সুরের তাপস, গানের তাপস...



রুদ্র হক, বার্তা ২৪.কম
দেশবরেণ্য শিল্পীরা

দেশবরেণ্য শিল্পীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সুরেই যেন জন্ম তার। সুরেই পথচলা। ৬ বছর বয়স থেকে গান শেখা শুরু। ৮ বছরের মাথায় প্রথম গানের অ্যালবাম। তারপর আর থেমে নেই। ৩২ বছর ধরে গানের এই তপস্বী আপন সুরে পথ চলেই বাংলাগানকে বিশ্বমানে উপস্থাপন করেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন- তিনি সংগীত পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস। দেশি বিদেশি শিল্পীদের সমন্বয়ে তার অনবদ্য সৃষ্টি ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ আজ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। দেশের সংগীতাঙ্গনকে এক ছাতার নিচে এনেছেন দেশের প্রথম এইচ ডি মিউজিক চ্যানেল গানবাংলার মাধ্যমে। প্রতিনিয়ত দেশের তৈরি গানগুলো মিউজিক ভিডিও আকারে শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করছে চ্যানেলটি।

সংগীতশিল্পীদের আড্ডা, নতুন গান তৈরি ও সৃষ্টিশীলতা চর্চার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে গানবাংলা প্রাঙ্গন। প্রতিদিনই গানবাংলার স্টুডিওতে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন গান। শিল্পীরা নীরিক্ষা করছেন সুর ও কথার। সবার জন্য উন্মুক্ত এ সংগীতাঙ্গন সৃষ্টির পেছনের কারিগর কৌশিক হোসেন তাপস। তরুণ সংগীতশিল্পীদের কাছে তিনি যেমন এক জনপ্রিয় চরিত্র, তেমনি অগ্রজ শিল্পীদের ক্ষেত্রেও তিনি যেন হয়ে উঠছেন আস্থার প্রতীক। সংস্কৃতি অঙ্গনের নানা হতাশার ভেতরও সংগীত নিয়ে দূরগামী চিন্তা ও তার বাস্তবায়ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন তরুণ কৌশিক হোসেন তাপস। শিল্পীদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় তার ভূমিকা ইতিমধ্যেই শিল্পীসমাজে দারুণ স্বীকৃত।

সোমবার তার ৩৮তম জন্মদিনে দেশবরেণ্য শিল্পীরা একযোগে শুভেচ্ছা জানলেন তাকে। মূল্যায়ন করলেন তার কাজের, জানালেন প্রত্যাশার কথা। অনুজের প্রতি এমন প্রাণ খোলা প্রশংসায় তারাও যেন স্থাপন করলেন অনন্য দৃষ্টান্ত। গানবাংলা টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধারণকৃত  বক্তব্যগুলো বার্তা ২৪.কমের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার

কৌশিক হোসেন তাপস, একটি নাম নয়, তার নাম শুনে মনে হবে যেন একটি প্রতিষ্ঠান। আমাদের সংগীতকে প্রসারিত করে দেয়ার জন্য সে অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তাপসের জন্য প্রার্থনা করে বলতে চাই, আল্লাহ যেন তার আয়ু দীর্ঘায়ূ করে দেয়। শুভ জন্মদিন তাপস।

আলম খান

সবসময় নতুন কিছু সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। আমাদের পুরনো গানগুলোকে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করে, একটা বিশাল পরিবর্তন এনেছে। তাপসের কাছে আমার প্রত্যাশা-যারা নতুন শিল্পী, একেবারেই যাদেরকে কেউ চেনে না, এরকম কিছু শিল্পী সে নিয়ে আসুক। শুভ জন্মদিন তাপস। আগামীতে যতগুলো জন্মদিন আসবে তোমার জন্য অগ্রীম শুভেচ্ছা।

আমাদের দেশের সংগীত, সংগীত প্রযোজনাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছেন। তার সৃজনশীলতা দিয়ে সংগীত শিল্প তথা সংগীত অনুষ্ঠান প্রযোজনাকে আরও উন্নততর করে তুলবেন এ প্রত্যাশা রইলো। তাপসকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

