বাবা নেই তবুও তার উপস্থিতি অনুভব করছি: বাপ্পা লাহিড়ী

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাপ্পি লাহিড়ী ও বাপ্পা লাহিড়ী

বাপ্পি লাহিড়ী ও বাপ্পা লাহিড়ী

একমাস ধরে অসুস্থ ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। গত বছর করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। ভুগছিলেন অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং ফুসফুসের সংক্রমণে। টানা ২৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীর কিছুটা সুস্থ হওয়ায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। সেখানেই ১৬ ফেব্রুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৬৯ বছর বয়সী এই তারকা।

কিন্তু বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী লস অ্যাঞ্জেলসে থাকায় ১৬ ফেব্রুয়ারি তার শেষকৃত্য করা সম্ভব হয়নি। পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বাপ্পা মুম্বাই এসে পৌঁছালে সেদিনই সম্পন্ন হয় প্রয়াত এই তারকার শেষকৃত্য।

বিজ্ঞাপন

এদিন, বাবা বাপ্পি লাহিড়ীর চিতায় আগুন দিতে দেখা যায় বাপ্পা লাহিড়ীকে। এরইমধ্যে সেই মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে বাপ্পাকে।

বাবার শেষকৃত্য শেষে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বাপ্পা লাহিড়ী। যেখানে বাবার নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন বাপ্পা।

বিজ্ঞাপন

বাপ্পা লাহিড়ী জানান, “আমি জানি বাবা আর আমাদের মাঝে নেই তবু তার উপস্থিতি আমি সবসময় অনুভব করি। মনে হয় যেনো বাবা আমার আশেপাশেই আছেন। শুধু আমি তাকে দেখতে পাচ্ছি না।”

বাবাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে ও মেয়ে

বাবার মৃত্যুর সংবাদটি শোনার পর ভেঙে পড়েছিলেন লস অ্যাঞ্জেলসে থাকা বাপ্পা লাহিড়ী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাবার মৃত্যুর খবরটি শোনার পর মনে হয়েছিলো আমার পৃথিবী যেনো ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বুঝতে পারছিনা না কি করবো কি করবো না। জলদি ভারতে আসার জন্য কোন ফ্লাইটও ছিলো না। বুঝতে পারছিলাম না কি করে তিনটি টিকিট ম্যানেজ করবো। কিন্তু কি থেকে যেনো কি হলো টিকিটগুলো ম্যানেজ হয়ে গেলো এবং ২৩ ঘণ্টা জার্নি শেষে আমি আমার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেলাম।”

গত কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। এ প্রসঙ্গে বাপ্পা বলেন, “লতা মঙ্গেশকরের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি বাপ্পি লাহিড়ী। লতাজি’র মৃত্যুর সংবাদটি বাবার থেকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন আমার মা ও বোন। কিন্তু তিনি জেনেই গিয়েছিলেন। তার মা স্বরস্বতির মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন। লতাজির মৃত্যুর কিছুদিন আগেও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাবা। এরপর যখন বাড়ি ফেরেন ঘরের তৈরি খাবার খেয়ে এবং গোসল করে রিলাক্স হন। কিন্তু হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।”

বাবার চিতায় আগুন দিচ্ছেন বাপ্পা লাহিড়ী

লস অ্যাঞ্জেলসে যাওয়ার কথা ছিলো বাপ্পি লাহিড়ীর। এ প্রসঙ্গে বাপ্পা বলেন, “আগামী মে মাসে লস অ্যাঞ্জেলসে আসার কথা ছিলো বাবার। এমনকি তিনি আমাকে পাসপোর্ট ও ভিসার ব্যাপারেও জিজ্ঞাসা করেছিলেন। বাবা লস অ্যাঞ্জেলসে থাকতে পছন্দ করতেন। কারণ আমি যেখানে থাকি সেখানে মুক্ত বাতাস পাওয়া যায়।”

দাদার অনেক বড় ভক্ত বাপ্পার ৪ বছর বয়সী ছেলে কৃষ। এ প্রসঙ্গে বাপ্পা বলেন, “কৃষকে তার বিষয়ে আমাদের কিছু জানাতে হয়নি কখনও। ও তার দাদার গাওয়া গান শুনলেই নাচতে শুরু করে দেয়। আমার মনে হয় আমাদের রক্তেই বইছে সঙ্গীত। আমার দাদা একজন জনপ্রিয় সুরকার ছিলেন। আমার বাবাও তাই। আমি এবং আমার বোনও সুরকার। আমি নিশ্চিত আমাদের সন্তানরাও এই পথ অনুসরণ করবে।”