বাংলাদেশের গানে জুটি বাঁধলেন পরমব্রত-রাইমা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পরমব্রত ও রাইমা সেন

পরমব্রত ও রাইমা সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের গানের চিত্রায়নে এই প্রথম অভিনয় করলেন পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও রাইমা সেন। শাফকাত আহমেদ দীপ্ত’র কথা ও সুরে টিএম রেকর্ডসের ব্যানারে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস ও দিলশাদ নাহার কাকলী।

ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মিষ্টি প্রেমের গানটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে গানবাংলা টেলিভিশনের পর্দায়। এছাড়াও গানবাংলা টেলিভিশনের ফেইসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলেও উন্মুক্ত হয়েছে এটি।

গানটি প্রকাশ উপলক্ষে বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক লাইভ আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহন করেন গানটির শিল্পী ও কলাকুশলী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যান্ড তারকা হামিন আহমেদ ও এস আই টুটুল ও গানের টাইটেল স্পন্সর ইভ্যালি’র প্রধান নির্বাহী রাসেল আহমেদ।

আড্ডায় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ব্যাক্তিগতভাবে গানবাংলা এবং উইন্ড অব চেঞ্জ নিয়ে বাঙালি হিসেবে গর্বিত। তাই যখন শুনি তাপসের মতো কেউ এ গানটির সাথে রয়েছে তখনই রাজি হয়ে যাই। খুব মিষ্টি একটি গান, গানটিতে কাজ করার স্মৃতিটিও খুব মিষ্টি। ঈদ উৎসবে গানটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে, তাতে আমি আরও আনন্দিত।”

রাইমা সেন বলেন, গানটাতে অভিনয় করে খুব ভালো লেগেছে। পরমের সঙ্গে আমার একটা দীর্ঘদিনের জুটি আছে। এ জন্য কাজের সময়টাও বেশ কেটেছে। গানটা প্রকাশিত হওয়ার পর আমার মাকে যখন দেখালাম, মা বললেন, এটা কোন ছবির। আসলে এটা সিনেমা না হয়েও সিনেমার মতোই একটা সাড়ে তিন মিনিটের মিউজিক্যাল ফিল্ম। আশা করছি যারা দেখবে তারা খুবই পছন্দ করবেন গানটি।”

গানটিতে কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি এর সংগীতায়োজনও করেছেন তাপস। তিনি বলেন, “এটি আমার প্রথম ডুয়েট গান। পুরনো দিনের গানের ফ্লেভারে এটি দীপ্তর অসামান্য সৃষ্টি। এতে আমার সঙ্গে দারুণ কণ্ঠ দিয়েছেন কাকলী। সিনেমেটিক দৃশ্যায়ণে গানটির চমৎকার চিত্রায়ণের জন্য প্রযোজক, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।”

গানটির নতুন সংগীতায়োজন ও চিত্রায়ণ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শাফকাত আহমেদ দীপ্ত।

টিএম প্রোডাকশানের ব্যানারে গানটির পরিকল্পনা ও প্রযোজনায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নী।

   

মা হারালেন বেবি নাজনীন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মা হারালেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবি নাজনীন। ১৭ই এপ্রিল সকালে তার মা আবিদা মনসুর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া---- রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি জটিলতাসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি তিন মেয়ে, এক ছেলে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বেবি নাজনীনের পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার বাদ জোহর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ১৬ই এপ্রিল বেবী নাজনীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেশাগত কারণে জাপান রওনা হয়েছেন। সেখান থেকে মায়ের চলে যাওয়ার খবর পেয়েছেন। দ্রুতই ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে তার। মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

 

;

ছেলের নাম জানালেন হবু বাবা রণবীর সিং



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তারকা দম্পতি রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন

তারকা দম্পতি রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিয়ের পাঁচ বছর পর বাবা-মা হতে যাচ্ছেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা দম্পতি রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই নতুন অতিথি আসছে তাদের ঘর আলো করে।

