ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার শুরুটা ছিল মডেলিং দিয়ে। এরপর বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করে অর্জন করেছেন খ্যাতি। কাজ করছেন বিভিন্ন ওটিটি কনটেন্ট, সিরিজেও।
এবার এই অভিনেত্রীর জন্য এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে! তবে কী বিয়ে করছেন ফারিয়া? না, এমন কিছু না। তাকে দেখা যাবে বিচারক হিসেবে। দেশের একটি টেলিভিশনের কমেডি অনুষ্ঠানের বিচারকের আসনে বসবেন এই অভিনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
তার সঙ্গে আরও দুই বিচারক হিসেবে থাকবেন গুণী অভিনেতা তুষার খান ও চিত্রনায়ক আমিন খান। নতুন পরিচয়ে দর্শকের সামনে আসতে পেরে বেশ আনন্দিতও শবনম ফারিয়া।
ফারিয়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে সাজিন আহমেদ বাবুর ঈদের নাটক ‘ভারপ্রাপ্ত বউ’-এ। সেখানে তার বিপরীতে ছিলেন মোশাররফ করিম।
ধর্মা প্রোডাকশন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহুল জনপ্রিয় একটা নাম। নতুন দশকের শুরু থেকে দুই যুগ ধরে করণ জোহরের নেতৃত্বে কোম্পানিটি উন্নতির সীমা ছাড়িয়ে যায়। কুচ কুচ হোতা হ্যায়, কাভি খুশি কাভি গাম, কাভি আলবিদা না ক্যাহেনা, অগ্নিপথ, ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি, স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার, টু স্টেটস, হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া, কাপুর এন্ড সনস, ডিয়ার জিন্দেগি, রাজি, শেরশাহ, অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল, সিম্বা, রকি রানি অউর প্রেম কাহানি’র মতো আরও অনেক জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছে ধর্মা প্রোডাকশন।
এমন বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই ব্যবসায়ী আদর পুনাওয়ালার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন করণ জোহর। ধর্মা প্রোডাকশনের ৫০ শতাংশ শেয়ার ১০০০ কোটি রুপিতে কিনে নিয়েছেন আদর পুনাওয়ালা। এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিজের ধর্মা প্রোডাকশনের অর্ধেক বিক্রি করে দিয়েছেন করণ জোহর। কিন্তু কেন?
টপলার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধর্মা ২০২৩-২৪ সালে মাত্র ৫৯ লাখের সামান্য মুনাফা করেছে। আর এই তথ্যই প্রশ্ন তুলছে, যে এই কারণেই কি কোম্পানিটির আদর পুনাওয়ালার কাছ থেকে ১০০০ কোটি রুপির প্রয়োজন পড়ল? না হলে, পারিবারিক মালিকানাধীন ব্যবসার শেয়ার কেন অন্যের হাতে দিতে যাবে ধর্মা?
২০১৯ সাল নাগাদ, ধর্মা বছরে ৭০০ কোটির বেশি আয় করেছে এবং এর মধ্যে প্রায় ২৭ কোটি লাভও করেছে। তারপরে করোনা মহামারী আঘাত হানে, বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সিনেমা জগৎ। অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থার মতো ধর্মা প্রোডাকশনের রেভিনিউ ৮৩ শতাংশ এবং লাভ ৭৫ শতাংশ কমে যায়।
কোভিড-১৯ মহামারীর পরে এই প্রোডাকশন হাউসের কামব্যাক বক্স অফিস কাঁপিয়ে গিয়েছে। জুগ যুগ জিও, ব্রহ্মাস্ত্র এবং সূর্যবংশীর মতো সফল ছবির মাধ্যমে কোম্পানিটি ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ১০০০ কোটির বেশি আয় করেছে। ফ্যাবুলাস লাইভস এবং কফি উইথ করণ-এর মতো জনপ্রিয় শো চালিয়েও ভালোই লাভ করেছে।
কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে অনেক ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে ধর্মা। সেলফি এবং যোধার মতো সিনেমাগুলি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এমনকি কফি উইথ করণও আগের মত দর্শক পায়নি। আয় অনেক কমে গিয়েছে। কোম্পানির অংশ বিক্রি করা ছাড়া করনের আর কোনও উপায় ছিল না। যদিও তিনি নিজের বাবার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ হারাতে চাননি, তাই অর্ধেক বেচে দিয়েছেন। ট্রেড বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, করণ ও আদরের এই চুক্তি ধর্মাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দেবে।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর বড়পর্দায় কামব্যাক নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনা শোনা যাচ্ছে শোবিজে। এরইমধ্যে জানা গেছে, এই অভিনেতা তার অভিষেক সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আইয়ের নতুন দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তারমধ্যে একটি জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীনের ‘দাগী’।
তবে এই সিনেমার নায়িকা কে হবেন তা জানা যাচ্ছিলো না। আজ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ‘দাগী’র মাধ্যমে আবারও জুটি হয়ে ফিরবেন ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির নায়ক-নায়িকা আফরান নিশো আর তমা মির্জা।
বিষয়টির সতত্য যাচাই করতে তমার সঙ্গে যোগোযোগ করা হলে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই সিনেমাটিতে আমার যুক্ত হওয়া নিয়ে এখনই কথা বলার সুযোগ নেই। কারণ এখনো সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি। সব ঠিকঠাক হলে তারপর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই সবাইকে জানানো হবে।’
তমা মির্জা আপাতত বিষয়টি নিয়ে পুরোটা খুলে না বললেও তার কথায় মনে হয়েছে তিনি খবরটি এখনই জানাতে চান না। তাকেই হয়তো এই ছবিতে দেখা যাবে, তবে ঘোষণা আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভক্তদের।
আফরান নিশো ও তমা মির্জা একসঙ্গে জুটি বেধে প্রথমবার কাজ করেছিলেন ২০২৩ সালে জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফীর সুপারহিট সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’তে। এরপর দু’জনই লম্বা সময়ের বিরতি নিয়েছেন সিনেমা থেকে।
সিনেমা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ‘দাগী’তে নিশোর নায়িকা হচ্ছেন তমা মির্জা। খুব দ্রুতই আসছে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ডিসেম্বরে শুটিং শুরু পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, চাঁদপুরের মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ ভালোবাসায় পরাস্ত হয়ে এক সময় সিরিয়াল কিলারে পরিণত হয়। সেই গল্প নিয়ে ‘দাগী’ সিনেমার গল্প। যে গল্পে আগে নিশোকে নিয়ে ওয়েব সিরিজ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। সেটাই এখন বড় পর্দায় আসতে চলেছে।
প্রায় দেড় যুগের ছোটপর্দার সফল ক্যারিয়ার পেরিয়ে গত বছর ঈদুল ফিতরে ‘সুড়ঙ্গ’ এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হন আফরান নিশো।
‘ভূতপরী’ সিনেমাগত বছরও ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ায় (ইফি) রেকর্ড গড়েছিলেন দুই বাংলার নন্দিত অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান। তিন ইন্ডাস্ট্রির পাঁচ সিনেমা নিয়ে উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন জয়া। এবারও এই উৎসবে থাকছেন জয়া। ফেস্টিভ্যালের ইন্ডিয়ান প্যানারোমা বিভাগের ফিচার ফিল্ম শাখায় প্রদর্শিত হবে জয়ার ‘ভূতপরী’ সিনেমাটি।
‘ভূতপরী’র সঙ্গে আছে আরো দুটি বাংলা সিনেমা। নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখার্জির ‘আমার বস’ ও সৌরভ পালোধীর ‘অংক কী কঠিন’ প্রতিযোগিতা করছে এ বিভাগে। আগামী ২০ নভেম্বর ভারতের গোয়ায় শুরু হবে ৫৫তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া। উৎসবের পর্দা নামবে ২৮ নভেম্বর।
