গান-কবিতায় ডুবে আছে যে পুতুল...

  • রুদ্র হক, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাজিয়া সুলতানা পুতুল

সাজিয়া সুলতানা পুতুল

ক্লোজ আপ ওয়ানখ্যাত সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল লেখালেখিতেও সরব। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে নিজের সৃষ্টি গান-কবিতা নিয়েই হাজির হচ্ছেন ভক্ত ও পাঠকদের সামনে। নিজের সৃষ্টির ধারাকে তিনি পরিচিত করাতে চান পুতুলকাব্য, পুতুলকাব্যিক উপন্যাস কিংবা পুতুলগান নামে।

বার্তা ২৪.কমের সঙ্গে আলাপে পুতুল প্রথমেই জানালেন পুতুলকাব্য’র কথা-

বিজ্ঞাপন

গত ছয় বছর ধরেই প্রতি বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে তার কবিতা কিংবা উপন্যাস। আসছে অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার নতুন কবিতার বই। ‘মেঘ ছুঁতে ছুঁতে পাহাড় বেয়ে উঠতে থাকি আমরা খসে পড়বো বলে’-নামের কবিতার বইটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে কবিতা প্রকাশনী থেকে। শনিবার প্রকাশকের সঙ্গে চুক্তিতে সাক্ষর করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি শেয়ার করেন পুতুল।

পুতুল জানান, এটি তার সপ্তম গ্রন্থ। এর মধ্যে চারটি উপন্যাস ও তিনটি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে তার। 

বিজ্ঞাপন

পুতুল বলেন, “গত ছয় বছর ধরে বইমেলায় বই প্রকাশিত হচ্ছে আমার। ছোটবেলা থেকেই পারিবারিকভাবেই সাহিত্য এবং সংগীত দুটো মাধ্যমেই চর্চা করতে করতে এগিয়েছি। সংগীতটা হয়তো একটু বেশি সামনে এসেছে। কিন্তু তাই বলে সাহিত্যকে খুব হাল্কাভাবে নেয়া মানুষ নই। লিখি সারা বছর জুড়ে। এবারও প্রকাশিত হচ্ছে আমার বই। এবার আসছে কাব্যগ্রন্থ, যা দিয়ে লেখার জগতে আমার প্রথম আত্মপ্রকাশ । ২০১৬, ২০১৭ এর পরে গত চার বছর আর কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় নি আমার। চার বছর পর পুতুলকাব্য আসছে।”

কবিতা নিয়ে পুতুলের মত, “কবিতা আসতে হয়। প্রক্রিয়াটা সংবেদনশীল এবং ধীর। কবিতা লিখতে বসেই লেখা যায় না।”


প্রকাশিতব্য গ্রন্থে থাকছে স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ ও মৃত্যুদর্শন নিয়ে লেখা চল্লিশটি কবিতা। যাতে থাকছে একটি দীর্ঘ কবিতাও।

সংগীতশিল্পী পরিচয়ে পরিচিত হলেও পুতুল তার সাহিত্যচর্চাকেও সমগুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করেন। তাই তাকে শৌখিন লেখক ভাবাটা ভুল হবে বলেই জানান তিনি।

“কণ্ঠসাধনার মতো লেখার সাধনা করা প্রতিদিনের কাজ আমার। সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ভিন্ন একটা পরিচয় আছে বলে আমার লেখকসত্তাটাকে কেউ শৌখিন সত্তা ভেবে নেয়াটা চূড়ান্ত ভুল। কারণ আমি ঘোরলাগা লেখক নই। ঘোরের মধ্যে দুই এক সপ্তাহ ব্যয় করে উপন্যাস লিখে ফেলি না বা এক বসায় কবিতার বইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করি না। দীর্ঘদিনের সৃষ্টিশীল ভাবনার সমষ্টি আমার একেকটা পুতুলকাব্য কিংবা পুতুলকাব্যিক উপন্যাস। সারা বছরজুড়ে নিঃশব্দে লিখতে থাকি আমি। বছরব্যাপী জানান দিই না কী লিখছি, কী নিয়ে লিখছি। ”

এমনই এক সৃষ্টিশীলনতা নিজের ভেতর জারি রেখেছেন এই শিল্পী।

এবার পুতুলগান প্রসঙ্গ, তিনি জানালেন, সংগীত নিয়েও নিজস্ব মৌলিকতা নিয়েই এগুচ্ছেন তিনি। করোনা মহামারির প্রায় দুই বছর বিরতির পর আসছে তার পুতুলগান। নিজেরই কথা-সুর ও কম্পোজিশনে পুতুল যে গান তৈরি করে থাকেন তাই তার পুতুলগান। স্বামী সৈয়দ রেজা আলী সংগীত পরিচালক ও গিটারিস্ট। নিজেদের স্টুডিও গানবাড়ি-তে পুতুলগান নিয়ে দু’জনের সময় কাটছে।


বললেন, “ডিসেম্বরে ভক্তদের কথা দিয়েছিলাম নতুন বছরে প্রতি মাসে একটা করে ‘পুতুলগান’ উপহার দিবো। সে প্রতিশ্রুতি রাখতেই কিছুটা ব্যস্ততা যাচ্ছে। আমার বর আমার গানের প্রযোজক। নিজেদের স্টুডিওতে কাজ করছি। এছাড়া, করোনা আবারও বাড়ছে তাই কনসার্ট কমিয়ে দিয়েছি। যতোটা সম্ভব স্বাস্থবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছি।”

গানগুলো পুতুলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে বলে জানান তিনি। কবিতা তো আসছেই আসন্ন বইমেলায়...