দীর্ঘদিনের বিরতি পেরিয়ে আবারও একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক ও চিত্রনায়িকা পরীমণি। দেশের শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের ‘ডোডোর গল্প—Story of Dodo’—নামের সিনেমায় দেখা যাবে তাদের। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে।
সম্প্রতি পরীমণি ও সাইমন সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ‘ডোডোর গল্প’র কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ, পরিচালনা করছেন কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক। সিনেমাটি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছে। এর প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া (খালেদ)।
সিনেমাটিতে ফটোগ্রাফার রায়হান চরিত্রে অভিনয় করবেন সাইমন সাদিক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক দিন পর পরী আর আমি একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। এই সিনেমাটির গল্প প্রেক্ষাপট একেবারে আলাদা। অন্যরকম একটা বার্তাসৃমদ্ধ গল্প। একেবারে ভিন্ন ধারার কাজ হতে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস পরিচালক এটি যত্ন সহকারে নির্মাণ করবেন। আমরা চেষ্টা করব শতভাগ দিতে। আশা করছি, দর্শক সুন্দর একটি গল্প পেতে যাচ্ছেন।
সিনেমাটির নির্বাহী প্রযোজক খাদেমুল জাহান বলেন, আমরা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির কাজ শুরু করব। একটানা কাজ করে চলতি বছরের শেষের দিকে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।
৯৪ তম অস্কারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কমেডিয়ান ক্রিস রককে বিখ্যাত হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথের চড়ের ঘটনা। উইলের স্ত্রী জাডা পিংকেট স্মিথকে নিয়ে করা ঠাট্টায় রাগান্বিত হয়ে ভরা অনুষ্ঠানের স্টেজে গিয়ে এই কান্ড করেন তিনি। এই ঘটনায় উইল স্মিথকে অস্কার কতৃপক্ষ নিষিদ্ধ পর্যন্ত করেছিল। এমনকি উইলের পক্ষে বিপক্ষে সে সময় অনেক কথাবার্তা হয়।
সেই বিখ্যাত ঘটনাকে উল্লেখ করে আবারও মুখ খুলেছেন ৫২ বছর বয়সী জাডা। তিনি জানান, উইলের সাথে সম্পর্ক নিয়ে তিনি অনিশ্চিত ছিলেন। অস্কারের স্টেজে সেই চড় মারার ঘটনায় তিনি সম্পর্কের ব্যাপারে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি এখন নিশ্চিত, বাকি জীবন উইলের সাথেই কাটাবেন।
অস্কারে ক্রিস রককে উইল স্মিথের চড়কাণ্ড
সম্প্রতি ‘দ্য রেড টেবিল টক শো’-এর উপস্থাপক ডেইলি মেইলের এক কথোপকথনে বৈবাহিক জীবনে সমস্যা নিয়ে জেডাকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি তখন জানান, দীর্ঘদিন ধরে উইলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে দ্বিধা চলছিল তার মনে। এমনকি তারা গত ৭ বছর ধরে আলাদাই বসবাস করছিলেন। কিন্তু চড়ের ঘটনায় তার চোখ খুলে গেছে। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি সংসার টিকিয়ে রাখবেন। তিনি জানেন না, এই ঘটনা না ঘটলে তাদের সম্পর্কের নৌকা কোথায় গিয়ে ঠেকতো! তিনি এই চড়ের নামকরণ করেছেন, “হলি স্ল্যাপ”।
উইল স্মিথ ও স্ত্রী জাডা পিংকেট স্মিথ
১৯৯৭ সালে এই দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের একজন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান আছে। স্মিথের দুই সন্তান জ্যাডেন এবং উইলোও ইতোমধ্যে হলিউডের প্রতিষ্ঠিত তারকা। কিছুদিন আগে রেড সি আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবে বিবাহিত জীবনের নানা সমস্যার কথা বলেছিলেন উইল স্মিথ। এই ব্যাপারের পর সংসারে তার কমতি ও অস্কার অনুষ্ঠানে রককে চড় মারার প্রসঙ্গও টেনেছিলেন তিনি। চড় মারায় ১০ বছরের জন্য অস্কার থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন উইল। তথ্যসূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
