হুমায়ূন আহমেদের পর শাওনের এবারই প্রথম!



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
মেহের আফরোজ শাওন

মেহের আফরোজ শাওন

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘর বাধার আগে থেকেই হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন মেহের আফরোজ শাওন। এমনকি শাওনের খালি গলার গানও ভীষণ পছন্দ করতেন জনপ্রিয় এই কথাসাহিত্যিক।

হুমায়ূন আর শাওন ভালোবেসে ঘর বাধার পরও একসঙ্গে কাজ করেছেন নাটক ও চলচ্চিত্রে। বলতে গেলে শাওনের অভিনয় ক্যারিয়ারের সিংহভাগ জুড়েই ছিলেন প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ। এই জুটির প্রতিটি কাজ দর্শক ভীষণ আগ্রহভরে গ্রহণ করেছে। এখনো তাদের সেই নাটক সিনেমা দেখে দর্শক মুগ্ধ হয়।

হুমায়ূন আহমেদ ও মেহের আফরোজ শাওন

কিন্তু ২০১২ সালে হুমায়ূন আহমেদ অকালে চলে যাওয়ার মাধ্যমে এই জুটির অবসান হয়। শুধু তাই নয়, শাওন আস্তে আস্তে অভিনয় থেকেই দূরে সরে যান। এরমধ্যে অবশ্য অল্প বিস্তর গান করা ও নির্দেশনার কাজ করেছেন। নাটকেই তাকে পাওয়া যায়নি, সিনেমায় অভিনয় তো দূরের কথা।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বড়পর্দায় ফিরছেন দেশের তুমুল জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী! হুমায়ূন আহমেদের পর এবারই প্রথম অন্য পরিচালকের সিনেমায় অভিনয় করছেন শাওন। মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজিবিষয়ক উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করছেন ফাখরুল আরেফীন খান।

মেহের আফরোজ শাওন

নতুন সিনেমা নিয়ে শাওন বলেন, প্যারাসাইকোলজি বিষয় নিয়ে নির্মিত হচ্ছে নীল জোছনা। এতে আমাকে শহুরে এক নারীর চরিত্রে দেখা যাবে। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হওয়ায় কাজটির সঙ্গে যুক্ত হওয়া। দীর্ঘদিন পর সিনেমার শুটিং করছি।

জানা গেছে, আজ (৫ জুলাই) ঢাকায় ‘নীল জোছনা’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন শাওন। এ সিনেমার আরও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, ইন্তেখাব দিনার, পার্থ বড়ুয়া, এফএস নাঈম প্রমুখ। আরও আছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী পাওলি দাম।

মেহের আফরোজ শাওন

সিনেমায় ১৭ বছর পর ফিরলেও ১৩ বছর পর অভিনয় করছেন শাওন। তিনি ২০১১ সালে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন ‘স্বর্ণকলস’ নাটকে। সেই নাটকটিরও রচয়িতা এবং নির্দেশক ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। আর সর্বশেষ ২০০৭ সালে হুমায়ূন আহমেদেরই ‘আমার আছে জল’ সিনেমার শুটিং করেছিলেন শাওন।

মা হচ্ছেন ‘বার্বি’ নায়িকা মার্গোট রবি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মার্গোট রবি

মার্গোট রবি

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ‘বার্বি’তে অভিনয় করে পুরো দুনিয়ায় নতুন করে পরিচিতি তৈরি হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী মার্গোট রবির। এই তারকা প্রথমবার মা হতে চলেছেন। এই খবর অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে নিশ্চিত করেছে বিনোদনবিষয়ক অনলাইন গণমাধ্যম পিপলডটকম।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশ প্রযোজক টম একারলিকে বিয়ে করেন রবি। ২০১৩ সালে ‘সুয়িট ফ্র্যাঞ্চাইজি’ সিনেমার সেটে দুজনের প্রথম দেখা। মার্গো ছিলেন সেই সিনেমার অভিনেত্রী, টম কাজ করেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। এরপর তাদের প্রেমের শুরু। পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লন্ডনে থিতু হন রবি। ২০১৬ সালে বিয়ে করেন দুজন।