শাহীন সামাদ

তুমি একাধারে শিল্পী, সুরকার, গীতিকার এবং সংগীত পরিচালক। এটা কিন্তু কম কথা নয়, অনেকের মধ্যেই এ গুণটা থাকে না। একজন জাত শিল্পী, এ জন্যই শিল্পীদের প্রতি তার এত মায়া। গানগুলোর মধ্যে যে নতুনত্ব এনেছো, এ জন্য প্রশংসার পাত্র তুমি। শুভ জন্মদিন তাপস।

রফিকুল আলম

বাংলাদেশে যারা অতীতে কাজ করেছেন সংগীতে বা বর্তমানে করছেন, তাদের মধ্যে তাপসকে আমি প্রথম জায়গায় রাখতে চাই। খুব ভালো একজন যন্ত্রশিল্পী, খুব ভালো একজন গিটারবাদক, খুব চমৎকার পিয়ানো বাজায়, যন্ত্রশিল্পী হয়ে সংগীতপরিচালক হলে কিন্তু বিরাট একটা সুবিধা হয়। এ সুবিধাটাকে তাপস নানাভাবে কাজে লাগিয়েছে। তাপসকে আমি খুব সাধুবাদ জানাই, অনেক আশীর্বাদ করি। জন্মদিনে অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

খুরশীদ আলম

সবথেকে বড় ব্যাপার একজন করিৎকর্মা লোক। কাজপাগল লোক। যেহেতু নিজে একজন ভালো সংগীত পরিচালক এবং গান বোঝেন। সেহেতু তিনি বোঝেন কাকে দিয়ে কোন গানটি গাওয়ালে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। নতুনদের নিয়ে কাজ করতে চায়। একটু ভিন্নধর্মী কাজ করার তার প্রয়াস। তাপসকে বলবো, তুমি এগিয়ে যাও। আমরা তোমার সঙ্গে আছি।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
তাপসকে দেখে আমার প্রথম যেটা মনে হয়েছিলো-বাংলায় যে একটা কথা আছে, গানপাগল। তার যথার্থ উদাহরণ-তাপস। কখনো কম্পোজার হিসেবে, কখনো অরগানাইজার হিসেবে, কখনো গায়ক হিসেবে, পেট্রোনাইজার হিসেবে শিল্পীদের প্রতি তার বেশ জোরালো ভূমিকা আছে। আমি বিশ্বাস করি, তার আরও উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাবে। এত সুন্দর করে এত অরগাইনডভাবে সে যে কাজ করে, শিল্পীদের সম্মানের জায়গাটা, শিল্পীদের সৃজনশীলতার জায়গাটা, কোন শিল্পী তাপসের সাথে কাজ করে বলতে পারবে না যে, আমার ভালো লাগে নি। এটিই হচ্ছে তাপসের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। তাপসের আগামী দিনগুলো সুন্দর ও শান্তিময় হোক।

ফেরদৌস আরা

একজন শিল্পী একদিনেই হন না। আর সেই কাজটি তাপস করছে একেবারে ছোটবেলা থেকে। আমি বলবো, একজন শিল্পী তাপসকে আমি অনেক বেশি শ্রদ্ধা করি। শিল্পী হিসেবেই শুধু নয়, শিল্পীকুলের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

ফাতেমা তুজ জোহরা

বয়সতো তার এমন কিছু হয়নি। এত কম বয়েসে এত সুন্দর করে চ্যানেল পরিচালনা করছে, বিশেষ করে গানগুলো পরিচালনা করছে। আমাদের ট্র্যাডিশনাল ফর্ম অফ মিউজিক, সেটা কিন্তু চেঞ্জ হয়ে, সত্যি সত্যি ‘উইন্ড অফ চেঞ্জ’; কথাটা খুবই সংগত। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে গানগুলো ভালো হচ্ছে। বাংলা গানের রূপটা একটু পরিবর্তিত হলে পরবর্তী প্রজন্ম খুব ভালোভাবে নেবে, খুব আলোড়িত হবে। তার ক্রিয়েটিভিটিকে আমি খুব সাধুবাদ জানাই।

আবিদা সুলতানা

ও পাগল হয়ে যায় গান শুনলে। যেখানে গানের কিছু একটা থাকে, তাকে আর সেখান থেকে ওঠানো যায় না। শুভ জন্মদিন তাপস। হ্যাপি বার্থ ডে!

