নতুন বছরের শুরুতেই আজ (২ জানুয়ারি) সকালে নিজের বিয়ের ছবি শেয়ার করে সকলকে অবাক করলেন জনপ্রিয় গায়ক আরমান মালিক। দীর্ঘদিনের প্রেমিকা আশনা শ্রফের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে সেরে নিলেন তিনি। বর এবং কনে দু'জনেই প্যাস্টেল শেডের পোশাকে টুইনিং করে বিয়ের মঞ্চে হাজির হন।
আশনাকে দেখা গেল কমলা লেহেঙ্গায়, আর আরমান বেছে নিয়েছিলেন প্যাস্টেল অরেঞ্জ শেরওয়ানি। বিয়ের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে আরমান ক্যাপশনে লিখেছেন, 'তু হি মেরা ঘর।'
বিজ্ঞাপন
গায়কের স্ত্রী আশনা শ্রফ একজন স্বনামধন্য ফ্যাশন এবং বিউটি ভ্লগার, পাশাপাশি তিনি ইউটিউবারও। ২০২৩ সালে তিনি কসমোপলিটান লাক্সারি ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার অফ দ্য ইয়ার খেতাব পান।
আরমান এবং আশনা ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বাগদান করেন। সেদিন আরমান পরেছিলেন বেইজ রঙের প্যান্টস্যুট, আর আশনার পরনে ছিল সাদা ফ্লোরাল প্রিন্টের শর্ট ড্রেস।
বিজ্ঞাপন
প্রেমিকাকে হাঁটু মুড়ে বসে একেবারে চলচ্চিত্রের কায়দায় আংটি পরান আরমান। সেই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, 'আমাদের চিরদিন একসঙ্গে থাকার সফর এখন থেকেই শুরু।'
বর্তমান সময়ে আরমান মালিক অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। হিন্দি ছাড়াও তিনি তেলুগু, ইংরেজি, বাংলা, কন্নড়, মরাঠি, তামিল, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, উর্দু এবং মালয়লম ভাষায় গান গেয়েছেন। তিনি গায়ক এবং সঙ্গীত পরিচালক আমাল মালিকের ছোট ভাই।
উপমহাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার জন্মদিন আজ। ১৯৫৭ সালের এই দিনে রংপুরের এক উপাধ্যক্ষের পরিবারে এ গুণী শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৬৮ তে পা রাখলেন প্রখ্যাত এই শিল্পী।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা শুধু নিজ দেশ নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও তিনি ব্যাপকভাবে সমাদৃত। বাংলাদেশ ও ভারতে, তার বহুসংখ্যক এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ২০টি উল্লেখযোগ্য।
অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন বন্যা। এরপর সঙ্গীত নিয়ে পড়াশুনা করতে যান ভারতে। তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত ছাড়াও ধ্রুপদী, টপ্পা ও কীর্তন গানের উপর শিক্ষা লাভ করেছেন।
প্রাথমিক অবস্থায় রেজওয়ানা বন্যা ‘ছায়ানট’ ও পরে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতেও তিনি গান শিখেছেন। শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, আশীষ বন্দ্যোপাধায়ের মতো সঙ্গীতজ্ঞদের কাছ থেকে গান শেখার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
কর্মজীবনে তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপার্সন হিসেবে কর্মরত। তিনি ‘সুরের ধারা’ নামের একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেন।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কাজের অবদানের স্বীকৃতি তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন করেছেন।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে কাজের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৭ সালে ভারত সরকার তাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বঙ্গভূষণ’ পদক দিয়ে সম্মানিত করে।
এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ট্রাস্ট ফান্ড’ কর্তৃক প্রদত্ত ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ও পুরস্কার ২০১৭’ পেয়েছেন এই প্রখ্যাত এই রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী।
