সাদি মহম্মদের অভিমানী মৃত্যুতে তারকাদের হৃদয় নিংড়ানো অভিব্যক্তি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
সাদি মহম্মদ

সাদি মহম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাদি মহম্মদের আত্মহত্যার ঘটনা শিল্পী সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। শিল্পীর অভিমান, একাকিত্ব, প্রাপ্য সম্মানের প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন বিনয়ী মানুষের এভাবে চলে যাওয়ায় শোকে স্তব্ধ শিল্পী সমাজ। ফেসবুক যেন হয়ে উঠেছে শোক বই। সাদি মহম্মদের শেষ বিদায়ে তাকে নিয়ে লেখা কয়েকজন শিল্পীর স্ট্যাটাস নিয়ে এই আয়োজন

ক্ষমা করে দিও সাদি ভাই

সুবর্ণা মুস্তাফা, অভিনয়শিল্পী
‘ক্ষমা করে দিও সাদি ভাই
তোমার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবো আমরা।
শান্তিতে মায়ের কোলে ঘুমাও
শ্রদ্ধা মহান শিল্পী’

ইয়াসমিন মুশতারি ও সাদি মহম্মদ

ভীষণ অভিমান বোধ হচ্ছে!

ইয়াসমিন মুশতারি, নজরুল সঙ্গীতশিল্পী
‘এই ছবির মত আদর থেকে চিরতরে বঞ্চিত হলাম। তার চলে যাওয়াতে খুব কষ্ট। তবে, তার থেকেও ভীষণ অভিমান বোধ হচ্ছে! কেন সাদি ভাই? সারা পৃথিবীর বাঙ্গালী আমরা সবাই তো আপনাকে ভীষণ ভালোবাসতাম। আল্লাহ্ পাক তুমি তাকে বেহেস্ত নসিব করো। আমিন।’

অভিমান করে শুধু কষ্টই বাড়ে, বাড়ে বিষন্নতা

ফাহিমদা নবী, সঙ্গীতশিল্পী
‘কি শুনলাম! সাদি ভাই নেই! দেখা হলেই সব সময় ভালো ব্যবহারে আর কথার মিষ্টতায় মন খুশি করে রাখতেন যে মানুষটি, সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে স্বেচ্ছা মৃত্যুতে! এমন কখনো দেখিনি, অনেক কিছু চাই তার, সম্মানটুকু ছাড়া। খুব সাধারন একজন অভিমানী শিল্পী। শিল্পীর অভিমান তো থাকবেই, সেটাই তার বৈশিষ্ট্য। কিন্তু অভিমান করে শুধু কষ্টই বাড়ে, বাড়ে বিষন্নতা! তা একপর্যায়ে তিনি হয়তো মানতে পারেননি। বহুবার বলেছি অভিমান করবেন না। কিন্তু একাকী অভিমানের ওজন এতোটাই হয়তো বেড়ে গিয়েছিলো, পারলেন না আর সেই দৌড়ে নিজেকে বাঁচাতে! আত্মোহননের পথ বেছে নিলেন! কেন? অভিমান, কষ্ট থেকে পরিত্রানের এ পথ তো বেছে নেয়া ঠিক হলো না সাদি ভাই! হারালাম আমরা দরদী কন্ঠের সাদি মোহম্মদকে, যার কন্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত ভিন্ন এক মাত্রা পেয়েছিলো। খুব সচেতন হয়ে গান গাইতেন। গান গাইতেন ভালোবেসে। আমাকে আর সুমাকে (সামিনা চৌধুরী) খুব ভালোবাসতেন। সাদি ভাই, অনেক কান্না পাচ্ছে আপনার চলে যাওয়ায়। আল্লাহ যেন তাকে মাফ করে দেন। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি, আমিন।’

সাদি মহম্মদ ও ফাহমিদা নবী

শিবলী ভাইটার কথা একবার ভাবতে ভুলে গেলেন?

