‘আমার দেহখান’খ্যাত গায়ক পিয়ালের মৃত্যু, বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গায়ক ও গিটারিস্ট আহসান তানভীর পিয়াল

গায়ক ও গিটারিস্ট আহসান তানভীর পিয়াল

আত্মপ্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য দিয়ে পরিচিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয় তরুণ প্রজন্মের ব্যান্ড ‘অড সিগনেচার’। বিশেষ করে ব্যান্ডটির গায়ক ও গিটারিস্ট আহসান তানভীর পিয়ালের কণ্ঠে ‘আমার দেহখান’ গানটি বিশেষ শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে। কিন্তু এই উঠতি সময়েই ব্যান্ডটি খেলো বিশাল ধাক্কা। সড়ক দুর্ঘটনার কবলে গোটা ব্যান্ডের সদস্যরা। নিহত হয়েছেন ভোকালিস্ট পিয়াল। 

খবরটি ব্যান্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “সিলেট যাওয়ার পথে নরসিংদী পাচদোনা ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে ‘অড সিগনেচার’র গাড়ি মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এতে ব্যান্ডের সকল সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়। ড্রাইভার সালাম আর ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য আহাসান তানভীর পিয়াল এই দুর্ঘটনায় নিহত হন। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”

বিজ্ঞাপন
অড সিগেনেচার ও পিয়াল (ডানে)

জানা গেছে, শনিবার (১১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ‘অড সিগনেচার’র মাইক্রোবাসের সঙ্গে হানিফ পরিবহণের একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পিয়াল (২৩) ও সালাম (৪৩)। নরসিংদী ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেনও বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মাইক্রোবাসে থাকা ‘অড সিগনেচার’র বাকি তিন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে দুর্ঘটনা ও পিয়ালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের মিউজিক আঙিনায়। ভক্ত-শ্রোতা থেকে শুরু করে শিল্পীরাও শোকে স্তব্ধ। ‘শিরোনামহীন’র ভোকাল শেখ ইশতিয়াক বলেছেন, ‘কোনোভাবেই মানতে পারছি না!’।

বিজ্ঞাপন
গায়ক ও গিটারিস্ট আহসান তানভীর পিয়াল

২০১৭ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল ‘অড সিগনেচার’। অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যান্ডটি গ্রহণযোগ্যতা পায়। তাদের ‘আমার দেহখান’ গানটি অন্তর্জালে বিপুল জনপ্রিয়। এছাড়া ‘প্রস্তাব’, ‘দুঃস্বপ্ন’, ‘মন্দ’ শিরোনামের গানগুলোও সাড়া পেয়েছে।

প্রসঙ্গক্রমে আরেকটি ঘটনা মনে করিয়ে দেওয়া। ২০০৫ সালের ২০ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিল সেই সময়ের তুমুল জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক’। পথেই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তাহসান-জন-জাহানেরা। এতে তাদের সতীর্থ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইমরান আহমেদ চৌধুরী মুবিন মারা যান এবং গুরুতর আহত হন বেজ গিটারিস্ট মিরাজ ও ড্রামার টনি। সেই ঘটনার পরই মূলত ‘ব্ল্যাক’র ছন্দপতন হয়। সদস্যরা দলছুট হয়ে একক শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

একই রাতে মঞ্চে ব্ল্যাক

দীর্ঘ দুই দশক পর শনিবার (১০ মে) রাতে ফের ‘ব্ল্যাক’র চিরচেনা সদস্যরা একত্রে মঞ্চে উঠেছেন, পারফর্ম করেছেন। সেই রাতেই কিনা আরেকটি ব্যান্ড দুর্ঘটনার কবলে, বাংলার পথে!