আলিয়ার পারফরমেন্স তুলে ধরল অস্কার কর্তৃপক্ষ!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে আলিয়া ভাট

‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে আলিয়া ভাট

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। সে কথা এখন তার নিন্দুকরাও শিকার করেন। এই অভিনেত্রীর সময় দারুণ কাটছে। ব্যক্তিজীবনে স্বামী রণবীর কাপুর ও কন্যা রাহাকে নিয়ে খুব সুখে আছে।

আর পেশাগত জীবনেও এই দম্পতি দারুণ সফলতা দেখাচ্ছেন। তারমধ্যে আলিয়া আবার দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে নিজেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রমশই প্রস্ফূটিত করছেন। সম্প্রতি ফ্যাশন জগতের সবচেয়ে চর্চিত ইভেন্ট মেট গালায় সব্যসাচী মুখার্জির লম্বা আচলওয়ালা শাড়িতে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে।

মেট গালায় আলিয়া ভাট

এরইমধ্যে হলিউডে অভিষেকও হয়েছে তার। বিশ্ববিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ তারকার তালিকায় বলিউড থেকে একমাত্র তার নামই এসেছে। এবার বিশ্ব সিনেমার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘অস্কার’-এর সঙ্গে নাম জুড়ে গেল আলিয়া ভাটের।

প্রতি বছর বিশ্ব সিনেমার সেরা ট্যালেন্টদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি সারা বছরই অন্তর্জালের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সিনেমা, শিল্পী-কুশলীদের উৎসাহ দেয় সংস্থাটি। তারই অংশ হিসেবে এবার অস্কারের ইন্সটাগ্রাম পেজে জায়গা পেলেন আলিয়া। এই পেজ থেকে আজ শেয়ার করা হয়েছে আলিয়া অভিনীত ২০১৯ সালের সিনেমা ‘কলঙ্ক’র জনপ্রিয় গান ‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’র ক্লিপ। ভিডিওর সঙ্গে অস্কার কর্তৃপক্ষ ক্যাপশনে লিখেছে, “কলঙ্ক’ সিনেমার ‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে পারফর্ম করছেন আলিয়া ভাট। গানটি গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল।”

‘ঘর মোরে পারদেসিয়া’ গানে আলিয়া ও মাধুরী

এছাড়া ছবিটির আরও কিছু তথ্যও যোগ করা হয়েছে পোস্টে। যেমন ছবির নির্মাতা অভিষেক বর্মণ, অভিনয়শিল্পী আলিয়া ভাট, মাধুরী দিক্ষীত, বরুণ ধাওয়ান ও সোনাক্ষী সিনহার নাম। পাশাপাশি গানের কম্পোজার হিসেবে প্রীতম চক্রবর্তী ও গীতিকবি অমিতাভ ভট্টাচার্যের কথাও উল্লেখ রয়েছে পোস্টে।

অস্কার কর্তৃপক্ষের পোস্ট দেখে উচ্ছ্বসিত আলিয়া। পোস্টটি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন তিনি। অন্যদিকে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ধর্মা প্রোডাকশন থেকে মন্তব্য করা হয়েছে ‘আইকনিক’।

   

পরিকল্পনা করে বিয়ের খবর গোপন করিনি: আইরিন



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বিয়ের মঞ্চে আইরিন ও তার স্বামী / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

বিয়ের মঞ্চে আইরিন ও তার স্বামী / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটপর্দার পরিচিত মুখ আইরিন আফরোজ। মডেলিং ও টিভি নাটকে সাবলিল উপস্থিতি দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন। এই তারকা সাত মাস আগেই বিয়ের পীড়িতে বসেছেন। তবে সেই খবর জানাজানি হয়েছে সদ্য। কেন এতোদিন বিয়ের খবর জানাননি? কখন কিভাবে বিয়েটা হলো? এসব নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ

আইরিন আফরোজ

নতুন জীবন শুরু করেছেন, অভিনন্দন। যদিও সাত মাস আগেই বিয়েটা করেছেন...