কিরণ চন্দ্র রায়

সংগীতাঙ্গনে তার যে পদচারণা তা ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে। এই প্রজন্মের মানুষের বোধের জায়গুলো যদি তাপসের মতো শানিত হয়, তাহলে বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ধন্য হবে। জন্মদিনে দীর্ঘায়ূ, কর্মময় এবং শান্তিময় জীবন কামনা করছি।

অদিতি মোহসীন

একটি গানও যখন সে নির্মাণ করে, তখন তার একটা ভাবনা চিন্তা, একটা যত্ন একটা ভালোবাসার সঙ্গে সে কাজটা করে। সব গানেরই তো একটা পেছনের গল্প থাকে, সে গল্পটিকে সে খুব সুন্দর করে শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরবার চেষ্টা করে। সংগীতায়োজনের ভেতরেও বলতে হবে তাপসের একটি নিজস্বতা আছে। যত্ন করে কাজ করার প্রবণতাটা আজকাল খুব একটা দেখা যায়না, সেটা আমি তাপসের মধ্যে খুব দেখি।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালের এই দিনে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কৌশিক হোসেন তাপস। শৈশব থেকেই মূলধারার গানের সঙ্গে তার সখ্য। তার সঙ্গীতপ্রীতি দেখে বাবার কিনে দেওয়া কি-বোর্ডের মাধ্যমে শুরু হয় সঙ্গীতে সপ্রতিভ যাত্রা। পাশাপাশি গিটার, বাঁশি ও পারকাশনে অল্প বয়সেই পারদর্শিতার প্রমাণ দেন তাপস। মাত্র আট বছর বয়সে স্বকণ্ঠে গানের অ্যালবাম প্রকাশ করে জানান দেন নিজের প্রতিভা। 

বাংলার বাউল বয়াতি ও লোকশিল্পীদের সঙ্গে তার অকৃত্রিম আত্মিক যোগাযোগ একদিকে তাকে বাংলার সমৃদ্ধ লোকসঙ্গীত ধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যান্ডসঙ্গীতের দিকপালদের সঙ্গে ওতপ্রোত সম্পর্ক তাকে আন্তর্জাতিক সঙ্গীত ধারায় ঋদ্ধ করেছে।

তাপসের রচিত ও সুরারোপিত গানে যেমন কণ্ঠ দিয়েছেন দেশবরেণ্য শিল্পীদের অনেকেই, তেমনি অংশ নিয়েছেন তার নির্দেশিত মিউজিক ভিডিওতে। সুরস্রষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। বহু মিউজিক ভিডিওর প্রযোজনা ও পরিচালনা, বহু সঙ্গীত রচনা, সুরারোপ ও দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন তার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে সমৃদ্ধ করেছে।

অশান্ত বিশ্বকে শান্তির আহ্বান জানাতে তাপসের ‘মিউজিক ফর পিস’ স্লোগানটি বিশ্বময় ছড়িয়েছেন ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। যাতে একাত্মতা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১৪১ জন খ্যাতনামা মিউজিশিয়ান। সংগীত পরিচালক ও শান্তির দূত হিসেবে এমন অবদান রাখায় ইতিমধ্যে তিনি অর্জন করেছেন দাদাসাহেব ফালকে এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড (২০১৮) ও মাদার তেরেজা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড। সুরকার হিসেবে ২০১৩ সালে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

এছাড়া দেশের অন্যতম বৃহৎ ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ওয়ান মোর জিরো’র প্রধান নির্বাহী হিসেবে একদশক ধরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে প্রশংসিত হয়েছেন গুণী এই শিল্পী।

 

   

দর্শকপ্রিয়তায় সেরা নাটকের তালিকায় "ইতি তোমার আলো"



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দর্শকপ্রিয়তায় সেরা নাটকের তালিকায় "ইতি তোমার আলো"

দর্শকপ্রিয়তায় সেরা নাটকের তালিকায় "ইতি তোমার আলো"