মার্গোট রবি ও তার স্বামী টম একারলি

বিয়ের পর লাকি চ্যাপ নামের একটি প্রযোজনা সংস্থা খুলেছেন মার্গোট ও টম। ‘আই, তনয়া’, ‘বার্ডস অব প্রে’, ‘বার্বি’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা ও সিরিজ প্রযোজনা করেছে সংস্থাটি।

মার্গোট রবিকে সর্বশেষ পর্দায় দেখা গেছে গত বছরের আলোচিত সিনেমা ‘বার্বি’তে। এ ছাড়া তার প্রযোজিত ‘সল্টবার্ন’ মুক্তি পেয়েছে।

‘আ বিগ বোল্ড বিউটিফুল জার্নি’ নামের আরেকটি সিনেমার শুটিং চলছে। এ ছাড়া ‘কুইন অব দ্য ইয়ার’ নামের আরেকটি সিনেমায় অভিনয় করার কথা ৩৪ বছর বয়সী অভিনেত্রীর।

মার্গোট রবি

;

মেয়ের ছবি নিয়ে নস্টালজিক রুনা, বন্যার প্রতি কৃতজ্ঞতা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বন্যা মির্জা, রাজেশ্বরী ও রুনা খান

বন্যা মির্জা, রাজেশ্বরী ও রুনা খান

  • Font increase
  • Font Decrease

জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খান আজ তার একমাত্র কন্যা রাজেশ্বরীর দুটি ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি দুটি নিয়ে তিনি যে দারুণভাবে নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন তা ছবির দীর্ঘ ক্যাপশনে উঠে এসেছে। এই অভিনেত্রী লিখেছেন তার প্রথম বিমান ভ্রমণ, প্রথম বিদেশে শুটিং, প্রথম বিদেশি মূদ্রা আয় করা ও প্রিয়জনের জন্য উপহার কেনার অভিজ্ঞতা। একইসঙ্গে সেই যাত্রায় আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী বন্যা মির্জার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে।

রুনা খান লিখেছেন, ‘জীবনে প্রথমবার বিমানে চড়ি ২০০৮ সালের ২২ এপ্রিল। সিটবেল্ট বাঁধতে পারি না, বন্যা আপা বেঁধে দিলেন। আমার একটু অস্বস্তি দেখে আমার পাশের সিটেই বসলেন। জানালার পাশে আমাকে বসতে দিলেন, প্লেন উঠবার সময় আতংকিত হয়ে আমি বললাম, কান বন্ধ যাচ্ছে বন্যাআপা, দম নিতে পারি না! স্থির শান্ত গলায় বললেন “ঢোক গিল, ঠিক হয়ে যাবে..!” কয়েকবার ঢোক গিলে দেখলাম, ম্যাজিক..পুরা ঠিক!’

রুনা খান / ছবি : সজীব

মামা-ভাগ্নে নাটকের শুটিং করতে প্রথম বিদেশে গিয়েছিলেন রুনা। এর পরিচালক ছিলেন গোলাম সোহরাব দোদুল, সিনেমাটোগ্রাফার রায়হান খান (যথারিতি তিনি ফ্লাইট মিস করেছিলেন, পরের দিন আসেন), প্রযোজক-আলী বশীর। রুনা জানিয়েছেন, ব্যাংকক অংশের শুটিংয়ে আমার পারিশ্রমিক ৫০০ ডলার। জীবনে প্রথম অভিনয় দিয়া ডলার কামাইলাম। এছাড়া লাঞ্চ-ডিনারের জন্য রোজ ৩০০ বাথ পাই, অভিনয়ের বিনিময়ে বাথও কামাইলাম প্রথম।’

