কান ফিল্ম ফেস্টিভালের মতো মর্যাদাসম্পন্ন আসরে দেখানো হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের বায়োপিক। এই বায়োপিকের নাম ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’। আলি আব্বাসির পরিচালনায় তৈরি ছবিটি গত ২০ মে দেখানো হয় কানে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম থাকবে, আর সেখানে বিতর্ক থাকবে না; তা কী হয়! তাইতো তার বায়োপিকের একটি দৃশ্য নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক!
এই সিনেমায় ট্রাম্পের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সেবাস্টিয়ান স্ট্যান। আর তার প্রথম স্ত্রী ইভানার চরিত্রে অভিনয় করলেন বুলগারিয়ান অভিনেত্রী মারিয়া বাকালোভা। ১৯৭৬ সালে ইভানার সঙ্গে ট্রাম্পের দেখা হয়। আর ২০২২ সালে ইভানার মৃত্যু হয়। ট্রাম্পের তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিকের মা ইভানা।
সিনেমায় দেখানো হয় প্রথম স্ত্রীকে ধর্ষণ করছেন ট্রাম্প। আর এতেই তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে ডিভোর্সের মামলা চলাকালীন ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। পরে যদিও সেই অভিযোগ তুলে নেন।
বায়োপিকে দেখানো হয়েছে ট্রাম্পের ভুঁড়ি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ইভানা। আর তা সহ্য করতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ধর্ষণ করেন স্ত্রীকে। এই ঘটনা সামনে আসতেই নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাম্পের টিম। সিনেমাটিকে তারা ‘আবর্জনা’ এবং ‘মানহানি’ বলে অভিহিত করেছেন। রেগে গিয়েছেন ট্রাম্পের অনুরাগীরাও। অবশ্য, পরিচালক আলি আব্বাসির বক্তব্য, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া আগে দর্শক বা ট্রাম্পের অনুগামীরা যাতে পুরো সিনেমাটি ভালো করে দেখেন।
‘হীরামণ্ডি’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে দারুণ সফলতার পর আজ ব্যাচেলর জীবন ঘুচিয়ে নতুন জীবনে পা রাখলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা।
বলিউডেরেই তরুণ অভিনেতা জহির ইকবালের সঙ্গে তার বিয়ের ছবি নিজেই শেয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামে।
এতো ছিমছাম বিয়ের সাজ আলিয়া ভাটকে ছাড়া আর কোন বলিউড নায়িকাকে দেখা যায়নি। তবে সোনাক্ষী যেন আলিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আলিয়া তাও মাথায় একটু টিকলি পরেছিলেন, সোনাক্ষী সেটিও পরেননি। যেন একেবারেই আটপৌরে সাজ অভিনেত্রীর। তারমধ্যেও সাদা হেভি অ্যাম্বিলিশমেন্ট করা শাড়িতে বিয়ের আনন্দ ঠিকরে পড়ছে চোখে মুখে। সোনাক্ষীর ভেতরের আনন্দই যেন তার গ্ল্যামার।
বর জহির ইকবালও পরেছেন সাদা পাজামা পাঞ্জাবী। সোনাক্ষীর মতো পাত্রী পেয়ে নিশ্চয়ই তিনিও দারুণ খুশি। সেই খুশির ঝলক রয়েছে তার চেহারায়ও।
সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ে ঘটনা এখন মুম্বাইয়ের টক অব দ্য টাউন। একেতো বর সোনাক্ষীর চেয়ে বয়সে ছোট। তার ওপর দুজন দুই ধর্মের! তবে এই তারকা যুগল বিয়ের বিষয়ে একেবারেই মুখ বন্ধ রেখেছিলেন।