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যতিক্রমধর্মী গল্প ও সুনিপূণ নির্মাণে দর্শকপ্রিয় নাটকগুলোর একটি হিসেবে বিশেষ আলোচনায় এসেছে নাটক "ইতি তোমার আলো"। সমাজের রুঢ় বাস্তবতা, প্রেম, হতাশা আর সম্পর্কের টানাপোড়েনে সুন্দর গল্পের নাটকটি দর্শক মনে আন্দোলিত করেছে। শহরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানো কিছু চিরচেনা চরিত্রকে যেন আমরা খুঁজে পাই এই নাটকে। গল্পের শক্ত গাঁথুনি ও প্রতিটি দৃশ্যের আবেগময় সংলাপে মন জুড়ে যায় দর্শকদের। নাটকটি পরিচালনা করেছেন বর্তমান সময়ের প্রতিভাবান তরুণ পরিচালক সেলিম রেজা। নাটকটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করেছেন সায়েম খান।

নাটকটি নিয়ে পরিচালক সেলিম রেজা বলেন, "ইতি তোমার আলো" আমার ভাল কাজগুলোর মধ্যে একটি। এই গল্পটি শোনার পরই কেন যেন মনে হয়েছে এটি সমাজ সংসারে সাধারণ মানুষের অসাধারণ গল্প। আমি সায়েম খানের গল্পটি চিত্রায়িত করেছি অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে। কারণ সমাজে একজন পতিতার মাঝেও সুখের সংসারের স্বপ্ন থাকে। মা হওয়ার ইচ্ছা জাগে। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে সেই ইচ্ছার জলাঞ্জলি দিয়ে সে ফিরে যায় তার অন্ধকার জীবনে। এই নাটকটিতে সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় ছিল অনবদ্য। বিশেষ করে "আলো" নাম ভূমিকায় অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বির অভিনয় দেখে আমি পরিচালক হিসাবে খুবই অভিভূত।"

নাটক প্রসঙ্গে চিত্রনাট্যকার সায়েম খান বলেন, 'এই নাটকের গল্পটি আসলে চেনা মানুষের অচেনা গল্প। যে গল্পে প্রেম থেকে জেগে উঠে বিরহ। কল্পনার জগতে হারাতে হারাতে বিমোহিত হওয়ার একটা সময়ে মানুষ হতাশার খাদে আটকে আবার ফিরে যায় তার পুরাতন রূপে। আলো চরিত্রটি ঠিক এমনই। নাটকটি নির্মাণে পরিচালক সেলিম রেজাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। কারণ গল্পটি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তিনি চরিত্রগুলোকে তার নিজের মাঝে ধারণ করেছেন।'

"ইতি তোমার আলো" নাটকটিতে অভিনয় করতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত হালের দর্শক নন্দিত ব্যস্ত অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বি। তিনি বলেন, 'দর্শক আমার অভিনীত এই নাটকটি খুব ভালভাবে গ্রহণ করেছেন জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এটি আমার জীবনে অভিনয় করা ভাল নাটকগুলির মধ্যে একটি হয়ে রইল। ভাল নাটকে ভূয়সী প্রশংসা পাওয়াই একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর জীবনে পরম পাওয়া। তাই "ইতি তোমার আলো" নাটকটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে রইল।"

জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত দত্ত বলেন, "ইতি তোমার আলো" নাটকে আমি উর্বির বিপরীতে অভিনয় করেছি। দুর্দান্ত একটি গল্প নিয়ে পরিচালক সেলিম রেজা নাটকটি সুচারুভাবে নির্মাণ করেছেন। নাটকটি নিয়ে মানুষের ইতিবাচক আলোচনা আমাকে ভাল গল্পের কাজের প্রতি আগ্রহ আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিল।

প্রিয়ন্তী উর্বি ও শাশ্বত দত্ত ছাড়াও এই নাটকে আরও অভিনয় করেছেন সেজুতি খন্দকার, রিমু রোজা খন্দকার, তানহা ইয়াসমিন ও ইনায়া আজরা।

ফিল্ম ফ্যাক্টরী এর ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি অবমুক্ত করা হয়েছে।

নাটকের লিংকঃ
https://www.youtube.com/watch?v=h0xI5plbLp8&t=2079s

;

শুটিংয়ে যাওয়ার আগের দিন জানতে পারি আমি ‘শ্যামাকাব্য’র শ্যামা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