ব্যাংককের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে রুনা লিখেছেন, ‘সকালে ঠাসা ব্রেকফাস্ট খেতাম, আর দুপুরে-রাতে বেশীরভাগ দিন বন্যাআপার খানা থেকে খাওয়াতো। পেমেন্ট আর খাওয়ার টাকা বাঁচিয়ে পুরো ৬০০ ডলারের কেনাকাটা করি। বাংলাদেশে আমার তৎকালীন পরিচিত-কাছের এমন একটি মানুষ ছিলো না, যার জন্য আমি নিজের টাকায় এক বা একাধিক উপহার আনিনি। নিজের মা-বাবা থেকে শুরু করে অভিনয়জীবনের শুরুতে যে বাড়িতে আশ্রিত ছিলাম সেই বাড়ীর সকল গৃহকর্মীদের জন্য পর্যন্ত উপহার কিনেছিলাম। বেশিরভাগ পণ্যের মূল্য ৪৯-১৯৯ বাথ। সাধ্যের মধ্যে সবার জন্য এবং নিজের জন্য কেনাকাটা কওে মহাখুশি আমি!’

বন্যা মির্জা / ছবি : নূর এ আলম

অভিনেত্রী বন্যা মির্জার কাছ থেকে তিনি বিশেষ কিছু শিখেছিলেন সেই ট্রিপে। সেই ঘটনা বর্ননা করেছেন রুনা, ‘একদিন সুতির দুটো টপ বহুবার নেড়েচেড়ে দেখে রেখে দেই, তখন মহা দাম আমার কাছে, একেক টা ৯৯৯ বাথ! ঐ টাকায় ১০-১৫ জনের জন্য গিফট আনতে পারি এটাই চিন্তা আমার!

বন্যাআপা কাছে গিয়ে বললেন, সবার জন্যই তো উপহার নিয়েছিস, এদুটো নিজের জন্য নে, দাম নিয়ে ভাবিস না। নিজে এত কষ্ট করে কাজ করছিস, নিজের শখ মেটাবি না? তোর শখ পূরণ করবার জন্য তো ত্ইু ছাড়া কেউ নেই!

আমি বললাম না গো, নিজের জন্য কিনলেও ১৯৯৮ বাথে ২টা না ২০টা জিনিস কিনবো, শুটিংএ কাজে লাগবে।

রুনা খান / ছবি : শেখ সাদী

বন্যাআপা বললেন, ‘সবই কাজে লাগে, সস্তাটা যেমন লাগে, ভালো টাও লাগে। তবে ২০টা সস্তার চাইতে ২টা ভালো জিনিস টেকসই হয় বেশি। তোর সাধ্য আছে এত পছন্দ করে বারবার হাতে নিয়ে দেখছিস এ দুটো.. আচ্ছা একটা তোকে আমি কিনে দেই, একটা ত্ইু নিজে কিনে নে!’

লজ্জা পেয়ে বললাম না না, তোমার কিনে দিতে হবে না, আমিই কিনছি (কিনলাম আর মনে-মনে বন্যা আপারে বইক্কা কিছু রাখলাম না! বেডি হুদাই আমার এত কষ্টের এতডি টাকা ২টা টপের পিছে খরচ করাইলো, ফাজিল বেডি)। টপ দুটোর বয়স ১৬ বছর, রাজেশ্বরীর বয়স ১৪ বছর, তার সবচেয়ে পছন্দের মধ্যে এই দুটো জামা। প্রায় ২০ হাজার ৪০০ বাথ-এর কেনাকাটা করেছিলাম, ১৯৯৮ বাথের টপ দুটো ছাড়া আর কিছুই নাই, টিকেনি!

তুমি ঠিক ছিলে, সাধ্যে থাকলে সস্তার চাইতে মান-শখ বেশি গুরুত্বপূর্ণ! তোমার কাছ থেকে আমি এটা শিখেছি। রাজেশ্বরীর ছবি আমি খুব কম পোস্ট করি, তোমাকে ঐ ট্রিপে কোন উপহার দেইনি, ১৬ বছর পর দিলাম মেয়ের ছবি দুটো তোমার জন্য উপহার বন্যাআপা। ভালোবাসা নিও।’

সেই ১৬ বছরের পুরেনো জামা দুটি পরেছেন রুনা খানের কন্যা রাজেশ্বরী

;

‘বিজয়া’য় নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন স্বস্তিকা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
স্বস্তিকা মুখার্জি /  ছবি : ফেসবুক

স্বস্তিকা মুখার্জি / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ মুক্তি পেয়েছে কলকাতার ওয়েব সিরিজ ‘বিজয়া’। যেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি।

