নতুন কমিটির ওপর নাখোশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনের প্রধান কমিশনার

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন খোরশেদ আলম খসরু

এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন খোরশেদ আলম খসরু

শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করাই চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির মূল লক্ষ্য। কিন্তু এই অলাভজনক সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে বহু জলঘোলা আর কাদা-ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটছে।

যদিও এবারের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ, ফল ঘোষণা-সবই ছিল শান্তিপূর্ণ। ঝামেলা শুরু হয় গত মঙ্গলবার, শপথ অনুষ্ঠানের দিন। এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত এই শপথে নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ পড়িয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, যে কাজ তার করার কথা ছিল না। সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী শপথ পড়ানোর কথা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা খোরশেদ আলম খসরু।

বিজ্ঞাপন

উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও শপথ পড়াতে ডাকা হয়নি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে। কাজী হায়াৎ যখন শপথ পড়াচ্ছিলেন, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়ে দ্রুতই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন খসরু। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথাও বলেছেন তিনি।

খসরু বলেন, ‘শপথের দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু আমাকে ডাকেনি। এটা সংগঠনগুলোর একটি নিয়ম, যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, তিনি শপথবাক্য পাঠ করান। সেখানে আমি থাকা অবস্থায় যখন দেখলাম, তারা আমাকে কিছু বলছে না, ডাকছে না। যখন কাজী হায়াৎ সাহেবের নাম ঘোষণা দিল, তখন আমি চলে এলাম, কিছুটা অপমানিত বোধ করে চলে এলাম। আমার মেয়াদকাল ছিল। কাজী হায়াতের কি মেয়াদ আছে?’

বিজ্ঞাপন
খোরশেদ আলম খসরু

তিনি আরও বলেন, ‘এটা সংকীর্ণ মনমানসিকতার পরিচয় ছাড়া কিছুই নয়। হয়তো ইশারা-ইঙ্গিতে হয়েছে। কারণ, আগের দিনই সভাপতি বলেছে, শপথ আমিই পড়াব। তারপর সেখান থেকে সরে আসছে। ওনার কথামতো আমি উপস্থিত ছিলাম। এটা তো নিয়ম। নির্বাচন কমিশন অপারগতা প্রকাশ করলে আগের মেয়াদের সভাপতি দিয়ে পড়ানোর কথা। তখন ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব পড়াতেন। এটাই নীতি। কিন্তু তারা যা খুশি তা-ই করল।’

এ সময় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হওয়া প্রসঙ্গে এই প্রযোজকনেতা বলেন, ‘নির্বাচিত সব সদস্যরা কীভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাল? এটা সম্পূর্ণই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এটা হওয়া উচিত ছিল না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অবশ্যই ধৈর্যশীল হওয়া উচিত ছিল।’