সামিনা চৌধুরী, সঙ্গীতশিল্পী

কেন সাদি ভাই, কেন? আমাদের কথা বাদ, শিবলী ভাইটার কথা (সাদি মহম্মদের ছোট ভাই, প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী) একবার ভাবতে ভুলে গেলেন? কী কষ্ট হচ্ছিল মনের ভেতরে যে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন সাদি ভাই?’

কি এমন তাড়া ছিলো?

অরুনা বিশ্বাস, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
‘শ্রদ্ধেয় সাদি মোহাম্মদ ভাই, কি এমন তাড়া ছিলো? ভালো থাকবেন অনন্তলোকে।’

এ অভিমানে কোন কিছু কি বদলাবে!

মুনমুন আহেমদ, নৃত্যশিল্পী
‘হে গুণী, আপনার এ অভিমানে কোন কিছু কি বদলাবে!’

নিজের তালিমের ঘরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী

কারণে-অকারণে কল করতেন, সেটা মিস করবো

বন্যা মির্জা, অভিনয়শিল্পী

সাদি ভাই, আর একটু বেশী বেঁচে গেলে কি আপনার অনেক বেশী কষ্ট হতো? যদি তাই হয় তাহলে হয়তো ঠিকই আছে। আপনি যে কারণে-অকারণে কল করতেন, সেটা মিস করবো। তারপর একদিন ভুলেও যাবো। আপনার আত্মা শান্তি পাক।’

তাকে নিয়ে ভাববার সময় কি আসলেই আমাদের হাতে ছিলো?

চঞ্চল চৌধুরী, অভিনয়শিল্পী
‘প্রাচীন এই পৃথিবীতে জন্ম এবং মৃত্যু প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম। জন্ম যেমন আনন্দের, মৃত্যু ততোধিক শোকের। স্বাভাবিক মৃত্যুতে শুধুই শোক বিরাজমান কিন্তু এ কেমন মৃত্যু? এ কেমন চলে যাওয়া? পরিবার, সমাজ বা রাষ্ট্র এর কতটুকু দায় নেবে জানিনা, তবে সাদি ভাইয়ের মৃত্যু অন্য কোন অভিমান বা বেদনার কথা কয়ে যায়। কাল রাতে এই দুঃসংবাদটি শোনার পর থেকে ওনাকে নিয়ে কিছু লিখবার সাহস হচ্ছিলো না। আবার প্রিয় শিল্পী সাদি মোহাম্মদের এমনভাবে চলে যাওয়াটাও মেনে নিতে পারছিলাম না। তাকে নিয়ে ভাববার সময় কি আসলেই আমাদের হাতে ছিলো? যখন কোন মানুষ একান্তই একা হয়ে যায়, পৃথিবীর কোন মায়া যখন তাকে আর আটকাতে পারে না, তখনই সে এমন কিছু করে। আমরাই তাকে একা করে দিয়েছি, যোগ্য সম্মান দিতে পারিনি। এই দেশটির জন্য সাদি ভাইয়ের পরিবারের আত্মত্যাগের কথাও নিশ্চয়ই আমরা ভুলে গেছি বা যাবো! আমাদের ক্ষমা করে দিন সাদি ভাই। আপনি স্বেচ্ছায় যেখানে চলে গেলেন, সেখানে ভালো থাকবেন। অসীম শ্রদ্ধা।’

রুনা খান

ওর মৃত্যুতে আপনি কী শোকগাথা লিখবেন!

