মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে ‘ইত্যাদি’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম
ইত্যাদির জনপ্রিয় চরিত্র নানী ও নাতি

ইত্যাদির জনপ্রিয় চরিত্র নানী ও নাতি

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, প্রাচীন নিদর্শন, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র, জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় স্থানসমূহে গিয়ে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ডাকবাংলোর সামনে।

গত ১১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বাংলোর সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক দর্শক নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে সকল দর্শককেই ইত্যাদির বিশেষ মাস্ক দেয়া হয়। ম্যানেজার বাংলোর সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নির্মিত আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদির এই ধারণ অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য দর্শকপ্রিয় ইত্যাদি এবার ৩৩ বছর শেষে আগামী বছর পা দেবে ৩৪ বছরে।

এবারের অনুষ্ঠানে গান রয়েছে দুটি। আমাদের মহান বিজয় আনতে বাংলাদেশের লাখো সন্তান দিয়ে গেছে প্রাণ, তাদের স্মরণে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ও ইবরার টিপুর সুরে একটি দেশাত্মবোধক গান দ্বৈতকণ্ঠে গেয়েছেন শিল্পী সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী। হবিগঞ্জের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের পরিচিতিমূলক আর একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছে স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন নাভেদ পারভেজ, কণ্ঠ দিয়েছেন রিয়াদ ও তানজিনা রুমা। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মনিরুল ইসলাম মুকুল।


শেকড়ের সন্ধানে ইত্যাদিতে সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের খুঁজে এনে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি গত প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইত্যাদি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে আসছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ইত্যাদিতে হবিগঞ্জের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলো নিয়ে রয়েছে তিনটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

গল্পের আরব্য উপন্যাসের আলাদীনের চেরাগ বাস্তবে খুঁজে পাওয়া না গেলেও এবারের অনুষ্ঠানে ফরিদুল আলম নামে একজন প্রযুক্তিপ্রেমী ব্যবসায়ীকে দেখানো হবে, মানুষকে সেবা দিয়ে যিনি হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি যুগের আলাদীনের চেরাগ।

ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের সাড়ে সাত বছরের বিস্ময় বালক সামিউন আলিম সাদের উপর রয়েছে একটি শিক্ষামূলক প্রতিবেদন।

যে শিশুটি মোবাইলের অপব্যবহার নয় বরং এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বিস্ময়কর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।

গত ২৯ অক্টোবর প্রচারিত ইত্যাদিতে সোনারগাঁয়ের আত্মপ্রত্যয়ী যুবক শাহেদ কায়েসকে তার ‘বেদেবহর ভাসমান পাঠশালা’র ক্ষতিগ্রস্থ নৌকাটি মেরামতের জন্য এক লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছিলো। এবারের পর্বে তার ভাসমান পাঠশালার উপর রয়েছে একটি ফলোআপ প্রতিবেদন।

গত ২৯ জানুয়ারি প্রচারিত ইত্যাদিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের পাখি প্রেমের উপরও রয়েছে আর একটি অনুসৃত প্রতিবেদন।

মানবতা এবং বিবেকের চেতনা জাগ্রত থাকলে-নিজে যেমন সফল হওয়া যায়, তেমনি সাফল্য আনা যায় অন্যের জীবনেও। এবারের অনুষ্ঠানে তেমনি দু’জন মানুষের উপর রয়েছে একটি উদ্বুদ্ধকরণ মানবিক প্রতিবেদন। ইত্যাদিতেই প্রথম শুরু হয় বিদেশি প্রতিবেদন শিরোনামে বিশে^র বিস্ময়কর বিষয় ও স্থানের উপর প্রতিবেদন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বে রয়েছে গ্রীসের প্রাচীন নিদর্শন ঐতিহ্যবাহী অ্যাক্রোপোলিসের উপর একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন।

দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান হবিগঞ্জকে নিয়ে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্ব সাজানো হয়েছে হবিগঞ্জের চারজন বিখ্যাত কবি ও সাধকের কিছু কালজয়ী গান নিয়ে। নির্বাচিত দর্শকদের সাথে এই পর্বে অংশগ্রহণ করেছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী এবং এই প্রজন্মের শিল্পী আশিক চৌধুরী। পর্বটি ছিল বেশ উপভোগ্য।


