বলিউডের সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে অন্যতম রোহিত শেঠি পরিচালিত ‘গোলমাল’। ছবিটি দর্শকদের মনে এতোটাই সাড়া ফেলেছে যে, ইতিমধ্যে এর তিনটি কিস্তি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা।
চমকপ্রদ তথ্য হলো- এবার ছোট পর্দাতেও দেখা যাবে ‘গোলমাল’। তাও অ্যানিমেটেড সংস্করণে। আর এর নাম রাখা হয়েছে ‘গোলমাল জুনিয়ার’। বাচ্চাদের টেলিভিশন চ্যানেল সোনিক-এ দেখা যাবে এই শো।
বিজ্ঞাপন
‘গোলমাল জুনিয়ার’-এ চরিত্রের নামগুলোর কোনও রকম হেরফের হচ্ছে না। গোপাল, লক্ষণ, মাধব এবং সেই লাকি-ই থাকছেন, তবে অ্যানিমেটেড ভার্সনে। আগামী মে মাস থেকে ছোটপর্দায় দেখানো হবে এটি।
জানা গেছে- বাচ্চাদের জন্য এই শো তৈরি হওয়ায়, প্রয়োজনে বেশকিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রোহিত শেঠিও।
বিজ্ঞাপন
এর আগে রোহিতের ‘সিংহাম’ অ্যানিমেটেড ভার্সনে দেখা গিয়েছেলো। যার নাম ছিলো ‘লিটল সিংহাম’। বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো শোটি।
২০০৬ সালে প্রথম মুক্তি পায় রোহিতের ‘গোলমাল’। এতে অভিনয় করেছিলেন অজয় দেবগণ, তুষার কাপুর, আরশাদ ওয়ারসি, শারমান যোশী এবং রিমি সেন।
এরপর ২০০৮ সালে তৈরি করেন এই ছবির সিক্যুয়েল ‘গোলমাল রিটার্নস’। এখানে ছবির নায়িকা হিসেবে দেখা যায় করিনা কাপুর খানকে। অন্যদিকে, শারমানের পরিবর্তে দেখা গিয়েছিল শ্রেয়াস তালপাড়েকে।
২০১৭-তে মুক্তি পায় ছবির তৃতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি- ‘গোলমাল এগেইন’। পরিণীতি চোপড়া এবং টাবুকে দেখা গিয়েছিল এতে।
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’। সেবার সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা মিউজিকসহ মোট আটটি শাখায় অস্কার জিতে নিয়েছিলো ছবিটি। বলে রাখা ভালো, এই ছবির জন্যই কাঙ্খিত অস্কার ঘরে তোলেন ভারতীয় সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক এআর রহমান। ‘জয় হো’ গানটির কথা ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের ভুলবার কথা নয়। যেখানে প্রধাণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দুই ভারতীয় বংশদ্ভূত অভিনয়শিল্পী দেব প্যাটেল ও ফ্রিদা পিন্টো।
ভারতের বস্তির মানুষের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে আরও দেখা যায় বলিউড সুপারস্টার অনিল কাপুর ও ইরফান খানকেও।
ড্যানি বয়েল পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তির পর কেটে গিয়েছে ১৭ বছর। এবার পর্দায় আসতে চলেছে ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’এর সিক্যুয়াল! সম্প্রতি মিলেছে এমনই ইঙ্গিত।
নতুনভাবে চালু হওয়া প্রোডাকশন কোম্পানি ‘ব্রিজ ৭’ স্লামডগ মিলিয়নিয়ারের সিক্যুয়াল ও টিভি স্বত্ব কিনে নিয়েছে।
‘ডেডলাইন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক এ কোম্পানিটি পরিচালনা করছেন প্রযোজক স্বতী শেঠি এবং অভিজ্ঞ সিএএ এজেন্ট গ্রান্ট কেসম্যান। তারা এ স্বত্বটি কিনেছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি সেলাডর থেকে।
এদিকে সেলাডর ব্রিজ ৭-এর সঙ্গে মিলে ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’র সিক্যুয়ালের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি। স্বতী শেঠি এবং গ্রান্ট কেসম্যান একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কিছু গল্প সারা জীবন আমাদের মনে থাকে, স্লামডগ মিলিয়নিয়ার তেমনই একটি গল্প যেটা ভুলে যাওয়ার নয়। এটা সেই ধরনের গল্প, যা বিনোদনকে গভীর মানবিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে সংযুক্ত করে।’
এই চলচ্চিত্রের গল্পটি মুম্বাইয়ের দুই দরিদ্র ছেলে জামাল এবং সেলিমের জীবনকে কেন্দ্র করে। যাদের একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়, যার নাম লতিকা। অনিল কাপুরের অভিনীত জনপ্রিয় গেম শো হোস্ট প্রেম কুমারের চরিত্রটি এ সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। কাহিনিটি তাদের জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে, যার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় দাঙ্গায় তাদের মায়ের মৃত্যু এবং দারিদ্র্য কাটিয়ে ওঠার সংগ্রাম।
সিনেমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল জামালের ‘হু ওয়ান্টাস টু বি অ্যা মিলিয়নিয়ার’ গেম শোতে অংশগ্রহণ করা, যেখানে সে ২৫ মিলিয়ন রুপি জিতে নেয় এবং তার এই জয় ছবিতে লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
৮২তম অস্কার অনুষ্ঠানে ঝড় তুলে দিয়েছিল ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার।’ ২০০৫ সালে বিকাশ স্বরূপের উপন্যাস ‘কিউ অ্যান্ড এ’-এর উপর ভিত্তি করে ছিল সিনেমার মূল গল্প।
ছোটপর্দার পরিচিত অভিনেত্রী জেবা জান্নাত কিছুদিন আগে নিজের বিয়ের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন।
গত বছরের প্রথম দিকে একটি ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন জেবা, যেখানে এক যুবকের সঙ্গে তাকে দেখা যায়। ঘনিষ্ঠ সেই মুহূর্তে যুবকটি অভিনেত্রীর কপালে চুম্বন করছিলেন, আরেকটি দৃশ্যে জেবা তাকে চুম্বন করেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি ভালোবাসার মূল্যায়ন ও সম্মান নিয়ে একটি বার্তা দিয়েছিলেন। তবে কে এই যুবক এবং তার সঙ্গে তার সম্পর্কের গভীরতা কী, সে বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করেননি। বিষয়টি নিয়ে তখন থেকেই নেটিজেনদের বেশ চর্চা।
