জেলের খাবার মুখে তুলছেন না আরিয়ান
গোয়াগামী ক্রুজের রেভ পার্টি থেকে গত ২ অক্টোবর আটক করা হয় আরিয়ান খানকে। পরদিন ৩ অক্টোবর দীর্ঘ জেরার পর এনসিবি গ্রেফতার করে শাহরুখ পুত্রকে।
গত ৭ অক্টোবর দু'দফার এনসিবি হেফাজত পূর্ণ হওয়ার পর আরিয়ান খানসহ মাদককাণ্ডে গ্রেফতার মোট ৮জনের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। পরদিন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে খারিজ হয় আরিয়ানের জামিনের আবেদন।
বর্তমানে মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের জেলে কারাবাস করছেন আরিয়ান খান। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, জেলের যাওয়ার পর থেকে সেখানকার কোনো খাবারই নাকি মুখে তোলেননি আরিয়ান।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, জেল কর্মকর্তারা বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও জেলের খাবার মুখে তুলছেন না আরিয়ান খান। শুধু জানিয়েছে তার খিদে নেই।
জেলের ক্যান্টিন থেকে কেনা পার্লেজি বিস্কুট খেয়েই রয়েছে আরিয়ান খান। তাছাড়া জেলে যাওয়ার আগে নিজের সঙ্গে ১২টি পানির বোতল নিয়ে পৌঁছেছিলেন শাহরুখ পুত্র। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে আর মাত্র তিন বোতল অবশিষ্ট রয়েছে আরিয়ানের কাছে।
এখানেই শেষ নয়, চারদিন ধরে জেলে গোসলও করেননি তিনি!
গত ৮ অক্টোবর আর্থার রোড জেলে নিয়ে যাওয়া হয় আরিয়ানকে। সেখানকার এক নাম্বার ব্যারাকে নিভৃতবাসে রয়েছেন আরিয়ান। কোভিড বিধি মেনে প্রথম পাঁচ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয় জেলে আসা নতুন অভিযুক্ত বা বন্দীদের। শাহরুখ পুত্র এখন কোয়ারেন্টাইনের রয়েছেন।
জেলের নিয়ম অনুযায়ী, অভিযুক্ত বা কয়েদিরা নিজের সঙ্গে ২ হাজার ৫০০ রুপি নিয়ে জেলে ঢুকতে পারবে। ওই রুপি জেলের অ্যাকাউন্টে জমা থাকে আর তার বদলে কয়েদিকে এক মাসের কুপন দেওয়া হয়। ওই কুপনের ব্যবহার করে কয়েদি জেলের ক্যান্টিন থেকে শুকনো খাবার কিনতে পারে (কেক, বিস্কুট)। বাইরের খাবার জেলে ভিতরে নিষিদ্ধ।
এদিকে, ছেলের জামিন না হওয়ায় বেশ চিন্তিত শাহরুখ খান। আজও জামিন মিলবে কিনা, এনসিবি’র বিশেষ আদালতে চলছে সেই মামলার শুনানি। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাগ্য নির্ধারণ হবে তার।
তবে তার আগে আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডের ওপর থেকে আস্থা হারালেন শাহরুখ খান। আরিয়ানের আইনজীবী হিসেবে অমিত দেশাইকে নিয়োগ করেছেন তিনি।