ভূতের ভয় আর রহস্য নিয়ে ভূতপরী বানিয়েছেন সৌকর্য ঘোষাল। এক নারী ১৯৪৭ সালে মারা যায়। বর্তমান সময়ে এসে তার অতৃপ্ত আত্মার সঙ্গে দেখা হয় এক বাচ্চা ছেলের, যার হাত ধরে সে তার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে থাকে। একটা সময় সে অতৃপ্ত আত্মা আবিষ্কার করে, ১৯৪৭ সালে তার মৃত্যুটি স্বাভাবিক ছিল না, ওটা ছিল খুন! এ ভূতপরীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। আরো আছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, শান্তিলাল মুখার্জি, বিশান্তক মুখার্জি প্রমুখ। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে।
এদিকে দুই বাংলায় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে জয়া আহসানের একাধিক সিনেমা। তালিকায় আছে ‘জয়া আর শারমিন’, পশ্চিমবঙ্গের ‘কালান্তর’, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’, ‘ওসিডি’ সিনেমাগুলো।
কয়েক মাস আগেই জয়া প্রথমবার নাম লিখিয়েছেন ওয়েব সিরিজে। আশফাক নিপুনের ‘জিম্মি’ সিরিজে দেখা যাবে তাকে। গল্পে জয়াকে দেখা যাবে সরকারি নিম্নপদস্থ এক কর্মচারীর চরিত্রে। ১০ বছর ধরে কোনো প্রমোশন পায় না সে। স্বামী-স্ত্রীর টানাটানির সংসার। উচ্চাকাঙ্ক্ষী ওই নারী একদিন অফিসের স্টোররুমে বাক্সভর্তি টাকা পায়। এই হঠাৎ পাওয়া টাকা নিয়ে শুরু হয় টানাপড়েন। শেষ পর্যন্ত লোভের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে জয়া অভিনীত চরিত্রটি। শিগগির শুটিং শুরু হওয়ার কথা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আগে কানাডায় গিয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সেখানে দেড় মাস ছিলেন। কয়েকটি শোতে অংশ নিয়েছেন। এরপর ১৭ আগস্ট দেশে ফিরেছেন এই তারকা।
তবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামীপন্থী অনেক তারকার মতো তিনিও সমালোচনার বাইরে ছিলেন না। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মূলত এজন্যই ট্রলের শিকার হতে হয়েছে ফারিয়াকে। তবে এতোদিন সবটা নিরবে সহ্য করেছেন তিনি।
তবে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন নুসরাত ফারিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ার ১২ বছরের। ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই আওয়ামীলীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখেছি। তারা যখন যে ধরনের কাজে ডেকেছে সাড়া দিয়েছি। আসলে আমি তো এখানে টাইম পাসের জন্য আসিনি। এটা রুটি-রুজির জায়গা। কাজের প্রস্তাব এলে করব, এটাই তো নিয়ম। এখন কেউ যদি আমাকে আওয়ামী সমর্থক ভেবে দূরে ঠেলে দেন, কী করতে পারি?’
মুজিব সিনেমায় অভিনয় করলেও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না বলে জানালেন ফারিয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা শিল্পী, আমাদের কাজ মানুষকে বিনোদন দেওয়া। সেটাই করে গেছি। কখনো কারও অন্ধ সমর্থক ছিলাম না। যদি সেটা করতাম, মনে সামান্যতম সংকীর্ণতা থাকত, দেশেই আসতাম না। এখন যদি নতুন সরকার তাদের কাজে আমাকে ডাকে, অবশ্যই সাড়া দেব। শিল্পীদের কাজ দলাদলি করা নয়, নিজের মেধা দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নেওয়া।’
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বিষয়ে ফারিয়ার বক্তব্য, ‘দেশের ছাত্র-জনতা চেয়েছিল বলেই তো পরিবর্তনটা এসেছে। একজন নাগরিক হিসেবে চাইব, যেটা হয়েছে সেটা যেন মঙ্গলের জন্য হয়। আমার বিশ্বাস, মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর পাশাপাশি বিনোদনও যেন হারানো গৌরব ফিরে পায়, সেদিকে খেয়াল রাখবে বর্তমান সরকার।’
এদিকে, নুসরাত ফারিয়া গতকাল পারফর্ম করেছেন লন্ডনের বিসিএ ১৭তম পুরস্কারের মঞ্চে। সেখান থেকে এই ছবিগুলো পোস্ট করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এটি একটি বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা ছিল।’