নিজের লাইসেন্স করা রিভলবার থেকে নিজেই নিজেকে অসাবধানতাবশত গুলিবিদ্ধ করে আইসিউইতে আছেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা গোবিন্দ, এমন খবরে গতকাল হইচই পড়ে যায় ভারতে। গতকালই একটু সুস্থ হয়েই এই জনপ্রিয় তারকা এক ভিডিও বার্তায় এভাবেই নিজের অবস্থান তুলে ধরেন গোবিন্দ। এর আগে জানা যায়, হয়েছেন এই বলিউড অভিনেতা। তবে পুলিশ জানিয়েছে, গোবিন্দর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় তারা।
পুলিশের সূত্রকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, অভিনেতা যেভাবে গুলির ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে পুলিশ সন্তুষ্ট নয়। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর আবারও তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে আজ অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অগ্রগতির খবরও জানা গেছে। গোবিন্দর মেয়ে অভিনেত্রী টিনা আহুজা জানিয়েছেন, তার বাবার অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
গোবিন্দর অবস্থা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন অভিনেত্রী রাবিনা ট্যান্ডনও। এক সময়ের সহ-অভিনেতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তাকে আগের চেয়ে ভালো লাগছে। তাকে দেখেও মনে হয়েছে, অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আশা করি শিগগিরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবে।’
চলচ্চিত্র বিষয়ে সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ এবং চলচ্চিত্রকে উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার জন্য পুনর্গঠন করা হয়েছে চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। গত ২ অক্টোবর তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরে এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।অনলাইন ফিল্ম স্ট্রিমিং পরিষেবা প্রজ্ঞাপনে ২৩ জন সদস্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে সভাপতি হিসেবে আছেন তথ্য উপদেষ্টা এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র) তথ্য মন্ত্রণালয়। নতুন ‘জাতীয় পরামর্শক কমিটি’তে তরুণদের জয়জয়কার।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ সচিব, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়া এফবিসিআই, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, প্রদর্শক সমিতির একজন করে সদস্য থাকবে।
সদস্য হিসেবে আরও যারা থাকছেন তারা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আল মামুন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক আরিফুর রহমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক তানিম নূর, বঙ্গের চিফ কনটেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ ঋতি, চলচ্চিত্র সংসদ কর্মী, সমালোচক ও নির্মাতা আহমেদ সালেকীন।
কমিটির কাজ সম্পর্কে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান নীতি, আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা করে এসব আইন, নীতি ও বিধির পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে বা নতুন আইন, নীতি, বিধির প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান।
প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুযায়ী এই কমিটি শিগগিরই কাজ শুরু করবে। আর তাদের কাজ হবে: চলচ্চিত্র নীতিমালার আলোকে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে করণীয় বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান। চলচ্চিত্র নীতিমালায় বর্ণিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়নে করণীয় সম্পর্কে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদান।
দেশে ও বিদেশে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যাবলি অনুসরণ ও পর্যবেক্ষণ করে সেসব কার্যক্রমে অভিজ্ঞতার আলোকে জাতীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গৃহীতব্য ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান। চলচ্চিত্র নীতিমালার কোনো বিষয়ে সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে সুপারিশ প্রদান। কমিটি বছরে ন্যূনপক্ষে দুটি সভায় মিলিত হবে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর রসবোধ সম্পর্কে কারও অজানা নয়। সিরিয়াস বিষয়কেও রসাত্মক ভঙ্গিতে ব্যক্ত করার দারুণ সক্ষমতা রয়েছে এই তারকার।
আজ তেমনি একটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ফারুকী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তুলে ধরেছেন বর্তমান সময়ে তাকে দেশের এক শ্রেণির জনগণ কিভাবে দেখছে সে বিষয়ে।
‘আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবী’ এমন শিরোনামে ফারুকী লিখেছেন, ‘‘আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। সুতরাং ‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’ কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানাচ্ছি!’
