দেশের অন্যতম শক্তিমান অভিনেতা, নির্দেশক ও আবৃত্তিশিল্পী হুমায়ূন ফরীদির জন্মদিন বুধবার। মৃত্যুর এক যুগ পরও তিনি সমান জনপ্রিয় দর্শকের কাছে। এমনকি তার সহকর্মীরা এখনো তাকে মনে করেন বিভিন্ন কাজের সময়। তেমনিভাবে তাঁর জন্মদিনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নিচের ছবিটি শেয়ার করে রুনা লিখেছেন, ‘‘এটা ছিলো তার সাথে আমার শেষ দেখা। ২০০৯-এর জুলাই বা অগাস্ট। দীপন দা’র ‘মায়ের দোয়া পরিবহণ’ নাটকের সেটে ধামরাইয়ে। তখন রাজেশ্বরী পেটে, ১-২ মাস সবে। চলমান কাজগুলো শেষ করে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে চলে যাই। রাজেশ্বরীর জন্মের পর আমার ছোট-বড় তাবত সহকর্মীদের মধ্যে প্রথম এবং একমাত্র জন যিনি আমাকে প্রথম নিজে থেকে ফোন করেন, স্পষ্ট শুনতে পাই আমি এখনো ফরিদী ভাইয়ের ফোনের ওপাশের গলার আওয়াজ, ‘রুনা.. তোমার সন্তান হয়েছে, অভিনন্দন। সন্তানকে নিয়ে ভালো থেকো।’’
বিজ্ঞাপন
হুমায়ূন ফরীদির চলে যাওয়ার দিনটির কথা স্মরণ করে রুনা লিখেছেন, ‘তিনি যেদিন চলে যান, সেদিন আমার হোতাপাড়া শুটিং ছিলো, ‘সাত-সওদাগর’ নাটকের। শুটিংয়ে না গিয়ে আমি ধানমন্ডি যাই। তার খাটের পাশে, ঘরে, বসার-খাবার ঘরে, নীচে গ্যারেজে সারাদিন দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু একবারের জন্যও তার মুখ দেখিনি, হাত স্পর্শ করিনি।’
হুমায়ূন ফরীদির সঙ্গে প্রথম দেখার স্মৃতি এখনো রুনার মনে জ্বলজ্বলে। তিনি লিখেছেন, ‘‘জীবনে প্রথমবার তার মুখ দেখেছিলাম, তার হাত ধরেছিলাম নিকুঞ্জের কাশবনে, ২০০৪ সালে। শমী কায়সার আপার পরিচালনায় একটি টেলিছবিতে ছোট্ট একটা চরিত্রে কাজ করেছিলাম, শমী আপার বান্ধবী। শিল্পী ছিলেন দিলারা আন্টি, ফরিদী ভাই, শমী আপা আর আমি। প্রথম টেলিছবি ওটা আমার, ক্যামেরার আংগেল বুঝি না, বারবার ক্যামেরার দিকে পেছন দিয়ে দাঁড়াই। তিনি আমার হাত ধরে টেনে ঠিক জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিলেন। বললেন, ‘এই মেয়ে এখানে দাঁড়াও, এদিকে তাকিয়ে কথা বলো, ক্যামেরাকে ভয় পাওয়ার কিছু নাই, ক্যামেরা তোমার বন্ধু!’ সেই থেকে অভিনয় জগতে ক্যামেরাই আমার একমাত্র বন্ধু!’’
বিজ্ঞাপন
২০০৮ এ তার পরিচালনায় হুমায়ুন আহমেদের ‘ছায়াবিথী’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘নায়লা’তে নির্বাচিত হন রুনা খান। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিলো রুনা জনপ্রিয় নয় তারপরও কেনো সে সময়কার জনপ্রিয়দেরকে না নিয়ে রুনাকে ‘নায়লা’ চরিত্রে নিলেন?
তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন ‘‘রুনা জনপ্রিয় নয়, তবে ও আমার চোখে এই সময়ের ফাইনেস্ট অভিনেত্রীদের একজন, সেজন্য সে আমার কাছে ‘নায়লা’ !’’
সবশেষে রুনা লিখেছেন, ‘আপনি আমার কাছে এখনো জীবন্ত ফরিদী ভাই। শুভ জন্মদিন। ভালোবাসা। রুনা খান।’
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দেশটির মর্যাদাপূর্ণ ‘বালি যাত্রা উৎসব ২০২৪’ মাতালেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘কল্পতরু’র শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক কূটনীতির অনবদ্য প্রয়াসের অংশ হিসাবে ‘কল্পতরু’র নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয় এই উৎসবে।
প্রতি বছর ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ঐতিহাসিক শহর কটকে অনুষ্ঠিত উৎসবটিকে এশিয়ার বৃহত্তম উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৫-২২ নভেম্বর (২০২৪) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৭ দিনের এই উৎসবে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং স্লোভাকিয়ার বিখ্যাত সব সাংস্কৃতিক দল অংশ নেয়। উড়িষ্যা রাজ্য সরকারের আতিথ্যে উৎসবে অংশ নেয় বাংলাদেশের নৃত্যদল কল্পতরু।
উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দল পৌছালে তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রথায় রাজসিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। উৎসবে যোগ দিয়ে ‘কল্পতরু’ নৃত্য বিদ্যালয়ের ৯ জন শিল্পী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গানের আবহে মনোমুগ্ধকর নাচ পরিবেশন করেন। এছাড়াও উৎসবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ ‘লাঠিখেলা’ এবং ‘রায়বেশে’ পরিবেশনা আয়োজনে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
‘বালি যাত্রা’ উৎসব দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। উৎসবটি ভারত ও বাংলাদেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও নিবিড় করে তুলেছে বলেই মনে করেন এর উদ্যোক্তারা।
উৎসবে যোগ দিয়ে নিজের উচ্ছ্বসিত অনুভূতি তুলে ধরে ‘কল্পতরু’র অধ্যক্ষ ড. লুবনা মারিয়াম বলেন,‘ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গভীর ও বহুমুখী। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু তা আমাদের সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বালি উৎসবে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহণকে ‘দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান শক্তিশালী সম্পর্কের এক অনন্য দৃষ্টান্ত এবং যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রতিফলন’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রাজীব, কালা আজিজ, মুকুল তালুকদার, মতিসহ অনেকেই মারা গেছেন নভেম্বর মাসে। তাদের স্মরণে আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এই মিলাদে অংশ নেন সমিতির শতাধিক শিল্পী। আজ বাদ আসর শিল্পী সমিতির প্রাঙ্গণে এফডিসির মসজিদের ইমাম এই মিলাদ পড়ান।
এ সময় শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর প্রয়াত শিল্পীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন। সভাপতি ছাড়াও এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর এবং কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুব্রত, চুন্নু, রিয়ানা পারভিন পলি, সনি রহমান এবং চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি প্রমুখ।
