তিন মাসের বিরতি শেষে কাজে ফিরলেন আবুল হায়াত। বর্ষীয়ান এই তারকা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এ কথা সকলেরই জানা। তাই অনেকটা সময় কাজ থেকে বিরত ছিলেন তিনি।
শুক্রবার (১১ জুন) ‘বাবা তোমাকে ভালোবাসি’ শিরোনামে একটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেন এই গুণী শিল্পী। এটি পরিচালনা করছেন প্রবীর রায় চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
‘বাবা তোমাকে ভালোবাসি’ নাটকটিতে আরও অভিনয় করছেন মামুনুর রশীদ ও ফজলুর রহমান বাবু। এতে আবুল হায়াতের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তাসনিয়া ফারিণ।
গত ৩১ মার্চ করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আবুল হায়াত। হার্টে স্ট্যান্ট পরানো বলে চিকিৎসকেরা এই অভিনেতাকে নিয়ে অনেকটাই সাবধান ছিলেন। সেসময় দ্রুত তাকে প্লাজমা দেওয়া হয়। এরপর বাসায় ফিরে যান। পরে ১৮ এপ্রিল করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
একঝাঁক তারকা নিয়ে 'দরদ' সিনেমার স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে হাজির হন দেশীয় চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্টার সিনেপ্লেক্সে শাকিব খানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যানের পণ্য দেশের শীর্ষস্থানীয় হেলথ অ্যান্ড হাইজিন ব্র্যান্ড একনল-এর সৌজন্যে 'দরদ'র বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এর ফলে স্ক্রিনিং শো-টি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। জমজমাট এই ইভেন্টে শাকিব খানের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন, একনলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও চিত্রনায়িকা পূজা চেরি, ছবিটির পরিচালক অনন্য মামুনসহ সিয়াম আহমেদ, সেমন্তি সৌমি, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, অর্চিতা স্পর্শিয়া, রুকাইয়া চমকের মত জনপ্রিয় সব তারকা ও রিমার্ক হারল্যান পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
সিনেমা দেখা শেষে শাকিব খান বলেন, “একনল বরাবরই সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিতে সহায়ক। আর সুস্থতা ও সুরক্ষা যদি নিশ্চিত করা যায় তাহলে সবাই মিলে একসাথে কোনোকিছু উপভোগ করা আরও আনন্দদায়ক হয়, আরও নিরাপদ হয়। তাই আজকে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি সবাই মিলে একসাথে “দরদ” এর স্পেশাল স্ক্রিনিং উপভোগ করার জন্য। আর এটা খুব সুন্দরভাবে, আয়োজন করেছে রিমার্ক হারল্যানের হেলথ অ্যান্ড হাইজিন ব্র্যান্ড একনল। সত্যিকার অর্থেই আমাদের আজকের এই ইভেন্টটি কেটেছে, সুস্থতায়, আনন্দে।
মুক্তিপ্রাপ্ত 'দরদ' সিনেমা প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, এ বছরের হাইয়েস্ট ওপেনিং কালেকশন দরদের। তার মানে বোঝা যায় ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়। ঈদ ছাড়া সিনেমা সবসময়ই সুপারহিট হয়েছে। ইনফ্যাক্ট, আমার ক্যারিয়ারে যত বিগ হিট সিনেমা এসেছে; যেমন প্রিয়া আমার প্রিয়া,কোটি টাকার কাবিন,এমন যতগুলো বিগ হিট সিনেমা এসেছে সবগুলোই কিন্তু ঈদ ছাড়াই এসেছে। এটা সবসময়ই প্রমাণত হয়ে এসেছে আজকে দরদ দিয়েও প্রমাণ করল যে ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হওয়ার অপশন বেশি থাকে।
প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিদেশি নায়িকাদের সাথে কাজ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাকিব বলেন, আমি নিজেই দেখি নায়িকাদের সিডিউল পাচ্ছিনা। যেহেতু বছরের দুই তিনটা ছবি করি তাই আমার সিডিউলও বেশি লাগে। কিন্তু আমাদের যারা দেশি নায়িকা আছে, তারা অনেক বেশি কাজ করে এজন্য তাদের ব্যস্ত থাকতে হয়। তাদের শিডিউল পেলেই আবার কাজ করা হবে।
দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করার প্রয়াসে কাজ করে যাচ্ছে রিমার্ক-হারল্যান। নকল ও ভেজালমুক্ত পণ্য ব্যবহার করে দেশের মানুষ যাতে গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং অনুযায়ী সবরকম সুযোগ সুবিধা পেতে পারে তাই রিমার্কের লক্ষ্য। শাকিব খানই এই প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর। এর বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পরিমনি, বিদ্যা সিনহা মিম, নুসরাত ফারিয়া, তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি, সাবিলা নূর, কেয়া পায়েল, প্রার্থনা ফারদিন দিঘী, পূজা চেরি, সিয়াম আহমেদ ও মামনুন হাসান ইমনের মত জনপ্রিয় শিল্পীরা।
