২৫ মার্চের ভয়াল কালরাতকে স্মরণ করে প্রতি বছরের মতো এ বছরও দেশের অন্যতম নাট্য সংগঠন প্রাচ্যনাট আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘লালযাত্রা’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর (টিএসসি) থেকে আগামী ২৫ মার্চ বিকাল ৫টায় একটি ইম্প্রোভাইজেশনের মধ্য দিয়ে প্রাচ্যনাট সবান্ধব হেঁটে যাবে স্মৃতি চিরন্তন চত্বর (ফুলার রোড সড়কদ্বীপ) পর্যন্ত। এ সময় গাওয়া হবে ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’সহ দেশের গান। স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সকল শহীদদের প্রতি সম্মানার্থে প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের লাল যাত্রা।
বিজ্ঞাপন
‘লালযাত্রা’র মূল ভাবনা রাহুল আনন্দ’র। গত দশ বছর ধরে নিয়মিতভাবে ‘লালযাত্রা’র মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করছে প্রাচ্যনাট। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে প্রাচ্যনাট সূত্রে জানা গেছে।
রাহুল আনন্দ বলেন, ‘২৫ মার্চ ভয়াল কালরাতের শহীদের তাজা রক্তে ভিজে রাঙা হলো পলাশ, শিমুল- হরেক রঙের ফুল। দীর্ঘ কালরাত্রির প্রাক্কালে আমাদের পূর্বপুরুষের লাল রক্তের পথ ধরে- স্বাধীন আমরা হেঁটে চলি ঐক্যের বন্ধনে, লালযাত্রায়...।’
বিজ্ঞাপন
প্রাচ্যনাটের মূখ্য সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমন এই আয়োজনটিতে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘প্রতিবারের মতোই এবারের আয়োজনেও সবাই আমাদের সঙ্গী হবেন, হাতে হাত রেখে প্রাচ্যনাট সবান্ধব হেঁটে যাবে … এটাই প্রত্যাশা করি।’
আবারও আলোচনায় এলেন হৃদয় খান। তবে গানের জন্য নয়, আবারও বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে। ৩য় বারের মতো বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন তিনি। হৃদয় খানের গান কেবল দেশে নয় দেশের বাইরেও জনপ্রিয় ছিল। দেশি এবং ভারতীয় বাংলা সিনেমায় তার গান ব্যবহারেরও নজির আছে। অথচ, একসময় জনপ্রিয় সব গানের কারণে আলোচনায় থাকা এই শিল্পী, এখন বিয়ে আর বিচ্ছেদের সূত্রেই বেশি শিরোনামে আসেন। গায়ক হিসেবে দেশসেরা হলেও, সংসারে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না হৃদয় খান।
এর আগে সুজানা জাফর এবং পূর্ণিমা আখতারের পর বর্তমান স্ত্রী হুমায়রার সঙ্গেও সংসার ভাঙতে বসেছে। পারিবারিকভাবে বিয়ে করা স্ত্রী হুমায়রা হৃদয় খানকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। জানা যায়, সংসারজীবনে হৃদয় খানের আচরণে অতিষ্ঠ স্ত্রী হুমায়রা। সেজন্য তিনি নিজেই নাকি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন গায়ককে। পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সূত্র এই তথ্য গণমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। যদিও নিশ্চিত হতে গণমাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হলে, তাদের পরিবার এই ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি।
স্ত্রী হুমায়রার সঙ্গে হৃদয় / ছবি: সংগৃহীত
গণমাধ্যম থেকে হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সরাসরি এড়িয়ে যান। স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ হওয়ায় তিনি এই ব্যাপারে বক্তব্য জানাতে অস্বীকার করেন। এমনকি সত্যতা সম্পর্কেও ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে ব্যাপারটি এড়িয়ে যাওয়ায় সত্য হওয়ার ধারণা করা যাচ্ছে।
