বর্ষসেরা টিএম রেকর্ডস, দশকসেরা তাপস

পুরস্কার গ্রহণ করছেন বিজয়ী টিএম পরিবার


পুরস্কার গ্রহণ করছেন বিজয়ী টিএম পরিবার
ছবি: সংগৃহীত
শুধু প্রিয়াঙ্কা চোপড়া নন, বলিউডে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকেও। সম্প্রতি বলিউডের ‘নোংরা রাজনীতি’ নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা। এই বিতর্কের মাঝে ভাইরাল হয়েছে ঐশ্বরিয়ার পুরানো একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে খানদের নোংরা রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী।
ভিডিয়োতে সিমিকে শাহরুখের নাম উল্লেখ করে বলতে দেখা যায়, ‘তোমাদের একসঙ্গে পাঁচটি ছবিতে কাজ করার কথা ছিল, তাই না অ্যাশ? বীর জারা তোমার জন্যই তো লেখা হয়েছিল।’ যাতে ঐশ্বর্য জবাব দেন, ‘আমার সঙ্গে কয়েকটি সিনেমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই সেগুলো হচ্ছে না। কেন, সেই উত্তর আমার কাছে কখনোই ছিল না’।
এরপর সিমি প্রশ্ন করেন ছবি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কি তাঁর ছিল? তাতে অভিনেত্রীর জবাব, ‘না এটা আমার সিদ্ধান্ত ছিল না’। সঙ্গে জানান, এরকম ঘটনা শুধু যে তাঁকে বিষ্মিত বা বিভ্রান্ত করেছিল তা নয়, বড় আঘাতও পেয়েছিলেন। এরপরেই তাঁকে সিমির প্রশ্ন, ‘এই অভিজ্ঞতা কি বলিউডে কাজ করার পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে?’
জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা আপনাকে আরও সচেতন করে দেয়। বুঝিয়ে দেয় এখানে লোকেরা অন্য মানুষ বা প্রোজেক্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটা স্পষ্ট হয়ে উঠল যে আমার সঙ্গেও এরকম কিছু হতে পারে… আপনার সকল বক্স অফিস সাফল্য বা ইন্ডাস্ট্রিতে 'নিরাপদ অবস্থান' থাকা সত্ত্বেও।’
ঐশ্বর্য এবং শাহরুখের চলতে চলতে, কাল হো না হো এবং বীর জারা-সহ কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল। সিমি এই শো-তেই ঐশ্বর্যর কাছে জানতে চান তিনি শাহরুখকে এই ব্যাপারে কখনও প্রশ্ন করেছেন কি না। যাতে জবাব আসে, ‘এটা আমার স্বভাবের মধ্যে নেই। যদি একজন ব্যক্তি তা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন, তবে করবেন। যদি তারা কখনও না করেন সেটাও তাঁদেরই ইচ্ছে। সুতরাং, কী এবং কেন তা নিয়ে প্রশ্ন করা আমার স্বভাবের মধ্যে নেই।’
সালমন খানের সঙ্গে ব্রেকআপের কারণেই অ্যাশের হাত থেকে এইসব প্রোজেক্ট বেরিয়ে যায় বলে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিরই বড় একটা অংশের ধারণা।
২০০৩ সালের এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, ‘কাউকে নিয়ে কোনও প্রোজেক্ট শুরু করা এবং কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া কখনই খুব সোজা সিদ্ধান্ত নয়। এটা খুব দুখজনক কারণ অ্যাশ আমার ভালো বন্ধু। প্রযোজক হিসেবে ওটাই তখন ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’
ছবি: সংগৃহীত
“এখন রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। এর মধ্য দিয়েই হিরো আলমের উত্থান হয়েছে” সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছিলেন নাট্যকার, অভিনেতা ও সংগঠক মামুনুর রশীদ। যা নিয়ে নেট দুনিয়া রীতিমত তোলপাড়।
এমন মন্তব্যের জন্য নাট্যাঙ্গনের বেশীরভাগ মানুষের কাছে বাহবা পেলেও কিছু মানুষ কড়া সমালোচনা করছেন। গুণী এই নাট্যকার ও অভিনেতাকে কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকেই। হিরো আলম নিজেও ফেসবুকে লাইভে এসে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন!
