১ম বার মুক্তি পাচ্ছে অরুণা বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘অসম্ভব’
বিনোদন
সরকারি অনুদানে এ প্রথমবার নির্মিত হলো অরুণা বিশ্বাসের ‘অসম্ভব’ শিরোনামের সিনেমা। দেশের সিনেমা জগতে পরিচিত মুখ জনপ্রিয় অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস। এবার অভিনেত্রী থেকে নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন নির্মাতা হিসেবে। আগামী ৩রা নভেম্বর সারাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এই সিনেমাটি।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সিনেমাটির মুক্তি উপলক্ষে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনের মাধ্যমে প্রকাশ করেন পরিচালক ও তার টিম। সেই মঞ্চেই আবেগতাড়িত হয়ে নিজেকে সামলাতে পারেননি অরুণা বিশ্বাস।
বিজ্ঞাপন
‘অসম্ভব’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, অরুণা বিশ্বাস, শতাব্দী ওয়াদুদ, সোহানা সাবা, গাজী আব্দুন নূর, শাহেদ শরীফ খান, স্বাগতা, শহীদ কাদরী, নাফিস আহমেদ এবং একটি বিশেষ চরিত্রে যাত্রা সম্রাজ্ঞী জ্যোৎস্না বিশ্বাস। শত ব্যস্ততার মাঝেও অরুণার প্রথম সিনেমার শুভ কামনা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন অসংখ্য তারকা।
সংবাদ সম্মেলনে অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘‘এটি প্রেম-সংঘাত, মান-অভিমান, নিজস্ব সংস্কৃতি এবং দেশপ্রেমের গল্পে মোড়ানো পাশের বাড়ির পরিচিত একটি গল্প। সিনেমাটিতে আমাদের ঐতিহ্যবাহী যাত্রাশিল্প আছে, কমার্শিয়াল গল্পের ধাঁচ আছে।’’
বিজ্ঞাপন
‘অসম্ভব’ সিনেমার গল্প ও তাতে তার চরিত্র নিয়ে অনেক আগে থেকেই নিজের আত্মবিশ্বাসের কথা বলে আসছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। সিনেমাটি প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমাদের সিনেমায় শাকিব খান নাই কিন্তু আমাদের সিনেমার শাকিব খান হল- আমাদের গল্প, আমাদের আন্তরিকতা, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ও আমাদের ‘অসম্ভব’র অসম্ভব সুন্দর টিম স্পিরিট। আমরা ৩ নভেম্বরে আসছি ‘অসম্ভব’ সিনেমাটি নিয়ে সিনেমা হলে।’’
এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো কবি অতুল প্রসাদ সেনের গান চিত্রায়িত হয়েছে। যা বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের ইতিহাসেও এই প্রথম। অতুল প্রসাদ সেন রচিত ‘মোদের গোরব মোদের আশা আমরি বাংলাভাষা` গানটি সিনেমাটিতে দেখতে পারবেন দর্শক। এ ছাড়া এ সিনেমার মাধ্যমে কিংবদন্তি গীতিকবি ও চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা জীবনের শেষ গান-‘ও শাড়ি` দেখার সৌভাগ্যও হবে ভক্তদের।
চার বছর আগে মুভিং বাংলাদেশ সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন নুহাশ হুমায়ূন। প্রথম দিকে প্রযোজক সংকট থাকলেও পরে বেশ কিছু বিদেশি উৎসব থেকে তহবিল পায় সিনেমাটি। শুধু তা-ই নয়, সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহ দেখায় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ খবর, মুভিং বাংলাদেশ-এর জন্য বরাদ্দ ৫০ লাখ টাকা বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে দেশের প্রথমসারির একটি গণমাধ্যমে এসেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ে ২০২২ সালে চিত্রনাট্য পড়ে সিনেমাটির জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছিল। আগে তারা আগ্রহী হলেও এখন সেই বরাদ্দ সিনেমাটি আর পাচ্ছে না। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গত ১৮ নভেম্বর সেই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের ডিপিপিতে (ডিজিটাল প্রোডাকশন পার্টনারশিপ) মুভিং বাংলাদেশ নামে সিনেমার জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এই মুহূর্তে প্রকল্প থেকে এই সিনেমাটি নির্মাণের ইচ্ছা নাই। আর সিনেমা বানানো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাজও না। তাই আপাতত সিনেমায় বিনিয়োগের পদক্ষেপ থেকে সরে আসা হয়েছে।’
তাইওয়ানের তাইপে ফিল্ম কমিশনের ৮৯ হাজার ৮০০ ডলারের তহবিল পেয়ে প্রথম আলোচনায় আসে মুভিং বাংলাদেশ। বাংলাদেশি অর্থে বর্তমানে যা ১ কোটি ৭ লাখ টাকার বেশি। সিনক্রাফ্ট ফিল্ম ফান্ড থেকে পেয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। শুধু তা-ই নয়, সিনেমাটি টোকিও গ্রান্ট ফাইনান্সিং মার্কেট, কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্ম বাজার, লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব ও ভারতের ফিল্ম বাজার থেকে নানা সহযোগিতা পেয়েছে।