গায়ে একটি সুতোও নেই। জঙ্গলে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা বিদ্যুৎ জামওয়াল। রান্না করে খাচ্ছেন, ঘর্মাক্ত হলে গোসলটাও সেরে নিলেন। যেন সেই আদিম যুগের মানুষ। লাজ লজ্জার বালাই নেই! শুধু একটাই পার্থক্য, সেই মুহূর্তগুলো কেউ একজন ক্যামেরায় ধারণ করেছেন। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝঁড় তুলেছে।
বিদ্যুৎ জামওয়াল
মার্শাল আর্টে বিশেষজ্ঞ এই স্টার মাঝে মধ্যে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে উপস্থিত হন। তিনি বরাবরই শরীর সম্পর্কেও সচেতন। কতটা চ্যালেঞ্জ তিনি নিতে পারে, কতটা নিজেকে ফিট রাখতে মরিয়া তিনি তার প্রমাণ রেখে গিয়েছেন শত শতবার। বিদ্যুৎ জামাল মাঝে মধ্যেই বেশ কিছু ছবি করে থাকেন। ওটিটি-তেও চলছে কথা।
বিদ্যুৎ জামওয়াল
তবে জীবনের ৪৩ তম জন্মদিন যেভাবে সেলিব্রেট করলেন তিনি তা দেখে এক কথায় সকলেই অবাক। সাহসী পদক্ষেপে নজর কাড়লেন তিনি, হলেন প্রশংসিতও। বিদ্যুৎকে নিয়ে দর্শক মনে বরাবরই এক বিশেষ উত্তেজনা বর্তমান। তবে বলিউডে যে বহু ছবি করেছেন এমন না। মাঝে মধ্যে পর্দায় দেখা যায় তাকে। সুপারহিট ছবিও নেই অভিনেতার ঝুলিতে। তবে তার অ্যাকশন বারবার দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে। এবার তার জন্মদিন সেলিব্রেশনের কায়দা দেখে অবাক নেটপাড়া আরও একবার প্রশংসায় ভাসলেন।
বিদ্যুৎ জামওয়াল
বলিউডের অন্যতম অ্যাকশন হিরো যেন রাতারাতি হয়ে গেলেন টার্জেন। যার অ্যাকশনে বুঁদ নেটদুনিয়া, হঠাৎ সেই স্টারের এমন কি হল, নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না ভক্তরা। বিদ্যুৎ জামালেন ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। মাথায় চেনা ছকে কাটা চুল, হিমালয়ের কোলে কোলে ঘুরছেন তিনি। কিন্তু সত্যি পরণে নেই একটু সুতোও। কখনও পাহাড় বেয়ে আসা ঝর্ণার জলে করছেন স্নান।
‘কিছু কিছু সম্পর্ক উত্তাল সমুদ্রের মতো। দিকহীন। কূল নেই কিনারা নেই। তবুও ভালোবাসার গন্তব্যে আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কখনও কখনও হয়ে যায় দেরি’ এমন সংলাপ শোনা গেল ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা অপূর্বর ঠোটে।
গত ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় মাত্র ৩০ সেকেন্ডের একটি টিজার। যেখানে অপূর্ব এই কথাগুলো বলছেন উত্তাল সমুদ্রের মধ্যে নৌকায় ভেসে ভসে! এই টিজার প্রকাশের পর পলকেই ভাইরাল হয়ে যায়। ফেসবুকে বিভিন্ন নাটকের গ্রুপ আর ব্যক্তিগত দেয়ালে শেয়ার হতে থাকে। সঙ্গে প্রশংসায় ভাসতে থাকেন অপূর্ব ও সংশ্লিষ্টরা। বেশিরভাগ দর্শকই মনে করছেন, বছর শেষে অপূর্বর বড় কামব্যাক হচ্ছে এই নাটকটির মাধ্যমে। যার প্রতিচ্ছবি মিলছে এই টিজারে।
জানা গেছে, এটি সিএমভি’র ব্যানারে ‘ক্লোজআপ রোম্যান্টিক ড্রামা ফেস্টিভ্যাল’-এর ‘পথে হলো দেরী’ নাটকের টিজার। চিত্রনাট্য ও নির্মাণে জাকারিয়া সৌখিন। অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তটিনী, মনোজ প্রামাণিক, সালহা খানম নাদিয়া প্রমুখ।
‘পথে হলো দেরী’ নাটকে তটিনী ও অপূর্ব
টিজার থেকে আশাতীত প্রশংসা পেয়ে খানিকটা স্বস্তিতে আছেন নায়ক অপূর্ব। বললেন, ‘দর্শকদের এমন সাড়া পেলে সব কষ্ট ভুলে যাই। মনে হয়, আমাদের পরিশ্রমটা কাজে লেগেছে।’
এরপর স্মৃতি কাতর অভিনেতা বলেন, ‘টিজারে যে দৃশ্যটি দেখছেন সেটা কক্সবাজার থেকে অনেক ভেতরে, টেকনাফের কাছাকাছি গভীর সমুদ্রে। এখানে শুটিং করতে যাওয়ার সময় আমাদের নৌকা আটকে যায় বালিতে। এরপর টানা ৬ ঘণ্টা পুরো ইউনিট অপেক্ষা করেছি জোয়ারের জন্য। জোয়ার আসার পর আমাদের নৌকা সচল হয়। এই শ্রম বা ডেডিকেশনগুলো সার্থক হয় দর্শকদের এমন সাড়া পেলে।’
অপূর্ব চলতি বছর কাজের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিয়েছেন। এরমধ্যে ‘পথে হলো দেরী’ তার কাছে অন্যতম সেরা কাজ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন।