তারপরও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায় এই হেভিওয়েট ওয়েডিংয়ের খুটিনাটি। এরইমধ্যে ফাঁস হয়েছে বিয়ের কার্ড। সঙ্গে লাভ বার্ডদের অডিও ক্লিপিংস, যাতে তারা এক অভিনব কায়দায় অতিথিদের বিয়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিয়ের কার্ডের ডিজাইনেও রয়েছে দারুণ নতুনত্ব। হুট করে দেখলে মনে হবে কোন ম্যাগাজিনের কভার। তাতে জুড়ে দিয়েছেন এক আজব শর্ত! বিয়ের কার্ডে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, বিয়েতে লাল পোশাক পরে আসা যাবে না! বিয়ের কার্ডের চমক এখানেই শেষ নয়। তাতে রয়েছে একটি কিউআর কোড। সেটি স্ক্যান করলেই শোনা যাচ্ছে প্রায় এক মিনিটের অডিও বার্তা। তাতে সোনাক্ষী এবং জহির বলছেন, বিগত সাত বছর ধরে একসাথে রয়েছি আমরা। অভিমান আর ভালোবাসা নিয়ে কাটিয়েছি এতোগুলো বছর। এতোদিন আমরা ছিলাম চর্চিত প্রেমিক-প্রেমিকা। এখন অফিসিয়ালি স্বামী স্ত্রী হতে চলেছি।
নায়িকার বিয়ের কার্ড যে সত্যি ইউনিক একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সবচেয়ে নজর কেড়েছে তাদের সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের কথা। আজকাল খুব দ্রুত সম্পর্কগুলো ভেঙে যায়, সেখানে সাত বছর নিঃসন্দেহে বিরাট ব্যাপার।
ঈদের সিনেমা ‘তুফান’-এর আইটেম গান ‘দুষ্টু কোকিল’ এখন দারুণ আলোচনায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার গাওয়া এই গান গড়ছে নানা রেকর্ড। অফিসিয়াল দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের মাত্র একদিনের মাথায় গানটি ৫ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করে। এখন পর্যন্ত ভিউ প্রায় ১২ মিলিয়ন।
শুধু তাই নয়, গত শনিবার রাত থেকে গানটি উঠে এসেছে বাংলাদেশের ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে! এর আগে ট্রেলারে অল্প কিছু অংশতেই বাজিমাত করে ‘দুষ্টু কোকিল’! মোটামুটি অনুমেয়ই ছিল যে গানটি মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসবে! হলোও তাই। আকাশ সেনের সুর, কথা ও সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী কনা। পারফর্ম করেছেন ‘তুফান’-এর নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। শাকিব খানকেও দেখা গেছে।
এগুলো তো গেল সাধারন দর্শকের থেকে পাওয়া রি-অ্যাকশন। এবার কনা যে শিল্পীকে নিজের গানের জীবনের আইডল মনে করেন সেই কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লাও করলেন গানটির প্রশংসা।
আগামীকাল রুনা লায়লা তার সঙ্গীত ক্যারিয়ারের ৬০ বছর পার করবেন। এ প্রসঙ্গে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলার সময় উঠে আসে সাম্প্রতিক সময়ের সিনেমার গানের প্রসঙ্গও। তখন রুনা লায়লাকে আলোচিত গান ‘দুষ্টু কোকিল’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘গানটি আমি শুনেছি। সবার মতো আমারও গানটি ভালো লেগেছে। আসলে ভালো গান হলে তা সবাই পছন্দ করবে। এই গানের কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজন ভালো হয়েছে। তাই দর্শক সহজে গানটি আপন করে নিয়েছে।’