এরপর নিজের অবস্থানকে পরিষ্কার করতে তিনি তিনটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন। ফারুকীর সমালোচক শ্রেনিকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, ‘ওদের বুদ্ধি যদিও খুলবে না, তবুও একটু বলি-
১. ওহে, আমি কোনো রাজনৈতিককর্মী না। আমি আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবারই ভালো কিছুর প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারি।
২. ফ্যাসিবাদের কালে যেহেতু এই দেশেই থাকতে হয়েছে, ফলে আমাদের বেঁচে থাকা ছিলো বড় কৌতুকময়। সৌভাগ্য হোক দূর্ভাগ্য হোক, রাডারের নীচে থাকার কারণে নানা কায়দা কানুন করে বেঁচে থাকতে হতো। সরকারের সমালোচনা করে একটা পোস্ট দিলে তিনটা দিতে হতো প্রশংসা করে। আবার সমালোচনারও কিছু প্যাটার্ন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে বাইরে রেখে অন্যদের সমালোচনা করতে হতো। তারপর ধরেন, আপনার সিনেমা আটকে যাবে যেটা আটকানোই অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবীর করবেন। ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ দিবেন। নানাবিধ কৌতুকময় ছিলো এই জীবন। সামনে আমার কাজে এইসবের ছাপ দেখবেন অল্প বিস্তর।
৩. ওরাও জানে ওদের লুটপাট, টেন্ডার বানিজ্য, চুরি চামারি, ব্যবসা কোনো কিছুর সাথেই আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। কিন্তু আমাদের উপর রাগ আছে। কেনো আমরা ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে নামলাম- এই ক্ষোভ বড় গভীর। এই ক্ষোভ ঢালার জন্য এখন ওদের কষ্ট করে আমার টাইমলাইনের উপর পিএইচডি করতে হচ্ছে।’
গবশেষে ফারুকী তাদের পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘ওদের নিজেদের জন্য ভালো হবে এইসবে সময় ব্যয় না করে, আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটা। আর বাংলাদেশের করণীয় হচ্ছে মানবতা বিরোধী অপরাধ আর সীমাহীন লুটপাটের বিচার করা।’
দ্বিতীয় সন্তানের অপেক্ষায় দিন যাপন করছেন কলকাতার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা কোয়েল মল্লিক। আবারও মা হতে চলেছেন এই লেডি সুপারস্টার। কোয়েল নিজেই তার ভক্তদের এই সুখবর দিয়েছেন।
আজ (৩ অক্টোবর) দুপুরে কোয়েল মল্লিক ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন। আর সেই ছবিতে দেখা যায়, মেট্রোরেলে পাশাপাশি সিটে বসে রয়েছেন কোয়েল ও নিসপাল। আর দুজনের সামনে দাঁড়ানো এ দম্পতির পুত্র কবীর।
ছবির ক্যাপশনে কোয়েল মল্লিক লিখেছেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের পরিবার বড় হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি কবীর (কোয়েলের ছেলে) বড় ভাই হতে চলেছে। আপনাদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদ প্রয়োজন।’
সেই ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ভক্ত-অনুরাগী ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন কোয়েল ও নিসপাল। নায়িকা নুসরাত জাহান লিখেছেন, ‘অভিনন্দন।’ নায়ক জিৎ লিখেছেন, ‘দারুণ। পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন।’ শুভশ্রী গাঙ্গুলি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন।’ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লিখেছেন, ‘অভিনন্দন। খুব আনন্দ হচ্ছে।’ এমন বহু মন্তব্যে ভরে গেছে কমেন্টস বক্স।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রযোজক নিসপাল সিংয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কোয়েল মল্লিক। ২০২০ সালের ৫ মে অর্থাৎ বিয়ের সাত বছর পর এ দম্পতির সংসার আলো করে আসে পুত্র কবীর।
কলকাতার সিনেমার নায়ক হয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। প্রায় ৮ বছরে বিরতি টেনে সিনেমায় ফিরেছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেতা।
পূজার আগে কলকাতা শহরে একের পর এক মেয়ের খুনের ঘটনা ঘটতে থাকে। আর সেই খুনের তদন্তে নামে পুলিশবাহিনী। ‘চালচিত্র’ নামের এই সিনেমায় প্রতিম ডি গুপ্ত যেন বাংলার কপ ইউনিভার্স তৈরি করতে চেয়েছেন। যেখানে পুলিশের চরিত্রগুলোতে তিনি ঢালিউড, টলিউডের পাশাপাশি বলিউডকেও মিলিয়ে দিয়েছেন! এই সিনেমাটির মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো কলকাতার সিনেমায় অভিষেক হতে যাচ্ছে অপূর্বর। এতে তাকে দেখা যাবে এক রহস্যময় চরিত্রে।
এছাড়াও চারজন পুলিশের চরিত্রে দেখা যাবে টোটা রায়চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, শান্তনু মাহেশ্বরী এবং ইন্দ্রজিৎ বসুকে। অপূর্ব ভক্তদের জন্য এবার সুখবর, আগামী ২০ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে আসছে সিনেমাটি। এখানেই কিন্তু শেষ নয়। একই তারিখে মুক্তি পাওয়ার কথা কলকাতার সুপারস্টার দেবের ‘খাদান’। তাই বক্সঅফিসে অপূর্বকে লড়তে হবে দেবের সঙ্গে।
পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্ত এই ‘চালচিত্র’ সিনেমার আগে ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘মাছের ঝোল’, ‘আহারে মন’, ‘শান্তিলাল ও প্রজাপতি রহস্য’র মতো ব্যবসাসফল সিনেমা পরিচালনা করেছে। তার পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমা ‘লাভ আজ কাল পরশু’ মুক্তি পায় ২০২০ সালে। এরপর প্রতীমের প্রথম হিন্দি রোমান্টিক থ্রিলার-ফ্যান্টাসি সিরিজ ‘টুথপরি: হোয়েন লাভ বাইট’ মুক্তি পায় নেটফ্লিক্সে।
পরিচালক জানিয়েছেন, শহরে পরপর খুন হতে থাকে। আর খুনের পর মরদেহগুলোকে যেভাবে সাজিয়ে রাখা হয় সেটার সঙ্গে ১২ বছরের পুরোনো একটি কেসের মিল পায় টোটার চরিত্র। সত্যিই কি সেই কেসের সঙ্গে এই কেসের মিল রয়েছে, নাকি তদন্তে নতুন কিছু উঠে আসবে-সেটা নিয়েই এই সিনেমা। সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকছেন রাইমা সেন। রয়েছেন স্বস্তিকা দত্ত ও ব্রাত্য বসু। রাইমাকে দেখা যাবে টোটার স্ত্রীর চরিত্রে। স্বস্তিকা হবেন শান্তনুর প্রেমিকা।