বিয়ের ঘোষণা দেওয়ায় যেমন সবাই শুভ কামনা জানিয়েছিল, উচ্ছ্বসিত হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি তার এক ফেসবুক পোস্ট ও ভিডিও ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। যেখানে এই অভিনেত্রীকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
গত ২৭ নভেম্বর দুটি ছবি পোস্ট করা হয় জেবা জান্নাতের ফেসবুক প্রোফাইলে। সেখানে তাকে হাসপাতালে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায়। ক্যাপশনে লেখা, ‘কাউকে কষ্ট দিও না এবং নিজের থেকেও কষ্ট পেও না। তুমিই একমাত্র মানুষ যে সবসময় সব পরিস্থিতিতে তোমার সঙ্গে থাকে, আর কেউ না। ভাই, জীবন তো একটাই, দরকার নেই আর কোন মানুষের। তুমি ফুল, আকাশের মধ্যরাতের তারাকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা করতে পার, একা একা হাটতে পারো। একজন নিষ্ঠুর হৃদয়ের মানুষকে তোমার পবিত্র হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা দেওয়ার দরকার নেই। তোমার এর চেয়ে ভালো কিছু প্রাপ্য।’
সবশেষে লেখা, ‘বন্ধুরা, জেবা জান্নাত অসুস্থ। তার জন্য প্রার্থনা করুন।’
এবার অসুস্থতার ভিডিও সবার মনেই প্রশ্ন তুলেছে। অনেক ভক্ত মনে করছেন, এটি তার কোনো নাটকের শুটিংয়ের দৃশ্য।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। প্রাথমিকভাবে দলটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’ (বিআইপি)। এরই মধ্যে দলটি নিয়ে ভক্তদের সতর্কবার্তা দিলেন এই অভিনেতা। জানালেন, তার নাম ব্যবহার করে এক ধরণের প্রচার চালানো হচ্ছে। যেটির সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট নন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সোহেল রানা। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমাকে প্রধান অতিথি করে একটি নতুন পার্টি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, এমনি ধরনের একটি দাওয়াত নেওয়া অনেকের কাছে পৌঁছেছে। আমি তাদের সবার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, এমন কোনো দাওয়াত আমি গ্রহণ করিনি অথবা উক্ত পার্টির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অনেকেই হয়তো ভুল বুঝতে পারেন, সে কারণে সবাইকে জানান দেওয়া।’
গত অক্টোবরে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার সভাপতিত্বে দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই রাজনীতিতে সোহেল রানার পদার্পণ নিয়ে আলোচনা চলছে।
মূলত, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন সোহেল রানা। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৬৮ সালে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ইকবাল হলের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে আকস্মিকভাবে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যপদ গ্রহণ করেন সোহেল রানা। দলটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন এই চিত্রনায়ক। এদিকে জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে ছাত্র-জনতার পক্ষে অবস্থান নেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমার প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন সোহেল রানা। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
হঠাৎ করেই বিয়ের খবর জানালেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সাবরিনা সুলতানা কেয়া। গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খরবটি নিজেই জানিয়েছেন এই তারকা। সবার কাছে দোয়া চেয়ে জানান তিনি বিয়ে করেছেন গতকাল ২৮ নভেম্বর।
জানা গেছে, দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে করেছেন তিনি। কেয়ার স্বামীর নাম মোস্তাক কিবরিয়া। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মোস্তাক কিবরিয়া দেশের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার ১ম স্বামী ছিলেন। ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে প্রথম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। তার সাথে ডিভোর্স হয় ২০০৭ সালের ১৫ মে।
গণমাধ্যমে নতুন জীবনের জন্য দোয়া চেয়ে কেয়া বলেন, ‘হঠাৎ করেই পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে হয়েছে আমাদের। মা ও বোন অসুস্থ থাকার কারণে ঘরোয়া আয়োজনেই বিয়েটা হয়েছে। পরবর্তীতে ঘটা করে আয়োজন করার ইচ্ছে আছে।’
উল্লেখ্য, মাত্র ১৪ বয়সে আমিন খানের বিপরীতে ‘কঠিন বাস্তব’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন কেয়া। এটি নির্মাণ করেছেন মনতাজুর রহমান আকবর। এরপর টানা ডজন দুয়েক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এছাড়া তার একাধিক বিজ্ঞাপনচিত্র দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।
চলচ্চিত্রে মান্না, রুবেল, আমিন খান, রিয়াজ, ফেরদৌস আর শাকিব খানের মতো হিরোদের বিপরীতে অভিনয় করেছেন কেয়া।
কিন্তু নায়িকার ক্যারিয়ার যখন সাফল্যের চূড়ায় ঠিক তখনই সিনেমা থেকে অন্তরালে চলে যান কেয়া। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে ‘ব্লাক মানি’ দিয়ে আবারও পর্দায় ফেরেন তিনি। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কেয়া অভিনীত বেশ কয়েকটি সিনেমা।