২০২৩ সালে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর স্মৃতি আজও টাটকা বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-পরিজনদের মনে। পড়তে গিয়ে বয়েজ হোস্টেলে ভয়ানক র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েই তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। সেই চিত্রই বিজয়া সিরিজের গল্পের কাঠামো।

স্বস্তিকা মুখার্জি /  ছবি : ফেসবুক

র‌্যাগিং-এর শিকার এক কিশোরের মৃত্যু ও তার মায়ের লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিরিজটি। সেই মায়ের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে স্বস্তিকাকে।

এই অভিনেত্রীকে এর আগেও বহুবার মায়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার যেন তিনি নিজেই নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছে। মায়ের মমতা, সারল্যের সঙ্গে দুর্দমনীয় প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং কান্নায় ভেঙে পড়াকে ভীষণ নৈপুণ্যের সঙ্গে তুলে ধরেছেন তিনি।

বিজয়া সিরিজে স্বস্তিকা মুখার্জি /  ছবি : ফেসবুক

নৈহাটির ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে নীলাঞ্জন। সে চায় না কলকাতায় গিয়ে পড়াশোনা করতে। কিন্তু মায়ের স্বপ্ন, জেদের কাছে বাধ্য হয় সে। কিন্তু কলেজে যাওয়ার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়িতে তার গুরুতর আহত হওয়ার এবং তিন তলা থেকে পড়ে যাওয়ার খবর আসে। যাকে সুইসাইড কেস বলেই চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই সাধারণ সুইসাইডের কেস থেকে একজন মা কী করে আসল সত্যি এবং অপরাধীদের বের করে আনে সেটাই ধরা পড়েছে এই সিরিজে।

নীলাঞ্জন এবং অহনের চরিত্রে ছিলেন দেবদত্ত রাহা এবং জিৎ। ক্ষমতাসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবসায়ীর চরিত্রে দেখা গেছে সাহেব চট্টোপাধ্যায়কে।

স্বস্তিকা মুখার্জি /  ছবি : ফেসবুক

সোশ্যাল মিডিয়া এখন ‘বিজয়া’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাদের মধ্যে কয়েকজনের পোস্ট নিজের ওয়ালে শেয়ার করেছেন স্বস্তিকা। তাবাসসুম নামের এক বাংলাদেশি দর্শক লিখেছেন, ‘আমাদের আশেপাশে সবসময় একজন আমাদের থেকে বেশী ক্ষমতাবান থাকবেই, তাই বলে প্রতিবাদ করা বন্ধ করলে চলবে না। মা তো! সব করতে পারে সন্তানের জন্য। মা আছে তো, মা সব ঠিক করে দেবে। এ বছরের অন্যতম সেরা কাজ দেখলাম, কি দুর্দান্ত অভিনয় স্বস্তিকা মুখার্জির। টিমের প্রত্যেকে অসাধারণ।’

বিজয়া সিরিজে স্বস্তিকা মুখার্জি /  ছবি : ফেসবুক

কলকাতার দর্শক পায়েল দাস লিখেছেন, ‘‘বিজয়া’ দেখে খুব কেঁদেছি, আমারও ছেলে আছে সেও একদিন বাইরে যাবে পড়তে, ওটা ভেবেই খুব কষ্ট হয়, ভীষন সুন্দর অভিনয় স্বস্তিকা। ৭ পর্বের সিরিজে কোন বিষয়ই অতিনাটকীয়তা নেই। সায়ন্তন ঘোষালের মতো পোক্ত পরিচালকের থেকে এটাই কাম্য। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ‘বিজয়া’র জন্য।’’

এ বছরেও সেরা অভিনেত্রী ক্যাটাগরীতে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন স্বস্তিকা /  ছবি : ফেসবুক