অনাগত সন্তানের অপেক্ষায় এখন দিন গুনছেন এই তারকা জুটি। কিন্তু পুত্র নাকি কন্যা সন্তানের অপেক্ষায় তারা, সেই প্রসঙ্গে নিজের মনের ইচ্ছের কথা জানালেন রণবীর সিং।

তারকা দম্পতি রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন

রণবীর জানান, মন্দিরে গিয়ে প্রসাদ নিয়ে কি আমরা বাছ-বিচার করি? নিশ্চয়ই না। তাই ঈশ্বর যা দেবেন তাতেই আমি খুশি। ওকে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসব।

এক সাক্ষাৎকারে রণবীর জানিয়েছেন, সংসারে দীপিকার মতো একটি কন্যা সন্তান চান তিনি। তবে ছেলে সন্তানের বাবা হলে তার নাম রাখার ইচ্ছা রয়েছে শৌর্যবীর সিং।

রণবীর সিং

এদিকে সম্প্রতি বিমান বন্দরে আসা-যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে দীপিকার। যেই ভিডিওতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে দীপিকার কোনো বেবি বাম্প নেই। এরপর থেকেই নেট দুনিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে সারোগেসির মাধ্যমে মা হচ্ছেন দীপিকা। যদিও এ প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি রণবীর কিংবা দীপিকা কেউই।

তথ্যসূত্র : স্পটবয়

তারকা দম্পতি রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন
;

দ্বিতীয়বার কান থেকে আমন্ত্রণ পাওয়া অবিশ্বাস্য সম্মান : ঋতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ ঋতি

চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার সাদিয়া খালিদ ঋতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সাদিয়া খালিদ ঋতিকে আবারও মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবের ফিপ্রেসকি জুরি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

৭৭তম কান উৎসব থেকে ডাক পাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিক, চলচ্চিত্র সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার ঋতি বলেন, ‘কান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। দ্বিতীয়বার কান থেকে আমন্ত্রণ পাওয়া একটি অবিশ্বাস্য সম্মান। জুরি বোর্ডে আমাদের চলচ্চিত্র সমালোচকদের নিয়মিত উপস্থিতি বিশ্ব চলচ্চিত্রকে ইউরোকেন্দ্রিক লেন্স থেকে সরে এসে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে।’

ঋতি বিয়ে করেছেন সঙ্গীতের তারকা দম্পতি রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানার ছেলে ফারশিদ আলমকে

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস এঞ্জেলেস থেকে চিত্রনাট্যে পড়াশোনা শেষ করে ঋতি বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবের জুরির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইতালি, ভারত, ইংল্যান্ড, নেপাল, ফ্রান্স, রাশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে। তিনি বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, কেরালা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে ফিপ্রেসকি (ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস) জুরি হিসেবেও কাজ করেছেন দক্ষতার সঙ্গে।

সাদিয়া খালিদ ঋতি

ঋতি ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক ভোটার এবং ২০২০ সালে বার্লিনালে ট্যালেন্টসে প্রথম বাংলাদেশী চলচ্চিত্র সমালোচক হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ফিল্ম ইন্ডিপেনডেন্ট এবং লোকার্নো ওপেন ডোরস-এর সাথে মেন্টরশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে চার্লস ওয়ালেস ফেলোশিপের অংশ হিসাবে তিনি ২০২৩ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পরাবাস্তব চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে ফিল্ম স্টাডিজ বিষয়ে পড়ান।

চিত্রনাট্যকারের ভূমিকায় ঋতিকে দেখা গিয়েছে নুরুল আলম আতিকের ওয়েব সিরিজ ‘আষাঢ়ে গল্প’তে। তার দুটো শর্ট ফিল্ম অস্কার কোয়ালিফাইং ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছে। ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব ১৪-২৫ মে, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের কান সৈকতে।