হৃদয় খানের বাবা পরিচালক রিপন খানও এই ব্যাপারে কিছু না জানার কথা গণমাধ্যমকে জানান। তিনি আরও বলেন, ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে আলোচনা না হওয়ায়, তার কাছে কোনো তথ্য নেই। যদিও বিচ্ছেদ এখন আর হৃদয় খানের কাছে নতুন কিছু নয়। তবুও বিনোদন অঙ্গনের হওয়ায় তারকা-ভক্তদের আগ্রহের পারদ সবসময় তুঙ্গেই থাকে। তাই গায়কের আপত্তি থাকলেও নেটিজেনদের মধ্যে হৃদয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা থামছে না।
প্রথম স্ত্রী সুজানার সঙ্গে হৃদয় / ছবি: সংগৃহীত
হৃদয়ের ক্যারিয়ারের শুরুতে তৎকালীন জনপ্রিয় মডেল সুজানার সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। সুজানা বয়সে বড় হলেও নিজের পছন্দেই ২০১৫ সালের ১ আগস্ট বিয়ে করেন এই সঙ্গীতশিল্পী। যদিও বছর না গড়াতেই সেই বিয়ে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ভেঙে যায়। মাঝে পূর্ণিমা আখতারের সাথে বিয়ে হলেও সে সংসার টেকেনি। অবশেষে পরিবারের পছন্দে ছোটবেলার বান্ধবী হুমায়রাকে বিয়ে করেন ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘদিন সংসার করেও হুমায়রার সঙ্গে চিরস্থায়ী হলো না হৃদয় খানের সম্পর্ক।
গত শুক্রবার ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা রাফিয়াত রশিদ মিথিলার নাম ভূমিকায় অভিনীত সিনেমা ‘জলে জ্বলে তারা’। তারকাবহুল ছবিটি হুট করে মুক্তি পাওয়ায় অনেক দর্শক হয়তো খবরটি জানেই না। এজন্য থিয়েটার দর্শক সমাগম তেমন নেই।
কিন্তু যারা বলে থাকেন, আমাদের দেশে ভালো ছবি হচ্ছে না, তাদের অন্তত দায় রয়েছে ভালো ছবি মুক্তি পেলে তা হলে এসে দেখার। ‘জলে জ্বলে তারা’ প্রকৃতঅর্থেই একটি ‘ভালো ছবি’। পরিচালক অরুণ চৌধুরী অত্যন্ত নির্মোহভাবে ছবিটি করেছেন। ‘দর্শক খাওয়ানো’র কোন ফন্দি ফিকির তিনি করেননি। শুধু গল্পটার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রেখেই তিনি এগিয়ে গেছেন পরিণতির দিকে। প্রচলিত গল্পের অনেক দিকেই ধাক্কা দেয় ছবিটি। চরিত্রগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যাকগ্রাউন্ড একইসঙ্গে জটিল বলেই তা বাস্তবঘেষা মনে হয়েছে।
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার অভিনেতা নূর ইমরান, নির্মাতা অরুণ চৌধুরী, অভিনেতা নাঈম ও অভিনেত্রী মিথিলা
দিনশেষে সিনেমাটি হয়ে উঠেছে নির্মাতা, অভিনয়শিল্পীসহ পুরো টিমের। কারণ ছবিটির প্রতিটি সেক্টরে যত্নের ছাপ পরীলক্ষিত হয়। ছোট করে বলতে গেলে- ছবির লোকেশন, কাস্টিং, কস্টিউম, মিউজিক, আবহসঙ্গীত, ক্যামেরার কাজ, সেট, প্রপস সবকিছুই গল্পটিকে দারুণভাবে সমর্থন দিয়েছে। এজন্যই লেখার শুরুতে বলা, ‘জলে জ্বলে তারা’ প্রকৃতঅর্থেই ভালো ছবি হয়ে উঠেছে।
ছবির নাম ভূমিকা ‘তারা’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিথিলা। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন আজাদ আবুল কালাম, এফ এস নাঈম, ফজলুর রহমান বাবু, মোস্তাফিজ নূর ইমরান ও মুনিরা মিঠু। প্রত্যেকে যার যার চরিত্রে কী দারুণ অভিনয় করেছেন সেটা দেখতে হলেও দর্শকের হলে যাওয়া উচিত।
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার পোস্টারে মিথিলা
মিথিলার কাছে প্রশ্ন, লম্বা অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর অনেকগুলো বছর কেন আপনাকে শুধু মিষ্টি প্রেমিকার চরিত্রেই দেখা গেলো? আপনি কি নিজেই জানতেন না যে জটিল থেকে জটিলতম চরিত্র কতো অনায়াসে হৃদয়গ্রাহী করে তুলতে পারেন?
