মনে পড়ে তাদের কথা?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
উল্লেখযোগ্য পাঁচ জুটি

উল্লেখযোগ্য পাঁচ জুটি

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমান্টিক জুটি ছাড়া কি আর বাংলা সিনেমা হয়? মোটেই না। প্রায় সবক’টা বাংলা সিনেমার কেন্দ্রই যেখানে প্রেম, জুটি ছাড়া উপায় কী! বাংলা চলচ্চিত্রের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনেক জুটি দেখেছে দর্শক। কতজনকেই বা মনে রেখেছে? সেটা যে যার মতন ভেবে নিক।


আপাতত জেনে নেওয়া যাক পাঁচটি উল্লেখযোগ্য জুটি সম্পর্কে।


https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695671861.jpg

রাজ্জাক-কবরী

সময়কাল ১৯৬৭।

সুভাষ দত্তের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘আবির্ভাব’। এর মাধ্যমেই রূপালী পর্দায় আসেন রাজ্জাক-কবরী। শুরু হয় তাদের সফলতা, দর্শকপ্রিয়তা।

দেখুন, চিরসবুজ নায়ক জাফর ইকবাল

১৯৬৯ সালে কাজী জহিরের ‘ময়নামতি’ ও মিতার ‘নীল আকাশের নিচে’, ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলামের ‘দর্পচূর্ণ’, মিতার ‘দীপ নেভে নাই’, কামাল আহমেদের ‘অধিকার’ চলচ্চিত্রে রাজ্জাক-কবরী জুটির প্রেমের অনবদ্য উপস্থাপন দর্শকের মনে তুমুলভাবে স্থান করে নেয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695695953.jpg

সে সময় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল উত্তাল। একদিকে পাকিস্তানী শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় উর্দু সিনেমার রমরমা বাজার, অন্যদিকে পূর্ববাংলার জনগণের মধ্যে জেগে উঠছে বাংলাভাষার প্রতি ভালবাসা ও দেশপ্রেম, বাঙালীর মধ্যে বিকশিত হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চেতনা।

দেখুন, আসিফকে নিয়ে কেন ছবি বানাচ্ছেন সৈকত নাসির?

সেই পরিস্থিতিতে উর্দু সিনেমার জনপ্রিয় জুটি শবনম-রহমান ও শাবানা-নাদিমের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে এগুতে থাকে রাজ্জাক-কবরী জুটি। স্বাধীনতার পরেও সমানতালে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে রাজ্জাক-কবরী জুটির।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695748320.jpg

তাদের অভিনীত ‘রংবাজ’ ছবিটিকে ‘ট্রেন্ড সেটার’ হিসেবে ধরা হয়। সে সিনেমায় লাস্যময়ী কবরীর দেখা পায় দর্শক। সুপারহিট হয় সিনেমাটি।

দেখুন, সেক্সি জয়া!

এ ছবির ‘সে যে কেন এল না, কিছু ভাল লাগে না’ গানটি দর্শকের মুখে মুখে ফেরে। প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি হিসেবে আজও নক্ষত্রসম রাজ্জাক-কবরী। তারা ষাটের অধিক সিনেমায় এক সঙ্গে অভিনয় করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695790454.JPG

শাবানা-আলমগীর

পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন মিষ্টি মেয়ে ‘রত্না’।

দেখুন, নতুন ছবির ‘পুরনো’ প্রচার

পরিচালক সেই ‘রত্না’ নাম বদলে নাম দিলেন ‘শাবানা’। সেই থেকে শুরু হলো বাংলা চলচ্চিত্রের এক লক্ষ্মীদেবীর যুগ, যা ছিল একটানা ’৭০-৯০ দশক পর্যন্ত দুর্দান্ত প্রতাপে। শাবানা বেশ কয়েকজন নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। তবে, সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন আলমগীর।

আলমগীর-শাবানা জুটি এখন পর্যন্ত গ্রামবাংলা ও নগরের প্রায় সবার কাছেই সামাজিক ও পারিবারিক ছবির জনপ্রিয় জুটি। দেশীয় চলচ্চিত্রের জুটি প্রথার ইতিহাসে ‘আলমগীর-শাবানা’ জুটি হয়ে সর্বাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695902724.jpg