রুনা লায়লা আলাদা করে কনার প্রশংসা করে বলেন, ‘গানটির গায়িকা কনা আমার স্নেহের মানুষ। সে আমাকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করে। গানটি মুক্তির পর সেই আমাকে লিংক পাঠায়। আমি শুনে তাকে বলেছি, কনা আমার গানটি পছন্দ হয়েছে। তুমি ভালো গেয়েছো। তোমার এক্সপ্রেশনগুলো গানটির সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে গেছে। কনার জন্য দোয়া থাকলো, সে যেন আরও ভালো ভালো গান আমাদের উপহার দেয়।’
বিষয়টি কনাকে জানানোর পর তিনি ভীষণ আপ্লুত হয়ে পড়েন। বার্তা২৪.কমকে কনা বলেন, ‘আসলে আমি রুনা লায়লার কতো বড় ভক্ত তা তিনি জানেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে প্রায় সব ইন্টারভিউতে বলে আসছি আমার গানের আইডল রুনা লায়লা ম্যাডাম। তিনি অসম্ভব ভার্সেটাইল একজন শিল্পী। তিনি যেমন জটিল ক্ল্যাসিক্যাল গানে পারদর্শী, তেমনি মিষ্টি রোমান্টিক গানেও তার কণ্ঠ পারফেক্ট। তিনি গজল যেমন অসাধারন গাইতে পারেন তেমনি চটুল কথার গানগুলোও তার কণ্ঠে অণ্যরকম মাদকতা তৈরী করে। আমি যেহেতু তাকে অনুসরন করি, তাই আমার কাছে যে ধরনের গানই আসুক না কেন আমিও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে থাকি। এজন্য রোমান্টিক কিংবা স্যাড গানের পাশাপাশি আমাকে আইটেম গানেও পাওয়া যায়।’
কনা আরও বলেন, ‘গানটি রুনা লায়লা ম্যাডাম পছন্দ করেছেন, এটি আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। কারণ তিনি নিজেই আস্ত একটা গানের ইনস্টিটিউশন। তার প্রশংসা পাওয়া কোন অ্যাওয়ার্ডের চেয়ে কম কথা নয়। তাকে গানটি পাঠানোর পর তিনি আমাকে তার ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন, আমাকে দোয়াও করেছেন। তবে সেই অনুপ্রেরণা আমি একান্তই নিজের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আপনি নিজেই তার কাছ থেকে বিষয়টি জেনেছেন এখন আমার বলতে কোন দ্বিধা নেই যে রুনা ম্যাডাম দুষ্টু কোকিল-এর প্রশংসা করেছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
সঞ্জয়লীলা বানসালীর ‘হীরামণ্ডি’ ওয়েব সিরিজে দারুণ সফলতার পর আজ ব্যাচেলর জীবন ঘুচিয়ে নতুন জীবনে পা রাখার কথা বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহার। বলিউডের তরুণ অভিনেতা জহির ইকবালের সঙ্গে তার বিয়ের ঘটনা এখন মুম্বাইয়ের টক অব দ্য টাউন।
একেতো বর সোনাক্ষীর চেয়ে বয়সে ছোট। তার ওপর দুজন দুই ধর্মের! তবে এই তারকা যুগল বিয়ের বিষয়ে একেবারেই মুখ বন্ধ রেখেছেন।
তারপরও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গেলো এই হেভিওয়েট ওয়েডিংয়ের খুটিনাটি। এরইমধ্যে ফাঁস হয়েছে বিয়ের কার্ড। সঙ্গে লাভ বার্ডদের অডিও ক্লিপিংস, যাতে তারা এক অভিনব কায়দায় অতিথিদের বিয়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিয়ের কার্ডের ডিজাইনেও রয়েছে দারুণ নতুনত্ব। হুট করে দেখলে মনে হবে কোন ম্যাগাজিনের কভার। তাতে জুড়ে দিয়েছেন এক আজব শর্ত! বিয়ের কার্ডে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, বিয়েতে লাল পোশাক পরে আসা যাবে না! কিন্তু কেন? অভিনেত্রীর হঠাৎ লালে এতো আপত্তি কেন? অতিথিদের আবার কেউ এমন শর্ত দেয় নাকি?
