট করা হয়েছে। বাড়তি কিছুই করিনি। ছবিটি দেখার পর গানটির সঙ্গে দর্শক আরও সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন। প্রিয় চট্টোপাধ্যায়ের লেখা গানটি সুর করেছেন আকাশ। এতে কনার সঙ্গে আকাশ নিজেও কণ্ঠ দিয়েছেন। আমি এই সিরিজে অভিনয় করেছেন ‘মিস শায়লা’ চরিত্রে। দীর্ঘদিন পর পরিচালক রায়হান রাফীর সঙ্গে কাজ করলাম। ‘ব্ল্যাক মানি’ সিরিজটি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পাবে।
প্রথমবার ওয়েব সিরিজ। কেমন অভিজ্ঞতা হলো?
সিনেমা, বিজ্ঞাপনচিত্রসহ সব মাধ্যমে কাজ করেছি। বাদ ছিল শুধু ওয়েব সিরিজ। অনেক দিন ধরে প্রস্তাবও ছিল। কিন্তু গল্প ও আনুষঙ্গিক বিষয় পছন্দ না হওয়ায় কাজ করা হয়নি। এটা আমার প্রথম সিরিজ, ওয়েব সিরিজ করার আগ্রহ থেকেই এটির কাজ করা। সবচেয়ে বড় কথা, আমার নায়িকাজীবনের প্রথম সিনেমা ‘পোড়ামন টু’র পরিচালক রায়হান রাফী এই সিরিজের নির্মাতা। চিত্রনায়ক রুবেল, ইন্তেখাব দিনার, সালাহউদ্দিন লাভলুর মতো গুণী অভিনয়শিল্পীরা আছেন, তাদের সঙ্গে কাজ করে শিখতে পারব। এই শেখার লোভ থেকে কাজটি করা। শিখেছিও।
সিরিজটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
প্রতিটি কাজ অনেক পরিশ্রম, অনেক যত্ন নিয়ে করি আমরা। তাই চাইবো, দর্শক কাজটি দেখুক, তাদের ফিডব্যাক জানাক। ‘ব্ল্যাক মানি’ ভালো একটি ওয়েব সিরিজ, ভালো একটি কাজ- এইটুকুই। এর বাইরে আলাদাভাবে কিছু আমার অভিনয়জীবনে যোগ করবে না।
অনেক দিন ধরে আপনার নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয়ের খবর নেই...
শিগগিরই নতুন ছবির খবর জানাবো। এর আগে আমি কী করেছি, না করেছি-ওগুলো সব ভুলে গিয়ে পূজাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার জন্য চিন্তাভাবনা করছি। নতুনভাবে পূজা ফিরে আসুক, সেটাই চাইছি। ওই প্রস্তুতিটাই নিচ্ছি।
শাকিব খানের সঙ্গে এখন আপনাকে নিয়মিত বিভিন্ন ইভেন্টে দেখা যাচ্ছে...
এসব ইভেন্টে শুধু যে শাকিব ভাই আছেন, তা নয়। আরও অনেক শিল্পী থাকেন। তার চেয়ে বড় কথা, আমি যে ব্র্যান্ডের সঙ্গে জড়িত, যে প্রতিষ্ঠানের আমি শুভেচ্ছাদূত, সেই প্রতিষ্ঠানকে তো আমাকে প্রমোট করতেই হবে। আর যেহেতু শাকিব খান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের একজন, তাকে তো থাকতেই হয়। এ কারণেই বিভিন্ন ইভেন্টে তার সঙ্গে দেখা যায় আমাকে।