দর্শক এই কথাগুলোর সঙ্গে একমত হবেন, যদি তারা মিথিলার সাম্প্রতিক কাজগুলো দেখে থাকেন। তিনি যেমন ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’-এ জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার লড়াকু সৈনিক, তেমনি তিনি ‘কাজল রেখা’র ধূর্ত লোভী নারী কঙ্গন দাসী। আবার তিনিই ‘জলে জ¦লে তারা’র বারবনিতা তথা সার্কাসকন্যা, যার জীবনের লাভের কোঠা শূন্য। শুধু হারতে হারতে সে ক্লান্ত, যার বহিঃপ্রকাশ তার কলকলিয়ে ফেটে পড়া হাসির মধ্যে। শুধু একটু ভালোবাসা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে চায় সে। তাইতো বিবাহিত এক বাচ্চার বাবার প্রেমে পড়তেও দ্বিধা বোধ করে না।
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার পোস্টারে নাঈম
নাঈম নিজেকে ভেঙেছেন ছবিটির জন্য। তার সুঠম দেহশৈষ্টবের দারুণ ব্যবহার করেছেন নির্মাতা। তার নির্লিপ্ত মুখাবয়ব যেন কিছু না বলে অনেক কথাই বলে যায়। নূর ইমরান যেন ক্ষ্যাপাটে ঘোড়া। ভালোবাসার জন্য কি না করতে পারে সে! নির্মম পরিহাসের ভয় তার নেই।
আজাদ আবুল কালাম যে ছবিতে থাকেন সে ছবিতে অন্য কারও অভিনয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করাই মুশকিল। এই ছবিতেও নিজের জাত ধরে রেখেছেন তিনি। তাকে দেখে দর্শকের গা রি রি করে ওঠাই প্রমাণ করে তিনি নিজের চরিত্রে কতোটা সার্থক। মিথিলার এখানেই স্বার্থকতা, আজাদ আবুল কালামের পাশেও তিনি সমান উজ্জ্বল। এই মিথিলাকে আগে কেউ দেখেনি।
‘জলে জ্বলে তারা’ সিনেমার পোস্টার
ফজলুর রহমান বাবু ও মুনিরা মিঠু অসহায় সন্তানের প্রতীক্ষায় দিনগোনা বাবা মায়ের চরিত্রে ছিলেন অনবদ্য। তাদেও পরিণতি দর্শকের মনে কষ্টের সঞ্চার করে নিঃসন্দেহে।
অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স। ‘হাঙ্গার গেইমস’-এ অভিনয় করে মাত্র ২২ বছর বয়সেই তারকা বনে যান এ হলিউড অভিনেত্রী। এরপর বহু হিট সিনেমা উপহার দিয়ে শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হিসেবে হলিউডে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। বছর খানেক ছিলেন বিরতিতে।
তবে আবারও ফিরছেন বড় পর্দায়। সিনেমার নাম ‘ডাই, মাই লাভ’। এটি পরিচালনা করেছেন স্কটিশ নির্মাতা লেন রামসি।
প্রতিবদন অনুসারে, ‘ডাই, মাই লাভ’ সিনেমার কাহিনি গ্রামীণ আমেরিকায় সেট করা হয়েছে, যেখানে এক নারীর (লরেন্স) প্রেম ও পাগলামিতে নিমজ্জিত জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।
জেনিফার লরেন্স ও রবার্ট প্যাটিনসন
রবার্ট প্যাটিনসন অভিনয় করেছেন তার স্বামীর চরিত্রে, আর স্ট্যানফিল্ড তার প্রেমিকের ভূমিকায়। এ ছাড়া এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন সিসি স্পেসেক এবং নিক নল্টেসহ আরও অনেকে।
এখনো সিনেমা মুক্তির তারিখ নিশ্চিত করেননি নির্মাতা। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেনিফার লরেন্সকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০২৩ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ‘নো হার্ড ফিলিংস’ সিনেমায়। এটি পরিচালনা করেছেন জিন স্টুপনিটস্কি। জেনিফারের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন অ্যান্ড্রু বার্থ ফেল্ডম্যান, লরা বেনান্টি, ম্যাথিউ ব্রডরিকসহ আরও অনেকে।