আমি শাবনূরের, শাবনূর আমার: কনক চাঁপা



বিনোদন রিপোর্ট, বার্তা ২৪.কম
কনক চাঁপার ছেলের বিয়েতে শাবনূর

কনক চাঁপার ছেলের বিয়েতে শাবনূর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা সংগীতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রোমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা। অসংখ্য গান গেয়ে কোটি কোটি শ্রোতার মন জয় করে আছেন তিনি। শুধু প্লে ব্যাকেই নয়, আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতিসহ প্রায় সবধরনের গানে কনক চাঁপা সমান পারদর্শী। দীর্ঘ ৩৪ বছরের ক্যারিয়ারে তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। প্রকাশিত হয়েছে ৩৫টি একক গানের অ্যালবাম।

তবে নিজের প্লেব্যাকের ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে তখন চিত্রনায়িকা শাবনূরের ঠোঁটে অসংখ্য গান জনপ্রিয়তা পায় তার। শাবনূরের ঠোঁটে যে গানই শোনা যেত তার কণ্ঠই ছিলো কনক চাঁপার। সে স্মৃতি রোমন্থন করেই বুধবার (৬ অক্টোবর) নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শাবনূরকে নিয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন কনক চাঁপা। বার্তা ২৪.কমের সঙ্গেও আলাপ হলো সেই সূত্রে।

শাবনূরকে নিয়ে কনক চাঁপা লিখেছেন, “দু’জনকে বলা যায় দুই দেহ এক উপস্থাপন। আমি শাবনূরের অথবা শাবনূর আমার। প্লেব্যাকের পুরোটা উজ্জ্বল সময় আমি প্রধানত শাবনূরের জন্য গেয়েছি। আমি গাইলে নাকি ডিরেক্টরদের মনে হতো তিনি গেয়েছেন। তাই তার ছবির গানে কনক চাঁপার কণ্ঠ আবশ্যম্ভাবী। এসব কথা বা ব্যখ্যা অথবা বাস্তব ঘটনা যারা ছবি দেখতেন বা ছবির ভক্ত ছিলেন তারা সবাই জানেন।"

অথচ শাবনূরের সাথে নাকি কনক চাঁপার দেখা-সাক্ষাত হয়েছে হাতে গোনা কয়েকবার।

“কিন্তু একটি কথা একদম অজানা যেমন পুরো পেশাদার জীবনে শাবনূর আর আমার খুব কম দেখা হয়েছে। প্লেব্যাক এর প্রথম দিকে দুজন মিলে একটা টিভি চ্যানেলের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। এরপর হঠাৎ হঠাৎ হয়তো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠানে মিতবাক শাবনূরের সাথে আমার খুবই কম সময়ের জন্য দেখা হয়েছে। দুয়েকটা বাক্য বিনিময় ছাড়া আর কিছু হয়নি আমাদের মাঝে।

চিত্রনায়িকা শাবনূর

তো মাশুকের বিয়ের সময় দাওয়াত দিতে গেলাম তার বাসায়। বাসায় যাওয়ার পরে আবেগে উচ্ছ্বাসে একদম উল্লসিত হয়ে গেলো। আমার বাসা ওর বাসার কাছে শুনে বললো "ও আল্লাহ! তাইলে তো আপনার নিঃশ্বাস ও আমি পাই।”

যোগ করে কনক চাঁপা আর লিখেছেন, “দুপুর বেলা গড়িয়ে গেলেও সে কিছুতেই না খেয়ে আসতে দিলো না। নিজ হাতে বেড়ে বেড়ে নিজের করা রান্না আমাদের খাওয়ালো। আমি বারবার শাবনূরের চোখের দিকে তাকাচ্ছিলাম! এবং চমকে যাচ্ছিলাম। তার চোখ এতো সুন্দর যে বেশীক্ষণ তাকানো যায় না! চলা-বলায় এতো ভোলাভালা যে আমি বারবার ভাবছিলাম একটা মানুষ এতো নিখুঁত অভিনয় কিভাবে করে! কিভাবে পারে! ”

এতদিন পর কোন সূত্রে মনে পড়লো দূরের সখাকে?