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বেশ লম্বা সময় পর্দায় নেই। এখনকার ব্যস্ততা, নতুন কাজের পরিকল্পনা, সংসার ভাঙার গুঞ্জন- সব নিয়ে অকপটে কথা বলেছেন বার্তা২৪.কমের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
মাসিদ রণ: দীর্ঘদিন পর্দায় নেই আপনি। কারণ কী?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: বিশেষ কোনো কারণ নেই। দেশ একটা বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেলো। সঙ্গত কারণে সব সেক্টরের কাজের গতিই স্লো হয়ে গিয়েছিলো। এখন আস্তে আস্তে সব স্বাভাবিক হচ্ছে। আমার কাছেও কিছু কাজের প্রস্তাব এসেছে। শুনেছি গত বছরে আমার করা ওয়েব সিরিজ ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’-এর নতুন সিজন নির্মাণ হবে। তবে কোনটাই এ বছর আর করা হবে না। কারণ ডিসেম্বর জুড়েই আমি চাকরীসূত্রে ব্রাকের কাজে দেশের বাইরে থাকবো।
মাসিদ রণ: নতুন বছর নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: সত্যি বলতে নতুন বছর নিয়ে অনেক প্রত্যাশা আমার। নতুন বছরে বেশকিছু কাজ হবে। সবকিছুতেই নতুন নতুন পরিকল্পনা যোগ হবে। দেখা যাক কী হয়।
মাসিদ রণ: কলকাতাতেও নতুন কোন কাজের খবর আছে?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: না, কলকাতায় নতুন কাজে আর যুক্ত হইনি। সর্বশেষ গত ঈদে কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেখানে না গিয়ে কাজ ফাইনাল করা ঠিক না। তবে সেখানে আমার একটি ছবি এখনো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
মাসিদ রণ: অনেকদিন কলকাতা যাচ্ছেন না। সবচেয়ে কী মিস করেন সেখানে?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: কলকাতায় আমি সবচেয়ে বেশি সময় থেকেছি লকডাউনে। সে সময় তো খুব একটা বাইরে বের হওয়া কিংবা কাজ করার উপায় ছিলো না। তাই ঘরের মধ্যেই নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য ছাদে ছোট্ট করে বাগান করা শুরু করি। আস্তে আস্তে সেই বাগানটিই বিশাল হয়ে যায়। কলকাতার কী মিস করি বলতে গেলে সবচেয়ে আগে নিজের হাতে গড়া সেই বাগানের কথাই আসবে।
মাসিদ রণ: সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে সংসারজীবন ভালো যাচ্ছে না, সম্প্রতি এমন খবর এসেছে গণমাধ্যমে। বিষয়টি আপনি পরিষ্কার করলে তো আর দর্শক মনে এ নিয়ে কোন দ্বিধা থাকে না...
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: না, সেটা চাই না। শোবিজের মানুষদের প্রতি দর্শকের আগ্রহ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। সেই আগ্রহ আরও বেড়ে যায় যখন কোন কৌতুহল তৈরি হয়। তাই আমি সব কৌতুহল মেটাতে চাই না। সব যদি বলেই দিই তাহলে আর দর্শকের আগ্রহ থাকবে কিভাবে! তারা যেভাবে খুশি ভাবতে থাকুক, সময়ই সব বলে দেবে। তাছাড়া আমার জীবনের কোন কথা সবাইকে বলব আর কোনটি বলব না- তার অধিকার তো আমি রাখি, তাই না? সবটা বলতে হবে কেন?
মাসিদ রণ: দর্শকের আগ্রহের কথা বলছিলেন। সেটা আপনার ওপর প্রবল, তা অন্তত সোশ্যাল মিডিয়া দেখলে বোঝা যায়। এর ফলে অনেক সময় অহেতুক কটাক্ষের শিকারও হতে হয় আপনাকে। বিষয়টি কিভাবে দেখেন?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: এই বিষয়ে আগেও কথা বলেছি নানা জায়গায়। আসলে শুরুতে একটু খারাপ লাগতো। কিন্তু এখন আর এগুলো আমাকে স্পর্শ করে না। কারণ, আমি বুঝতে শিখে গেছি যে, যারা আমাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের নেতিবাচক কথা বলে বেড়ায় তারা তো কেউ আমাকে বাস্তব জীবনে চেনে না। তারা হয়তো পত্র-পত্রিকা পড়ে কিংবা কারও মুখে শুনে আমার সম্পর্কে একটা ধারণা পোষণ করে।