বিজয়ের মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বানভাসি মানুষের গল্পে নির্মিত সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় লাক্সতারকা মৌসুমী হামিদ। তার বিপরীতে দেখা যাবে মঞ্চ ও টিভি নাটকের মেধাবী অভিনেতা রওনক হাসানকে।
চরের মেহনতী মানুষের জীবন ও প্রকৃতির খেয়ালিপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে প্রথমবারের মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি।
গত ২১ নভেম্বর সিনেমাটির অফিসিয়াল পোস্টার প্রকাশ করে নির্মাতা জানিয়েছেন আগামী ৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে মুক্তি পাবে ‘নয়া মানুষ’। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি ও শিশুশিল্পী ঊষশী প্রমুখ। দেশের অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ’র ব্যানারে নান্দনিক ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। সিনেমার প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া।
২০২২ সালের অক্টোবরে চলচ্চিত্রটির চিত্রধারণ শুরু হয়। কিন্তু সুপার সাইক্লোন সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে শুটিং সেট চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে আবার নতুন করে শুরু হয় চলচ্চিত্রটির কাজ, শেষ হয় ১২ এপ্রিল। পোস্ট প্রোডাকশন শেষ করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা হয় এবং ২ অক্টোবর সদস্যরা সিনেমাটি দেখে ২৩ অক্টোবর আনকাট সনদ নথিভুক্ত করেন।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘বানভাসি মানুষের গল্প ‘নয়া মানুষ’। গল্পের মতোই নানা দুর্যোগ মোকাবেলা করে চলচ্চিত্রটি আনকাট মুক্তির অনুমতি পেয়েছে। নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা পাশে ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিজয়ের মাসে সিনেমাটি দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন। প্রথম সিনেমাটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।’
চার বছর আগে মুভিং বাংলাদেশ সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন নুহাশ হুমায়ূন। প্রথম দিকে প্রযোজক সংকট থাকলেও পরে বেশ কিছু বিদেশি উৎসব থেকে তহবিল পায় সিনেমাটি। শুধু তা-ই নয়, সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহ দেখায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ খবর, মুভিং বাংলাদেশ-এর জন্য বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে দেশের প্রথমসারির একটি গণমাধ্যমে এসেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ে ২০২২ সালে চিত্রনাট্য পড়ে সিনেমাটির জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছিল। আগে তারা আগ্রহী হলেও এখন সেই বরাদ্দ সিনেমাটি আর পাচ্ছে না। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গত ১৮ নভেম্বর সেই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের ডিপিপিতে (ডিজিটাল প্রোডাকশন পার্টনারশিপ) মুভিং বাংলাদেশ নামে সিনেমার জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এই মুহূর্তে প্রকল্প থেকে এই সিনেমাটি নির্মাণের ইচ্ছা নাই। আর সিনেমা বানানো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাজও না। তাই আপাতত সিনেমায় বিনিয়োগের পদক্ষেপ থেকে সরে আসা হয়েছে।’
তাইওয়ানের তাইপে ফিল্ম কমিশনের ৮৯ হাজার ৮০০ ডলারের তহবিল পেয়ে প্রথম আলোচনায় আসে মুভিং বাংলাদেশ। বাংলাদেশি অর্থে বর্তমানে যা ১ কোটি ৭ লাখ টাকার বেশি। সিনক্রাফ্ট ফিল্ম ফান্ড থেকে পেয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। শুধু তা-ই নয়, সিনেমাটি টোকিও গ্রান্ট ফাইনান্সিং মার্কেট, কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্ম বাজার, লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব ও ভারতের ফিল্ম বাজার থেকে নানা সহযোগিতা পেয়েছে।
‘মুভিং বাংলাদেশ’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুপীবাঘা সূত্রে আরও জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকেও অনেকেই লগ্নি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত হয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। প্রযোজকদের মধ্যে আরিফুর রহমান জানান, ‘মুভিং বাংলাদেশ আমাদের দেশকে ব্র্যান্ডিং করার মতো সিনেমা। যে কারণে তখন চেয়েছিলাম তারা থাকুক।’
