বর্তমান প্রজন্মে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে অন্যতম সারা আলি খান। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি ছবিতেই অভিনয় করেছেন সারা। কিন্তু তার ফলোয়ারের সংখ্যা বলিউডের অন্যান্য নামি-দামি তারকাদের থেকে কম নয়।
সারা আলি খানের রক্তে মিশে আছে অভিনয়। কেননা তার দাদী বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, বাবা অভিনেতা সাইফ আলি খান, মা অভিনেত্রী অমৃতা সিং, ফুফু অভিনেত্রী সোহা আলি খান এবং সৎ মা কারিনা কাপুর খানও অভিনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু বলিউডের এই অভিনেত্রী নাকি বিশ্বাসই করতে পারেন না শর্মিলা ঠাকুর তার দাদী। এ প্রসঙ্গে সারার ভাষ্য, “তিনি উষ্ণ। তিনি অসাধারণ। তিনি মর্যাদা ও অনুগ্রহের চিত্র প্রকাশ করেছেন। আমি যখনই ‘আরাধনা’ ও ‘মেরে স্বাপ্নো কি রানি’ দেখি তখনই আমার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, ‘হায় ঈশ্বর। এটি আমার দাদী।’ সত্যি তিনি দারুণ। তিনি একটি নক্ষত্র। তাই মাঝে মধ্যে আমি দ্বিধায় পড়ে যাই এই ভেবে যে, সুন্দরী এই নারী সত্যিই কী আমার দাদী? এই বিষয়গুলো কিছুটা আজব হলে, সত্যি আমার কাছে এমনটি মনে হয় সবসময়। আমি সত্যি সৌভাগ্যবতী যে তিনি আমার জীবনে আছেন।”
বিয়ের ১৩ বছর পর পরিবারের প্রতি নতুন করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে সানি-ড্যানিয়েল দম্পতি।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে ড্যানিয়েল ওয়েবারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সানি লিওন। বিবাহের ১৩ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত ৩১ অক্টোবর মালদ্বীপে স্বামীর সাথে তারা বিবাহের প্রতিশ্রুতি নবায়ন করেছেন। এসময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল তিন সন্তান নিশা, নোয়া ও আশের।
প্রতিবেদনে আরে উল্লেখ করা হয়, সানি ও ড্যানিয়েল আরও আগেই এই আয়োজন করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তাদের সন্তানদের পরিবারের এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য বোঝানোর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।
তাই সন্তানদের স্কুলের ছুটি থাকায় দীর্ঘদিনের অপেক্ষায় থাকা এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করে। এই অনুষ্ঠানে সানি লিওন ও ড্যানিয়েল দুজনেই তাদের লিখিত প্রতিজ্ঞা পড়ে শুনিয়েছেন এবং তাদের তিন সন্তান পরিবার বলতে কি বোঝে তা উল্লেখ করেছেন। এক পর্যায়ে ড্যানিয়েল সানি লিওনকে রিং গিফট করে মুহূর্তটি আরো উপভোগ্য করে তুলেছেন।
মালদ্বীপে এই আয়োজন করার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানি লিওন দম্পতির অবকাশ যাপনের জন্য পছন্দের জায়গাগুলোর একটি হলো মালদ্বীপ। তাই তারা এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য মালদ্বীপকে বেঁছে নিয়েছে।
বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের গুণের শেষ নেই। তবে তারকা হওয়ার আগেই ধূমপানের নেশা তাকে পেয়ে বসে। এই বদঅভ্যাস তিনি সর্বশেষ ৩০ বছর ধরে ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন।