দীর্ঘ বিরতির পর গত বছর তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খবর দিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন ঢালিউড কুইন শাবনূর। দেশে এসে সশরীরে সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানেও উপস্থিত হন তিনি। এরপর ফের চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। দীর্ঘদিন পর নতুন রূপে হাজির হয়ে একবাক্যে বিশেষ বার্তা দিলেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন শাবনূর। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘নতুন বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করে হাসিমুখে সামনে এগিয়ে যাওয়া।’ তার এমন লেখা দেখে বোঝাই যাচ্ছে, জীবনে নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছেন অভিনেত্রী। মন্তব্যে শাবনূরের ছবির প্রশংসা করেছেন তার ভক্ত অনুরাগীরা।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর ‘মাতাল হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করার কথা থাকলেও এটি শুরু করতে পারেননি তিনি। গত ১১ ফেব্রুয়ারিতে আরাফাত হোসাইনের ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মহরতে উপস্থিত ছিলেন শাবনূর। ওই অনুষ্ঠানে ‘এখনো ভালবাসি’ নামের আরও একটি সিনেমার অভিনয়ের ঘোষণা দেন তিনি। তবে সিনেমার শুটিং শুরু না করেই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান এই নায়িকা। সেসময় জানা যায়, পুরোপুরি ফিট হয়েই শুটিংয়ে নামবেন তিনি।
চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হলেও শাবনূরকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহ মোটেও কমেনি। তার অভিনীত সিনেমার গানগুলো এখনো সর্বোচ্চ ভিউ অর্জন করে। এরই মধ্যে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে তিন দশক পূর্ণ হয়েছে।
১৯৯৩ সালের ১৫ অক্টোবর নির্মাতা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে নায়িকার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর সঙ্গে গড়ে ওঠে জনপ্রিয় এক জুটি, যা এখনো দর্শকদের হৃদয়ে নাড়া দেয়।
দীর্ঘ ৩১ বছরের অভিনয়জীবনে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবনূর। এর মধ্যে আছে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ–শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’ ও ‘মোল্লাবাড়ীর বউ’।
বিয়ের ছবির মতো এবার গায়ক তাহসান ও তার স্ত্রী রোজা আহমেদের মধুচন্দ্রিমার ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নতুন বছরের শুরুতেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন জনপ্রিয় গায়ক তাহসান খান। মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। জনপ্রিয় গায়কের আচমকা বিয়ের খবর ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সপ্তাহ খানেক থাকে চর্চায়।
এইহুমূর্তে মধুচন্দ্রিমা কাটাচ্ছেন দুজনে। গত ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে দেশের একটি এয়ারলাইন্সের বিমানে মালদ্বীপে গেছেন তাহসান-রোজা। সূর্যময় দ্বীপরাজ্যে মধুচন্দ্রিমার বিশেষ মুহূর্তগুলো কাটাতেই উড়ে যান এই দম্পতি।
এবার সামনে এল মধুচন্দ্রিমার ছবি। তাহসানপত্নী রোজা আহমেদ নিজেই ছবি প্রকাশ করে জানিয়ে দিলেন সত্যি সত্যিই আলো খুঁজে পেয়েছেন গায়ক।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে মালদ্বীপের নীল জলে সাদা বালি মেখে আছেন রোজা। সাগর পারে লাল রঙা গাউনেও ধরা দিলেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল নীল সাগর পারে ঠিক যেন লালটুকটুকে পরী!