মালবিকা বসু লিখেছেন, ‘বিজয়া দেখে খুব মন খারাপ হয়েছে, আমার মেয়েরাও দূরে থাকে, তাই সবসময় একটা চিন্তা লেগেই থাকে। স্বস্তিকা ম্যাডাম আপনার অভিনয় নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করার ক্ষমতা আমার নেই শুধু একটা কথা বলছি, এটাকে তো অভিনয় মনেই হোলো না, মনে হোলো বিজয়া একদম বাস্তব একজন মানুষ যার জীবনে সত্যিই এরকম ঘটেছে, অসাধারণ লেগেছে আপনাকে। আপনি ঠিক বলেছেন সব মায়েরাই কোথাও গিয়ে এক।’

স্বস্তিকা মুখার্জি /  ছবি : ফেসবুক

প্রশান্ত হালদার লিখেছেন, ‘আজ এক অসাধারণ সিরিজ দেখলাম হইচই’য়ে। র‌্যাগিং কতটা ভয়ানক হতে পারে তাই নিয়ে অনেক সিনেমা, সিরিজ হয়তো হয়েছে, হয়তো অনেক আইনি ব্যবস্থাও এসেছে নতুন করে। কিন্তু যা আগে ছিল এখনও আছে সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাইনি, সম্প্রতিকালেই এক ভয়াবহ মৃত্যুর খবরে তার প্রমাণ পেয়েছি। এরকম কত কেস হয়তো হয়েছে, কতগুলো আবার ধামাচাপাও পড়ে গেছে। বিজয়ার মতো কত মা-বাবার কোল খালি হয়ে গেছে, নতুন জীবনের নতুন স্বপ্ন দেখতে আসা ছেলে-মেয়েগুলো স্বপ্নই হয়ে রয়ে গেছে। ভাবছি, এই সিরিজের মতো সব অপরাধীদের যদি এভাবে শাস্তি হত! কি সহজ সরলভাবে সিরিজটিতে বাস্তবতা দেখানো হয়েছে। প্রতিটা স্বার্থান্বেষী, দাম্ভিক ও ক্ষমতাবান মানুষের ও প্রশাসনের নোংরা কালো দিক সুন্দরভাবে দেখানো হয়েছে। প্রত্যেকে ভীষণ ভালো কাজ করেছেন। তবে মায়ের ভূমিকায় বিজয়া মানে স্বস্তিকা মুখার্জি কি অনবদ্য কি সহজ-সরল, তার অভিনয়ের প্রশংসা করার ভাষা আমার নেই। কারণ মনেই হবে না যে তিনি কোনো অভিনয় করছেন, ছেলের সাথে তার খুনসুটি, এই বাবু এটা কর এই বাবু ওটা কেন করিসনি, ছেলেকে আদর ও বেদনার চিত্রগুলোতে প্রত্যেকে তার নিজের নিজের মাকেই খুঁজে পাবে। এই চরিত্রটা উনার থেকে বেশি ভাল কেউ করতে পারতেন বলে আমার মনে হয় না। ভীষন ভালো কাজ হয়েছে পরিচালক সায়ন্সন ঘোষাল স্যার। বিজয়া ২-এর অপেক্ষায় থাকব।’

বিজয়া সিরিজের পোস্টার /  ছবি : ফেসবুক

অদিতি রায় লিখেছেন, ‘র‌্যাগিং এক ধরনের অপরাধ প্রবণতা, র‌্যাগিং যারা করে তারা অবদমনে নিরাশাবাদী, র‌্যাগিং-এর ফলে হাজার স্বপ্নদীপের স্বপ্ন, স্বপ্নদীপদের বাবা-মায়েদের ঘাম ঝরানো অস্তিত্ব মিথ্যা হয়েছে বারবার। ২০২৩-এ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র, ১৭ বছরের স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর ক্ষত আজও দগদগে। সচেতনতা জরুরি সব স্তরেই, হয়েছে কি? হবে কি? না হলে? যখন রাষ্ট্রের সব ব্যবস্থা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ কী ভূমিকা নেবে? একবার দেখে নিন হইচই-তে ‘বিজয়া’। চোখ ভিজবে, আমার মতো কঠোর মনের মানুষেরই ভিজেছে! খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন পরিচালক সায়ন্তন ঘোষাল। বিদীপ্তা চক্রবর্তী কী যে অনায়াস আর বিশ্বাসযোগ্য লেগেছে মনোবিদের ভূমিকায়। আসলে ওর মতো শিক্ষিত অভিনেত্রী দরকার খুব এই কারণেই। ও হ্যাঁ, এই সিরিজে স্বস্তিকা মুখার্জি আছে। ওকে নিয়ে আমি কিছু বলবই না! মফস্বলের এক ভঙ্গুর মায়ের ভূমিকায় এই মেয়েটা জাস্ট শিহরণ জাগায়। jaw-dropping acting কাকে বলে জানেন তো?