ধন্যবাদ। হ্যাঁ বিয়েটা করেছি গত বছরের ডিসেম্বরে। তবে কোরবানির ঈদের সময় ফেসবুকে স্বামীর সঙ্গে ছবি দেখে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় এখন অনেকেই আমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। যেদিন প্রথম খবরটি মিডিয়ায় আসে তার পরদিন ঘুম থেকে উঠে আমি তো অবাক। ফোন, এসএমএস, ইনবক্স, সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টে ভরে যায়। সবাই নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। আমার খুব ভালো লাগছে।

নব দম্পতি বাবু ও আইরিন / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর এতোদিন পরে কেন জানালেন?


আমি জানি, অনেকে এই বিষয়েও কথা তুলেছেন। কারণ শোবিজে এর আগে অনেক তারকা বিয়ে-বাচ্চা লুকানোর নিউজ খুব সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তারা কেন এই কাজ করেছেন তা আমি জানি না। তবে আমার বিষয়টি বলতে পারি যে, ক্যারিয়ারে প্রভাব পড়বে, ডিমান্ড কমে যাবে, দর্শকপ্রিয়তা হারাবো এসব চিন্তা থেকে নয়। কারণ ২০২৪-এ এসে বিয়ের কারণে এসব হয় না। আমি আসলেই কোন পরিকল্পনা করে বিয়ের খবর গোপন করিনি!

বিয়েটা যে গোপন করেছি তাও কিন্তু নয়। আমার আশেপাশের মানুষ বা যেসব সেটে কাজ করেছি, যারা বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করেছেন সবাইকে বিয়ের ব্যাপারে জানিয়েছি। তবে এটা ঠিক যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি দিয়ে বিয়ের ঘোষণা করিনি!

আইরিন আফরোজ

কারণ, আমার বিয়েটা খুবই দ্রুত সিদ্ধান্তে হয়েছে। তখন আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না! বিয়ের কিছুদিন আগেই আমার আব্বুকে হারাই। তিনি বরাবরই চাইতেন, আমি বিয়ে করে সুখী হই। এমনকি মৃত্যুর আগে হাসপাতালে থাকাকালীন আমার বিয়ে নিয়ে কথা বলেছেন। তারপর তো তিনি চলেই গেলেন! এজন্য আমি ভাবলাম দ্রুতই বিয়েটা সেরে ফেলা উচিত। এতে আব্বুর আত্মা শান্তি পাবে।

তাছাড়া বরাবরই চেয়েছি, আমার বিয়েটা হবে খুব সুন্দর আয়োজন করে। সেই ছবি উৎসাহ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করবো। কিন্তু সেভাবে তো বিয়েটা করতে পারিনি। তাই ইচ্ছে ছিল এ বছরেই সবাইকে জানিয়ে বড় পরিসরে বিয়ের আয়োজন করার। তার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীর সঙ্গে ছবি দেখে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়ে গেছে।

স্বামীর সঙ্গে আইরিনের রোমান্টিক মুহূর্ত / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

আপনার স্বামী তো শোবিজের বাইরের মানুষ। তার সম্পর্কে জানতে চাই...


আমার স্বামীর নাম মেহেদী হাসান চৌধুরী, ডাকনাম বাবু। সে একজন শিক্ষিত মানুষ, সফল ব্যবসায়ী। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে তাদের পরিবারের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সবাই বলতে গেলে ইতালি নয়তো লন্ডনে থাকেন। শুধু আমি আর আমার স্বামীই মিরপুরে আছি। বাবু আমার দেখা সবচেয়ে ভালো মানুষদের একজন। পার্টনারকে সম্মান করা, স্পেস দেয়া, তার কাজকে সম্মান করা, কাজে অনুপ্রেরণা দেওয়া- সব গুণই তারমধ্যে আছে। এমনও হয় যে, আমি কিছুদিন অলসতার জন্য শুটিং না করলে সে-ই আমাকে বলে, ‘এভাবে বসে থেকো না। শুটিং করো, কারণ তুমি অভিনয়টা ভালোবাসো। আমি তো সারাক্ষণ ঘর সংসার সামলাবে এমন মেয়ে করিনি। তুমি একজন অভিনেত্রী, দর্শক তোমাকে ভালোবাসে, তাদের জন্য হলেও তোমাকে কাজ করতে হবে।’

আমি অবশ্য সংসারটা মন দিয়েই করি। আগের মতো প্রতিদিন শুটিং করি না। আমার রান্না খেতে বাবু খুব ভালোবাসে। তার জন্য রান্নাটা আমিই করি। এবার কোরবানির ঈদে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বড় পাতিলে গুরুর মাংস করেছি। তা দেখে গ্রামের মানুষ তো অবাক, বলছে- আপনি নায়িকা মানুষ। রান্না বান্নাও পারেন (হাহাহা)।

বিয়ের মঞ্চে আইরিন ও তার স্বামীর মালাবদল / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

বিয়েটা কিভাবে হলো?