এদিকে নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন বলেন, ‘আমি আসলে বড় ক্যানভাস ধরার চেষ্টা করেছি। আমার এই চেষ্টার সঙ্গে শতভাগ একাত্ম ছিলো অপূর্ব, তটিনী, সিনেমাটোগ্রাফার নাজমুল হাসানসহ ইউনিটের প্রত্যেকে। অন্যদিকে প্রযোজক পাপ্পু ভাইয়ের দিক থেকেও ছিলো সর্বোচ্চ স্বাধীনতা। সব মিলিয়ে পুরো ইউনিট মিলে অসম্ভব কষ্ট করে এই কাজটি করেছি। সেই টিম ওয়ার্কের ফল পাচ্ছি টিজার প্রকাশের পর থেকে। আশা করছি, পুরো নাটকটি দেখলে দর্শকদের কাছ থেকে আরও সাড়া পাবো।’
‘পথে হলো দেরী’ নাটকে অপূর্ব
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘ক্লোজআপ রোম্যান্টিক ড্রামা ফেস্টিভ্যাল’-এর তৃতীয় ও শেষ কাজ হিসেবে ‘পথে হলো দেরী’ মুক্তি পাচ্ছে শিগগিরই, সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে। এর আগে একই উৎসবের অংশ হিসেবে ৩০ নভেম্বর মিজানুর রহমান আরিয়ান নির্মিত ‘হদয়ে হৃদয়’ এবং ৭ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘ভালোবাসি তবুও’। দুটো নাটকই পেয়েছে দারুণ জনপ্রিয়তা।
রুনা লিখলেন, একজন তার প্রেমে-পড়ে পাগল হয়ে গেলো প্রায়
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
দাফন সিনেমার কুলসুম চরিত্রে রুনা খান
বিনোদন
নতুন ছবির খবর জানালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান। একটু আগে ফেসবুকে বেশকিছু ছবি প্রকাশের মাধ্যমে রুনা জানান তার নতুন সিনেমার নাম ‘দাফন’। এটি পরিচালনা করছেন কৌশিক শংকর দাশ। আর এই সিনেমায় রুনার চরিত্রের নাম কুলসুম।
কুলসুম চরিত্রেরই বেশকিছু ছবি পোস্ট করেছেন রুনা। তাতে দেখা যায়, হলুদ সুতি সালোয়ার-কামিজ পরা রুনা। এই ছবিগুলো রুনার সাম্প্রতিক ফটোশ্যুটের অন্য ছবিগুলো থেকে একেবারেই আলাদা। এই সিনেমায় একেবারেই ছিমছাম পাশের বাড়ির মেয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে এই মেধাবী অভিনেত্রীকে। হাতভর্তি কাচের চুড়ি পরা মেয়েটিকে দেখে প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হয়।
ছবিগুলো পোস্ট করে ক্যাপশনে রুনা সে কথাই লিখেছেন,
‘একজন তার প্রেমে-পড়ে পাগল হয়ে গেলো প্রায়!
তারপর একদিন কুলসুমও তার প্রেমে সাড়া দিলো..
ফুটলো ফুলের মতন..
হলদে অলকানন্দা যেমন..!
“দাফন” যে জীবন সিনেমা অথবা সত্যি..!
‘দাফন’ ছাড়াও রুনা খান অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’, ‘শোধ’ ও পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘বক’ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। নতুন কাজগুলো নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্মাতা কাজল আরিফিন অমির ‘অসময়’র কাজ শেষ করেছি। এটি বঙ্গ বিডিতে মুক্তি পাবে। শাহরিয়ার নাজিম জয়ের ‘শোধ’ খুব কাছাকাছি সময় আইস্ক্রিনে মুক্তি পাবে। মাসুদ পথিকের পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘বক’র শুটিং শেষ। এছাড়া কৌশিক শংকর দাস পরিচালিত নারী প্রধান সিনেমা ‘দাফন’ সিনেমারও শুটিং শেষ করেছি। এই তো।’
নাটকে খুব কম কাজ করেন। কারণ কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাটক, ওটিটি কিংবা সিনেমা- এই তিনটাকে আমি আলাদাভাবে দেখি না। আমি দেখি অভিনয়। আমার কাছে গল্প, চরিত্র ও পরিচালক ভালো মনে হলে কাজ করি। সেটা যে মাধ্যমেই হোক। নাটকে সেরকম গল্প-চরিত্র পাইনি তাই কাজ করিনি। নাটক করছিনা বা করবোনা সেরকম বিষয় আমার একেবারেই নেই।’
বছর প্রায় শেষ। এ বছরের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির প্রসঙ্গে তুললে তিনি বলেন, ‘প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি কি এতো ঠুনকো বিষয়? ধরুন, এ বছর আমি তিনটি কাজ করেছি তাতেই আমার প্রাপ্তি হয়ে গেলো? আবার আমি একটিও কাজ করিনি, তাতে কি আমার অপ্রাপ্তি হয়ে গেল? কতো বেশি কাজ হল কি হল না তাতেই কি জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি হয়ে যায়? এতো সোজা?’