‘মুভিং বাংলাদেশ’ সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গুপীবাঘা সূত্রে আরও জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকেও অনেকেই লগ্নি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত হয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। প্রযোজকদের মধ্যে আরিফুর রহমান জানান, ‘মুভিং বাংলাদেশ আমাদের দেশকে ব্র্যান্ডিং করার মতো সিনেমা। যে কারণে তখন চেয়েছিলাম তারা থাকুক।’
আরিফ আরও জানান, এটা কোনো রাজনৈতিক গল্প নয়। দেশের তরুণদের কথা বলবে সিনেমাটি। এটি সব সময়ের জন্যই প্রাসঙ্গিক একটি গল্প। আগামী বছর শুটিংয়ে যেতে চান তারা। পরে এই প্রযোজক বলেন, ‘‘একটা সিনেমা নিয়ে আমাদের তিন থেকে পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। দীর্ঘ এই সময়ে প্রযোজকের কাজ ফান্ড রাইজ করা। অনেক সময় লাগার কারণে অনেক লগ্নিকারী আসছে-যাচ্ছে। আমরাও অনেক সময় লগ্নিকারী ফেরত দিই। দেরি হওয়ায় অনেকে অপেক্ষা করতে চায় না, ফেরত যায়। এখন ‘মুভিং বাংলাদেশ’ বানানোর জন্য যে ধরনের অর্থ দরকার, সেখানে ৫০ লাখ টাকা খুবই ছোট অ্যামাউন্ট। এটি সিনেমা নির্মাণে বাধা হবে না।’’
আরিফুর রহমান আরও জানান, সিনেমাটি ইতিমধ্যে বড় তহবিল পেয়েছে। দেশের আরও লগ্নিকারী যুক্ত রয়েছেন। এখনো অনেক প্রযোজক সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হতে চান। দেশ-বিদেশের প্রযোজকেরা সিনেমাটির সঙ্গে এখনো যুক্ত হতে চান। কারণ, আমাদের সিনেমাটি দর্শক গ্রহণ করবে। এই প্রজেক্ট থেকে আমরা নিশ্চিন্তে টাকা তুলে আনতে পারব। বরং যারা সিনেমাটি থেকে সরে যাবে, তারাই লস করবে। এই সিনেমার ভ্যালু বুঝতে হবে। বুঝতে হবে এর সঙ্গে কারা জড়িত। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড কী। সেখানে কে চলে গেল, সেটা নিয়ে ভাবনার কিছু নাই।’
নুহাশ হুমায়ূন জানালেন, সিনেমার বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখছেন প্রযোজক। তিনি সিনেমাটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা-সংশ্লিষ্ট কাজগুলো নিয়েই ভাবছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, গল্প ঠিকঠাক থাকলে চিন্তা নাই। আমার সব কাজেই আমি গল্প ও চিত্রনাট্যে বেশি সময় দিই। আমি তো শর্টফিল্ম, ওয়েবের কাজ করেছি কিন্তু এবারই প্রথম ফিচার ফিল্ম করছি। মুভিং বাংলাদেশ সিনেমার জন্য দেশের বাইরে থেকে অনেক ফান্ডই আমরা পেয়েছি। কাজও এগিয়ে নিচ্ছি।’
কবে থেকে সিনেমাটির শুটিং করতে চান জানতে চাইলে নুহাশ বলেন, ‘চিত্রনাট্য শতভাগ ঠিক না হলে কোনো কাজেরই শুটিং করতে চাই না। সবার আগে আমি নিজেই চিত্রনাট্য নিয়ে খুশি থাকতে চাই। আমার জায়গা থেকে কাজ শেষ পর্যায়ে। আমার সিনেমার প্রযোজকেরা আমাকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছেন।’
চিত্রপরিচালক শাহ আলম মণ্ডলের হাত ধরে চলচ্চিত্রে পা রাখেন হালের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। এই পরিচালক তাকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবিটি।
ঢাকার গুলশানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৪৭ বছর বয়সী শাহ আলম মণ্ডল মারা গেছেন। প্রথম সিনেমার পরিচালকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পরীমণি। রোববার সকালে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ওস্তাদ, আপনিও চলে গেলেন। আজকের দিনেই আমার নানা চলে গেল। আপনিও, মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ, আমাদের শেষ দেখা হলোই না।’
ক্যারিয়ারের শুরুতে টুকটাক মডেলিং করেছেন পরীমণি। কয়েকটি নাটকেও দেখা গেছে তাকে। ২০১৩ সালের আগস্টে এক নাট্যপরিচালকের মাধ্যমে পরীমণির সঙ্গে শাহ আলম মণ্ডলের পরিচয় হয়; শাহ আলম দীর্ঘদিন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের সহকারী পরিচালক হিসেকে কাজ করে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ নামের একটি চলচ্চিত্র পরিচালনায় হাত দিয়েছেন।
হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিচালক। দিন দিন অসুস্থতা বাড়তে থাকে। এরপর দ্রুত মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এভাবে পাঁচ হাসপাতাল ঘুরে শুক্রবার এই পরিচালককে ভর্তি করা হয় গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। পরিস্থিতির অবনতি হলে শনিবার ভোরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তবে তাঁকে আর ফেরানো যায়নি। শাহ আলম মণ্ডলের মরদেহ রংপুরের বদরগঞ্জে নেওয়া হয়েছে।
