স্বাধীনতা দিবসে রফিকুল আলম-আইয়ূব বাচ্চুর উপহার!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রখ্যাত গায়ক ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা রফিকুল আলম। আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নতুন একটি দেশের গান উপহার দিয়েছেন তিনি। ‘স্বাধীনতা’ শিরোনামে গানটি লিখেছেন এবং সুর করেছেন প্রয়াত রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু। সংগীতায়োজন করেছেন রফিকুল আলমের ছেলে ফরশিদ আলম, যিনি নিজেও একজন গায়ক, সুরকার এবং বেইস প্লেয়ার।

গানটি স্বাধীনতাকে মহিমান্বিত করার কথা বলে। এ দেশের মানুষের কাছে রক্তের বিনিময়ে কেনা এই স্বাধীনতার মূল্য কতোখানি? সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে এই গানে। ‘স্বাধীনতা’ গানটি রফিকুল আলমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে আজ ২৬ মার্চ সকালে।

রফিকুল আলম আইয়ুব বাচ্চুকে বাংলাদেশের ‘ভ্যান হ্যালেন’ বলে ডাকতেন। গানটি তৈরীর নেপথ্যের কথা জানতে চাইলে রফিকুল আলম বলেন, ‘২০০৫ সালে আমি আর বাচ্চু অন্য একটি কাজ করছিলাম। কাজের ভেতরেই বার বার একসাথে একটা গান করার কথা ঘুরে ফিরে আসছিল। অনেক আলোচনার পর হঠাৎ বাচ্চু একদিন নিজের গলায় গানটি গেয়ে আমাকে রেকর্ড করার কথা বলে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে গানটা করা হয়নি। এরপর তো বাচ্চুর হঠাৎ চলে যাওয়াটাও অনেক কষ্টের ছিল।’

বাবা রফিকুল আলমের সঙ্গে ফারশিদ

বাবার সাথে এই প্রথম কোন গানের কাজ করলেন ফারশিদ। তিনি বলেন, “আইয়ুব বাচ্চুর কম্পোজিশনে ওয়েস্টার্ন এবং ইস্টার্ন গানের স্বাদ সবসময় সমানভাবে বিদ্যমান থাকে। কিন্তু এই গানে উনি তা করেননি। যেহেতু আমার বাবা গানটি গাইছেন, তাই ওয়েস্টার্ন দিকটা উনাকে কম ভাবতে হয়েছে। ফলে
আমার জন্য কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ আমিও ওয়েস্টার্ন ধাঁচের মিউজিক নিয়েই বেশি চর্চা করি। তারপরও চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। আশা করি গানটির প্রতি সুবিচার করতে পেরেছি। খুব ভালো লাগত যদি একবার যদি আইয়ুব বাচ্চুকে গানটি শোনাতে পারতাম।’

রফিকুল আলম বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক। পণ্ডিত হরিপদ দাসের কাছে তার হাতেখড়ি। অনেক বিখ্যাত সঙ্গীতপরিচালকদের সাথে কাজ করেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল তার যাত্রাপথের একটি মাইলফলক। সে সময়ে তিনি গণসঙ্গীত ও একক কন্ঠে গেয়েছেন। অনেক কালজয়ী গান গেয়েছেন, যার মধ্যে ‘মোদের গরব মোদের আশা’ ছিল অন্যতম।

   

পাকিস্তানের একাধিক শহরে জাজের ‘জ্বীন-২’



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘মোনা : জ্বীন-২’র পোস্টার

‘মোনা : জ্বীন-২’র পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে ভালোই সাড়া ফেলেছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমা ‘মোনা : জ্বীন-২’। দেশের পর এবার পাকিস্তানে মুক্তি পেল এই সিনেমাটি। লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘মোনা : জ্বীন-২’। এমনটা নিশ্চিত করেছে সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া।