রুনা খান, অভিনয়শিল্পী
‘সাদি মহম্মদের জন্যে একটা শোকগাথা লিখতে ইচ্ছে করছে, পারছি না। আপনারা যখন সাদি মহম্মদকে রবীন্দ্রনাথের গান গাইতে দেখেন আমি তো সেই কিশোরকে দেখি যে একাত্তরের সেই উত্তাল দিনগুলিতে পরম যত্নে বাংলাদেশ নামক আমাদের স্বপ্নের সোনার দেশটির নতুন গৃহীত পতাকাটি এঁকেছে সবুজ লাল আর সোনালী বস্ত্রখণ্ডে। ওর মা হৃদয় নিংড়ে মমতা মাখিয়ে সেই পতাকাটি সেলাই করেছিল। ওর সাহসী পিতা ওদের তাজমহল রোডের বাড়ীতে সেই পতাকাটি উড়িয়ে দিয়েছিল।
সাদি মহম্মদ হচ্ছেন সেই কিশোর যে কিনা ওর বীর পিতাকে দেখেছে আকাশে উড়িয়ে দিতে স্বাধীন বাংলাদেশের দুরন্ত পতাকা। আবার সেই কিশোরই দেখেছে কাপুরুষ কিছু বিহারী পাকিস্তানী সেনাদের নিয়ে ওদের বাড়ীতে আক্রমণ করেছে। কিশোর সাদির সামনে সেইসব কাপুরুষেরা হত্যা করেছে ওর পিতাকে। ছোট একটি কিশোর দেখেছে ওর চোখের সামনে ওঁরা ওর পিতাকে হত্যা করেছে, ওদের বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। মাতৃভূমির জন্যে সাদি মহম্মদের এইটুকুই নৈবেদ্য। আপনি ভাবুন তো, সাদি মহম্মদ যখন গাইতেন আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি অথবা অন্য কোন দেশের গান সেই গানটির অর্থ কি দাঁড়ায়! শুধু জাতীয় সঙ্গীত বা দেশের গানের কথা শুধু নয়। সাদি মহম্মদের কণ্ঠ প্রতিটা বাংলা গান- হোক সে রবীন্দ্রনাথের গান বা পঞ্চকবির গান যা যেকোন বাংলা গান- সেই গান আর শুদ্ধ একটি গান মাত্র থাকে না, সেটি হয়ে যায় বাংলায় পবিত্র উচ্চারণ। এই লোকটি নিজের জন্যে কোনদিন কোন অনুযোগ করেনি, অভিযোগ করেনি। কদাচিৎ কখনো দুঃখ করে দুই একবার হয়তো বলেছে মাতৃভূমির কথা- নিজের কথা নয়। ওর মৃত্যুতে আপনি কী শোকগাথা লিখবেন! কেবল বলতে পারেন সাদি মহম্মদ আপনাকে আমরা ভালোবাসি। এছাড়া আর কী লিখবেন আপনি? কী বলবেন! হৃদয়ে ধারণ করা ভালোবাসা প্রকাশ করার মতো শক্তি আপনার আছে? সেই শক্তি কারো থাকে? আমার তো নেই। আপনাকে আমি ভালোবাসি সাদি মহম্মদ। আমাদের ভালোবাসা আপনার জন্যে সাদি মহম্মদ। আপনি এই পৃথিবীতে শারীরিকভাবে আছেন কি নেই তাতে আমাদের কিসসু যায় আসে না। আমরা আপনাকে ভালোবাসি।
লেখা - ইমতিয়াজ মাহমুদ’

এই পৃথিবীটা আর ভালো লাগছিল না তার

ফারহিন খান জয়িতা, সঙ্গীতশিল্পী
‘গতকাল হাসপাতাল থেকে সাদি মামার বাসা পুরোটা সময় একবারো আমার মনে হয়নি কেন এমন করলো? আমার শুধু মনে হয়েছে এই জীবনটা, এই পৃথিবীটা আর ভালো লাগছিল না তার। জোর করে এই ভালো থাকার ভানটা তাঁর জন্য ক্লান্তিকর ছিল। উচিৎ- অনুচিত... এই তর্কে যাওয়ার কিছু নেই আর।
এই মহান শিল্পী , একজন দারুন ,নরম মানুষ- সাদী মামার যাত্রা সুন্দর হোক, আরামদায়ক হোক। উনার সকল কষ্টের অবসান হোক।