নিয়মিত পর্বসহ এবারও রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ। পরশ্রীকাতরের দ্ব্যর্থহীন স্বীকারোক্তি, বাজার করতে গিয়ে বেজার ক্রেতা, লোক দেখানো দান, মেলার ম্যালা ধরন, পর্দার প্রেম বনাম বাস্তব প্রেম, চাওয়ার সাথে পাওয়ার অমিল, প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে মুক্তি পেতে অবাক যুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ।

বরাবরের মত এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। এবারের ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন-সোলায়মান খোকা, আফজাল শরীফ, জিল্লুর রহমান, কামাল বায়েজিদ, শবনম পারভীন, আমিন আজাদ, নিপু, আবু হেনা রনি, আনন্দ খালেদ, জামিল হোসেন, বিলু বড়ুয়া, রতন খান, তারিক স্বপন, নজরুল ইসলাম, আনোয়ার শাহী, আনোয়ারুল আলম সজল, সাজ্জাদ সাজু, সাবরিনা নিসা, সুবর্ণা মজুমদার, শামীম, জাহিদ শিকদার, মতিউর রহমান, মনজুর আলম, হাশিম মাসুদ, তানিয়া, সিলভিয়া, বেলাল আহমেদ মুরাদসহ আরো অনেকে। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন।

গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির এই পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর, শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।

ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।

 

   

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মডেল রিফাত



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ইমাম মাহমুদ রিফাত /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

ইমাম মাহমুদ রিফাত / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল মডেল ইমাম মাহমুদ রিফাত। আইন বিষয়ে (এলএলবি অনার্স প্রোগ্রাম) পড়াশুনার পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে মডেল হিসেবে কাজ করছেন এই সুদর্শন তরুণ।

তার মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু হয় ‘মিস্টার এন্ড মিস ফটোজেনিক ২০২২’-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সেখানে তিনি দ্বিতীয় রানার আপ হন। রিফাত বলেন, ‘মডেলিং আমার শখ। আমি ফ্যাশন ভালবাসি, তাই মডেলিং করছি। এখন আমি ফোকাস করছি ফ্যাশন মডেল হিসেবে ফটোশুটে। বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে আমার প্রিয় পুরুষ মডেল হলেন নোবেল, আসিফ আজিম এবং রাজ মানিয়া। আর নারী মডেলদেও মধ্যে সাদিয়া ইসলাম মৌ আপু, সৈয়দ রুমা, ইমিও আজরা মাহমুদকে খুব ভালোলাগে। তারা যেমন নিজেদের কাজ দিয়ে দেশের সুনাম অর্জন করেছেন, আমিও তেমনটি করতে চাই।’

ইমাম মাহমুদ রিফাত /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

রিফাত নিজের পরিচয়েই পরিচিত হতে চান। কিন্তু পাঠকদের জানানোর জন্য বলা- এই তরুণ মডেল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা’র আত্মীয়।

রিয়াত এরইমধ্যে ফেব্রিলাইফ, ডিজাইনারের দরজা, খাকি ফ্যাশন হাউস, ক্লিম্ব, ব্যাং ফ্যাশন হাউস, ওয়ান মেন, বাংলা ফ্যাশন হাউস, প্রাণ চাটনি, মোজো, সুতা ফ্যাশন হাউস, আরবানবন ফ্যাশন হাউস, জেন জেড ক্লোসেট ফ্যাশন হাউস এবং কিছু দুর্দান্ত ফ্যাশন ডিজাইনারের সাথে কাজ করেছেন। তিনি এখন আমি খাকি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া কলকাতার মেরে প্রোডাকশন হাউসের সাথে কাজ করেছেন।

ইমাম মাহমুদ রিফাত /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

রিফাত বলেন, ‘আমি আমার পরবর্তী প্রকল্পের জন্য ভারতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে কিছু ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার এবং কিছু ফ্যাশন হাউসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি।’

;

গৃহিণীদেরও একটু অবসর দিন : ফাহমিদা নবী



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ফাহমিদ নবী /  ছবি : শেখ সাদী

ফাহমিদ নবী / ছবি : শেখ সাদী

  • Font increase
  • Font Decrease

১ মে দিবস ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’। প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ

ফাহমিদ নবী

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী

যখনই কোন আন্দোলন হয়, তার মানে হলো দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া একজন জনতা আন্দোলনে নামে তাদের অধিকার আদায়ে। মে দিবসেও পাশ্চাত্যের দিন মজুররা তাদের ওপর বছরের পর বছর ঘটে যাওয়া অণ্যায়ের প্রতিবাদ এবং অধিকার আদায়ের লড়ায়ে নেমেছিলেন। সেই থেকে এই দিনটি বিশ্ব শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। কিন্তু আজও কি আমরা শ্রমিকদের সঠিক মর্যাদা বা অধিকার দিতে পারছি?