একেবারেই ঘরোয়াভাবে দুই পরিবারের ক্লোজ আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বিয়েটা করেছি। অবশ্য বাবা আমার বিয়েটা দেখে যেতে পারেননি। তবে তিনি অসুস্থ অবস্থায় বাবুকে দু-একবার দেখেছেন। তখন আমি আব্বুকে বলেছি বাবু আমার খুব ভালো বন্ধু। তখন আমরা প্রেমের সম্পর্কে ছিলাম। আব্বুও বলেছিলেন, ‘ছেলেটা খুব ভালো। নামাজ-কালাম করে, তুমি ডাকা মাত্র চলে এসেছে, তার মানে তোমাকে কেয়ার করে।’ বাবা একথা বলার পরই আসলে বিয়েটা দ্রুত করার সিদ্ধান্ত নিই।

স্বামীর সঙ্গে আইরিনের রোমান্টিক মুহূর্ত

আপনাদের পরিচয় কিভাবে?


আমার একটা ফ্রেন্ড সার্কেল ছিল। তাদের মাধ্যমেই বাবুর সঙ্গে পরিচয় ২০১৬-১৭ সালের দিকে। তখনই আমরা বেশ ভালো বন্ধু হয়ে উঠি। কিন্তু কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। একটা পর্যায়ে আমাদের ওই সার্কেলটার যোগাযোগ কমে যায়। যে যার লাইফ গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কোভিডের পর আবার ফ্রেন্ড সার্কেলটার রিইউনিয়ন হয়। এবার আমরা সবাই আগের চেয়ে অনেক ম্যাচুরড। আমি আর বাবু দুজনই বিয়ের ব্যাপারে মানসিকভাবে প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলেছিলাম। দুজন দুজনকে মনে হয়েছে একসঙ্গে আমরা থেকে যেতে পারবো। এই চিন্তা থেকেই প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো।

বিয়ের মঞ্চে আইরিন ও তার স্বামী / ছবি : শিল্পীর সৌজন্যে

বাবু লাইফ পার্টনার হিসেবে সত্যি খুব ভালো। আমি যেমনটা চেয়েছিলাম, তেমনটাই। আমার স্বামীর অনেক টাকা থাকবে, দেখতে রাজপুত্রের মতো হবে- সেগুলো চাইনি। চেয়েছি এমন একজন মানুষ যে আমার সঙ্গে সম্পর্কে সৎ থাকবে, আমাকে বুঝবে। যদিও আমার স্বামীর বাড়ি গাড়ি সব আছে, সিক্স প্যাক অ্যাবস আছে (হাহাহা)- এগুলো তো আসলেই বাড়তি পাওনা! সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন আজীবন একসঙ্গে দারুণভাবে কাটিয়ে দিতে পারি।

;

টাকা নয়, তাহসানের সঙ্গে কাজের কারণ জানালেন মিথিলা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা

তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন সাবেক তারকা দম্পতি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। আরিফুর রহমানের ‘বাজি’ শিরোনামের ওয়েব সিরিজে দেখা গেছে তাদের। বিচ্ছেদের পর একসঙ্গে দুজনের অভিনয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, সন্তান তাদের এক করতে না পারলেও টাকার জন্য একত্র হয়েছেন তাহসান-মিথিলা! তাহসানের সঙ্গে পর্দায় ফেরা ও সমালোচনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন মিথিলা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেন, ‘২০১৬-এর পরে আমরা আর কাজ করিনি। ২০১৭ সালে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এত বছর বাদে কাজ করলাম, লোকে আবার অনেক কথা বলতে শুরু করল। টাকার জন্য মিথিলা-তাহসান একসঙ্গে কাজ করল, অথচ বাচ্চার জন্য একসঙ্গে থাকতে পারল না! লোকে তো জানেই না আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। আমরা খুব ভালো আছি। দর্শক ভাবছে ২০১৬-এর পরে ২০২৪-এ মিথিলা আর তাহসানের দেখা হল। এটা তো নয়, আমাদের তো প্রতিদিন কথা হয়। ব্যাপারটা ও রকম নয় যে বহু বছর পরে দুজনের দেখা।’