শিবলী মহম্মদ, মৌ ও সাদি মহম্মদ

নোংরা সিস্টেমকে চপেটাঘাত দিয়ে বিদায়

তাহিমনা সুলতানা মৌ, অভিনয়শিল্পী
‘বেঁচে থাকতেই মানুষটা স্পষ্ট বলে গেছেন, আমাকে যেন কোনো মরনোত্তর পদক না দেয়া হয়। সেই অভিমানে তাকে শহীদ মিনারে না নেয়ার সিদ্ধান্ত (আপাতত)। রাষ্ট্রকে শুধু দিয়েই গেলেন মানুষটি! শহীদ পিতার সন্তান। মুক্তিযুদ্ধে চোখের সামনে বাবার মৃত্যু দেখার ট্রমা নিয়ে বেঁচেছিলেন শুধু গানটা নিয়ে! এতো নির্মোহ মানুষ আর একটাও ছিলো না। চেয়েছিলেন রাষ্ট্রের একটু আদর! বিনিময়ে সে রাষ্ট্রের কাছ থেকে। পেলেন প্রবঞ্চনা! কিছু দিন আগে কজনার ছবি দিয়ে অভিমান জানিয়েছিলাম আমি আজ তার একজন ঝরে গেলেন! রাষ্ট্র কারো কারোকে নিয়ে তুমুল উৎসব করবেন, অথচ প্রকৃত নির্মোহ শিল্পীদের কারো কারো জন্য রেখে যাবেন অন্ধকার! ঠিক তাই যেন তীব্র অভিমানে নিজের তানপুরাটা ছেড়েই স্বেচ্ছামৃত্যু! এই নোংরা সিস্টেমকে চপেটাঘাত দিয়ে যেন বিদায় দিলেন নিজের অভিমানের!
সাদি মোহাম্মদ! রাষ্ট্র প্রকৃত শিল্পীকে লালন না করতে জানলে এ বিষাদ বাড়বে! এ বিষাদের দায় আমার আপনার অনেকের! বিদায় হে রবীন্দ্রসঙ্গীতের রাজা। ভাল থাকবেন।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের লাশঘর থেকে
১৪ মার্চ, বিশচব্বিশ
Tanvir Tareq এর ওয়াল থেকে নেয়া।’

   

১০০ মিলিয়নের মাইলফলকে কনার 'তুই কি আমার হবি রে'



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের সব তারা আছে দিনের গভীরে/ বুকের মাঝে মন যেখানে, রাখবো তোকে সেখানে/ তুই কি আমার হবি রে’-‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের এই গানটি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনাকে এনে দেয় কাঙ্ক্ষিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এই গানের জন্য মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও নিজের ঝুলিতে পুরেছিলেন কনা। এবার এই জনপ্রিয় গানটি কনার ক্যারিয়ারে যোগ করলো নতুন সাফল্যের পালক।

 তুই কি আমার হবি রে গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত কনা

 আজই ইউটিউবে ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর এই গানটি মাছরাঙা টিভি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায়। গানটি অন্তর্জালে প্রকাশের ১৬০৮ দিনের মাথায় ১০০ মিলিয়ন ভিউয়ের অনন্য অর্জনকে বিশেষভাবে দেখছে ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমার টিম।

সিয়াম পরীমণি

তারকা সঙ্গীতশিল্পী কনা বলেন, ‘বাংলা সিনেমার গানের একটি ঐতিহ্য আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকে বলেন, আগের মত ভালো গান হয়না; হলেও জনপ্রিয় হয়না। তবে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটির তুমুল জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে, ভালো গান এখনো হচ্ছে এবং শ্রোতারা  ভালো গানের কদর করতে কখনো ভোলেন না। ইউটিউবে বাংলা সিনেমার গানের মধ্যে খুব বেশি গান ১০০ মিলিয়নের মাইলফলক পার করেনি। সে জায়গা থেকে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানের এই সাফল্য আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ টিমের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই’।