আরিফ আরও জানান, এটা কোনো রাজনৈতিক গল্প নয়। দেশের তরুণদের কথা বলবে সিনেমাটি। এটি সব সময়ের জন্যই প্রাসঙ্গিক একটি গল্প। আগামী বছর শুটিংয়ে যেতে চান তারা। পরে এই প্রযোজক বলেন, ‘‘একটা সিনেমা নিয়ে আমাদের তিন থেকে পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। দীর্ঘ এই সময়ে প্রযোজকের কাজ ফান্ড রাইজ করা। অনেক সময় লাগার কারণে অনেক লগ্নিকারী আসছে-যাচ্ছে। আমরাও অনেক সময় লগ্নিকারী ফেরত দিই। দেরি হওয়ায় অনেকে অপেক্ষা করতে চায় না, ফেরত যায়। এখন ‘মুভিং বাংলাদেশ’ বানানোর জন্য যে ধরনের অর্থ দরকার, সেখানে ৫০ লাখ টাকা খুবই ছোট অ্যামাউন্ট। এটি সিনেমা নির্মাণে বাধা হবে না।’’
আরিফুর রহমান আরও জানান, সিনেমাটি ইতিমধ্যে বড় তহবিল পেয়েছে। দেশের আরও লগ্নিকারী যুক্ত রয়েছেন। এখনো অনেক প্রযোজক সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হতে চান। দেশ-বিদেশের প্রযোজকেরা সিনেমাটির সঙ্গে এখনো যুক্ত হতে চান। কারণ, আমাদের সিনেমাটি দর্শক গ্রহণ করবে। এই প্রজেক্ট থেকে আমরা নিশ্চিন্তে টাকা তুলে আনতে পারব। বরং যারা সিনেমাটি থেকে সরে যাবে, তারাই লস করবে। এই সিনেমার ভ্যালু বুঝতে হবে। বুঝতে হবে এর সঙ্গে কারা জড়িত। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী। সেখানে কে চলে গেল, সেটা নিয়ে ভাবনার কিছু নাই।’
নুহাশ হুমায়ূন জানালেন, সিনেমার বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখছেন প্রযোজক। তিনি সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা-সংশ্লিষ্ট কাজগুলো নিয়েই ভাবছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, গল্প ঠিকঠাক থাকলে চিন্তা নাই। আমার সব কাজেই আমি গল্প ও চিত্রনাট্যে বেশি সময় দিই। আমি তো শর্টফিল্ম, ওয়েবের কাজ করেছি কিন্তু এবারই প্রথম ফিচার ফিল্ম করছি। মুভিং বাংলাদেশ সিনেমার জন্য দেশের বাইরে থেকে অনেক ফান্ডই আমরা পেয়েছি। কাজও এগিয়ে নিচ্ছি।’
কবে থেকে সিনেমাটির শুটিং করতে চান জানতে চাইলে নুহাশ বলেন, ‘চিত্রনাট্য শতভাগ ঠিক না হলে কোনো কাজেরই শুটিং করতে চাই না। সবার আগে আমি নিজেই চিত্রনাট্য নিয়ে খুশি থাকতে চাই। আমার জায়গা থেকে কাজ শেষ পর্যায়ে। আমার সিনেমার প্রযোজকেরা আমাকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছেন।’
চিত্রপরিচালক শাহ আলম মণ্ডলের হাত ধরে চলচ্চিত্রে পা রাখেন হালের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। এই পরিচালক তাকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবিটি।
ঢাকার গুলশানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৪৭ বছর বয়সী শাহ আলম মণ্ডল মারা গেছেন। প্রথম সিনেমার পরিচালকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পরীমণি। রোববার সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ওস্তাদ, আপনিও চলে গেলেন। আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেল। আপনিও, মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ, আমাদের শেষ দেখা হলোই না।’
ক্যারিয়ারের শুরুতে টুকটাক মডেলিং করেছেন পরীমণি। কয়েকটি নাটকেও দেখা গেছে তাকে। ২০১৩ সালের আগস্টে এক নাট্যপরিচালকের মাধ্যমে পরীমণির সঙ্গে শাহ আলম মণ্ডলের পরিচয় হয়; শাহ আলম দীর্ঘদিন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের সহকারী পরিচালক হিসেকে কাজ করে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ নামের একটি চলচ্চিত্র পরিচালনায় হাত দিয়েছেন।
হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিচালক। দিন দিন অসুস্থতা বাড়তে থাকে। এরপর দ্রুত মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এভাবে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে শুক্রবার এই পরিচালককে ভর্তি করা হয় গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। পরিস্থিতির অবনতি হলে শনিবার ভোরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তবে তাঁকে আর ফেরানো যায়নি। শাহ আলম মণ্ডলের মরদেহ রংপুরের বদরগঞ্জে নেওয়া হয়েছে।
শাহ আলম মণ্ডল ২০১১ সালে চলচ্চিত্রে আসেন। শাহ আলম মণ্ডলের অন্য ছবিগুলো হলো ‘আপন মানুষ’, ‘ডনগিরি’ এবং ‘লকডাউন লাভ স্টোরি’ (২০২২)।