`বাজি' সিরিজের প্রেস কনফারেন্সেও দুজন দুজনের বেশ প্রশংসাও করেন

সাক্ষাৎকারে মিথিলা আরও জানান, বিচ্ছেদ হলেও তাহসানের সঙ্গে এখনও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তার। মিথিলার ভাষ্য, ‘সব সম্পর্কে বন্ধুত্ব না-ও থাকতে পারে। কিন্তু সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য আমার কাছে সবচেয়ে আগে। এটাই উচিত। আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। এছাড়াও আমি আর তাহসান চোদ্দো বছর একসঙ্গে থেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের আলাপ। দুজন দুজনকে ভালো করে জানি। তবে, আয়রা সৃজিতকে ‘আব্বু বলে, তাহসানকে ‘বাবা’, এই দুইয়ের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আমি’।

`বাজি' সিরিজের প্রেস কনফারেন্সেও দুজন দুজনের বেশ প্রশংসাও করেন। এ তারকারা প্রমাণ করলেন স্বামী-স্ত্রী আলাদা হলেও বাবা-মা কখনই আলাদা হয় না। এ বন্ধন সারা জীবনের।

;

‘কল্কি’ মুক্তির আগেই তুলে আনলো খরচের অর্ধেক!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কল্কি’ ছবির লুকে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রভাস ও অমিতাভ বচ্চন

‘কল্কি’ ছবির লুকে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রভাস ও অমিতাভ বচ্চন

  • Font increase
  • Font Decrease

আর মাত্র দুই দিন পরেই (২৭ জুন) মুক্তি পাচ্ছে বলিউডের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। নাগ অশ্বিন পরিচালিত এই ছবিতে দেখা যাবে প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসানের মতো তুখোড় অভিনেতাদের! 

৬০০ কোটি বাজেটের এই ব্যয়বহুল ছবিটি মুক্তির আগেই জানা গেলো দারুণ খবর! প্রযোজকরা জানালেন, মুক্তির আগেই নাকি নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় অর্ধেক খরচ ঘরে তুলে নিতে পেরেছেন তারা!

‘কল্কি’ ছবির পোস্টার

বলিপাড়ায় গুঞ্জন, মুক্তির আগেই ৩৯৪ কোটি টাকা আয় করে ফেলছে প্রভাসের ‘কল্কি’। শোনা যাচ্ছে, যে অনুপাতে এই সিনেমার সত্ব অন্ধ্রপ্রদেশে বিক্রি হয়েছে তা থেকে ৮৫ কোটি টাকা আয় হয়েছে। কিছু সত্বের বিনিময়ে ২৭ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। হায়দরাবাদের নিজাম সত্ব মারফত আয় ৭০ কোটি টাকা। ফলে অন্ধ্রপ্রদেশ টেকনোলজি সার্ভিস থেকে ছবির মোট আয় ১৮২ টাকা।

এভাবেই তামিলনাড়ু এবং কেরালা থেকে ছবির আয় ২২ কোটি টাকা। কর্ণাটক থেকে প্রাপ্তি ৩০ কোটি টাকা। আর গোটা উত্তর ভারত থেকে ৮০ কোটি টাকার ব্যবসা করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বিদেশের সত্বের বিনিময়ে আরও ৮০ কোটি টাকা ধরা হচ্ছে। এই সমস্ত কিছু মেলালে মুক্তির আগেই ‘কল্কি’র আয়ের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৩৯৪ কোটি টাকা। এর পর আবার অগ্রিম বুকিংও রয়েছে।

‘কল্কি’ ছবির লুকে প্রভাস

মহাভারতের উপর ভিত্তি করেই ‘কল্কি’তে ভবিষ্যতের গল্প সাজিয়েছেন পরিচালক নাগ অশ্বিন। এই ছবির সুবাদেই দীর্ঘ ৩৮ বছর পর অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন কমল হাসান। অশ্বথামার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিগ বি। আর কমল হাসান প্রধান খল চরিত্র সুপ্রিম ইয়াসকিন। ভৈরবের ছায়াসঙ্গী বুজ্জির জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন দক্ষিনী সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা কীর্তি সুরেশ। আর ছবিতে বাঙালির পাওনা কমান্ডার মানসের চরিত্রে কলকাতার মেধাবী অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।