কনা

সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত, চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত, সিয়াম আহমেদ-পরীমনি অভিনীত ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর। রুম্মান রশীদ খান-এর লেখা চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ মোট ৮টি পুরস্কার পায়; যার মধ্যে সংগীত বিভাগে একচেটিয়া রাজত্ব করে ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানটি। এই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল, শ্রেষ্ঠ সুরকার ও শ্রেষ্ঠ গায়ক ইমরান মাহমুদুল, শ্রেষ্ঠ গায়িকা দিলশাদ নাহার কনা এবং শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালকের পুরস্কার পান প্রয়াত সুমন রহমান। গানটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন খায়ের খন্দকার।

;

পুুরুষ ও নারী শিল্পীর সমান পারিশ্রমিক হোক: রুনা খান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রুনা খান

রুনা খান

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ মে দিবস। প্রতি বছরের মতো আজও দেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য উৎসর্গ করা এই দিনটি। অধিকার আদায়ের উজ্জ্বল এই দিনটি নিয়ে শোবিজ তারকাদের কি ভাবনা? তা নিয়ে এই আয়োজন সাজিয়েছেন মাসিদ রণ।

রুনা খান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী

আমার দেশের প্রেক্ষাপটেই কথা বলতে চাই। শ্রমিক দিবসে আমার দুটি প্রত্যাশা। একটি জেনারেল প্রত্যাশা। সেটি হলো প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ যেন তার পরিশ্রমের মূল্যটুকু ঠিকঠাক মতো পায়, সময়মতো পায়। আমার অভিনয়শিল্পী, আমরাও অনেক সময় পারিশ্রমিকটা ঠিকমতো সময়ে পাই না বা যা প্রাপ্য সেটি পাই না। তবে আমি বিশেষ করে দিনমজুরদের কথা বলছি। তাদের যেন সময়মতো সবাই মূল্যটা বুঝিয়ে দেন।


আর আমি যেহেতু অভিনয়শিল্পী, তাই শোবিজ নিয়ে একটা প্রত্যাশার কথা বলতে চাই। সেটি হলো- এতো বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারের যে অভিজ্ঞতা তাতে দেখেছি সমপরিমাণ জনপ্রিয় পুরুষ শিল্পী আর নারী শিল্পী- কখনোই সমান পারিশ্রমিক পান না। অথচ ডেডিকেশনের জায়গা বলুন, সততার জায়গা বলুন, পরিশ্রমের জায়গা কিংবা মেধার জায়গা- সবটাই তো নারী আর পুরুষ শিল্পীর সমান। তাহলে কেন তারা সমান পারিশ্রমিক পাবেন না? একই নাটকের কথা বাদই দিলাম, যেখানে নারীকেন্দ্রিক গল্প রয়েছে সেখানে অভিনেত্রীরা যে পারিশ্রমিক পান, তারচেয়ে একটি সাধারন প্রেমের নাটকে অভিনেতারা অনেক বেশি পারিশ্রমিক পান। তাই চাইব- একদিন এই বৈষম্য আর থাকবে না আমাদের বিনোদন অঙ্গনে।

;

সালমান খানের বাড়িতে হামলার সাথে দেশদ্রোহীতার সূত্রতা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিছুদিন আগেই সালমান খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। কেউ আহত না হলেও বাড়ির সকলের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। সেই থেকেই পুলিশি পাহারায় ঘেরাও করা হয় সালমান খানের বাড়ি। পুলিশের ১৫টি টিমের তদন্তের কাজ চলতে থাকে পুরোদমে। সম্প্রতি সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা তদন্তে পুলিশ নতুন মন্তব্য করেছে।

মুম্বাইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর ধারণা এটি শুধুমাত্র ভয় দেখানো কোন হামলা নয়। এর পেছনে দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের হাত রয়েছে। তাদের ধারণা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-কে বাইরে থেকে অস্ত্র ও তহবিল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। আর এই হামলা একটি দেশদ্রোহী পদক্ষেপ। বিষ্ণোই গ্যাং ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি মুখ্য।

বর্তমানে মামলায় অভিযুক্ত শ্যুটারদের সরবরাহ করা অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও পুলিশ তদন্ত করছে। বিষ্ণোইয়ের অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের পরিসরের প্রেক্ষিতে সন্দেহ করা হচ্ছে নানারকম সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে যে গ্যাংটি বিদেশে থাকা দেশবিরোধী সহায়তা পেয়েছিল কিনা। বিশেষ করে অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সমর্থন।