নীলাঞ্জনা নীলা / ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৪ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের একজন হয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন নীলাঞ্জনা নীলা। সেই প্রতিযোগীতার বিচারক ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। পরবর্তীতে এই গুণী শিল্পীর প্রযোজিত ছবি ‘গহীন বালুচর’-এর মাধ্যমেই বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ হয় নীলার। আজ সুবর্ণা মুস্তাফা প্রযোজিত আরেক সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’র নায়িকা হয়ে বড়পর্দায় আসছেন মিষ্টি হাসির নীলা। এই ছবি নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


আপনি কম কাজ করেন, কিন্তু বেছে বেছে ভালো মানের কাজের সঙ্গেই নিজেকে যুক্ত করেন। সেদিক থেকে ‘শ্যামাকাব্য’র নাম ভূমিকায় কাজ করলেন। বিষয়টি নিয়ে আলাদা কোন চাপ অনুভব করছেন?


না না। শুটিং ডাবিং সব শেষে প্রমোশনের সময়ই আমি এই বিষয়টি খেয়াল করেছি। ‘শ্যামাকাব্য’র শ্যামা তো আমিই, তার মানে আমি নাম ভূমিকায় (হাহাহা)।

নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

আপনি পরিচালক বদরুল আনাম সৌদের সিনেমা ও নাটকে বেশকিছু কাজ করেছেন। কিন্তু এই ছবিতে নাকি তিনি আপনাকেই সবশেষে নিয়েছেন। কারণ কী?


আসলে নির্মাতা সৌদ ভাইয়া আমাকে শুরুর দিকে শ্যামা চরিত্রে কল্পনা করতে পারছিলেন না। তার চোখে শ্যামা একটি শ্যাম বর্ণের মেয়ে। মেকাপের সাহায্যে সেটি তিনি করতে চাচ্ছিলেন না। তাই একটি শ্যাম বর্ণের মেয়েকেই খুঁজছিলেন। তারপরও আমাকে অডিশনের সুযোগ দেন। আমি অডিশনে ফেল করি। এরপর তিনি অন্য একজনকে নিয়েছিলেন। পরে কাজে নামার পর দেখা যায়, তিনি চরিত্রটি করতে ফেল করছেন। এরপর আমাকে আবারও ডাকা হয়। যেহেতু গল্পটি ততোদিনে আমার জানা হয়ে গেছে, তাই চরিত্রটি আমি ফিল করতে পারছিলাম। সেটি দেখে একদম আমাকে ছবিটিতে নেয়া হয়। শুটিংয়ে যাওয়ার আগের দিন জানতে পারি আমি ‘শ্যামাকাব্য’র শ্যামা!

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

ছবিটি করার সময় কি মনে হয়েছে, আগে থেকে জানতে পারলে আপনি আরও বেশি প্রস্তুত হতে পারতেন?


হ্যাঁ। আরও সময় পেলে আমি ধীরে ধীরে চরিত্রটি হয়ে উঠতাম, এরপর সেটে যেতাম। যেহেতু সেটি হয়নি, তাই আমাকে শুটিংয়ের সময় এক্সট্রা প্রেসার নিতে হয়েছে। আমি অনেক বেশি ডেডিকেটেড ছিলাম, সর্বোচ্চ দিয়ে চরিত্রটি হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। নির্মাতা, সহশিল্পী থেকে শুরু করে সেটের সবাই আমাকে ভীষণ হেল্প করেছেন। তাছাড়া এই গল্পটি নিয়ে সৌদ ভাইয়া যখন কাজ শুরু করেন, আমি তখন অডিশন দেওয়ার সুবাদে গল্পটি জানতাম। শ্যামা আমি করতে পারব কিনা, সেটি না জানলেও চরিত্রটি নিয়ে নিজের মধ্যে এক ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। সবমিলিয়ে ফলাফল যেটা দাঁড়িয়েছে, সেটি খারাপ হয়নি। সৌদ ভাই এমন একজন নির্মাতা, তিনি যদি আমার পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট না হতেন তবে দরকার পড়লে শুটিং পিছিয়ে দিতেন। তারপরও ছবির মানের দিকে কম্প্রোমাইজ করতেন না।

নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

‘শ্যামাকাব্য’র গল্প পড়েই এর প্রেমে পড়েছিলেন। আপনার চরিত্র ‘শ্যামা’র কোন দিক আপনাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে?