কিন্তু আমি আসলেই কেমন তার খবর তারা না পাওয়াই স্বাভাবিক। আর যারা আমার সম্পর্কে সত্যি কিছু জানে না বা যারা আমার জীবনের সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নয় তারা কী বলল তাতে অহেতুক নিজেকে কষ্ট দিয়ে তো লাভ নেই। ফলে আমি এখন বলি, আপনাদের যার যা খুশি আমাকে নিয়ে বলুন, ভাবুন- আমার তাতে কিছু আসে যায় না। আমি জানি আমি কী করছি বা আমি কেমন মানুষ।
মাসিদ রণ: তারপরও শোবিজ তারকারাও তো রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ। তাদেরও তো কোন কোন সময় হতাশা কাজ করে। আপনার ক্ষেত্রে বিষয়টি কেমন? কিভাবেই বা তা থেকে বের হয়ে আসেন?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: হ্যাঁ, সেটা ঠিক বলেছেন। আশেপাশের মানুষের জন্য কিংবা নিজের কিছু একান্ত কারণেও মাঝেমধ্যে লো ফিল হয়। একটি উদাহরণ দিতে পারি, আমি লকডাউনে কলকাতায় ছিলাম পুরোটা সময়। এর আগে সেখানে হয়তো দু-চার দিনের জন্য যাওয়া হলেও আমার কোন বন্ধু কিংবা তেমন পরিচিত কেউ ছিলো না। বৈবাহিকসূত্রে গিয়েছিলাম, এরপর আস্তে আস্তে নিজের একটা জগৎ সেখানেও তৈরি করে নিয়েছিলাম। তবে ওই সময় সত্যিই আমার খুব হতাশ লাগতো। লকডাউনে কলকাতার দিনগুলো হতাশার ছিলো- এটা বলতেই পারি। আমি তখন নিজেকে ঘরের মধ্যেই নানা কাজে ব্যস্ত রাখতাম। ওই সময়ই বাগান করার সিদ্ধান্ত নিই।
মাসিদ রণ: আবারও কাজের প্রসঙ্গে আসি। টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়েই আপনি তারকাখ্যাতি পান। সেখানে আপনার ইমেজ ছিলো পাশের বাড়ির মেয়ে। এখন কি সেই ইমেজ ভাঙার সংগ্রাম চলছে?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: আপনি নিশ্চয়ই আমার শেষ কিছু কাজ দেখে এ কথা বলছেন। যেমন ‘মাইসেলফ অ্যালেন স্বপন’-এর শায়লা, ‘মন্টু পাইলট’-এর বারবণিতা, ‘মায়া’র মায়াজাল সৃষ্টিকারী মায়া কিংবা ‘কাজলরেখা’র কঙ্কন দাসি। এই প্রতিটি চরিত্রই ভীষণ আলাদা, প্রত্যেকটি চরিত্রের মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব ফুটে ওঠে পর্দায়।
আসলে ইমেজ ভাঙা কি না বলতে পারবো না, কিন্তু এটা সত্যি যে সব শিল্পীর মতো আমিও চাই নানা ধরণের চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন করতে। এমন চরিত্র করতে চাই যা আমাকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে নতুন কিছু করতে। যেমন কঙ্কন দাসি চরিত্রের মতো একটি নেতিবাচক চরিত্র যে আমি করতে পারব সেটা আমি তো ভাবিইনি, ছবির নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমও পুরোটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে মনে হয় না। কিন্তু চরিত্রটি করার পর তো সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচক, এমনকি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির লেজেন্ডারি তারকাদের কাছ থেকেও প্রশংসা পেয়েছি।
মাসিদ রণ: টিভি নাটকে আর ফিরবেন না?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: সর্বশেষ চার বছর আগে টিভি নাটকে কাজ করেছি। এরপর অনেক নাটকের প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু যে ধরনের চরিত্র কিংবা গল্প পাই তাতে দেখা যায়, ওগুলো আমি আগেই করে ফেলেছি। নিজের কাছেই এক্সাইটিং লাগে না। তাহলে সেটি করলে দর্শক কতোটা পছন্দ করবে সে বিষয়ে তো সন্দেহ থেকেই যায়। তবে এমন না যে আমি টিভি নাটকই আর করতে চাই না। ভালো মানের কাজ আসলে অবশ্যই করব। কারণ, আমার ভক্তরা কমেন্ট বক্সে আমার কাছে সবচেয়ে যে আবদারটি করে সেটি হলো, তারা আমাকে বেশি বেশি পর্দায় দেখতে চায়। কারণ আমি তো কাজই করি বছরে দু-চারটি!