নাট্যজন মামুনুর রশিদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে নাটকের শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ। একটি লিখিত বিবৃতিতে তারা জানায়, “একটি বিশেষ সম্প্রদায় মামুনুর রশীদের বলা একটি শব্দ বা লাইনকে ব্যবহার করে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন বিভাজন তৈরি করছেন তা ভীষণ নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য। যে বা যারা এই কাজটি করছে তারাই শিল্প ও সংস্কৃতির প্রধান শত্রু।”
অভিনয় শিল্পী সংঘের বিবৃতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন ছোট পর্দার তারকা অভিনেতা, অভিনেত্রীরা। সেই বিবৃতিটি চ্যানেল আই অনলাইনের পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো:
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অগ্রজ নাট্যজন, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধার ভালোবাসার অভিনয়শিল্পী, অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের সম্মানিত উপদেষ্টা জনাব মামুনুর রশীদ একটি সাক্ষাৎকারে সাম্প্রতিক সময়ের আমাদের দেশের শিল্পসাহিত্য, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি সহ নানান বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। বিশেষ করে আমাদের শিল্প সাহিত্য নাটক ও চলচ্চিত্রে সাম্প্রতিক রুচির যে অবনমন, যে ধরনের বিষয়বস্তু প্রাধান্য পাচ্ছে ও আলোচিত হচ্ছে তা নিয়ে তিনি শংকিত হয়ে বলেছেন, আমাদের রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে… উদাহরণ হিসেবে প্রতিকী অর্থে একটি নাম বলেছেন। তিনি কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বলেননি বলেই আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে একজন মামুনুর রশীদ এর অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিকাশে। একটি বিশেষ সম্প্রদায় মামুনুর রশীদ এর বলা একটি শব্দ, লাইনকে ব্যবহার করে যেভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন, বিভাজন তৈরি করছেন তা ভীষণ নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য। যে বা যারা এই কাজটি করছেন তারাই শিল্প ও সংস্কৃতির প্রধান শত্রু। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মামুনুর রশীদ এর সাথে একমত। রুচি ও মূল্যবোধের ভীষণ অবক্ষয় চলছে। অদ্ভুত আঁধার এক পৃথিবীতে আজ!
পুত্র সন্তানের মা হলেন নায়িকা মাহি
প্রথমবার মা হলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তিনি পুত্র সন্তানের মা হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাহির স্বামী রাকিব সরকার। তিনি বলেন, মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন।
রাকিব নিজের অভিব্যক্তি জানান এভাবে আলহামদুলিল্লাহ, সবই ভালোয় ভালোয় হয়েছে। সবার কাছে দোয়া চাই আমাদের ছেলের জন্য।
২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মাহিয়া মাহি।
এর আগে ২০১৬ সালে ভালোবেসে সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। সেই বিয়ের পর পাঁচ বছরের সংসার ২০২১ সালে মে মাসে ভেঙে যায়।
বাজার মনিটরিংয়ে নায়ক ফেরদৌস
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতায় কাজ করছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তদারকি দলের সঙ্গে ছিলেন তিনি।
বেইলি রোডে প্রচারণায় গিয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘পবিত্র রমজানে মানুষকে সচেতন করতে গতকাল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মসূচিতে গতকাল আমি চকবাজারে গিয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা এসেছি রাজধানীর বেইলি রোডে। কারণ চক বাজার ও বেইলি রোডের ইফতারের একটি ঐতিহ্য রয়েছে ‘
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে মানুষ ইফতার কিনতে আসেন। আমার এখানে আসা মূলত মানুষকে সচেতন করতে। কারণ আমরা যে খাবারটা খাচ্ছি তা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, কতটুকু আমাদের জন্য নিরাপদ। আর যারা খাবারটা বিক্রি করছেন তাদেরকেও সচেতন করা। এই বোধটুকু মানুষের মধ্যে উন্মেষ ঘটনাতে আমার এখানে আসা।’
ফেরদৌস আরও বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি গত বছর থেকে কাজ করছি। গতকাল আমরা যে চকবাজার এলাকায় গেছি, সেটার ইমপ্যাক্ট কিন্তু অনেক পড়েছে। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে আমাকে ফোন করে অনেকে বলেছেন, আপনাদের এই উদ্যোগটা ভালো। এই উদ্যোগ যদি পুরো রমজান মাস জুড়ে নেওয়া যায় তাহলে খুব ভালো হয়। কারণ রমজান মাসে ভুলভাল ইফতার করে প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়। আর এ বিষয়ে সচেতন করার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’
পরিদর্শনকালে ফেরদৌস সকল প্রতিষ্ঠানকে সচেতনতার বিষয়টি বার বার মনে করিয়ে দেন।
বার্তা২৪.কমকে তিনি জানান, রাজধানীতে মোহাম্মদপুর, খিলগাওসহ অন্যান্য এলাকায়ও অভিযানে তিনি যাবেন। আগামী সপ্তাহে ৮টি বিভাগীয় শহরে এই অভিযানের অংশ হিসেবে তারা সিলেট বিভাগে অভিযান পরিচালনা করবেন এবং পর্যায়ক্রমে তাদের ইচ্ছা রয়েছে ৬৮টি জেলা শহরেও অভিযান পরিচালনা করা।