তাদের অভিনীত ছবি ১২৬টি, যার বেশিরভাগই ব্যবসাসফল। এসব ছবিতে কখনও গরিব-দুঃখী এক নারী, কখনও শহরের আধুনিক মেয়ে, কখনও স্বামীভক্ত বাংলার চিরচেনা স্ত্রী, কখনও ভাবি, কখনও মা, কখনও এক প্রতিবাদী নারী- এমন সব চরিত্রে অভিনয় করে পুরোটা সময় দর্শকদের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতেন শাবানা।

দেখুন, মাইকেল জ্যাকসনের যে বারোটি বিষয় কম জানে মানুষ।

তিনি এমনই এক দুর্দান্ত অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি সব অভিনেত্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুরস্কৃত হয়েছেন। আলমগীরও কোন অংশে কম যাননি। সহকর্মী অনেকের কাছেই ভাললাগার অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে আলমগীরের নামটাই উচ্চারিত হয় আগে। তাদের কাছে আলমগীর মানেই অভিনয়ে ভিন্নতা, পর্দায় প্রাণবন্ত উপস্থিতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695947496.jpg

নাঈম-শাবনাজ

তখন ১৯৯০।

প্রয়াত বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা এহতেশাম তাঁর নতুন চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী’র জন্য দুজন নতুন মুখ বাছাই করেন। সেই দুজনই হলো নবাব পরিবারের ছেলে নাঈম আর বিক্রমপুরের মেয়ে শাবনাজ। প্রথম ছবিতেই জুটি হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলেন নাঈম-শাবনাজ।

দেখুন, জ্যোতিকা জ্যোতির গ্রাম ও সংগ্রামের গল্প

এরপর তারা একের পর এক অভিনয় করেন ‘লাভ’, ‘চোখে চোখে’, ‘দিল’, ‘টাকার অহঙ্কার’, ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’, ‘সোনিয়া’ ও ‘অনুতপ্ত’সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে। প্রতিটি ছবিই জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল হয়েছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696064092.jpg

নাঈম-শাবনাজের মাধ্যমেই নব্বই দশকের বাংলা চলচ্চিত্র আবার মাথা তুলে দাঁড়ায়। শুরু হয় চলচ্চিত্রের নতুন স্বর্ণযুগের। যার রেশ ধরে আগমন সালমান শাহ, মৌসুমী ও শাবনূরের মতো মহাতারকার। চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েই ঘনিষ্ঠ হন নাঈম-শাবনাজ। শুরু থেকেই তাদের প্রেম কাহিনী মিডিয়ায় আসে।

দেখুন, নতুনদের জন্য ফারুকের পরামর্শ

কিন্তু প্রথা অনুযায়ী সেসব অস্বীকার করলেও অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা ভেঙে ১৯৯৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এ জুটি। এরপর ২০০০ সালের প্রথম দিকে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা শুরু হলে নীরবে এ জগত থেকে আড়ালে চলে যান তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696120921.jpg

সালমান-মৌসুমী

নব্বইয়ের দশক।

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র তখন সর্বজনীনতা হারিয়ে শ্রেণী বিশেষের বিনোদন মাধ্যমে পরিণত হয়। চলচ্চিত্রের অক্সিজেন বলে খ্যাত বাংলার মধ্যবিত্ত সমাজ মুখ ফিরিয়ে নেয় সিনেমা হল থেকে।

দেখুন, পরিচালকের ছবি ছিনতাই!

হঠাৎ করেই নব্বইয়ের শুরুর দিকেই আবির্ভাব হয় বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ সালমানের। তার হাত ধরে চলচ্চিত্র আবার গতি পায়, পরিচালকরা নতুনভাবে লড়াইয়ে নামে, ইন্ডাস্ট্রিও লাভের মুখ দেখতে থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696181152.jpg

শুরুর দিকে সালমানের সঙ্গী ছিল মৌসুমী। মাত্র চারটি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন সালমান-মৌসুমী জুটি। তবুও অভিনয় দক্ষতা, সৌন্দর্য, ফ্যাশন সচেতনতা ও ব্যক্তিত্ব গুণে এ জুটি আজও সমান জনপ্রিয়।