‘শ্যামা’র মতো মেয়েকে সচারচর আমরা দেখি না। শ্যামা এমন একটি মেয়ে, যার জীবনে অনেক সমস্যা। কিন্তু তারমধ্যেও সে প্রচন্ড ধীরস্থির। একইসঙ্গে সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। যার সঙ্গে কথা বলতে সবার আরাম লাগে, একটা স্বস্তির জায়গা পাওয়া যায়। শ্যামা’র এই দিকটিই আমার খুব ভালো লেগেছে।


সব কাজেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ‘শ্যামাকাব্য’ করার এমন কোন চ্যালেঞ্চের কথা শোনাবেন?


শুটিংয়ের প্রথম দুই দিন ছিল আমার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। কারণ আমি আগেই জানিয়েছি, এই ছবিতে আমার থাকারই কথা ছিল না। হুট করেই এমন একটি মনস্তাত্ত্বিকভাবে জটিল চরিত্র নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো সত্যিই চ্যালেঞ্জের বিষয়। আর ছবিটিতে বেশিরভাগ শটই অনেক লম্বা লম্বা। তারওপর সংলাপনির্ভর ছবি এটি। এছাড়া আমার মতো ফর্সা মেয়েকে শ্যাম বর্ণ করার জন্যও এক বিরাট ঝঞ্জাট পোহাতে হয়েছে সবাইকে। একপর্যায়ে আমি নির্মাতাকে বলেই বসি, আমি আসলে পেরে উঠছি না। আমাকে কিছুটা সময় দিন। পরে অবশ্য আমাকে সময় দেওয়া হয়, একদিন মাত্র (হাহাহা)। তারপরও ওই একদিনে অনেকটাই নিজেকে গুছিয়ে নিতে পেরেছিলাম।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে সোহেল মণ্ডলের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। কেমন অভিজ্ঞতা?


সোহেলের সঙ্গে আগেও আমি কাজ করেছিলাম টেলিভিশনের জন্য। সে আসলে খুবই হেল্পফুল। এজন্য আমার তো তাকে ভীষণ পছন্দ। আমাদের বোঝাপড়ার জায়গাটা ভালো। আমারদের কেমেস্ট্রিতো আমার ভালো লেগেছে, দৃঢ় বিশ্বাস দর্শকেরও খুব ভালো লাগবে।

নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

দর্শকের উদ্দেশ্যে কী বলার আছে?


সবাই হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন। আমার বিশ্বাস কেউ নিরাশ হবেন না। কারণ এই গল্পে একটা ব্যাপার আছে। সিনেমাটি দেখতে দেখতে মনে হবে একটা বই পড়ছি।

;

স্টার সিনেপ্লেক্সের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ঈদ সিনেমার নির্মাতারা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক নির্মাতাই বলে থাকেন, এই দেশে একজন নির্মাতা একটি সিনেমা বানানো মানে তার জীবন থেকে অর্ধেক আয়ু ক্ষয় করে ফেলা! আর সেটি প্রদর্শনের জন্য সঠিক হল বা শো না পাওয়া মানে অকাল মৃত্যুবরণ করা। তেমনি এক ইস্যুতে মে দিবসের মতো তাৎপর্যপূর্ণ দিনে যেন নতুন করে গর্জে উঠলেন সিনেমার নির্মাতারা।

গত ঈদের অন্যতম সফল তিন সিনেমার (রাজকুমার, দেয়ালের দেশ ও কাজলরেখা) নির্মাতার পক্ষ থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সের বিরুদ্ধে উঠেছে কারণ ছাড়াই ‘হাউজফুল’ ছবি নামিয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ। তাদের আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়ায় একটাই অভিযোগ, ৩ মে থেকে দেশের সবচেয়ে বড় মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স ঈদের সব সিনেমা নামিয়ে দিচ্ছে তাদের হলগুলো থেকে। দেশি সিনেমাগুলোর জায়গা দখল করে নিচ্ছে বিদেশি ছবিগুলো। প্রমাণপত্র হিসেবে প্রত্যেকেই দিয়েছেন ১ মে’র অনলাইন টিকিটের প্রায় ‘হাউজফুল’ স্ক্রিনশট।