না, এ বিষয়ে সোনাক্ষী কিছুই জানাননি। তবে নেটিজেনদের ধারনা, বিয়েতে শুধু নববধূই লাল রঙের পোশাক পরবেন। অন্যদের সঙ্গে পোশাকের রঙ মিলে গেলে তাকে আর স্পেশ্যাল লাগবে না এই চিন্তা থেকেই হয়তো অতিথিদের লাল পরতে নিষেধ করেছন।
বিয়ের কার্ডের চমক এখানেই শেষ নয়। তাতে রয়েছে একটি কিউআর কোড। সেটি স্ক্যান করলেই শোনা যাচ্ছে প্রায় এক মিনিটের অডিও বার্তা। তাতে সোনাক্ষী এবং জহির বলছেন, বিগত সাত বছর ধরে একসাথে রয়েছি আমরা। অভিমান আর ভালোবাসা নিয়ে কাটিয়েছি এতোগুলো বছর। এতোদিন আমরা ছিলাম চর্চিত প্রেমিক-প্রেমিকা। এখন অফিসিয়ালি স্বামী স্ত্রী হতে চলেছি।
নায়িকার বিয়ের কার্ড যে সত্যি ইউনিক একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সবচেয়ে নজর কেড়েছে তাদের সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের কথা। আজকাল খুব দ্রুত সম্পর্কগুলো ভেঙে যায়, সেখানে সাত বছর নিঃসন্দেহে বিরাট ব্যাপার।
শোনা যাচ্ছে, সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ের আসর বসছে শিল্পা শেঠীর রেস্তোরা ‘বাস্তিয়ান’-এ। শুরুতে শোনা গিয়েছিল ছিমছামভাবে বিয়েটা সারবেন এই তারকা জুটি। তবে আস্তে আস্তে জানা যাচ্ছে বলিউডের অন্য বিয়ের মতো এটিও হবে দারুণ জমকালো। অভিনেত্রী তার বিয়েতে আবুজানি স্বন্দীপ খোসলার ডিজাইন করা সারারা পরবেন বলেও জানা গেছে।
যেন আজীবন এভাবে গেয়ে যেতে পারি: ক্যারিয়ারে ৬০ পেরিয়ে রুনা লায়লা
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
আগামীকাল সঙ্গীত ক্যারিয়ারে বর্ণাঢ্য ছয় দশক (৬০ বছর) পার করবেন উপমহাদেশের অন্যতম সেরা শিল্পী রুনা লায়লা। বাংলা গানের ভাণ্ডার তার অসম্ভব সমৃদ্ধ। হিন্দি ও উর্দু ভাষায়ও রয়েছে তার কালজয়ী একাধিক গান। মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি গান করেছেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ‘স্বাধীনতা পদক’-এ তিনি ভূষিত হয়েছেন অনেক বছর আগে। চলচ্চিত্রে গান পেয়ে পেয়েছেন ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। জীবন্ত কিংবদন্তী এই গায়িকা জীবনের এমন শুভলগ্নে কথা বলেছেন বার্তা২৪.কমের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
ছয় দশক, বিরাট ব্যাপার। আপনি সমান ব্যস্ততার সঙ্গে গানের ক্যারিয়ারে ৬০টি বছর পার করলেন। বিষয়টি ভাবতে কেমন লাগছে?
সত্যি ভাবতে অবাক লাগছে! বুঝতেই পারছি না এতোটা বছর কিভাবে গানের সঙ্গে কেটে গেলো। আমি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসম্ভব কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে যে জীবনটা দিয়েছেন, তার কোন তুলনা হয় না। সৃষ্টিকর্তার রহমত, বাবা মায়ের সহযোগীতা এবং আমার গুরুদের আশির্বাদে এতোটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছি।
আজ অন্তর থেকে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করছে আমার ভক্ত-দর্শক-শ্রোতাদের। তারা আমার গান পছন্দ করেছেন সারাটা জীবন। তাই আমি এখনো গেয়ে যাচ্ছি। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসা, সমাদর আর শ্রদ্ধা আমি পেয়েছি তা বর্ননা করা যাবে না। এমন ভালোবাসা ক’জনের ভাগ্যে জোটে আমি জানি না।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আজীবন এভাবে গেয়ে যেতে পারি। এখনো অনেক গান করতে চাই। আরও ভালো ভালো কিছু গান সবাইকে উপহার দিতে চাই।
স্কুল জীবন থেকেই পেশাদার শিল্পী হিসেবে পথচলা আপনার। যখন শুরু করেছিলেন তখন কি ভেবেছিলেন ছয় দশক পরও মানুষ আপনার গান শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে থাকবে?