স্বস্তিকা মুখার্জি /  ছবি : ফেসবুক

প্রলয় বোস লিখেছেন, ‘‘স্বস্তিকা মুখার্জি কুর্নিশ আপনাকে, ‘বিজয়া’র মতো একটা সিরিজ উপহার দেওয়ার জন্য। অনেক অভিনয় দেখেছি আপনার। কিন্তু ‘বিজয়া’ সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। ‘বিজয়া’ প্রতিটা মানুষের , প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রীর দেখা উচিত। এ রকম সিরিজ খুব কমই হয়।’

বিজয়া সিরিজে স্বস্তিকা মুখার্জি /  ছবি : ফেসবুক

এতো প্রতো প্রশংসা পেয়ে স্বস্তিকার নিজের মনে কী অনুভূতি হয়েছে সেকথাও তিনি লিখেছেন ফেসবুকে, ‘সবাই বিজয়া নিয়ে এত কিছু বলছে, সবাই নিজেদের সন্তানদের কথা বলছে, সে তারা দূরে থাক বা কাছে, আমারটাও কত দূরে থাকে। সবার কথা শুনে আমারও মন কেমন করছে। কতদিন দেখতে পাই না, ওই ভিডিও কলটাই জীবনের ধন। মাম্মাই, সোনা মেয়ে আমার। পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল মেয়ে। মায়েরা একইরকম, কোথাও গিয়ে আমরা সবাই একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছি। আমাদের গল্প দেখুন হইচইতে। বিজয়াদের জন্য রইল অনেকটা ভালবাসা।’

স্বস্তিকা মুখার্জি /  ছবি : ফেসবুক

;

রণবীরের জন্মদিনে পোস্ট করে প্রশংসায় ভাসছেন টোটা



প্রমা কান্তা কোয়েল, বার্তা২৪.কম।
‘ডোলা রে’ গানে নৃত্যরত রণবীর এবং টোটা / ছবি : সংগৃহীত

‘ডোলা রে’ গানে নৃত্যরত রণবীর এবং টোটা / ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের টপ লিস্টেড তারকাদের মধ্যে নাম রয়েছে রণবীর সিংয়ের। তার দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই ফ্যান ফেভারিট হয়ে ওঠেন। শুধু যে তার নজর কাড়ে; তাই নয়, ব্যক্তিত্বও মনোমুগ্ধকর। গত শনিবার ( ৬ জুলাই) ছিল এই অভিনেতার জন্মদিন। বলিউডের বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে এই দিনে।

রণবীরকে জন্মদিনে আরও শুভেচ্ছা জানান, তার সর্বশেষ সুপারহিট সিনেমা, ‘রকি অওর রানি কি প্রেম কাহানি‘র সহ অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী। কলকাতার বিখ্যাত এই শিল্পী তার নিজস্ব ফেইসবুক একাউন্ট থেকে একটি লম্বা পোস্ট করেন। সেখানে রণবীরের প্রতি আবেগ, ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা স্পষ্ট ফুটে ওঠে। রণবীরের ব্যক্তিত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন টোটা। সেখানে দর্শক ভক্তরাও সহমত প্রকাশ করে ভালোবাসা প্রকাশ করেন।

সিনেমার প্রিমিয়ারে রণবীর এবং টোটা / ছবি: ফেইসবুক

অনেকে আবার টোটার প্রশংসায় ভাসান পোস্টটির কমেন্টে। টোটার এমন উপলব্ধি এবং সুন্দর উপস্থাপনের জন্য ভক্তরা তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে টোটা নিজে যে অনেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ সেটিও উল্লেখ করেছেন অনেকে। খুবই সহজ সরল বাক্যে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন টোটা। ফেইসবুকে তার করা সেই পোস্টটি বার্তা২৪ –এর পাঠকদের জন্য অনুরূপ তুলে ধরা হলো-