বার্তা টোয়েন্টিফোরের সঙ্গে আলাপচারিতায় কনক চাঁপা বললেন, “গুগল ফটো থেকে কিছু ছবি বাদ দিচ্ছিলাম তখনই সামনে হঠাৎ আমার আর শাবনূরের একসঙ্গে তোলা ছবিটি চোখে পড়লো তাই ভাবলাম পোস্ট করি। আগে তো কখনও করা হয়নি। ছবিটি আমার ছেলের বিয়েতে তোলা। ছবিটি পোস্ট করতে গিয়েই মনে হলো সারাজীবন একসঙ্গে গান গেয়েছি। আমি গেয়েছি আর তিনি ঠোঁটে ধরেছেন। তাই সেক্ষেত্রে সফল জুটি বলা যায় আমাদের।”

শাবনূরের অভিনয়ে যেসব গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার মাঝে কোন গানগুলোর প্রতি বেশি ভালো লাগা কনক চাঁপার?

জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জনপ্রিয় গানের কথা আমি কখনও বলি না। এটি তো শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবে। আর তাছাড়া শাবনূরের সব গান যে আমি স্ক্রিনে দেখেছি সেটিও কিন্তু না। কারণ শাবনূরের গানের জন্যই এতো ব্যস্ত থাকতাম যে স্ক্রিনে দেখা সম্ভব ছিলো না। তারপরও কিছু গান যেমন ‘ভালোবাসা ভালোবাসা থাকো তুমি দূরে’, ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে’ এই ধরনের কিছু স্যাড রোম্যান্টিক গান আমার চোখে পড়েছে যা দেখার পর মনে হয়েছে এগুলোতে তার চাইতে ভালো অভিনয় আর কেউ করতে পারতেন না। ”

নব্বই দশকের চলচ্চিত্রে শাবনূরের ক্যারিয়ার যখন তুঙ্গে তখন কনক চাঁপাও গাইছেন একের পর এক জনপ্রিয় সব গান। শাবনূরের লিপের জন্য তার উপর দারুণ নির্ভরশীল ছিলেন প্রযোজক ও সংগীত পরিচালকরা।

“আমার মনে হয় যে, শাবনূরের সম্পূর্ণ লাইফের এপিসোড আমিই কভার করেছি দুই চারটি গান ছাড়া। হয়তো এক বা দুই পারসেন্ট গান বাকিরা গেয়েছেন।”

শাবনূরের সাথে কম দেখা হয়েছে বটে কিন্তু শিল্পীর প্রতি শিল্পীর যে সম্মান তা কয়েকবারের সাক্ষাতেই দু’জন দু’জনকে দিয়েছিলেন প্রাণভরে।

“সারাজীবনে হয়তো চার থেকে পাঁচবার দেখা হয়েছে। তারপর ছেলের বিয়েতে দাওয়াত দিতে শাবনূরের বাড়িতে গিয়ে তার যে উচ্ছ্বাসটা ও শ্রদ্ধাবোধ এবং একজন শিল্পীর প্রতি সম্মান তাতে আমি মুগ্ধ। এটি ছিলো আমার জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। কারণ তিনি আমাকে এভাবে ভাবেন। তারপর অনেক যত্ন করে আমাকে খাওয়ালেন।”

শিল্পীদের প্রতি শিল্পীদের এ সম্মান সবসময়ই থাকা উচিত বলে মানেন কনক চাঁপা। সম্পর্ক থাকুক বা নাই থাকুক- প্রশংসা করতে কার্পন্য নেই তার।

“আমি কারও প্রশংসা করতে কার্পন্য করি না। শিল্পীদের কর্ম ও মেধা নিয়ে কথা বলতে পছন্দ বরি। কারণ এরা তো আমাদেরই সম্পদ। কবরী বলেন, সাবিনা আপা বা রুনা আপাই বলেন। সবাই আমাদের সম্পদ। আর আমি আমাদের এই শিল্প জগতে যতো সম্পদ আছে সবাইকে আমি ভালোবাসি শ্রদ্ধা করি। এটিই আমার পেশাদার জগতের একটি বলয়। আর এই বলয়ের মধ্যেই আমি একজন। সেটি নিয়ে আমি সবসময় গর্ব অনুভব করি।”

চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন আর বড় পর্দায় সক্রিয় নেই। যদিও তার সমসাময়িক অনেকেরই এখনো পর্দায় সরব উপস্থিতি। শাবনূরের আড়ালে সরে যাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন কনক চাঁপা।

“শিল্পীদের আসলে জানতে হয় কোথায় থামা উচিত। যেমন ধরুন শাবনূর যদি মায়ের চরিত্র বা বুড়ি দাদীর চরিত্রে অভিনয় করতো তাহলে একটা সময় আপনার কাছে তার ওই রূপটা মনে ভাসতে থাকতো। তাই আমার মনে হয় শাবনূর তার জায়গায় ঠিক আছেন এবং সঠিক সময়ে থেকে গিয়েছেন। একজন শিল্পী তার সীমানাটা জানলে খুব ভালো হয়। এদেরকে আমি খুব ভালো চোখে দেখি।”