তথ্যসূত্র : পিঙ্কভিলা

;

দেখুন সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ের মনোরম ছবিগুলো



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বিয়ের দিন নব দম্পতি সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের রোমান্টিক মুহূর্ত

বিয়ের দিন নব দম্পতি সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের রোমান্টিক মুহূর্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘হীরামণ্ডি’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে দারুণ সফলতার পর আজ ব্যাচেলর জীবন ঘুচিয়ে নতুন জীবনে পা রাখলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা।

বলিউডেরেই তরুণ অভিনেতা জহির ইকবালের সঙ্গে তার বিয়ের ছবি নিজেই শেয়ার করেছেন ইন্সটাগ্রামে।

সাদার মায়ায় বিয়ের সাজে ধরা পড়লেন নব দম্পতি সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবাল

এতো ছিমছাম বিয়ের সাজ আলিয়া ভাটকে ছাড়া আর কোন বলিউড নায়িকাকে দেখা যায়নি। তবে সোনাক্ষী যেন আলিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আলিয়া তাও মাথায় একটু টিকলি পরেছিলেন, সোনাক্ষী সেটিও পরেননি। যেন একেবারেই আটপৌরে সাজ অভিনেত্রীর। তারমধ্যেও সাদা হেভি অ্যাম্বিলিশমেন্ট করা শাড়িতে বিয়ের আনন্দ ঠিকরে পড়ছে চোখে মুখে। সোনাক্ষীর ভেতরের আনন্দই যেন তার গ্ল্যামার।

বর জহির ইকবালও পরেছেন সাদা পাজামা পাঞ্জাবী। সোনাক্ষীর মতো পাত্রী পেয়ে নিশ্চয়ই তিনিও দারুণ খুশি। সেই খুশির ঝলক রয়েছে তার চেহারায়ও।

সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ের মনোরম ছবি

সোনাক্ষী-জহিরের বিয়ে ঘটনা এখন মুম্বাইয়ের টক অব দ্য টাউন। একেতো বর সোনাক্ষীর চেয়ে বয়সে ছোট। তার ওপর দুজন দুই ধর্মের! তবে এই তারকা যুগল বিয়ের বিষয়ে একেবারেই মুখ বন্ধ রেখেছিলেন।

তারপরও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায় এই হেভিওয়েট ওয়েডিংয়ের খুটিনাটি। এরইমধ্যে ফাঁস হয়েছে বিয়ের কার্ড। সঙ্গে লাভ বার্ডদের অডিও ক্লিপিংস, যাতে তারা এক অভিনব কায়দায় অতিথিদের বিয়ের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বিয়ের সাজে নব দম্পতি সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবাল

বিয়ের কার্ডের ডিজাইনেও রয়েছে দারুণ নতুনত্ব। হুট করে দেখলে মনে হবে কোন ম্যাগাজিনের কভার। তাতে জুড়ে দিয়েছেন এক আজব শর্ত! বিয়ের কার্ডে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, বিয়েতে লাল পোশাক পরে আসা যাবে না! বিয়ের কার্ডের চমক এখানেই শেষ নয়। তাতে রয়েছে একটি কিউআর কোড। সেটি স্ক্যান করলেই শোনা যাচ্ছে প্রায় এক মিনিটের অডিও বার্তা। তাতে সোনাক্ষী এবং জহির বলছেন, বিগত সাত বছর ধরে একসাথে রয়েছি আমরা। অভিমান আর ভালোবাসা নিয়ে কাটিয়েছি এতোগুলো বছর। এতোদিন আমরা ছিলাম চর্চিত প্রেমিক-প্রেমিকা। এখন অফিসিয়ালি স্বামী স্ত্রী হতে চলেছি।

নায়িকার বিয়ের কার্ড যে সত্যি ইউনিক একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সবচেয়ে নজর কেড়েছে তাদের সাত বছরের প্রেমের সম্পর্কের কথা। আজকাল খুব দ্রুত সম্পর্কগুলো ভেঙে যায়, সেখানে সাত বছর নিঃসন্দেহে বিরাট ব্যাপার।

;