এ কোন বাংলাদেশ আমরা তৈরী করেছি : নাসিরউদ্দিন ইউসুফ

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

(বাঁমে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার নারী হো চি মিন ইসলাম, (ডানে) নাসিরউদ্দিন ইউসুফ

(বাঁমে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার নারী হো চি মিন ইসলাম, (ডানে) নাসিরউদ্দিন ইউসুফ

সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রথমসারির বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থীর প্রতিবাদের মুখে ট্রান্সজেন্ডার নারী হো চি মিন ইসলামকে ক্যাম্পাসের ভেতর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। 

এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। প্রগতিশীল জনগন এই ঘটনার তিব্র সমালোচনা করেন। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন দেশের প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ। তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার রনী সেক্টর-২ এর কুমিল্লা জেলার একজন অকুতভয় যোদ্ধা। ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে সে তার দেশ প্রেমের পরিচয় দিয়েছে। আমার উপাস্থাপিত “মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনে”-এ অংশ নিতে চ্যানেল আই এর স্টুডিওতে এলে তাঁর সাথে ছবি তোলার সৌভাগ্য হয় আমার।

বিজ্ঞাপন

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ ছাত্র, মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার রনীকে এখন কি বলবেন। রনীর মত আরো অনেক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের ঘাম, শ্রম ও সাহসিকাতায় স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ কে নিয়ে কি সিদ্ধান্তে নেবেন এই ছাত্ররা।

ফেসবুকের বেশ ক’টি পোষ্ট মারফত জ্ঞাত হই যে গতকাল তৃতীয় লিঙ্গের একজন সফল নাগরিক হোচিমিন ইসলামকে লজ্জাজনক ভাবে ঢাকাস্থ নর্থ সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে বাঁধা দেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগে বাধ্য করে নর্থ সাউথ বিশ্ব বিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র।

এ সংবাদ যদি সত্যি হয় তবে ছাত্রদের এ আচরনে আমি শুধু ক্ষুব্ধ নই। আমি হতাশও বটে। এ কোন বাংলাদেশ আমরা তৈরী করেছি। এরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবার থেকে কি শিক্ষা নিচ্ছে!’

বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার রনীর সঙ্গে নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ

উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য চেষ্টা করি এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তুলি, যা সবাইকে সম্মান জানায়। সম্প্রতি উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভাল ইভেন্টটি এই আদর্শগুলো অর্জনের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেছে। আমরা এই প্রোগ্রামে হো চি মিন ইসলামের অংশগ্রহণ সম্পর্কে জনগণের বিভিন্ন মতামতকে গ্রহণ এবং সম্মান করি। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সমাজের বিভিন্ন বিশ্বাস এবং মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে।’