নিজের ব্যাস্ততার কথাও জানালেন কনক চাঁপা। সংসারেই সময় কাটছে তার। মহামারির মাঝেও দেশের বাইরে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

তবে নতুন গান আটকে আছে সাবধানতার কারণেই- “ছবির জন্য গানের ডাক আসে কিন্তু স্টুডিওগুলো আমি রিস্ক মনে করি যার ফলে সেটি একটু এড়িয়ে চলছি।”

চার নাতি-নাতনির সঙ্গে বাগানের ফুল ও পাখিদের সঙ্গে সংসারের নিত্যকাজে সুখেই আছেন কনক চাঁপা।


   

বিগবি-প্রভাস-দীপিকার ‘প্রজেক্ট কল্কি’র নতুন তারিখ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কল্কি ২৮৯৮-এডি’ ছবির লুকে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রভাস ও অমিতাভ বচ্চন

‘কল্কি ২৮৯৮-এডি’ ছবির লুকে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রভাস ও অমিতাভ বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো পর্দায় জুটি বেঁধে আসছেন প্যান ইন্ডিয়ান তারকা প্রভাস এবং বলিউডের সুপারস্টার দীপিকা পাডুকোন। সঙ্গে আবার মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। তাদের আসন্ন সিনেমার নাম ‘কল্কি ২৮৯৮-এডি’।

হিন্দু পৌরাণিক দেবতা বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কির পৃথিবীতে অবতারনের গল্পের ভিত্তিতে কাল্পনিক গল্পের ভিত্তিতে এগিয়ে চলে এই সিনেমা। নাগ অশ্বিন পরিচালিত সিনেমাটি দেখার জন্য ভারতীয় দর্শক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এ বছরের ৯ মে। তবে সেই তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।

আজ (২৭ এপ্রিল) এর নতুন তারিখ জানানো হয়েছে সিনেমাটির অফিসিয়াল এক্স (টুইটার) একাউন্ট থেকে। একটা পোস্টার প্রকাশ করা হয় যেখানে প্রভাস, দীপিকা এবং অমিতাভ বচ্চনকে দেখা যায় পাশাপাশি। পোস্টারের উপরে সিনেমা মুক্তির তারিখ ২৭ জুন ২০২৪।

এই পোস্টারের মাধ্যমেই ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে

সপ্তাহখানেক আগেই সিনেমা সংশ্লিষ্টরা একটি টিজার প্রকাশ করে, যার কেন্দ্রবিন্দু ছিল অমিতাভ বচ্চনের অশ্বত্থামা চরিত্র। সেখানে দেখা যায়, একটি গুহায় অবশিষ্ট শিব মন্দিরে উপস্থিত রয়েছেন মুখ ঢাকা এক বৃদ্ধ। শিবলিঙ্গের উপরে পড়তে থাকা পানির ফোটা বন্ধ হয়ে গেলে বোঝা যায় গঙ্গা, যমুনা সরস্বতী সহ সকল নদী শুকিয়ে গেছে। এক কিশোর বৃদ্ধের পরিচয় জানতে চাইলে জানা যায়, তিনি আর কেউ নন সপ্ত চিরঞ্জীবীর একজন দ্রোণপুত্র অশ্বত্থামা।

অমিতাভের চরিত্রের মাধ্যমেই জানা যায় আদিকাল থেকে নতুন অবতারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে তিনি আসায় এখন অশ্বত্থামার আত্মপ্রকাশের সময় এসেছে। মহাভারতের গল্পের সঙ্গে সিনেমার গল্পের বেশ গভীর যোগাযোগ বজায় রাখা হবে। ভবিষ্যত পৃথিবীর দুরবস্থা কল্পনা করে সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে। সিনেমায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কমল হাসান।

তথ্যসূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

;

শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসঙ্গীত চর্চার প্রসারে কর্মশালা



