পাপারাজ্জিদের কাছে বিরাট-আনুশকার অনুরোধ

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাপারাজ্জিদের কাছে বিরাট-আনুশকার অনুরোধ।

পাপারাজ্জিদের কাছে বিরাট-আনুশকার অনুরোধ।

মুম্বাইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে গত ১১ জানুয়ারি ফুটফুটে এক মেয়ের জন্ম দিয়েছেন আনুশকা শর্মা। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বাবা হওয়ার সুসংবাদ ভক্তদের জানান বিরাট কোহলি।

এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়ে পাপারাজ্জিদের কাছে বিশেষ এক অনুরোধ করেছেন বিরুষ্কা দম্পতি।

বিজ্ঞাপন

মুম্বাইয়ের পাপারাজ্জিদের কাছে বিরাট-আনুশকার তরফে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাঠানো হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘নমস্কার, এত বছর ধরে আপনারা আমাদের যে ভালোবাসা দিয়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা খুশি হয়ে আপনাদের সঙ্গে এই মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। বাবা-মা হিসেবে আমাদের একটা অতি সাধারণ অনুরোধ রয়েছে আপনাদের কাছে। আমরা নিজেদের সন্তানের গোপনীয়তা বজায় রাখতে চাই, এই কাজে আপনাদের সাহায্য ও সমর্থন প্রয়োজন’।

বিরাট-আনুশকা

যোগ করে আরও লেখা হয়েছে- ‘আমরা আগামীতেও নিশ্চিত করবো আমাদের সবরকমের কনটেন্ট আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে যা কিছু সহযোগিতা করা সম্ভব সেগুলো মেনে চলা। আমরা আবেদন জানাচ্ছি, দয়া করে আমাদের সন্তানের কোনওরকম ছবি আপনারা তুলবেন না বা কোথাও ছড়িয়ে দেবেন না। আশা করছি আপনারা বুঝবেন আমারা কোন পরিস্থিতি থেকে এই কথাগুলো বলছি এবং এর জন্য আগাম ধন্যবাদ’।

বিজ্ঞাপন

শুধু এই বার্তাই নয়, এর পাশাপাশি বাবা-মা বিরাট-আনুশকার তরফে মুম্বাইয়ের পাপারাজ্জিদের জন্য রিটার্ন গিফটও পাঠানো হয়েছে। এই তারকা দম্পতি যতোদিন পর্যন্ত অনুমতি না দিচ্ছেন ততোদিন তাদের মেয়ের ছবি তোলা হবে না বলে জানিয়েছেন মুম্বাইয়েরে সবচেয়ে জনপ্রিয় পাপারাজ্জি ভাইরাল ভায়ানি।

সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়া আগোচরেই বড় করতে চান, তেমনটা আগেই জানিয়ে আনুশকা বলেছিলেন, ‘আমরা অনেক ভাবনাচিন্তা করেছি। জনগণের চোখের সামনে অবশ্যই আমরা আমাদের সন্তানকে বড় করতে চাই না। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনওভাবেই সন্তানকে যুক্ত করতে চাই না। এই সিদ্ধান্তটা সন্তানের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। অন্যদের চেয়ে তোমার সন্তানকে বেশি স্পেশাল হিসেবে গড়ে তোলাটা অনুচিত। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া সঙ্গে মানিয়ে উঠা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে খুদেদের জন্য সেটা কতখানি শক্ত হতে পারে? এটা শক্ত হবে (সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে রাখা), কিন্তু আমরা সেটা মেনে চলতে চাই।’