‘রাজকুমার’ সিনেমায় শাকিব খান

‘রাজকুমার’ নির্মাতা হিমেল আশরাফ বুধবার দুপুরে লেখেন, ‘‘ঠিক গত সপ্তাহে টিকিট বিক্রিতে ১ নাম্বারে ছিল যেই সিনেমা, সেই সিনেমার কোনও শো পরের সপ্তাহে নেই, একটা শো-ও না! ঈদের সব বাংলা সিনেমা উধাও হয়ে গেলো! প্রতিদিন ৫০টার ওপরে শো স্টার সিনেপ্লেক্সের। এর মধ্যে একটা শো পাওয়ার যোগ্যতা নেই ঈদের কোনও সিনেমার? অথচ আজকে সন্ধ্যার ‘রাজকুমার’ ও ‘কাজলরেখা’র শোর টিকিট অনলাইনে চেক করে দেখেন, ৬০% অলরেডি সোল্ড-আউট। এখনও ৪ ঘণ্টা বাকি! আমি আজকে সন্ধ্যার শো স্ক্রিনশট দিলাম, যেখানে রাজকুমারের ৮৫% টিকিট সোল্ড-আউট। আগামী শুক্রবার (৩ মে) থেকে বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ৬টা বিদেশি সিনেমা চলবে, যেখানে বাংলা সিনেমা চলবে একটা। ১৬টি শো বিদেশি সিনেমার, ৪টা শো বাংলা সিনেমার! বাংলাদেশের সিনেমা হল, বাংলাদেশের মানুষই দর্শক, বাংলা সিনেমার দর্শক থাকার পরেও বাংলা সিনেমা নাই! এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে অনেক পথ বাকি, অনেক...।’

‘কাজলরেখা’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করেছেন মিথিলা

একইভাবে নিজ নিজ ছবির টিকিট বিক্রির উদাহরণ টেনে কাছাকাছি প্রতিক্রিয়া বা হতাশা ব্যক্ত করেছেন ‘কাজলরেখা’র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম এবং ‘দেয়ালের দেশ’ নির্মাতা মিশুক মনি। তাদের পক্ষে নির্মাতা সুমন আনোয়ার, খিজির হায়াত খানসহ আরও বেশ কজন নির্মাতা ফেসবুকে আওয়াজ তুলেছেন।

ঈদের তিন সপ্তাহের মাথায় তিন সফল নির্মাতার এমন জোটবদ্ধ প্রতিক্রিয়ায় অনেকটাই থমকে গেছে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। ফুঁসে উঠেছে সিনেমা সমাজ। ফলে স্টার কর্তৃপক্ষ নতুন করে ভাবতেও পারে, ঈদের ছবিগুলো পর্দায় বহাল রাখার নিমিত্তে। বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাংলা সিনেমার দর্শকরা। বিপরীতে এটাও তো প্রশ্ন, কেন স্টার সিনেপ্লেক্স ‘হাউজফুল’ বাংলা সিনেমাকে ফেলে বিদেশের ছবি তুলবে! তাও আবার এর মধ্যে মুক্তি পাওয়া বিদেশি ছবিগুলোও পায়নি দর্শকপ্রিয়তা। তাহলে কী কারণে স্টার সিনেপ্লেক্স ‘প্রায় হাউজফুল’ বাংলাদেশি ছবিগুলো নামিয়ে দিচ্ছে?

‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমায় বুবলী ও শরিফুল রাজ

‘দেয়ালের দেশ’ নির্মাতা মিশুক মণি মনে করেন, ‘ঈদের সিনেমা হিসেবে সেল রিপোর্ট এতটাও খারাপ ছিল না যে সব শো একসঙ্গে বন্ধ করে দিতে হবে, ৩ মে থেকে। মিনিমাম শো রাখার যৌক্তিকতা ছিল। এই মুল্লুকে বাংলা সিনেমার কখনও জয় হয়নি আর আপনারা কথা বলতে না শিখলে কখনও জয় হবেও না। বাংলা সিনেমার কফিনের লাস্ট পেরেক মারতে বাকি।’