আমি আমার দেশিয় কনটেক্সট থেকে একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। সেটি বলার পর হয়তো অনেকে আমাকে আমার বিরুদ্ধেও দু-চারটি কথা বলতে পারেন। কিন্তু তাই বলে বিষয়টা উত্থাপন না করলে তো হবে না!

ফাহমিদ নবী /  ছবি : শেখ সাদী

আমরা অবশ্যই নানা পেশার মানুষের অধিকারের কথা বলি। তাদের ন্যায্য পাওনা, কর্মঘন্টা, সুযোগ সুবিধার কথা বলি। কিন্তু যারা হাউজওয়াইফ বা গৃহিণী আছেন, তাদেরকে কি আজও আমরা আলাদা কোন পেশা হিসেবে মূল্যায়ণ করি?

‘গৃহিণী’ও যে একটি পেশা সেটাই যেখানে ভাবতে পারি না, সেখানে তার অধিকারের প্রশ্ন তো অনেক দূরের কথা! আপনি সব হাউজওয়াইফকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের অধিকাংশই একই কথাই বলবে। তাদেরও একটু অবসর চাই, তাদেরও একটু মি টাইম চাই।

তারা বছরের পর বছর ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শুধু কাজই করে। তাদের কোন কর্মঘণ্টা নেই, কোন বেতন ভাতা নেই, বোনাস নেই, বেশিরভাগ সময় অ্যাপ্রিসিয়েশনও নেই।
এমনকি যে পরিবারে স্বামী হয়ত বেকার, সেখানেও ওই স্ত্রীকেই সব কাজ করতে হয়। স্বামী তার নিজের কাজগুলোও করে না। এখনই সময় দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়ে গৃহিণীদেরও একটু অবসরের সুযোগ করে দেওয়া।

;

আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী

আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী

  • Font increase
  • Font Decrease

মা দিবসে (১২ মে) আসছে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার ‘এইনা বৃদ্ধাশ্রম’ শিরোনামের নতুন একটি গানের মিউজিক ভিডিও। তার সঙ্গে এতে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন চলতি সময়ের কণ্ঠশিল্পী খায়রুল ওয়াসী। আল আমিন জমাদ্দার সবুজের কথায় এটির সুর করেছেন খায়রুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনায় রিপন খান। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন গীতিকার নিজেই। এটি এজে, এস ওয়ার্ল্ডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হবে।

গানটি প্রসঙ্গে সুরকার ও শিল্পী খায়রুল ওয়াসী বলেন, ‘রুনা লায়লা ম্যাম আমার সুরে আমার সাথেই গান গেয়েছেন এটা সত্যি আমার ভাগ্য। ছোটবেলা থেকেই আমার প্রিয় স্বপ্নের কণ্ঠ ও শিল্পী ব্যক্তিত্ব রুনা লায়লা ম্যাম এর গান শুনে শুনে বড় হয়েছি। গান চর্চায় এত দ্রুত ম্যামের সাথে দ্বৈত গান গাইতে পারবো ভাবতে পারিনি। রুনা ম্যাম গানের কথা ও সুর নিয়ে প্রশংসা করেছেন। আমার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে বলেছেন ভালভাল কাজ যেনো অব্যাহত রাখি।

গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমার এই গানটা করা। যেদিন থেকে আমি গান লেখালেখি করি সেদিন থেকে স্বপ্ন দেখতাম কিংবদন্তী শিল্পীদের দিয়ে এমন কিছু গান করাবো। যে গানের মাধ্যমে শ্রোতারা বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক ম্যাসেজও পাবে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন অবক্ষয় ঢুকে গেছে। বাবা মা কত স্বপ্ন, কত কষ্ট, কত আশা নিয়ে ছেলে মেয়েকে বড় করেন। অথচ কিছু সন্তান নামের কুলাঙ্গার তাদের বাবা মাকে শেষ জীবনে বোঝা মনে করে তাদের কাছে রাখতে চান না। তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। অথচ তারা ভুলে যায় কদিন পর তারাও বাবা মা হবেন। তাদের সন্তানরা তাদের সাথে একই আচরণ করতে পারে। বাস্তবতার সেই নিরিখে আমার এ গানটি লিখেছি।

;

জীবনের সেরা অভিনয় উপহার দিলেন রবি কিষাণ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

  • Font increase
  • Font Decrease

‘টুয়েলভথ ফেল’ এর পর আবারও সর্বত্র আলোচনায় বলিউডের একটি কম বাজেটের ছবি! যদিও নতুন এই ছবিটি বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে গেল মার্চের ১ তারিখে। প্রায় দু’মাস পর নতুন করে আলোচনায় আসার অন্যতম কারণ, সম্প্রতি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে!