শাহ আলম মণ্ডল ২০১১ সালে চলচ্চিত্রে আসেন। শাহ আলম মণ্ডলের অন্য ছবিগুলো হলো ‘আপন মানুষ’, ‘ডনগিরি’ এবং ‘লকডাউন লাভ স্টোরি’ (২০২২)।
শাহরিয়ার স্বপন বাংলাদেশের একজন সফল তরুণ সংগঠক। তার বেশি পরিচিতি দেশের অন্যতম বড় তারকাবহুল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ‘বাইফা’র ফাউন্ডার হিসেবে।
এছাড়া তিনি ‘বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’সহ নানা ধরনের ইভেন্ট অর্গানাইজ করে আসছেন বিগত এক দশক ধরে। কাজের স্বাীকৃতিস্বরূপ দেশ-বিদেশের নানা সম্মাননাও পেয়েছেন। তারমধ্যে রয়েছে ভারত, থাইল্যান্ড, দুবাইসহ নানা দেশের পুরস্কার।
এবার ভারতের আরেকটি সম্মানজনক প্রাপ্তি যোগ হলো তার ঝুলিতে। তিনি ‘মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২৪’ পেয়েছেন। তরুণ সমাজসেবক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও মানবাধিকার সংগঠক হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে অংশ নেন শাহরিয়ার স্বপন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কলকাতার স্বনামধণ্য ব্যক্তিবর্গ।
পুরস্কার পেয়ে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিগত এক দশক ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছি। প্রতিটি ইভেন্টের মাধ্যমে সমাজের জ্ঞাণী-গুণী মানুষদের সম্মান প্রদাণের চেষ্টা করি। দেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস থেকে শুরু করে নারীশক্তির জয়কে সেলিব্রেট করতে নারী দিবস সম্মাননাসহ নানা ধরনের আয়োজন করে আসছি। এছাড়া সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও সম্মান থেকে দেশসেরা শিল্পীদের কাজের স্বীকৃতি দিতে একাধিক বড় পরিসরের আয়োজন করে থাকি। আগামীতে দেশের বাইরেও এ ধরনের কাজের মাধ্যমে আমার দেশের সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার ইচ্ছে। অর্থাৎ আমার সকল কাজই সমাজে শান্তি ও পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেবার জন্য। তাই ভারত থেকে সে দেশের জাতির জনকের নামে মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেয়ে আমি গর্বিত। আমার কাজের যথার্থ মূল্যায়ন দেবার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।’
গ্রাম থেকে উঠে আসা শামসুন্নাহার স্মৃতির পরীমণি হয়ে ওঠা অনেকটা সিনেমার কাহিনির মতোই। মাকে হারিয়েছেন খুব কম বয়সেই; তার বাবারও মৃত্যু হয়েছে দুর্বৃত্তের গুলিতে। পরে অভিভাবকের দায়িত্ব নেন নানা শামসুল হক গাজী।
আর আজ তিনি সারাদিন চর্চিত প্রথম স্বামীর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের খবরকে কেন্দ্র করে। এরপর আবার তার প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালকের লাইফ সাপোর্টের খবর আসে।
তবে পরী আছেন তার নিজের মতো। ফেসবুকে আঁড়ি পাতলে দেখা যায়, তিনি এখন গ্রামে। তার বাড়িতে খাসি কোরবানি করা হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে প্রথমবার নিজের নানাবাড়ি গেলেন পরী। এমন সময়ে পরী ফেসবুকে দিলেন এক রহস্যময় স্ট্যাটাস। পরীমণি কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের জনপ্রিয় গানের দু’লাইন তুলে ধরেছেন, ‘নিয়তির ডাকে দিলে যে সাড়া, ফেলে গেলে শুধু নীরবতা। যার চলে যায় সেই বোঝে হায় বিচ্ছেদের কি যন্ত্রণা!’
পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পরীর অনুসারীদের একজন লিখেছেন, কথাগুলো সত্য...। নায়িকার সঙ্গে একমত হয়ে অন্য একজন লিখেছেন, ‘যার চলে যায় সেই বোঝে।’
তবে পরীর এই স্ট্যাটাস কার উদ্দেশে তা বোঝা যাচ্ছে না। তিনি কি কথাগুলো তার প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুতে লিখেছেন? নাকি তার নানার মৃত্যুবার্ষিকীতে উপলক্ষ্যে স্মৃতিচারণ?
গেল বছরের ২৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। দেখতে দেখতে পরীমণির নানার মারা যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো শনিবার (২৩ নভেম্বর)। নানার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বরিশালেই আছেন পরীমণি। আয়োজন করেছেন দোয়া-মাহফিলের।
অন্যদিকে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের মাদারীপুরের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার পাচ্চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রাতে জানাজা শেষে নিজবাড়ি ছোট শৌলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।