দেখুন, চিরকুটের লন্ডন কনসার্ট

সালমানকে যেমন ‘স্টাইল অবতার’ হিসেবে স্বীকার করা হয়, মৌসুমীও তেমনি এখনও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন। তাদের প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তির পর পরই তারা হয়ে উঠেছিলেন দর্শকদের কাম্য জুটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696224131.jpg

এ ছবিটি মূলত ভারতের আমির-জুহির ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবির বাংলা সংস্করণ। ছবিটি মূল ছবির প্রযোজক ও পরিচালকের অনুমতি নিয়েই তৈরি করা হয়েছিল।

দেখুন, মুকুটহীন সম্রাটের চলে যাওয়ার পঞ্চম বছর

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছিল তোজাম্মেল হক বকুলের ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ ছবির পর রেকর্ড করা ব্যবসা সফল ছবি, যা দেখতে সারা বাংলার সব মানুষ হলে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696259465.jpg

সালমান-শাবনূর

‘তুমি আমার (১৯৯৪)’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সালমানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাবনূর।

প্রথম ছবিতেই ব্যাপক সফলতা পায় এ জুটি। যার ফলে পরিচালক-প্রযোজকরা একের পর এক ছবিতে নিতে থাকেন তাদের। সালমান অভিনীত ২৭টি ছবির মধ্যে ১৪টি ছবিতেই তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাবনূর।

দেখুন, জন্মদিনে কালিকাপ্রসাদ

ঢাকাই ছবির জগতে অন্যতম সফল এই মহাকাব্যিক রোমান্টিক জুটি ভক্তদের কতটা ভেতরে প্রবেশ করতে পেরেছিল, তা তো সবাই-ই জানেন। তরুণদের পোশাকে সালমানের কালোত্তীর্ণ ফ্যাশন, কণ্ঠে সালমানের সিনেমার গান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696290420.jpg

সালমানের মাথায় কাপড় প্যাঁচানো, হ্যাট, চশমা, গেঞ্জি- কী নকল হয়নি না তখন তরুণদের মাঝে! সবাই ভাবত তাদের মধ্যে বাস্তবেও বোধহয় ভিন্নরকম সম্পর্ক ছিল। এসব নিয়ে কম কথাও রটেনি সিনেমাঙ্গনে।

দেখুন, সাঞ্জু ছবির অজানা সাত

কিন্তু শাবনূর জানালেন, ‘সালমান শাহ আমার খুবই প্রিয় ছিল। সে আমাকে পিচ্চি বলে ডাকত। আমি তো তখন অনেক ছোট ছিলাম। সালমান বলত- এই পিচ্চি এদিক আয়, আমার তো কোন বোন নেই। এই পিচ্চি তুই আমার ছোট বোন।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696339414.jpg

সালমান বেঁচে থাকলে হয়ত আরেকটি উত্তম-সুচিত্রা জুটি হতে পারত সালমান-শাবনূর জুটি। তাদের দিয়ে বানানো যেত ‘হারানো সুর’, ‘সাগরিকা’, ‘সপ্তপদী’র মতো অনেক কালজয়ী চলচ্চিত্র।

আরও পড়ুনঃ

হ্যালো খান সাহেব..

‘প্রতিশোধের আগুন’ কদ্দুর?

কালজয়ী ২০০ গান (প্রথম পর্ব)

   

হীরামান্ডির ‘আলমজেব’-এর পাশে দাঁড়ালেন রিচা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

হীরামন্ডি সিরিজে রিচা চাড্ডা ও শারমিন সেহগাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বড়পর্দার রূপালী মায়া কাটিয়ে ওটিটি জগতে এলেন খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি। তার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’ মুক্তির পর থেকেই আলোচনায়। বিশাল আয়োজনে নির্মিত এই সিরিজ দর্শকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। তবে নেটফ্লিক্সে এটি বিপুল সাড়া পাচ্ছে।

‘হীরামান্ডি’র যে দিকটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা-নিন্দা হচ্ছে, তা হলো আলমজেব চরিত্র। এই চরিত্রে শারমিন সেহগালের অভিনয় দর্শকের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। শারমিনের অভিনয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি তাকে কাস্ট করার কারণে বানসালির বিরুদ্ধে ‘স্বজনপোষণ’র অভিযোগও তুলছে নেটিজেনরা। কারণ তিনি শারমিনের মামা।