বলছি কিরণ রাও পরিচালিত এই সময়ের আলোচিত হিন্দি ছবি ‘লাপাতা লেডিস’ এর কথা। মাত্র ৪/৫ কোটি বাজেটের ছবিটি বক্স অফিসে আয় করেছে ২০ কোটির বেশী। ওটিটি রাইটস, টিভি রাইটস মিলিয়ে সেটা বাড়বে আরো কয়েক গুণ।

কিন্তু এতো কম বাজেটের ছবিটি কেন সবার মুখে মুখে? এরজন্য সিনেবিশ্লেষকরা বলছেন, কোনো জটিলতা ছাড়া সহজভাবে একটি দারুণ গল্প দর্শককে দেখাতে পেরেছেন কিরন রাও। মূলত গল্পের শক্তিকেই বেশীর ভাগ ছবিটি নিয়ে সর্বত্র আলোচনার জন্য ক্রেডিট দিচ্ছেন!

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

গল্পের পাশাপাশি যদিও এই ছবির প্রধান এবং অন্যতম শক্তি বলা যায় অভিনয়! ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকেই কম পরিচিত, তবে এমন নিঁখুত অভিনয় করেছেন; মনে হয়েছে এই চরিত্রের মানুষগুলো পাশের বাড়ির! সবাইকে দর্শক সিনেপর্দায় দেখেও আপন করে নিয়েছেন। গল্প ও চরিত্রের সাথে সবাই মিশে গেছেন।

তবে এটা সত্য যে, এই ছবিতে একজন বেশ পরিচিত মুখও অভিনয় করেছেন। নাম রবি কিষাণ। ভারতীয় ছবির বেশ আলোচিত মুখই বলা যায়। ছবিতে লোকাল থানার বড় বাবুর চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। লোকাল থানার দায়িত্বে সাধারণত যে স্বভাবের দারোগা থাকে; ঠিক মানানসই চরিত্রটি করেছেন রবি কিষাণ। তার অভিনয় দেখে দর্শক বলছেন, এমন দুর্দান্ত অভিনয় রবি কিষাণ এর আগে করেননি। দুই পা এগিয়ে আবার কেউ বলছেন, ‘লাপাতা লেডিস’-এ জীবনের সেরা অভিনয় করেছেন রবি কিষাণ।

অথচ এই চরিত্রটি নাকি শুরু করতে চেয়েছিলেন পরিচালক কিরণ রাওয়ের প্রাক্তন স্বামী এবং বলিউডর সুপারস্টার আমির খান। যিনি আবার কম বাজেটের এই ছবিটির প্রযোজকও। এই চরিত্রটি নিয়ে কিরণ গণমাধ্যমকে বলছিলেন, আমির এই চরিত্রটি ভীষণ পছন্দ করেছিলেন। পর্দায় এই চরিত্রটি তিনি রূপদানও করতে চেয়েছিলেন। এমনকি স্ক্রিন টেস্টও হয়েছিলো তার। কিন্তু শেষমেষ তাকে বাদ দেয়া হয়। নেয়া হয় রবি কিষাণকে।

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে রবি কিশান

কিরণ বলেন, আমার এটা আসলে কম বাজেটের একটা ছবি। এটা রিয়েলেস্টিক রাখতে আমি বদ্ধপরিকর ছিলাম। সিনেমাটি দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরতে বড় তারকা মুখ ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, এটা ভেবে শেষ পর্যন্ত আমিরকে ওই চরিত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমিরের অডিশন খুব ভালো হয়েছিলো। কিন্তু রবি কিষাণেরটা আরো বেশী কিছু ছিলো। তার অডিশন দেখে আমির এবং আমি মনে করেছিলাম এই চরিত্রটিকে রবি কিষাণ আমিরের চেয়ে বাস্তবসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য রূপে পর্দায় তুলে ধরতে বেশী সক্ষম হবেন।

;