কিন্তু কিছুতেই তিনি সেটি পারেননি। বরং চেইন স্মোকার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে শাহরুখের। ২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি দিনে প্রায় ১০০টি সিগারেট পান করি। আর খাবার খেতে ভুলে যাই। আমি পানি পান করি না। দিনে প্রায় ৩০ কাপ ব্ল্যাক কফি পান করি। আর হ্যাঁ, আমার কিন্তু সিক্স প্যাক আছে। এছাড়াও মজা করে তিনি বলেছিলেন, আমি নিজের যত কম খেয়াল রাখি, ততই খেয়াল রাখা হয় আমার।অবশেষে জীবন থেকে ধূমপানকে বিদায় দিতে সফল হয়েছেন এই মেগা স্টার।
গত ২ নভেম্বর ৫৯ বছরে পা রাখলেন কিং খান। এ উপলক্ষে ভক্ত-শুভাকাক্সক্ষীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। সেখানে খোলামেলা আড্ডায় মেতে উঠেন। কেক কেটে উদযাপনও করেন। একইসঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত অভ্যাস নিয়েও চাঞ্চল্যকর কথা বলেন এ অভিনেতা। জানান, ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। যা শুনে হতবাক সবাই।
তবে শাহরুখ এও বলেন, ‘আমি কখনোই তাদের আইডল হতে পারবো না যারা স্মোমিং করেন না কিংবা স্মোমিং ছাড়তে চেষ্টা করছেন। কারণ, আমারই ৩০ বছর লেগেছে। তবে এটা বলতে চাই যে, স্মোকিং আমাদের শরীরের জন্য খুব খারাপ। আপনারা যদি স্মোকিং করে থাকেন তাহলে যত দ্রুত পারেন ছেড়ে দিন। জীবনের যে কোন প্রান্তে এসে আপনি সেটি করতে পারেন।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শাহরুখ খান মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা প্রসঙ্গে বলেন, একটি ভালো খবর আছে। আমি আর ধূমপান করছি না। তার এ কথা শোনার পর অবাক হন উপস্থাপক। আর সঙ্গে সঙ্গে কড়তালিতে ভরে যায় অডিটোরিয়াম।
দীর্ঘদিনের এই অভ্যাস বাদ দেয়ার পর এখন কেমন অনুভব হচ্ছে, সেটিও জানিয়েছেন এ অভিনেতা। জানান, তিনি আশা করেছিলেন হাঁপিয়ে উঠার সমস্যা কমবে। তবে এখনো ধূমপানের প্রভাব বুঝতে পারেন।
এ সময় মঞ্চের সামনে থাকা অনুরাগীদের উদ্দেশে বলেন, আমি ভেবেছিলাম যে আগের মতো শ্বাসের সমস্যা হবে না। কিন্তু এখনো সেই প্রভাব বুঝতে পারি। অর্থাৎ, ধূমপান ছাড়লেও এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেননি। আর এটাও ঠিক হয়ে যাবে বিশ্বাস রেখে বলেন, ইনশাআল্লাহ সেটাও ঠিক হয়ে যাবে।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান স্বীকার করেছিলেন যে, তার সিগারেটের পাশাপাশি ক্যাফেইন গ্রহণের অভ্যাস রয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের ফলে দেশে তৈরি হওয়া স্থবিরতার প্রভাব অন্যান্য সেক্টরের মতো শিল্প সাহিত্যেও পড়েছে। তবে সেই স্থবিরতা কাটিয়ে চেষ্টা করছে সবাই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নন্দন মঞ্চে আয়োজন করে লালন উৎসব। এবার প্রতিষ্ঠানটি উদ্যোগ নিয়েছে হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্য ‘যাত্রা শিল্প’কে চাঙ্গা করার ।
‘যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গত ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে যাত্রা উৎসব। সাত দিনব্যাপী উৎসবটি চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য যাত্রাপালা। আমাদের শিক্ষা,সংস্কৃতি, চিন্তা, মূল্যবোধ,দর্শনকে ধারণ করেই যাত্রাপালার বিস্তৃত ইতিহাস যা কথা বলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, কথা বলে সকল শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং কথা বলে গণমানুষের সংস্কৃতির পক্ষে। এই উৎসবে সমাজের সকল ধারার মানুষের আগমনকে সবসময়ই ইতিবাচকভাবে দেখছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
এই যাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তালিকাভুক্ত ৭টি যাত্রাদল এসেছে ঢাকায়। সাত দিনে সাতটি অর্থাৎ প্রত্যেক দল ১টি করে যাত্রাপালা পরিবেশন করছে উৎসবে।
গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় যাত্রা উৎসেবর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসরাফিল মজুমদার, বিশেষ অতিথি যাত্রাশিল্পী অনিমা দে এবং উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করবেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জাহির।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান, নাট্যনির্দেশক, প্রখ্যাত ডিজাইনার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
সাত দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় সুরুভী অপেরার ‘নিহত গোলাপ’। দ্বিতীয় দিন পরিবেশিত হয় নিউ শামীম নাট্য সংস্থার পালা ‘আনার কলি’।
তৃতীয় দিনে ছিলো বঙ্গবাণী অপেরার ‘মেঘে ঢাকা তারা’। আজ চতুর্থ দিনে থাকছে নর-নারায়ণ অপেরার ‘লালন ফকির’।
আয়োজনটির পঞ্চম দিনে থাকবে বন্ধু অপেরার যাত্রা ‘আপন দুলাল’, ষষ্ঠ দিনে দেখা যাবে শারমিন অপেরার পালা ‘ফুলন দেবী’ এবং সমাপনী দিনে দেখা যাবে যাত্রাবন্ধু অপেরার ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’।
প্রয়াত হয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীর প্রথম স্ত্রী হেলেনা লিউক ৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল রবিবার আমেরিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি ৷ সোশাল মিডিয়ায় হেলেনার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন নৃত্যশিল্পী তথা অভিনেত্রী কল্পনা আইয়ার ৷
১৯৮৫ সালে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের পর বলিউডে জনপ্রিয়তা লাভ করেন হেলেনা ৷ তাকে ‘মর্দ’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল বিগ বি’র বিপরীতে ৷ তার সঙ্গে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিবাহিত সম্পর্ক ছিল মাত্র চার মাসের ৷ বিয়ের চার মাসের মাথায় তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে ৷ রবিবার সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে ফেসবুকে তার লাস্ট পোস্ট দেখা যায় ৷ যেখানে তিনি লেখেন, ‘কী রকম একটা অস্বস্তি অনুভূতি হচ্ছে ৷ জানি না কেন ৷ খুব কনফিউসড লাগছে ৷’ সেই দিনই হেলেনা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷
স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে মিঠুনের সঙ্গে চার মাসের বিয়ে সম্পর্কে তিনি কথা বলেছিলেন ৷ সেই বিয়েকে হেজি ড্রিম বলে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি ৷ সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই বিয়ে যদি না হত ভালো হত ৷ মিঠুন আমার ব্রেনওয়াশ করেছিল ৷ সে আমায় বুঝিয়েছিল আমার জীবনে সেই পারফেক্ট ৷ দুর্ভাগ্যবশত সে সফল হয় ৷’ হেলেনা সেই সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন, 'মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে দুঃস্বপ্নের মতো!' চারমাসেই স্বপ্নভঙ্গ হয় এই বিখ্যাত অভিনেতার প্রথম স্ত্রী হেলেনার।
গুঞ্জন উঠেছিল, ফের নাকি মিঠুনের সঙ্গে তিনি থাকতে শুরু করবেন ৷ এমন গুঞ্জনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মিঠুনের কাছে কোনওদিন ফিরব না ৷ ও যতই বড়লোক হোক না কেন ৷ আমি বিবাহ বিচ্ছেদের পর খোরপোশও চাইনি তার কাছ থেকে ৷ ওর সঙ্গে বিয়ে জীবনে ভয়ঙ্কর স্বপ্নের মতো ৷ আর সেটা শেষ হয়েছে ৷’