‘ছেলেটা বড্ড ভালো। এই নির্দয় সময়ের প্রেক্ষিতে অপ্রয়োজনীয় রূপে ভালো। সর্বদা একটি স্মিত হাসি মুখে লেগেই আছে। আর সেই হাসিটা শুধু মুখ থেকে নিঃসৃত নয়, হৃদয় থেকে। দেখা হলেই কষে জড়িয়ে ধরেই প্রশ্ন, 'Sir, how are you?' তাকে পাল্টা একই প্রশ্ন করলেই উত্তর দেবে, 'I am always happy!' বলেই হা হা করে তার signature হাসিটা হাসবে। সেট-এ ওর প্রবেশ মাত্রই পরিবেশ বদলে যায়। পোড়খাওয়া গম্ভীর টেকনিশিয়ানদের মুখেও দেখি একটা হালকা হাসি। যেন আপন কেউ এসেছে। ড্যান্সাররা থাকলে তো কথাই নেই। হইহই করে ওকে ছেঁকে ধরবে আর ও মুম্বাইয়া ভাষায় বলবে, ' কেয়া রে পান্টার লোগ। কেয়া চল রহা হ্যায়? আজ ফোড় দেতে হ্যায়, চল।' ওর জন্য টেকনিশিয়ান থেকে ড্যান্সার থেকে আ্যক্টর; সবাই দুশো শতাংশ দেয়।

তবে ভোজবাজির মতো তার পরিবর্তন হয় পরিচালকের 'action' ঘোষণা শুনেই। মুহুর্তের মধ্যে চরিত্রে রূপান্তরিত হয়। সেটা এতটাই আকস্মিক, অস্বাভাবিক ও নিখুঁত যে বহুবার প্রত্যক্ষ করার পরও চমকে যাই, মুগ্ধ হই।

শটের বিরতিতে একবার একা পেয়ে আচমকা প্রশ্ন করেছিলাম, ' তুমি দুঃখ পাওনা?' মুহুর্তের বিহ্বলতা কাটিয়ে চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়েছিল, ' কাউকে দেখতে দিই না, জানতে দিই না।' বলেই একটি চওড়া হাসি।

রকি ঔর রাণী কি প্রেম কাহানি ছবির প্রিমিয়ারে শো শেষের পর এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছি। চারিদিকে এত তারকা যেন নক্ষত্রমণ্ডল নেমে এসেছে। চোখধাঁধানো এই গ্ল্যামারে অনভ্যস্ত তাই নীরবে পলায়ন-পথ অনুসন্ধান করছি। হঠাৎ সুনামির মতো এসে, ভীম-শক্তিতে আলিঙ্গন করে, গালে একটা চুম্বন এঁকে দিয়ে, হাত ধরে হিড় হিড় করে টানতে টানতে ওর মা বাবার সঙ্গে আলাপ করাতে নিয়ে গেল। আজীবন ওর এই আন্তরিকতা মনে রাখবো।

আজ ছেলেটির জন্মদিন। ওকে দেবার মত সত্যিই আমার কিছু নেই। শুধু দু হাতে আশীর্বাদ করতে পারি আর সেই দু হাত জোড় করে ঈশ্বরের কাছে ওর মঙ্গলকামনা করতে পারি।

আজীবন ঠিক এমনটাই থেকো, রণবীর।’

টোটা রায় চৌধুরীর পোস্ট / ছবি: ফেইসবুক 

এই ক্যাপশনে সিনেমার প্রিমিয়ারে  একসঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেছেন টোটা। পুরো পোস্টটি বাংলাতেই লেখা। যদিও রণবীর বাংলা পড়তে পারেন কিনা, সেই তথ্য কারো  কাছে নেই।  পোস্টে সহস্রাধিক মানুষ মন্তব্য প্রকাশ করেছে। হাজার খানেক মানুষ শেয়ারও করেছে । বর্তমানে ৪৬ হাজার রিয়েক্ট পড়েছে পোস্টটিতে, যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।

;