মামা-ভাগ্নি সঞ্জয়লীলা বানসালি ও শারমিন সেহগাল

এবার নিন্দায় বিপর্যস্ত শারমিনের পাশে দাঁড়ালেন এই সিরিজেরই সহ-অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা। ‘হীরামান্ডি’তে রিচার অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এমন সময় সাধারনত তারকারা এদিক সেদিক তাকান না। নিজের সফলতা উপভোগ করেন। বিপাকে জড়িয়ে নিজের দিকে সমালোচনার তীর আসুক সেটা তারা একেবারেই চান না। তবে রিচা বরাবরই আলাদা। তিনি স্পষ্ট ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন। নিজের অনুভূতি কোন কিছুর চাপে দমিয়ে রাখার পাত্রী তিনি নন। এর আগেও রিচা তার ‘সর্বজিৎ’ সিনেমার কো আর্টিস্ট ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সমালোচনার মোক্ষম জবাব দিয়েছিলেন। তার সেই জবাব রীতিমতো ভাইরাল হয়।

 হীরামন্ডি সিরিজে লাজ্জো চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় ও নাচ পরিবেশন করেছেন রিচা

এবার হীরামন্ডি সিরিজের ‘আলমজেব’ চরিত্রের শারমিককে নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রিচা বলেন, ‘সত্যি বলতে, এটা (সমালোচনা করা) দর্শকের অধিকার। তারা সিরিজটি পছন্দ করতে পারে, অপছন্দও করতে পারে। কারও অভিনয় ভালো লাগবে, আবার কারও কাজ ভালো লাগবে না। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষ যেভাবে ট্রল করে, মিম বানায়, নিন্দা করে; আমার মতে এটা সবার জন্যই ক্ষতিকর। কারও প্রতি নির্দয় হওয়া উচিত নয়, কারণ আগামীকাল এমন কিছু আপনার সঙ্গেও ঘটতে পারে। এবং হ্যাঁ, প্রত্যেকেই মানুষ।’

মা হতে যাচ্ছেন রিচা। তার স্বামী বলিউড অভিনেতা আলী ফজল

‘হীরামান্ডি’ নির্মিত হয়েছে ১৯৪০-এর দশকের প্রেক্ষাপটে। তখন লাহোরে হীরামান্ডি নামের এলাকায় বাইজিপাড়া ছিল। সেখানকার ছয় বাইজিকে ঘিরেই এগিয়েছে সিরিজের গল্প। এর মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ। সিরিজটিতে আরও আছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, সানজিদা শেখ, ফারদিন খান, শেখর সুমন, ফরিদা জালার প্রমুখ।

তথ্যসূত্র : বলিউড হাঙ্গামা

;

জয়িতার টেগর’স টেল-এ বুঁদ সাধারণ থেকে তারকা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ গাইছেন জয়িতা

  • Font increase
  • Font Decrease

একজন স্কুল জীবনের বন্ধুর অনুভূতি দিয়ে শুরু করা যাক। মারুফা আজিজ উপমা লিখেছেন, ‘সেই স্কুল জীবন থেকে তোর গান শুনে আসছি, কিন্তু এবারের গান অন্যরকম ভালো লাগার। কারণ এবার তোর একক সংগীত সন্ধ্যায় ছিলাম আমরা। প্রতিটা মুহূর্তে আন্টিকে (প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী শিল্পী মিতা হক) মিস করেছি, মাঝে মাঝে দেখে মনে হচ্ছিল আন্টিই গাইছেন। গর্বিত বাবা-মায়ের গর্বিত সন্তান।’

কথাগুলো যাকে নিয়ে লেখা হয়েছে তিনি ফারহিন খান জয়িতা। তরুণ প্রজন্মের রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী। যাকে এ প্রজন্মের অন্যতম মেধাবী রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী বলে মনে করেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা!