(মৃদু হাসি) একদম ভাবিনি। এটা আসলে কেউ ভাবতে পারেও না। কারণ ভবিষ্যতে কি হবে সেটা তো আমরা আগে থেকে জানতে পারি না। তবে এটা স্বপ্ন দেখতাম, একদিন সবাই আমার গান পছন্দ করবে, আমাকে গানের মাধ্যমে ভালোবাসবে।
ইউনিক গায়কীর জন্য আপনি প্রসিদ্ধ। এই গায়কী কতো শতাংশ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত আর কতো শতাংশ চর্চার ফসল বলে মনে করেন?
গান আসলেই সাধনার বিষয়, গুরুমূখী বিদ্যা। তবে অনেকে কোন তালিম ছাড়াও গাইতে পারেন। তার মানে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একটা বিষয় আছে আর চর্চারও একটা বিষয় আছে। সৃষ্টিকর্তা কাউকে গলায় সুর না দিলে চেষ্টা করেও সুরেলা করা যায় না। তবে কারও সুর ভালো হলেই হয় না। প্রতিনিয়ত চর্চা ও সাধনার ফলে কণ্ঠ শাণিত হয়। তখন সেই কণ্ঠে গান হয়ে ওঠে মোহনীয়।
৬০ বছর পার করার পরও আপনি আপনার গায়কী ধরে রেখেছেন। যেটা অনেক শিল্পীর ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। এটি কিভাবে হয়েছে?
আমি আসলে জীবনটা বহুকাল আগে থেকেই ডিসিপ্লিনের মধ্যে এনেছি। শুধু নিয়ম করে গলা সাধলেই হয় না। পুরো জীবনপ্রণালী হতে হয় নিয়মতান্ত্রিক। এক্ষেত্রে সারগাম করা যেমন ইমপরটেন্ট, তেমনি রয়েছে খাদ্যাভ্যাস, শরীরের প্রতি যত্নশীল হওয়া, মোস্ট ইমপরটেন্টলি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়া। শিল্পীকে দীর্ঘকাল তার শিল্পস্বত্তার মধ্যে নিবিষ্ট থাকতে হলে তার চারপাশটা সুস্থ ও সুন্দর রাখতে হয়। পজিটিভ চিন্তা ভাবনা, পজিটিভ এনার্জির সঙ্গে ওঠাবসা করা এবং নিজেকে প্রতিনিয়ত ইমপ্রুভ করার মানসিকতা থাকতে হয়।
আমি মনে করি, গানের মহাসমূদ্রে আমি কেবল তীরে এসে পৌঁছানো এক মুসাফির! এখনো কতোকিছু শেখার বাকী। এখনো আমি শিখে চলেছি। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত শিখে যাবো, আর নতুন সৃষ্টিতে সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে যাবো। এই কাজটি করি বলেই হয়তো দর্শক আমার গান এখনো পছন্দ করেন, আমাকে নতুনভাবে ফিরে পান।
আপনার গান অসংখ্য শিল্পীর অনুপ্রেরণা। আপনি কোন শিল্পীর গান শুনে অনুপ্রাণীত হতেন?
লতাজি’র (লতা মঙ্গেশকর) কথা সবার আগে বলতে হয়। এছাড়া আশাজি (আশা ভোসলে), নুরজাহান ও আমাদের দেশের ফেরদৌসী রহমান আপা, আঞ্জুমান আরা আপার কথা বলতেই হয়। লতাজি-আশাজি’র সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল পরিবারের মতো। লতাজি চলে যাওয়ার আগে প্রায় প্রতিদিনই তার সঙ্গে ওয়াটস্যআপে ইন্টার্যাকশন হতো। যেদিন কথা বলতাম অনেক লম্বা হতো সেই আলাপ। এখন আশাজির সঙ্গেও একই রকম যোগযোগ রয়েছে।