পাহাড়ি বীরাঙ্গনার কাহিনী নিয়ে ‘বীর নারী পাহাড়িয়া’
খাগড়াছড়ির বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা চেন্দাউ মার্মা। মুক্তিযুদ্ধের পর যিনি সমাজচ্যুত হয়ে পাহাড়ে একাকী জীবন কাটিয়েছেন।
এই বীর নারী চেন্দাউ মার্মার জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাটক ‘বীর নারী পাহাড়িয়া’। নাটকটি রচনা করেছেন নাসরীন মুস্তাফা। প্রযোজনা করেছেন মাহফুজা আক্তার। এটি প্রচারিত হবে ২৯ জানুয়ারি শনিবার রাত ৯টায়।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুশৈহ্লা মার্মা, ডয়ইউ মার্মা, পবন দাস, ছিমাপ্রু মার্মা, সাফোচিং মার্মা, উথ্যাইসিং মার্মা, সাথোয়াইচিং, ক্যাসামাং, রফিকুল ইসলাম, মুনমুন খান, চৈতি মল্লিক, মহিউদ্দিন হোসেন, অঞ্জন বাড়ে, মেহেদি হাসান শুভ ও ফরিদা ইয়াসমিন।
নাটকের গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় পডুয়া তিন তরুণ পাহাড় জয়ের নেশায় ছুটে যায় পাহাড়ি গ্রামে। সেখানে গিয়ে পাহাড়ি তরুণ বাবু মার্মাকে গাইড হিসেবে নিতে চায়। কিন্তু বাবু মার্মা রাজি হয় না। জঙ্গলে নাকি মায়াদেবী বাস করে এমন ভয় দেখিয়ে তাদেরকে জঙ্গলে যেতে নিষেধ করে কিন্তু তরুণরা তবুও রওনা হয়। বাবুর সঙ্গে তরুণদের কথপোকথন শুনে ফেলে গ্রামের বয়স্ক লোক খুই মং প্রু। একপর্যায়ে জঙ্গলে গিয়ে তারা মানুষের চলাচলের আভাস পায়। ওদেরকে ভয় দেখাতে খুই মং প্রু সামনে এলে জানা যায় আসল সত্য!
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা পাহাড়ি গ্রামে এলে ঐ গ্রামের চেয়ারম্যান তাদের হাতে সুন্দরী নারী চেন্দাউ মার্মাকে তুলে দেয়। গ্রামের আর কোনো নারীকে ধরে আনবে না, নিজের সম্ভ্রমের বিনিময়ে চেন্দাউ পাকিস্থানি মেজরের কাছ থেকে এই প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেয়। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর চেন্দাউ গ্রামে ফিরে এলে সমাজ ও তার আপনজনেরা তাকে গ্রহণ করে না। চেয়ারম্যানও চেন্দাউকে অপমান করে।
বাধ্য হয়ে তিনি আশ্রয় নেন পাহাড়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধে এই নারীর অবদানের কথা জেনে তরুণদের মাথা নত হয়ে আসে। তারা চেন্দাউয়ের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে জাতীয় সংগীত গায়।