ফারহিন খান জয়িতা

জয়িতার আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রয়াত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক মিতা হক এবং মঞ্চ নাটকের যুবরাজ’খ্যাত খালেদ খানের একমাত্র কন্যা।

গত ১৭ মে ছুটির দিনে রাত ৮টা থেকে বনানীর যাত্রা বিরতির নতুন ঠিকানায় জয়িতার একক সংগীত সন্ধ্যা ‘টেগর’স টেলস’। সেই অনুষ্ঠান দেখতে টিকেট কেটে হাজির হন অনেকেই। তারমধ্যে শোবিজ তারকারাও ছিলেন।

এক ঘন্টা ৪৫ মিনিট জয়িতা একে একে গেয়ে গেলেন বাল্মীকি প্রতিভা, মায়ার খেলা, প্রেম পর্যায়ের গানগুলো।

অনুষ্ঠানে এক ফ্রেমে জয়িতা, তার স্বামী শাহিদ মুস্তাফিজ, অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী, নাদিয়া আহমেদ ও তার মা

গান শুনতে গিয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নাজনিন হাসান চুমকী। নিজের অনুভূতির কথা সোশ্যাল লিখেছেন এভাবে, ‘গত সন্ধ্যায় জয়িতার কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীতে বুঁদ হয়ে ছিলাম। জয়িতা সোনা, তোমার কণ্ঠে মধু আছে। আর উচ্চারণ, তোমার কাছ থেকে অনেক শেখার আছে। তুমি অতুলনীয়। তোমার জন্য শুভকামনা সকল সময়।’

জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদ অনুষ্ঠান শেষে ছোট ছোট কিছু ভিডিও ক্লিপিং শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমাদের জয়িতা। মিতা আপার সুযোগ্য কন্যা জয়িতা। ওকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিংবা ওকে নিয়ে বলবার কিছু নেই। শুধু বলবো, আজকে গান থেকে শুরু করে কয়েক লাইন আবৃত্তি এক অসাধারন মুগ্ধতার সন্ধ্যা কাটলো। যারা রবীন্দ্রপ্রেমী তাদের জন্য একটু শেয়ার করলাম। জয়িতা তুই একটা ভালবাসা।’

জয়িতার সঙ্গে সেমন্তী মঞ্জুরী ও তার স্বামী

নিজে রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী হয়ে আরেকজন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পীকে নিয়ে সেমন্তী মঞ্জুরী লিখেছেন, ‘অনেকদিন পর দিদির এতগুলো গান শুনলাম! আনন্দঘন সময় কাটলো। গান তো ভালো বলতেই হয়। তবে আবৃত্তি শুনে বার বার মামার (জয়িতার বাবা অভিনেতা খালেন খান) চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। লাভ ইউ জয়িতা দিদি।’

মেধাবী নির্মাতা কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কি অনবদ্য এক ঘন্টা পয়তাল্লিশ মিনিট কাটালাম! জয়িতা দোস্ত, তুমি সবার হৃদয় হরণ করেছ। তোমার গায়কী এবং গান নির্বাচন ছিলো এক কথায় পারফেক্ট। তুমি তো বটেই, তোমার যন্ত্রশিল্পীরাও অসাধারন পারফরমেন্স করেছেন গত রাতে। গান, নাচ, কবিতা সব মিলিয়ে অদ্ভূত সুন্দর একটা আবহ তৈরী হয়েছিলো। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি আমি। এ ধরনের পরিবেশনা তোমার আরও বেশি বেশি করা উচিত।’

একক সংগীতানুষ্ঠান ‘‘টেগর’স টেল’’-এ অনবদ্য পরিবেশনা ছিল জয়িতার

শুধু এই তারকারাই নন, জয়িতার ফেসবুক জুড়ে আরও নানা পেশা, নানা বয়সের দর্শকের প্রশংসা বার্তা ছড়িয়ে আছে। টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে জয়িতা আগের দিনই জানিয়েছেন, শিগগির আবার ফিরবেন এরকম আয়োজন নিয়ে।

;

ডিএ তায়েবকে তীক্ষ্ণ জবাব নিপুণের, নেবেন আইনি ব্যবস্থাও!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ ও ডিএ তায়েব

নিপুণ ও ডিএ তায়েব

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে এমনটাই মনে করছিলেন সবাই। অল্প কিছু ভোটে জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নিপুণ হেরে যান খল নায়ক ডিপজলের কাছে। তখন তিনি বলেছিলেন, আমার অনেকগুলো ভোট নষ্ট হয়েছে। নয়ত ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। তারপরও নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে মিশ-ডিপজল প্যানেলকে বিজয়ের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