তারা জানায়, মাল্টিপ্লেক্সসহ সেখানকার ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটির প্রতিদিন ৮২টি শো চলবে। জাজ-এর কর্ণধার আবদুল আজিজ বলেন, ‘আমার এম আর নাইন সিনেমাটির প্রযোজক পার্টনার যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। উনিই পাকিস্তানে ছবিটির প্রদর্শনীর ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন। গতকাল শুক্রবার থেকে ইংরেজি সাবটাইটেলে ছবিটির প্রদর্শন হচ্ছে। এখন তো ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের ছবি মুক্তি পাচ্ছে। পাকিস্তানেও আমাদের ছবির একটা বাজার হতে পারে। কারণ, বিশ্ববাজারকে না ধরতে পারলে এগোতে পারবে না বাংলা সিনেমা।’

জাজ-এর কর্ণধার আবদুল আজিজ

এই প্রযোজক আরও বলেন, ‘ছবিটির গল্প এমন, ওখানকার দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। গত ঈদের আগে আগে সেন্সরের জন্য ওখানে ছবিটি পাঠিয়েছিলাম। যাদের মাধ্যমে আমি ছবিটি ওখানে পাঠিয়েছি, তাদের কাছ থেকে শুনেছি যে পাকিস্তানের সেন্সর বোর্ডের সদস্যরাও ছবিটি পছন্দ করেছেন। এ কারণেই মনে হচ্ছে ছবিটি পাকিস্তানের দর্শকের পছন্দ হয়ে যেতে পারে।’

‘মোনা : জ্বীন-২’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। এতে অভিনয় করেছেন সুপ্রভাত, তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, দীপা খন্দকার, আরিয়ানা জামান, সেহজাদ ওমর, সাজ্জাদ হোসেন, সামিনা বাশার প্রমুখ।

;

কলকাতায় অভিষেক হলো তারিনের



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এক ফ্রেমে ‘এটা আমাদের গল্প’ সিনেমার নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা

এক ফ্রেমে ‘এটা আমাদের গল্প’ সিনেমার নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটপর্দার অন্যতম মেধাবী অভিনেত্রী তারিন জাহান। প্রায় তিন দশক ধরে টেলিভিশন নাটকে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে আসছেন। এ ছাড়া নৃত্যশিল্পী হিসেবেও সুখ্যাতি আছে তার। গত বছর ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ নামের সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী।

এবার দর্শকের এই প্রিয় মুখ নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। বাংলাদেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে অভিষেক হলো তারিনের। ‘এটা আমাদের গল্প’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তারিন। গতকাল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। পরিচালনা করেছেন ছোট ও বড় পর্দার দাপুটে অভিনেত্রী মানসী সিনহা।

তারিন জানান, ‘অনেক আগে বাংলাদেশে একবার এসেছিলেন মানসী দিদি। তখনই তার সঙ্গে প্রথম দেখা। পরবর্তী সময়ে তার ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গল্প আমার পছন্দ হয়ে যায় এবং কাজটি করি। কলকাতায় অভিনয় ও সিনেমার প্রচারে খুব ভালো সময় কাটিয়েছি। কারণ, এটা আমার জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা।’

‘এটা আমাদের গল্প’ সিনেমায় তারিন জাহান ও খরাজ মুখোপাধ্যায়

ছবির টিজার থেকে বোঝা যায়, দুই প্রবীণ মানুষের ভালোবাসা দিয়েই সাজানো ‘এটা আমাদের গল্প’। তবে তাদের ভালোবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বর্তমান সমাজব্যবস্থা। সম্পর্ক বিশ্বাসীদের কথাই বলবে ‘এটা আমাদের গল্প’। পাশাপাশি ফুটে উঠবে সম্পূর্ণ ভিন্ন সম্প্রদায়, পরিস্থিতি ও পরিবেশের দুই পরিবারের কাহিনি। তারিন ছাড়াও এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন অপরাজিতা আঢ্য, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহাগ সেন, আর্য দাশগুপ্ত, তাপসী মুন্সীসহ অনেকে।

জানা গেছে, সিনেমায় তারিন বাংলাদেশের মেয়ে। যার বিয়ে হয় কলকাতার বনেদি পরিবারে। সিনেমায় অপরাজিতা আঢ্যের ছেলের বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিন। চরিত্রের নাম মিসেস বসু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টলিউডে অভিষেক সিনেমার পোস্টার এবং কোন কোন হলে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন অভিনেত্রী।

 

;

নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করছেন বুবলী : অপু বিশ্বাস



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অপু বিশ্বাস  ও শবনম বুবলী /  ছবি : ফেসবুক

অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২০ সালের মার্চে জন্ম হয় শবনম বুবলীর ছেলে শেহজাদ খান বীরের। যদিও দুই বছর সে কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ২০২২ সালে প্রকাশ্যে আনেন ছেলের কথা।

তার কয়েক মাস পরই হঠাৎ বুবলীর সঙ্গে তার সম্পর্ককে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন শাকিব খান। যদিও বুবলীর দাবি, তারা সময় নিচ্ছেন। তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী; এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

অপু বিশ্বাস ঢালিউড অভিনেতার প্রথম স্ত্রী। শোনা যায়, অপু থাকাকালীনই বুবলীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ান শাকিব। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।

অপু বিশ্বাস /  ছবি : ফেসবুক

এসব বিষয় নিয়ে বুবলীর গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

বেশ কিছুদিন ধরেই শাকিবের ব্যক্তিগত বিষয় সম্পর্কে মন্তব্য করা, নিজের প্রচারের নতুন কৌশল হতে পারে বলে মনে করছেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’

শবনম বুবলী /  ছবি : ফেসবুক

বুবলীকে ইঙ্গিত করে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তা হলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’

;

বিয়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন সামান্থা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিয়ের আসরে পরা এই গাউনটিই ছিড়ে ফেলেছেন সামান্থা রুথ প্রভু

বিয়ের আসরে পরা এই গাউনটিই ছিড়ে ফেলেছেন সামান্থা রুথ প্রভু

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৭ সালে ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন দক্ষিণের জনপ্রিয় তারকা জুটি সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য। দক্ষিণী আচার ও খ্রিস্টান রীতিনীতি মেনে বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে বাড়তে থাকে জটিলতা। শেষমেষ বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন দু’পক্ষই।

তবে বিবাহবিচ্ছেদ যে সামান্থাকে যথেষ্ট যন্ত্রণা দিয়েছে, তা বিভিন্ন সময় কথাবার্তায় বুঝিয়ে দেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি অভিনেত্রী শোভিতা ধূলিপালা ও সামান্থার প্রাক্তন স্বামী নাকি জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছেন। শোভিতার দেওয়া ছবি ঘিরে এমনই জল্পনা নেট মাধ্যম জুড়ে। এর মাঝেই নিজেই নিজের বিয়ের পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন সামান্থা। কেন এমনটা করলেন, সেই যুক্তি নিজেই দিয়েছেন অভিনেত্রী।

বিয়ের আসরে নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু

সাদা নেটের গাউন। তাতেই ফুলের নকশা করা। এমন পোশাক পরে নাগাকে বিয়ে করেন সামান্থা। কিন্তু সেই পোশাককেই ছিঁড়ে নতুন করে তৈরি করলেন সামান্থা। জামাকাপড়ের অপচয় বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নাকি অভিনেত্রীর। সাদা বিয়ের গাউনকে কেটে বানিয়েছেন কালো রঙের ককটেল ড্রেস।

সেই পোশাক পরেই সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে যান তিনি। অবশ্য শুধু সামান্থা নন, আলিয়া ভাট থেকে আনুশকা শর্মা অনেকেই সম্প্রতি জামাকাপড়ের অপচয় বন্ধের কথা বলছেন।পুরানো পোশাককে নতুনভাবে তৈরি করার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, আমার মনে হয়, প্রকৃতির স্বার্থেই আমাদের সকলের এ বার এগিয়ে আসা উচিত। কারণ, প্রকৃতিকে আর অবহেলা করার জায়গায় আমরা নেই।

সাদা বিয়ের গাউনকে কেটে বানিয়েছেন কালো রঙের ককটেল ড্রেস

আমি আমার পুরনো একটা পোশাককে নতুন করে তৈরি করেছি। আমি গত কয়েক বছর নিজের যাপনের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এনেছি তাতেই বুঝেছি, যে কোন জিনিসের অপচয় বন্ধ হওয়া উচিত। আপনারাও এগিয়ে আসুন।’

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি

;