বলিউড ইন্ডাস্ট্রির হেভিওয়েট দম্পতিদের মধ্যে অন্যতম স্থানে রয়েছে সঞ্জয় দত্ত ও মান্যতা দত্তের নামটি। তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক অনেকের কাছেই দৃষ্টান্ত স্বরূপ। মান্যতা সঞ্জয়ের তৃতীয় স্ত্রী।
চমকপ্রদ তথ্য হলো- আদরের স্ত্রীকে মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় চারটি ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি রুপি। তবে স্বামীর থেকে পাওয়া উপহারগুলো নাকি ফিরিয়ে দিয়েছেন মান্যতা।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে- চারটি ফ্ল্যাটই মুম্বাইয়ের অন্যতম বিলাসবহুল জায়গা পালি হিলস-এর ‘ইম্পেরিয়াল হাইটসট’ বিল্ডিংয়ে। সরকারি খাতে এই ফ্ল্যাটগুলোর মোট মূল্য ২৬.৫ কোটি রুপি। তবে ব্রোকারদের দাবি, চারটি ফ্ল্যাটের বাজার মূল্য ১০০ কোটি।
তবে ঠিক কী কারণে সঞ্জয়কে এই ফ্ল্যাট চারটি ফিরিয়ে দিলেন মান্যতা তা এখনো অস্পষ্ট। চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে দুটি বিল্ডিংয়ের চতুর্থ এবং পঞ্চম তলায়।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, বাকি দুটি ফ্ল্যাট বারো এবং তেরো তলে। ২০০২ সালে বিন্ডিংটি তৈরি হয়। ফ্ল্যাটের বিশেষ গুণ, এখানের বারান্দা এবং জানালা দিয়ে অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়।
২০০৮ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েন সঞ্জয় দত্ত ও মান্যতা দত্ত। পরে ২০১০ সালে তাদের ঘর আলো করে আসে যমজ সন্তান ছেলে শেহরান এবং মেয়ে ইরা।
গতকাল রোববার রাতে অভিমান নিয়েই চলে গেলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের রঙিন সিরাজউদ্দৌলা’খ্যাত প্রখ্যাত অভিনেতা প্রবীর মিত্র। আজ সোমবার জোহরের নামাজের পর এফডিসিতে তার প্রথম জানাজা হয়েছে। এরপর চ্যানেল আইয়ে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে খ্যাতিমান এ অভিনেতাকে।
গত ৪ তারিখ কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান চলে যাওয়ার শোক ভুলতে না ভুলতেই প্রবীর মিত্রের চলে যাওয়ার শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছে শোবিজ অঙ্গন। শেষ বিদায়ে জনপ্রিয় তারকারা ফেসবুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই অভিনেতাকে-
ঢাকা অ্যাটাক’খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা দীপংকর দীপন লিখেছেন, ‘গত কয়েক দিনে আমি টানা মৃত্য সংবাদ শুনে যাচ্ছি। প্রথমত আমার মামাত ছোট ভাই বাপী, এরপর পশ্চিমবঙ্গের পরিচালক আমাদের শুভানুধ্যায়ী অরুণ রায়, সংগীত পরিচালক অম্লান চক্রবর্তীর বাবা আমার গুরুজন, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। আজ পেলাম খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের প্রয়াণ সংবাদ। প্রবীর মিত্র স্যার ওপারে ভাল থাকবেন। যাদের খবর শুনেছি তারা সবাই কোন না কোনভাবে অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু মারা যাবার শরীর খারাপ তাদের ছিল না। আমরা এখন আসলে অসুস্থ হলে আর সারভাইভ করতে পারছেনব না। আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে। আমি আর কোন মৃত্যুর সংবাদ শুনতে চাই না।’
নির্মাতা ও পরিচালক সমিতির নেতা এসএ হক অলিক লিখেছেন, ‘গত পরশু চলে গেলেন অঞ্জনা আপা, আজকে প্রবীরদা। পরপারে ভালো থাকবেন। এই শূন্যস্থান পূরণ হবার নয়।’
পরিচালক গোলাম সোহরাব দোদুল লিখেছেন, ‘বিদায় কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র।’
বিশ্ব বিনোদন জগতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ও প্রাচীনতম পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস’। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দ্য বেভারলি হিলটন হোটেলে বসে এই আসর। যেখানে বাজিমাত করে সর্বাধিক চারটি পুরস্কার জিতে ‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমাটি বাজিমাত করে।
৮২তম গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডসের পুরো বিজয়ী তালিকা নিচে দেওয়া হলো-
বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী অভিনেতা প্রবীর মিত্র পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। গতকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই অভিনেতা।
প্রয়াত এই অভিনেতাকে ‘শেষ বিদায়’ জানানো নিয়ে শুরুতে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে খোলাসা করেছেন ঢালিউড অভিনেতা মিশা সওদাগর।
তিনি জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন প্রবীর মিত্র। তাই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।
ইতোমধ্যে অভিনেতার পরিবারের পক্ষ থেকে জানাজা ও দাফনের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। প্রবীর মিত্রর ছেলে মিঠুন মিত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রবিবার রাতেই গোসল শেষে ফ্রিজার গাড়িতে মরদেহ ধানমন্ডির বাসায় নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) যোহরের পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) তার প্রথম জানাজা হবে। পরে সেখান থেকে মরদেহ চ্যানেল আইয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় এক কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোপেন্দ্র নাথ মিত্র এবং মা অমিয়বালা মিত্র। বংশপরম্পরায় পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা প্রবীর মিত্র। তিনি ঢাকা শহরেই বেড়ে উঠেন। তিনি প্রথম জীবনে সেন্ট গ্রেগরি থেকে পোগজ স্কুলে পড়াশোনা করেন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
প্রবীর মিত্র ষাটের দশকে ঢাকা ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন হিসেবে খেলেছেন। একই সময় তিনি ফায়ার সার্ভিসের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশন হকি খেলেছেন। এছাড়া কামাল স্পোর্টিংয়ের হয়ে সেকেন্ড ডিভিশন ফুটবলও খেলেছেন।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ সিনেমার অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন প্রবীর মিত্র।
এর মধ্যে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’ উল্লেখযোগ্য।
প্রবীর মিত্র তার প্রেমিকা অজন্তাকে বিয়ে করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, বিয়ে করার সময় তিনি হিন্দুধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। অজন্তা ২০০০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
এই দম্পতির তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তারা হলেন - মিঠুন মিত্র, ফেরদৌস পারভীন, সিফাত ইসলাম ও সামিউল ইসলাম। ছোট ছেলে সামিউল ২০১২ সালে ৭ মে মারা যান।
ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তিতুল্য ও রূপালী পর্দার নবাব খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। প্রবীর মিত্রর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘প্রবীর মিত্র দাদা আর নেই। কিছুক্ষণ আগে উনি ইন্তেকাল করেছেন। স্রষ্টা তাকে ক্ষমা করুক।’
এর আগে, অভিনেতার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছিলেন তার ছেলে মিথুন মিত্র। তিনি বলেছিলেন, তার বাবার বার্ধক্যজনিত কিছু জটিলতার কারণে গত ২২ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফুসফুসে সমস্যা ধরা পড়ে। পরে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন বর্ষিয়ান এই অভিনেতা। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ প্রবীর মিত্রের। ১৯৮২ সালে তিনি বড় ভাল লোক ছিল চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।
‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
প্রবীর মিত্র ‘বড় ভালো লোক ছিল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৮৩ সালে প্রথমবাররে মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার র্অজন করেন।