ঢাকা লিট ফেস্টে নির্মাতা অমিতাভ রেজার সঙ্গে এক সেশনে ঋতি

এর আগে বাংলাদেশ থেকে আহমেদ মুজতবা জামাল ২০০২, ২০০৫ এবং ২০০৯ সালে কানে ফিপ্রেসকি জুরি ছিলেন। ঋতি ২০১৯ সালে এবং ২০২২ সালে বিধান রিবেরু এই জুরির দায়িত্ব পালন করেন। তারা আইএফসিএবি (বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি)-এর সদস্য হিসেবে যোগদান করেন সেই উৎসবে। এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার তিনি কানের জুরি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

;

লতা মঙ্গেশকরের নামের পুরস্কার পাচ্ছেন বিগবি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লতা মঙ্গেশকর ও অমিতাভ বচ্চন

লতা মঙ্গেশকর ও অমিতাভ বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের বাবা পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকরের নামে পুরস্কারের প্রবর্তন করেছিলেন ভারতের প্লেব্যাক জগতের রানী ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকর। এখন তিনিই আর নেই এই ধরাধামে। তাই তার স্মৃতিকে অমলিন রাখতে বাবার নামের পুরস্কারের সঙ্গে লতার নামও যুক্ত করেছে মঙ্গেশকর পরিবার।

আর সেই ‘লতা দীননাথ মঙ্গেশকর’ সম্মাননায় এবার সম্মানিত করা হবে বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনকে। গতকাল ১৬ এপ্রিল মঙ্গেশকর পরিবারের তরফে এ ঘোষণা করা হয়েছে।

২০২২ সালে প্রয়াত হন কিংবদন্তী গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। গায়িকার প্রয়াণের পর তার পরিবার এবং ট্রাস্ট গায়িকার স্মৃতিতে এই পুরস্কার প্রদানের রীতি শুরু করে। যারই প্রেক্ষিতে এ বছর আগামী ২৪ এপ্রিল লতা মঙ্গেশকরের বাবা প্রখ্যাত থিয়েটার এবং সঙ্গীতশিল্পী দীননাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যুবার্ষিকীতে এই পুরস্কার পাবেন বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।

লতা মঙ্গেশকর ও অমিতাভ বচ্চন

এর আগে গেল বছর প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ‘লতা দীনানাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার’ গ্রহণ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতি বছর এমন এক ব্যক্তিকে লতা দীনানাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার দেওয়া হবে যিনি সমাজ এবং মানুষের মঙ্গলার্থে নানা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

মাস্টার দীনানাথ মঙ্গেশকর স্মৃতি প্রতিষ্ঠান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, এই পুরস্কার প্রতিবছর একজন ব্যক্তিকেই দেওয়া হবে। দেশ, সমাজ ও জনতার কল্যাণে যারা দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন, তাঁদের উদাহরণ হিসেবে সামনে আনতে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।

মঙ্গেশকর পরিবারের পক্ষ থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমিতাভ বচ্চন ছাড়াও ভারতীয় সঙ্গীতে অবদানের জন্য সঙ্গীত শিল্পী এ আর রহমান মাস্টার দীনানাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার পাবেন। এছাড়াও প্রবীণ অভিনেতা অশোক সরফ এবং পদ্মিনী কোলাপুরি সিনেমায় তাদের অবদানের জন্য মাস্টার দীনানাথ মঙ্গেশকর পুরস্কারে সম্মানিত হবেন।

লতা মঙ্গেশকর ও অমিতাভ বচ্চন

অমিতাভ বচ্চনের প্রচুর ছবিতে গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। তার বাইরেও এই দুই মহাতারকার মধে্য ছিল দারুণ সম্পর্ক। দুজন দুজনকে ভীষণ সম্মান করতেন। একে অপরের কাজে এগিয়ে আসতেন। দুজন দুজনের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে একে অন্যকে নিয়ে দারুণ সব প্রশংসা করেছেন।

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস

 

;