সব সময় বেছে কাজ করা খুব কঠিন : মাহি
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। গত ঈদের মতো আসছে ঈদেও তার ডজন খানেক নাটক প্রচারিত হবে। বর্তমানে তুমুল ব্যস্ততা যাচ্ছে সেই নাটকগুলোর শুটিং নিয়ে। বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন স্পষ্টভাষী এই তারকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
ঈদের নাটকের ব্যস্ততা কেমন?
আমি মূলত নাটকেরই শিল্পী। তাই ঈদের আগে নাটকের কাজের ব্যস্ততাই বেশি। প্রতিদিন নাটকের কাজ করছি। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সিডিউল দেওয়া আছে। ঠিক সময়ে কাজগুলো শেষ না হলে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত শুটিং করতে হতে পারে।
এ পর্যন্ত ঈদের কোন নাটকগুলো করা হয়েছে?
নাটকের নাম আসলে শেষ মুহূর্তে এসে বদলে যায়। তাই সবগুলো নাম বলতে চাইছি না। যেগুলো মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে গৌতম কৈরীর পরিচালনায় ‘নতুন প্রেমের গল্প’। কাজটি নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। এছাড়া রাফাত মজুমদার রিংকু এবং প্রতীক সাধনের পরিচালনায় দুটি নাটক করেছি। দুটিতেই আমার সহশিল্পী খায়রুল বাসার। সোহেল মণ্ডলের সঙ্গে কাছাকাছি সময়ে তিনটি নাটক করা হয়েছে। সেগুলো প্রচার হওয়ার কথা ঈদের অনুষ্ঠানমালায়। আর দর্শক আমার সঙ্গে নিলয় আলমগীর ও মুশফিক আর ফারহানকে দেখতে সবচেয়ে পছন্দ করেন। তাই পপুলার ডিমাণ্ড থেকে তাদের সঙ্গেও প্রতিটি উৎসবে একাধিক নাটক করা হয়। এবারও করা হচ্ছে।
কোন ধরনের নাটকে বেশি কাজ করা হয়েছে?
আমি কখনোই নিজেকে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে রাখতে চাই না। অভিনয় ক্যারিয়ার এই কোরবানিতে তিন বছর পূর্ণ হবে। এরইমধ্যে রোমান্টিক, কমেডি, সামাজিক, পারিবারিক এবং ইনটেন্স- সব ধরনের নাটক করেই দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছি। আমার মতো এতোটা বৈচিত্র্য সমসাময়িক অভিনেত্রীদের কেউ আনতে পারেননি তাদের চরিত্রে। তবে ঈদের সময় কিন্তু দর্শক আনন্দঘন পরিবেশে থাকেন। সবাই চান মিষ্টি প্রেমের কিংবা পারিবারিক গল্প দেখতে। সেই চাহিদার কথা চিন্তা করেই এবারের নাটকগুলো করছি।
নাটকের কাজের যে ধরণ আমাদের দেশে প্রচলিত, আপনি তাতে খুশি?
আসলে জনপ্রিয়তা পাওয়া একটা বিষয়। আর জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর সেটি ধরে রাখার যুদ্ধটা আরও কঠিন। আমি এখন সেই যুদ্ধটাই করছি। ফলে আমাদের নাটকের অঙ্গনের যে সুবিধা বা অসুবিধা রয়েছে তা নিয়েই পথ চলতে হয়। চেষ্টা করি মানসম্মত কাজ করতে। কিন্তু সব সময় বেছে কাজ করা কঠিন। কারণ অভিনয় আমার পেশা। এখানে যে সিস্টেম, তাতে শতভাগ বাচ বিচার করতে গেলে কাজই খুব একটা করা যাবে না। তাই মানিয়ে নিয়েই কাজ করি। বেশিরভাগ নাটকের পরিকল্পনাই হয় শুটিংয়ের দুই তিন দিন আগে। তাহলে চরিত্রে ঢোকা তো পরের কথা, স্ক্রিপ্টটাই তো মুখস্ত করার সুযোগ পাওয়া যায় না। এমনও হয়, সেটে গিয়ে দেখি স্টোরি লাইন, সংলাপ সব পরিবর্তন হয়ে গেছে! এভাবে কাজ করলে কিন্তু চরিত্রের প্রতি শতভাগ জাস্টিস করা যায় না। একটু সময় পেলে, আর সেই সময়ের জন্য পারিশ্রমিকটাও পেলে আমার যে ধরনের কাজ উপহার দিতে পারি সেটা হয়তো ভাবনারও বাইরে।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে আপনি পিছিয়ে নেই। কিন্তু আপনার কোন কাজ দেশের প্রথম সারির অ্যাওয়ার্ড শোতে মনোনয়ন পায় না। কেন?
আমি স্পষ্টভাষী মেয়ে, এটা অনেকেই জানেন। কিন্তু এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে আমার চাকরী থাকবে না (সমস্যায় পড়তে হতে পারে)। তাই নো কমেন্টস।
মেহজাবীন, সাবিলা, ফারিণের পর আপনারা অনেকেই নাটকে জায়গা করে নিয়েছেন। তাদের মধ্যে আপনার কাছে কাদের ভালো লাগে?
আমার সমসাময়িক সব অভিনেত্রীর কাজ দেখার চেষ্টা করি। অভিনয় দেখেই সাদিয়া আয়মানের কথা বলছি। তিনি বেশ সাবলীল অভিনয় করেন। গত ঈদে মিজানুর রহমান আরিয়ানের একটি নাটকে তাকে খুব ভালো লেগেছে। এছাড়া কেয়া পায়েলের ‘সুন্দরী’ নামের একটি নাটক দেখেছি। নাটকটিতে তিনি খুব ভালো অভিনয় করেছেন। তটিনীকে স্ক্রিনে দেখতে খুব মিষ্টি লাগে।