সালমানের বাড়িতে হামলার পরই ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে দায় স্বীকার করেন আনমোল বিষ্ণোই। জেল হেফাজতে থাকা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোটভাই সে। তদন্তের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ভিকি গুপ্তা (২৪), সাগর পাল ( ২১) এবং অনুজ থাপান (৩২)-কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ৮ মে অবধি রিমান্ডে রাখা হবে। ভিকি আর সাগর আগে ধরা পড়ে। তারপরই একের পর এক তথ্য পাচ্ছে পুলিশ। পুলিশকে জানিয়েছেন, জেলবন্দী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই তাদের এ কাজের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন।

আনমোল চেয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে মথানিয়ার বাবড়ে কৃষ্ণকায় হরিণ শিকারের জন্য সালমানকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সালমানকে শুধু ভয় দেখানোর কথা তাদের বলা হয়েছিল। এই অভিনেতাকে হত্যার নির্দেশ তাদের দেওয়া হয়নি। এই কাজে তাদের ১ লাখ টাকা অগ্রিমসহ মোট ৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার লোভও দেখানো হয় তাদের।

তথ্যসূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মডেল রিফাত



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ইমাম মাহমুদ রিফাত /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

ইমাম মাহমুদ রিফাত / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণ প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল মডেল ইমাম মাহমুদ রিফাত। আইন বিষয়ে (এলএলবি অনার্স প্রোগ্রাম) পড়াশুনার পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে মডেল হিসেবে কাজ করছেন এই সুদর্শন তরুণ।

তার মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু হয় ‘মিস্টার এন্ড মিস ফটোজেনিক ২০২২’-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সেখানে তিনি দ্বিতীয় রানার আপ হন। রিফাত বলেন, ‘মডেলিং আমার শখ। আমি ফ্যাশন ভালবাসি, তাই মডেলিং করছি। এখন আমি ফোকাস করছি ফ্যাশন মডেল হিসেবে ফটোশুটে। বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে আমার প্রিয় পুরুষ মডেল হলেন নোবেল, আসিফ আজিম এবং রাজ মানিয়া। আর নারী মডেলদেও মধ্যে সাদিয়া ইসলাম মৌ আপু, সৈয়দ রুমা, ইমিও আজরা মাহমুদকে খুব ভালোলাগে। তারা যেমন নিজেদের কাজ দিয়ে দেশের সুনাম অর্জন করেছেন, আমিও তেমনটি করতে চাই।’

ইমাম মাহমুদ রিফাত /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

রিফাত নিজের পরিচয়েই পরিচিত হতে চান। কিন্তু পাঠকদের জানানোর জন্য বলা- এই তরুণ মডেল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা’র আত্মীয়।

রিয়াত এরইমধ্যে ফেব্রিলাইফ, ডিজাইনারের দরজা, খাকি ফ্যাশন হাউস, ক্লিম্ব, ব্যাং ফ্যাশন হাউস, ওয়ান মেন, বাংলা ফ্যাশন হাউস, প্রাণ চাটনি, মোজো, সুতা ফ্যাশন হাউস, আরবানবন ফ্যাশন হাউস, জেন জেড ক্লোসেট ফ্যাশন হাউস এবং কিছু দুর্দান্ত ফ্যাশন ডিজাইনারের সাথে কাজ করেছেন। তিনি এখন আমি খাকি ফ্যাশন ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া কলকাতার মেরে প্রোডাকশন হাউসের সাথে কাজ করেছেন।

ইমাম মাহমুদ রিফাত /  ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

রিফাত বলেন, ‘আমি আমার পরবর্তী প্রকল্পের জন্য ভারতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে কিছু ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার এবং কিছু ফ্যাশন হাউসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। সবাই দোয়া করবেন আমি যেন আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি।’

;