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসঙ্গীত চর্চার প্রসারে গাজীপুরে দু’দিনব্যাপী কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গাজীপুর ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাটমন্দিরে শুরু হয় এ কর্মশালা। কর্মশালায় সঙ্গীত শিল্পী, প্রশিক্ষণার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। শনিবার শেষ হয় দু’দিনব্যাপী এই কর্মশালা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় বাংলাদেশ নজরুল সঙ্গীত সংস্থা ২০-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১০টি জেলায় এ কর্মশালা পরিচালনা করছে। গাজীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ কর্মশালার বিষয়ে জেলা কালচারাল অফিসার শারমীন জাহান জানান, নজরুলের সাহিত্যকর্ম ও তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াসে কবির কালজয়ী গান শুদ্ধ সুর ও বাণীতে প্রচার-প্রসারের লক্ষ্যে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। নজরুল সঙ্গীত শিল্পী আফরোজা খান মিতা ও নাসিমা শাহীন ফ্যান্সী দু’দিনের কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। 

শনিবার সন্ধ্যায় কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার গাজীপুর এর উপপরিচালক (উপসচিব) মোঃ ওয়াহিদ হোসেন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে তিনি সনদপত্র বিতরণ করেন।

;

‘কাজলরেখা’র সব আলো কেড়ে নিলেন মিথিলা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা /  ছবি : রোহিত শায়ন

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা / ছবি : রোহিত শায়ন

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি ছবির প্রথমার্ধ শেষে একটি চরিত্র এলো। আর সেই চরিত্রই হয়ে উঠল দর্শকের হাসি, আনন্দ, বেদনা আর বিরক্তির কারণ!

বলছি, গুণী নির্মাতা গীয়াসউদ্দিন সেলিমের নতুন সিনেমা ‘কাজলরেখা’র কথা। আর যে চরিত্রটির বয়ান করা হচ্ছে, সেটি কঙ্কন দাসি। অভিনয়শিল্পীর নাম রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে কতোটা সফল সেটি সময় বলে দেবে। তবে যারা ছবিটি দেখেছেন তারা অন্তত হতাশ হয়ে ফেরেননি।

গীয়াসউদ্দিন সেলিম ছবিটি দীর্ঘ বছর ধরে মনের আঙিনায় যত্ন করে পুষেছেন। অবশেষে তা এখন দর্শকের আঙিনায়। তিনি বাংলাদেশের মতো ছোট্ট সিনেমা বাজারের ছোট্ট বাজেটে কয়েকশ’ বছরের পুরনো গল্পকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তার গভীর গবেষনা ছিল বলেই হয়তো ছবিটি অবাস্তব কিংবা হাসির খোরাক হয়ে ওঠেনি।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

বাংলাদেশের রূপ অত্যন্ত মায়াময় করে উপস্থাপন করেছেন তিনি। লোকেশন, ক্যামেরার কাজ এবং মিউজিক তিনটিই ‘কাজলরেখা’র প্রাণ। ইমন চৌধুরী যে কাজটি নিয়ে অনেক রাতের ঘুম হারাম করেছেন তা তার কাজ পর্দাতেই ফুটে উঠেছে।

গুণী সব শিল্পীরা অভিনয় করেছেন, যার যার চরিত্রে যথার্থ। তবে আরও এনগেজিং হতে পারতো। সেখানেই সাফল্য মিথিলার। দুই দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে মিথিলা যেন সদ্য তুমুল আলোকচ্ছটা নিয়ে জ¦লে উঠছেন। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’-এ মিথিলার অভিনয়ের কথা দর্শক ভুলবে না অনেকদিন। কলকাতায় ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’ কিংবা সেখানের সিনেপর্দায় ‘ও অভাগী’তেও সেই ধারা অব্যাহত।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

তবে ‘কাজলরেখা’র কঙ্কন দাসি চরিত্রে মিথিলাকে দেখে দর্শক হয়ত বলেই বসবেন, তিনি ছাড়া এই চরিত্র এমনভাবে আর কে ফুটিয়ে তুলতেন?

ছবিটির শেষার্থে এন্ট্রি নিয়ে পুরো আলোটাই নিজের করে নিলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় তারকা। কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ‘কাজলরেখা’ নিয়ে লিখতে গিয়ে লিখেছেন, “মিথিলা এক দুর্দান্ত অভিনয়শিল্পীতে পরিণত হয়েছে। শি স্টিলস দ্য শো। এক্সপ্রেসন, বডি ল্যাংগুয়েজ, ডায়ালগ ডেলিভারি, সুপার্ভ!’