তবে সেই নির্বাচনে এক মাস যেতে না যেতেই বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে রিট করেন নিপুণ আক্তার। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এরপরই শুরু হয় পক্ষে বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক।

শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি পদে জয়ী হওয়ায় ডিএ তায়েবকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন এক সহকর্মী

এরমধ্যে গেল বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব জানান, নিপুণের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। গণমাধ্যমে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন তিনি। তার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না, সেটি জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।

নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে দেখা গেছে এই নায়িকাকে। তবে নিজের সদস্য পদ বাতিল হতে পারে এমন খবর ঠিকই তার কানে গেছে। আর তা শুনে মুখও খুললেন নিপুণ। তিনি বলেন, সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, ওনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।

একমাত্র কন্যার কনভোকেশনে অংশ নিতে নিপুণ এখন যুক্তরাষ্ট্রে

ডিএ তায়েবের মন্তব্যের জবাবে নিপুণ বলেন, ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না আমি। তিনি কি অভিনেতা? একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা? তার কোনো সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন? তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে বলেছেন, আমার নাকি মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।

;

কানের রেড কার্পেটে এবার চার নায়িকাকে নিয়ে হাজির ভাবনা!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী আশনা হাবিব ভাবনা জানেন কিভাবে তার প্রথম কান যাত্রা অর্থবহ করা যায়। তাই সিনেমা দেখা, বিশ্বের বিভন্ন দেশের চলচ্চিত্রকার ও তারকাদের সঙ্গে কথা বলাসহ নিজের পোশাকেও রেখেছেন বুদ্ধিদীপ্ততা।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

তার প্রতিদিনের পোশাক আলাদা আলাদা কারণে স্পেশ্যাল হয়ে উঠেছে। প্রথম দিন তিনি হাজির হন আন্তর্জাতিক তারকাদের মতো লম্বা টেলওয়ালা গাউনে। এর পরদিন ঢাকার কাক’কে পোশাকে উপস্থাপন করেন। তৃতীয় ঢাকাই জামদানির সঙ্গে রিকশা পেইন্টের মোটিফে তৈরী ব্লাউজ পরে নজর কাড়েন। এর পরদিন তিনি বেছে নেন দেশিয় বেনারসি শাড়ি কেটে তৈরী ভিন্নধর্মী গাউন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

আর আজ প্রকাশ হয়েছে ভাবনার কান উৎসবের পঞ্চম দিনের সাজ। এটিও একটি বিশেষ কারণে নেটিজেনদের আগ্রহ কেড়ে নিয়েছে। ভাবনা এবার কালো অলসোল্ডার গাউনে হাজির হয়েছেন রেড কার্পেটে। পোশাকের কাটিং-প্যাটার্ণে আলাদা স্বকীয়তা না থাকলে নজর কেড়েছে পোশাকের দামান অংশের কাজ।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

সেখানে ফুলেল নকশার মাঝে মাঝে স্টোন দিয়ে কিছু লেখা চোখে পড়ছে। একটু ভালো করে খেয়াল করলেই দেখা যাবে তাতে লেখা চারটি নাম- ববিতা, সুর্বণা (সুবর্ণা মুস্তাফা), মেরিল স্ট্রিপ ও অড্রে হেপবার্ন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

এই নাম চারটি নিয়ে আলাদা করে বুঝিয়ে বলার কিছুই নেই। সিনেমাপ্রেমী প্রত্যেকে এই চারটি নামের সঙ্গে বহুকাল ধরে পরিচিতি। এমনকি চারজনই সবার প্রিয় নারী তারকা। দুজন বাংলাদেশের, দুজন হলিউডের।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

এই চারজন ভাবনারও খুব প্রিয় অভিনেত্রী। তাই তাদের সম্মান দেখানোর জন্যই কানের মতো প্রসিদ্ধ মঞ্চে ভাবনা তার পোশাকে নামগুলো খোদাই করেছেন। পোশাকটি ডিজাইন করে দিয়েছেন তার ছোট বোন অদিতি।

;