গত ৪ জানুয়ারি মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদকে বিয়ে করেন তাহসান। তার আগে গায়ে হলুদের ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই বিয়ের ছবি প্রকাশ করে বিয়ের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেন গায়ক। তাহসানের স্ত্রী রোজা আহমেদ নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজিতে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন।
অভিনয় নিয়ে দারুণ সময় পার করছেন ওপার বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। তবে আজ তার মনটা ভালো নেই। মনের প্রায় সবটাই প্রকাশ করা স্বস্তিকা তাই আজ মন খারাপের কথাই লিখেছেন ফেসবুকে।
এই তারকার মন খারাপের কারণটা ক্ষণস্থায়ী নয়। থেকে যাবে যতোদিন বেঁচে থাকবেন! আজ তার বাবা প্রয়াত অভিনেতা শন্তু মুখার্জির জন্মদিন। বিশেষ এই দিনেই বাবাকে খোলা চিঠি লিখেছেন স্বস্তিকা। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
‘‘হ্যাপী বার্থডে বাবা,
কোথায় আছো সে তো জানি না, কে আলমারি থেকে নতুন জামা বের করে জোর করে পরিয়ে দেবে তাও জানি না। আশা করি কেউ নিশ্চয়ই আছে, আমার মতন করে তোমায় আগলে রেখেছে। প্রতি বছরের মতন, এবারেও নতুন ফতুয়া-লুঙ্গি পোরো।
খাদির দোকানে গেলে, গেরুয়া রং এর কোনও কাপড় দেখলেই মনে হয় তোমার জন্য একটা পাঞ্জাবি বানাতে দি, তারপর মুহূর্তেই মনে পড়ে তুমি তো নেই।
আজ সন্ধে নামলে দু পাত্তর ব্যালেন্টাইন খেও। কত ভালবাসতে। পৃথিবীর এত জায়গায় যাই, যত ভালো স্কচই কিনে আনি না কেন, সেই ব্যালেন্টাইন টাই সেরা।
তোমার আর মা এর না থাকাতে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া, লোকজন এর আসা যাওয়া, আনন্দ উৎসব প্রায় উঠে গেছে বললেই চলে। ঠিক ওই গান টার মতন - এত আনন্দ আয়োজন সবই বৃথা তোমায় ছাড়া।
১৩ই জানুয়ারি- এই দিনটা আমার কাছে আজীবন ‘আমার বাবার জন্মদিন’ হয়েই রয়ে যাবে।
অবশ্য শুধু একটা দিন কেন? বাকি বছরের অজস্র দিনগুলো ও তোমাদের দুজনের দিন হয়েই রয়ে গেছে। জন্মদিন, বেড়াতে যাওয়ার দিন, অসুখ করার দিন, হাসপাতালে যাওয়ার দিন, সেখান থেকে ফেরার দিন, না ফেরার দিন এইসব।
আর কটা দিন থেকে গেলে পারতে বাবা- না হয় অনেক রাত অব্দি জমিয়ে আড্ডা মারতে মারতে, লোকজন এর গুষ্টি উদ্ধার করতে করতে দু পেগ হুইস্কি খাওয়ার জন্যই রয়ে যেতে। না হয়, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখে চিৎকার করার জন্য রয়ে যেতে। না হয়, দরবেশ, ক্ষীরকদম্ব, মনোহরা, সীতাভোগদের জন্য রয়ে যেতে। ভাত রুটির শেষ পাতে রোজ একটু মিষ্টি খাওয়ার পাট ও চুকে গেছে। বাড়িতে আর মিষ্টি কেনা হয় না।
তোমায় আর একবার দেখার জন্য সব করতে পারি বাবা। তুমি তো ঈশ্বরের কাছে আছো, তুমি ওনাকে বোলো, এই জন্মে হোক বা পরের জন্মে, বা দু জন্মের সন্ধিক্ষণে আমাদের দেখাটা যেন হয়। কত কথা জমে আছে বাবা। এক পাহাড়।
আজ তোমার ফেভারিট ব্রুট পারফিউমটা মেখেছি, তোমার জন্মদিনে তোমার গায়ের গন্ধ থাকুক গায়ে। রোজ ঘুমোতে গেলে ভাবি, চোখ খুললেই হঠাৎ যদি তোমায় দেখতে পাই, জড়িয়ে ধরে বসে থাকবো, অনেকক্ষণ। বেশি কিছু চাই না, এইটুকুই।
কখনও এলে ভেবলি বলে ডেকো বাবা, ঠিক বুঝে নেব তুমি ডেকেছ। ভালো থেকো- তোমার পথে ঝলমলে আলো থাক, ইউডি কোলনের গন্ধ থাক, অনেকটা যত্ন আর ভালোবাসা থাক। আমার কাছে অপেক্ষা থাক, আমার সারাক্ষণের সঙ্গী।’’