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

সুবর্ণার মতো অনেকেই এই চরিত্রটি নিয়ে আলাদা করে কথা বলছেন। যেরকম ওয়েব প্ল্যাটফর্ম চরকির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা অনিন্দ্য ব্যানার্জী সিনেমাটি দেখেছে বলছেন, ‘সবাই খুব ভালো করেছেন কিন্তু সব্বাইকে ছাপিয়ে গেছে মিথিলা।’

‘কংকণ দিয়ে কিনসি, তাই নাম কঙ্কণ দাসী’ মিথিলার প্রথম এই সংলাপেই দর্শকরা নড়েচড়ে বসেছিলেন। চোখে-মুখে কিঞ্চিত বিরক্তি, ভয়, আর একরাশ লোভ! সবকিছুরই একসঙ্গে দেখা মিলে কঙ্কণ দাসী চরিত্রের ভিতর।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মাণ করেছেন ‘কাজলরেখা’। যে ছবির অন্যতম চরিত্র কঙ্কন দাসী হিসেবে অভিনয় করেছেন মিথিলা। সিনেমায় এটি একমাত্র নেতিবাচক চরিত্র। যে চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় দেখিয়ে দর্শকের মন কেড়েছেন তিনি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ছড়িয়েছেন দ্যুতি।

নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন পাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং। মিথিলা সেই চ্যালেঞ্জটি যেন উতরে গেছেন দুর্দান্তভাবে। যে কাজলরেখা হাতের কঙ্কন দিয়ে কিনে রাখে দাসীকে, সে ই সুযোগ বুঝে কাজলরেখাকে হটিয়ে নিজেই হয়ে ওঠে রাজকুমারের রানী! তার শেষ পরিণতি কী হয় এবং সেটা মিথিলা কী করুণভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেন; তা দর্শক সিনেমাটি দেখলে আঁচ পাবেন! তাইতো সিনেমার নায়ক নায়িকার পাশাপাশি দর্শক আলাদা করে উল্লেখ করছেন কঙ্কন দাসী রূপে মিথিলার নামটিও!

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

বড় আয়োজনে নির্মিত হয়েছে ‘কাজলরেখা’। এর সেট নির্মাণে কাজ করেছেন হাজং, মগ ও চাকমা নৃগোষ্ঠীর অর্ধশতাধিক মানুষ। ছবিতে ২০টির মতো গান রয়েছে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ, সাদিয়া আয়মান, মন্দিরা চক্রবর্তী, গাউসুল আলম শাওন, খায়রুল বাসার, ইরেশ যাকের প্রমুখ।

কঙ্কন দাসি চরিত্রে অনবদ্য মিথিলা

 

;

রণবীর-সাই পল্লবীর রাম-সীতা লুক ফাঁস



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক

সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবী নির্মাতা নীতেশ তিওয়ারির ‘রামায়ণ’ ছবিটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত দর্শকমহল। ছবিতে রামের চরিত্রে থাকছেন রণবীর কাপুর এবং সীতার ভূমিকায় দক্ষিণী অভিনেত্রী সাই পল্লবী।

বড় বাজেটের এই ছবি নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক পরিচালক। শুটিং সেট থেকে কোন চরিত্রের লুক যাতে ফাঁস না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখছেন পরিচালক। অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং নির্মাতা ছাড়া শুটিং ফ্লোরে কোন কলাকুশলীর ফোন ব্যবহার করার অনুমতি নেই।

তাও শেষ রক্ষা হলো না। আজ সকাল থেকেই অন্তর্জালে ঘুরছে ‘রামায়ণ’ ছবির নানা ছবি। সেট থেকে ফাঁস হয়ে গেছে রামের চরিত্রে রণবীর এবং সীতার চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক। সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি।

সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক

তাতে দেখা যাচ্ছে, রণবীর কাপুরের লম্বা চুল, শরীরটা বেশ কিছুটা মেদে ভরা। সাই পল্লবীকে দেখা যাচ্ছে মেরুন শাড়ি, ডিজাইনার ব্লাউজ ও দোপাট্টায়। রণবীরও তার সঙ্গে ম্যাচিং কাতানের ধুতি ও দোপাট্টা পরেছেন। সেই সঙ্গে দুজনের সোনার কোমরবন্ধনী, গলার হার আর কানের দুলও কারো দৃষ্টি এড়ায়নি। 

ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে, প্রাসাদের অন্দরে এটি ছিল নায়ক-নায়িকার রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিং। পেছনে ছবির সেটের সোনালি চিত্রও দেখা যাচ্ছে খানিকটা।

ছবি সংশ্লিষ্টরা এতে বিরক্ত হলেও সাই-রণবীরের রসায়ন দেখে মুগ্ধ ভক্তরা।

সেট থেকে ফাঁস হওয়া রাম চরিত্রে রণবীর এবং সীতা চরিত্রে সাই পল্লবীর লুক
;