হাসপাতালে ভর্তি কবীর সুমন, রয়েছেন অক্সিজেন সাপোর্টে

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কবীর সুমন

কবীর সুমন

হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমনকে। শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে রোববার (২৭ জুন) রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বর্ষীয়ান এই সংগীতশিল্পী।

অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে কবীর সুমনকে

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তির সময় কবীর সুমনের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিলো ৯০ তাই সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন সাপোর্টে দেওয়া হয় তাকে। এখনও অক্সিজেন সাপোর্টেই রয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বর্ষীয়ান এই শিল্পী করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানতে আরটিসিআর পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট আসেনি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে- আজ (২৮ জুন) বুকের এক্স-রে, স্ক্যান ও রক্তপরীক্ষা করা হবে কবীর সুমনের।

বিজ্ঞাপন
কবীর সুমন

হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে- ফুসফুসে সংক্রমণ থাকায় অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে এই শিল্পীকে। টেস্টের রিপোর্টগুলো হাতে পেলেই শুরু হবে চিকিৎসার পরবর্তী ধাপ। কবীর সুমনের চিকিৎসায় গড়া হয়েছে দুই সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।

১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ নামের একটি গানের অ্যালবাম করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবীর সুমন। জীবনমুখী বাংলা গানের প্রবর্তক হিসেবে তাকেই গ্রহণ করে বাঙালি। গ্রহণ করেছে দুই বাংলার শ্রোতারা। সেই থেকে অব্যাহত তার সংগীতের চলার পথ। একসময় স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন নিজের মতো করে। নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুর আন্দোলনে দাঁড়িয়েছিলেন মমতার পাশে।

তারপর যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পরে তৃণমূল ছাড়েন।

কবীর সুমন

কবীর সুমনের পূর্বনাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে কবীর সুমন নাম ধারণ করেন।

জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যে, ১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ। এখন তার বয়স ৭১ বছর। গত বছর ২৩ অক্টোবর ফেসবুকে নিজের ইচ্ছাপত্র বা উইল প্রকাশ করে লিখেছেন, তার মৃত্যুর পর যেন তার সমস্ত সৃষ্টি ট্রাকে করে নিয়ে ধ্বংস করে দেয় কলকাতা পৌরসভা।

তার মৃতদেহ যেন দান করে দেওয়া হয় চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজে। নিজের নামের প্যাডে নিজের হাতে লেখা এই ইচ্ছাপত্র কবীর সুমন ফেসবুকে আপলোড করেন।

কবীর সুমনের লেখা এই ইচ্ছাপত্র

‘সকলের অবগতির জন্য’ শিরোনামে লেখা এই ইচ্ছাপত্রে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর পর কোনো স্মরণসভা, শোকসভা, প্রার্থনাসভা যেন না হয়। আমার সমস্ত পাণ্ডুলিপি, গান, রচনা, স্বরলিপি, রেকর্ডিং, হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ, লেখার খাতা, প্রিন্ট আউট যেন কলকাতার পুরসভার গাড়ি ডেকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেগুলো ধ্বংস করার জন্য।’