এই আমাদের আচরণ! এই আমাদের সভ্যতা!

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জয়া আহসান ও রোজিনা

জয়া আহসান ও রোজিনা

পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সেখানে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। এই খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের নেতারা সেখানে উপস্থিত হন।

কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে রোজিনাকে আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিছুই জানাননি। পরে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাংবাদিকরা সচিবালয়ের বাইরে জড়ো হয়ে রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও আটকে রাখার প্রতিবাদ করেন। সেই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তারকারা।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জয়া আহসান লিখেছেন, “রোজিনা সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন, সিঁধ কাটতে নয়। দেখতে পেলাম হেনস্তার শিকার হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যাচ্ছেন। এই আমাদের আচরণ! এই আমাদের সভ্যতা! রোজিনার গলার ওপর চেপে বসা আঙুলগুলো গভীর অর্থময় এক প্রতীকের মতো লাগছে। মনে হচ্ছে, আঙুলগুলো কোনো ব্যক্তির গলায় নয়, বরং বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতার কণ্ঠনালিতে চেপে বসেছে।”

ছবি: সংগৃহীত

রোজিনা তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে জয়া আহসান আরও লিখেছেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই এমন অশুভ একটি ঘটনা আমাদের দেখতে হলো? রোজিনাকে তার পরিবারের কাছে দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

বিজ্ঞাপন

নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, “কালকের ঘটনাটার মাঝে এক ধরনের মাস্তানির ভাব আছে! সাংবাদিক সমাজের উচিত এই বাড়াবাড়ি বা মাস্তানির ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবার বিচার নিশ্চিত করতে সোচ্চার থাকা! এবং রুটিন করে আগামী এক মাস স্বাস্হ্য মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের দুর্নীতি নিয়ে আরও বেশি বেশি রিপোর্ট করা! যা তারা থামাতে চেয়েছে, তাকেই আরো জ্বালিয়ে দেয়াটাই হবে আসল উত্তর!” 

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, “করোনার কারণে আমরা যে মুখোশ পরা শুরু করেছি....
সে অভ্যাস টা চলমান থাক......
কিন্তু আসুন,আসল মুখোশ টা খুলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াই.....
দৃপ্ত কণ্ঠে আওয়াজ তুলি....
“রোজিনা ইসলামের মুক্তি চাই”

ছবি: সংগৃহীত

নির্মাতা অমিতাভ রেজা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, একজন সাংবাদিক নিতে এত পুলিশ লাগছে?? এত ভয় পাইসে ক্যান??

অভিনেতা এবিএম সুমন লিখেছেন, “একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি এবং অতিসত্বর দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি!”

সংগীতশিল্পী বেলাল খান লিখেছেন, “সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে, রোজিনাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে কেউ আমলাদের দুর্নীতির পথে বাঁধা হয়ে দাড়াতে সাহস না করে! রোজিনা ইসলামের জামিন বাতিল, কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দেশে সৎ-সাহসী রিপোর্টারের, অনুসন্ধানী রিপোর্টিং এর জন্য এভাবেই পুরস্কৃত হতে হয় !!”