‘কাজলরেখা’ নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের আহ্বান, ‘বসুন্ধরায় আজকের ৪টা ৩০-এর শো হাউজফুল। তারপরও আগামী শুক্রবার থেকে বিদেশি ছবির জন্য ‘কাজলরেখা’র কোনও শো নাই। কেন? ঈদের অন্য সিনেমাগুলোও নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্তত ৪০% শো বরাদ্দ দেশি সিনেমার জন্য রাখার অনুরোধ করছি।’

স্টার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসব অভিযোগের এখনও কোন উত্তর মেলেনি। কারণ, নির্মাতারা প্রমাণসহ অভিযোগ তুলেছেন। দেখিয়েছেন, ১ মে তাদের সিনেমাগুলোর শো প্রায় ‘হাউজফুল’। তবু কেন চতুর্থ সপ্তাহের মাথায় নামাতে হবে ছবিগুলো? কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। 

‘ওমর’ সিনেমার পোস্টার

নতুন খবর হলো, বাদ পড়া ঈদ সিনেমাগুলো থেকে দুটি ছবির প্রদর্শন বহাল থাকছে সিনেপ্লেক্সের পর্দায়। এগুলো হলো হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘রাজকুমার’ ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘ওমর’। ৩ মে থেকে দুটি ছবিকে শো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে দৈনিক দুটি করে। এরমধ্যেও কিন্তু আছে। ‘রাজকুমার’ দেখা যাবে বসুন্ধরা সিটি ও সীমান্ত সম্ভারে। অন্যদিকে ‘ওমর’ চলবে শুধুই বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর।

;

শাকিব খানের জন্য বার বার হোচট খাচ্ছেন পূজা চেরী!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পূজা চেরী (ইনসেটে : শাকিব খান) / ছবি : ফেসবুক

পূজা চেরী (ইনসেটে : শাকিব খান) / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে কোন নায়িকা সিনেমা করলে তার প্রত্যাশার জায়গাটি থাকে আকাশচুম্বি। গ্ল্যামার গার্ল পূজা চেরী বেশ অবাক করে দিয়েই শাকিব খানের নায়িকা হন ‘গলুই’ সিনেমায়। কারণ শাকিব খান আর তার বয়সের ব্যবধান অনেক বেশি।

তারপরও হয়তো পূজা স্বপ্ন দেখেছিলেন, ‘গলুই’ তার ক্যারিয়ারের আগের সব ছবিকে ছাড়িয়ে যাবে। তার আগামীর পথ হবে মসৃন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। পূজার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হিট তার প্রথম সিনেমা ‘পোড়ামন ২’। ‘গলুই’ সিনেমাটি একেবারে ফ্লপ তা কিন্তু নয়। তবে এই ছবি তার ক্যারিয়ারে যতোটা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, এরচেয়ে ঢের নেতিবাচকতা এনে দিয়েছে।

পূজা চেরী / ছবি : ফেসবুক

এই ছবির সময় থেকেই শাকিব খানের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায়। মূলত এই গুঞ্জনের পর থেকেই পূজার ক্লিন ইমেজ ব্যাহত হয়। পরবর্তীতে তা তার ক্যারিয়ারে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। মোটকথা, শাকিব খানের সঙ্গে তার নাম জড়ানোর পরই তাকে হোচট খেতে হয়।

সেই শাকিব খানের জন্য আবারও হোচট খেলেন পূজা। শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘মায়া’ সিনেমায় নায়িকা হওয়ার কথা ছিল পূজার। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, এই ছবিতে পূজাকে আর রাখা হচ্ছে না। তার জায়গায় শাকিব খানের সুপারহিট সিনেমা ‘প্রিয়তমা’র নায়িকা ইধিকা পালকে বেছে নেয়া হয়েছে। 

‘গলুই’ সিনেমায় শাকিব খান ও পূজা চেরী

এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন পূজা। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে গল্পটা দেখে অভিনয় করি। “মায়া”র গল্পও ভালো। তবে ব্যাটে-বলে মেলেনি। সামনে হয়তো হবে।’

তবে নায়িকার উত্তরে যে আসল ঘটনাটি উঠে আসেনি, কথা শুনেই বুঝে নিয়েছেন নেটিজেনরা!

পূজা চেরী / ছবি : ফেসবুক
;