এবার পুরুষের মনস্তত্ত্ব তুলে ধরেছি : পুতুল

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

(বাঁমে) সাজিয়া সুলতানা পুতুল, উপন্যাসের প্রচ্ছদ (ডানে)

(বাঁমে) সাজিয়া সুলতানা পুতুল, উপন্যাসের প্রচ্ছদ (ডানে)

জনপ্রিয় ক্লোজআপ তারকা সাজিয়া সুলতানা পুতুল এবারের বইমেলাতেও আসছেন নতুন বই নিয়ে। ‘কালো গোলাপ বৃত্তান্ত’ নামের সেই উপন্যাস নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ


বইমেলাতে একেবারে নিয়মিত লেখক হয়ে গেলেন?

বিজ্ঞাপন

একদমই তাই। এবার প্রকাশ হচ্ছে আমার নবম গ্রন্থ। তবে উপন্যাসের দিক থেকে এটি আমার ষষ্ঠ উপন্যাস। এছাড়া তিনটি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে। এবারের উপন্যাস ‘কালো গোলাপ বৃত্তান্ত’। এটি মূলত একটি সিক্যুয়াল উপন্যাস। ২০২০ সালে প্রকাশিত আমার উপন্যাস ‘কালো গোলাপের ভিতর থেকে উৎসারিত আলোবৃত্তান্ত’র দ্বিতীয় খণ্ড এটি। দুটি বই মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গল্প দাঁড়িয়েছে। প্রকাশ করছে অনন্যা প্রকাশনী।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

‘কালো গোলাপের ভিতর থেকে উৎসারিত আলোবৃত্তান্ত’ ছিল একজন কালো বর্ণের নারীর সংগ্রামের গল্প। এবারের ‘কালো গোলাপ বৃত্তান্ত’র প্রেক্ষাপট কি নিয়ে?

বিজ্ঞাপন

প্রথম খণ্ডে আমি দেখিয়েছি, আমাদের সমাজে একজন কালো বর্ণের মেয়েকে তার আশেপাশের পুরুষরা কিভাবে দেখে সেটি। সেই নারীর জীবনসংগ্রামের চিত্র উঠে এসেছিল উপন্যাসটিতে। আর এবারের খণ্ডে দেখিয়েছি সেই ঘটনার উল্টো পিঠ। দুটি মানুষের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটলে সেই ঘটনার দৃষ্টিকোন কিন্তু দুটি মানুষের বয়ানে দু ধরনের হয়। ফলে কালো বর্ণের নারীকে সমাজ কি ধরনের ট্রিটমেন্ট করে, সেটি দেখানোর পর মনে হলো এবার পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা দরকার, কোন কোন প্রেক্ষাপটে তারা কালো বর্ণের নারীদের তারা কিভাবে দেখে থাকে। অর্থাৎ ‘কালো গোলাপ বৃত্তান্ত’ উপন্যাসে আমি পুরুষদের প্রতিচ্ছ্ববি হতে চেয়েছি।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

সম্প্রতি অভিনেত্রী বন্যা মির্জা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যেসব কাজকে নারীকেন্ত্রিক কাজ বলা হয়, তাতে নারীরা প্রধান চরিত্র হলেও আসলে পুরুষের চোখে নারী কেমন সেটিই দেখানো হয়। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা বলতে হবে। কারণ আপনি নারী হয়ে পুরুষের দৃষ্টিকোণ তুলে ধরেছেন উপন্যাসে। পুরুষের মনস্তত্ত্ব বোঝার জন্য কি ধরনের চর্চা ছিল?


এটা আসলে আমার নিজস্ব উপলব্ধি। আমি যেভাবে পুরুষদের দেখেছি সেটিই তুলে ধরেছি। তবে আমার ধারণা, এই উপন্যাস পড়ার পর আমার পুরুষ পাঠকরাও বলবেন, আপনি কিভাবে আমাদের মতো করে ভাবলেন?


ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। দেশের সমসাময়িক সাহিত্যিকদের মধ্যে কার লেখা পড়তে ভালো লাগে?


আমি কাউকে ছোট করে কিছু বলছি না। আসলে সময় সুযোগের অভাবে এখনকার কোন লেখকের লেখাই আমার পড়া হয় না। আমি ধ্রুপদ সাহিত্যই বেশি পড়ি। তারমধ্যে সবচেয়ে সমসাময়িক লেখক হলেন হুমায়ূন আজাদ। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ এবং বুদ্ধদেব বসুর লেখা বরাবরই পছন্দ।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

শোবিজের অনেক তারকাই বই লিখছেন। তাদের লেখা নিয়ে কি বলবেন?


দেখুন, শোবিজ তারকার বই বলে আলাদা করা ঠিক নয়। কে কেমন লেখেন সেটি মূখ্য। হ্যা, তাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত শখের বসে লেখেন। কিন্তু আমি তো সেটি করি না। প্রত্যেকের বোধগম্যতা কিংবা লেখার মানের জায়গা আলাদা। কারও লেখা বই না পড়লেও ফেসবুকে যে টুকটাক পড়া হয়নি তা বলব না। তাতে কিন্তু বোঝা যায়, কে লেখালেখি টা জেনে বুঝে করেন আর কে শুধুই সৌখিন লেখক? অনেকের লেখার বানান পর্যন্ত ঠিক নেই। কেউ আবার বাক্যও ঠিকভাবে গঠন করতে পারেন না। তাদের জন্যই পাঠকরা শোবিজ তারকাদের লেখালেখিকে ঠিক গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। এটা একটা কষ্টের জায়গা। তবে শানারেই দেবী শানুর লেখা আমার ভালো লাগে। লেখালেখির চর্চা তার পারিবারিকভাবেই রয়েছে।