মাসিদ রণ: অভিষ্যতে ক্যারিয়ার প্ল্যান কী?
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা: আমি তো একজন পেশাগত উন্নয়নকর্মী। বাচ্চাদের ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ব্র্যাকে কাজ করি দীর্ঘসময় ধরে। সেই কাজটি বরাবরই নিষ্ঠার সঙ্গে করি, ভবিষ্যতেও তাই করতে চাই। পিএইচডি টা যতো দ্রুত সম্ভব শেষ করতে চাই। আর অভিনয়ের ক্ষেত্রে ওই একটা কথাই বলার, নতুন কিছু করতে চাই। নয়তো সেখানে সময় দেবার ইচ্ছে নেই। তার চেয়ে অন্য অনেক কিছু করে ভালো সময় কেটে যাবে আমার।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরি। ইতোমধ্যেই ডজনখানেক ছবি উপহার দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন নায়িকা। তবে বর্তমানে সিনেমা বা শ্যুটিং এর ব্যস্ততা না থাকলেও নানাবিধ মেকওভারে শ্যুট বা মডেলিংয়ে সময় দিচ্ছেন পূজা চেরি। কখনো বিভিন্ন রঙের শাড়িতে আবার কখনো গাউনের মতো পোশাকে ভিন্ন সাজে নিজেকে ধরা দিচ্ছেন।
নায়িকা পূজা চেরির সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ছিল একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বলা যায়, ঢালিউড মেগাস্টার শাকিবের ডাকে একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। কিন্তু সেখানে উপস্থিত হওয়ার সময় এক দুর্ঘটনার মধ্যে পড়তে যচ্ছিলেন নায়িকা!
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, ওই অনুষ্ঠানে বেগুনী রঙের একটি অফসোল্ডার গাউন পরে উপস্থিত হয়েছেন নায়িকা। তখন চলন্ত সিঁড়ি নেমে আসছিলেন নায়িকা। এসময় তার গাউনের পাইর সেই চলন্ত সিঁড়ির ফাঁকে আটকে যায়! এরপর তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন সেটা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে সেটা বের করতে সফল হন তারা।
তবে এমন অবস্থায় পূজার মুখে কোনো শঙ্কার ছাপ না দেখা গেলেও তার অনুরাগীরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। যেন সাক্ষাৎ বড় কোনো দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন নায়িকা!
ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে এক নেটিজেনের মন্তব্য ছিল, ‘ভাগ্যিস, খারাপ কিছু হয়নি। তবে এমন ড্রেস পরার সময় সাবধানতা জরুরি।’ আরেকজন আবার খানিকটা কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘যে পোশাক সামলাতে পারে না, সে পোশাক পরতে যায় কেন!’
সম্প্রতিই ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের ডাকে তারকাদের হাঁট বসেছিল রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। উপলক্ষ্যে ছিল হাইজিনিক টয়লেট ক্লিনিং ব্র্যান্ড টাইলক্সের ‘টাইলক্স হাইজিনিক আবাস’ নামের একটি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন। সেখানকার আয়োজনের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে তারকাদের মিলনমেলার মুহূর্ত উঠে আসে।
শাকিব খান ও পূজা চেরি ছাড়াও সেদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন সিয়াম আহমেদ, পরীমণি, বিদ্যা সিনহা মিম, দীঘিসহ অনেকে। বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নানান অংশীদারিত্ব রয়েছে এ সকল তারকাদের সঙ্গে।