ফুটবলার হতে না পেরে নাট্যকার হলেন বৃন্দাবন দাস



নজরুল ইসলাম তোফা
নাট্যকার বৃন্দাবন দাস/ ছবি: সংগৃহীত

নাট্যকার বৃন্দাবন দাস/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। তবে সফলতার সীমা পরিসীমা নেই। যে যার মতো সফল হয়ে তুষ্ট থাকেন। আবার কেউ সফলতার সীমানা নির্ধারণ করতে পারেন না, অসন্তুষ্টি নিয়ে তারা সারা জীবন পার করেন। প্রকৃত ও যথার্থ পরিশ্রম একটি মানুষের জীবনে ‘সৌভাগ্যের লক্ষ্মী’ ডেকে আনে। বলতে চাই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাট্যকারের কথা।

ভালো ফুটবল খেলতেন। তার স্বপ্নও ছিল তিনি সেরা ফুটবলার হবেন। কিন্তু দেশসেরা ফুটবলার তিনি হতে পারেননি। হয়তো বা সেই সফলতার জায়গা তার জন্য নয়। তার জায়গা হলো- নাটক লেখা, নাটক করা আবার তা পরিচালনা করা। তিনি হলেন প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও পরিচালক পাবনা জেলার কৃতী সন্তান বৃন্দাবন দাস। দেশসেরা ফুটবলার হতে না পারলেও দেশসেরা নাট্যকার হলেন বৃন্দাবন।

তার ইচ্ছা ছিল ফুটবলে জাতীয় দল তথা আবাহনীর হয়ে আকাশি-নীল রঙের জার্সি গায়ে দিয়ে খেলবেন। ১৯৮১ সালে এই স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে অচেনা শহর ঢাকায় এলেন। আবাহনী ক্লাবে হাজির হয়ে স্বপ্নের সেই কথাগুলো জানান কিংবদন্তিতূল্য ফুটবলার অমলেশ সেনের কাছে।

কিন্তু মনোবাসনার কথা জানানোর পর সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন পাবনার চাটমোহরে। অমলেশ সেন তাকে বুঝে উঠতে না পারলেও তিনি ১৯৮৪ সাল হতে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত চাটমোহর সবুজ সংঘের এক অন্যতম সংগঠক ও কৃতী ফুটবল খেলোয়াড় হয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561049201040.jpg
যমজ দুই সন্তানের সাথে বৃন্দাবন দাস/ ছবি: সংগৃহীত

 

পাবনা জেলা যুব ফুটবল দলসহ পাবনা মোহামেডান ক্লাব ও পাবনা ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে অংশগ্রহণসহ ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগের সিটি ক্লাব, আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব ও আদমজি জুট মিলস এর অন্যতম খেলোয়াড় মনোনীত হয়েছিলেন।

কিন্তু অনুশীলনের সময় আহত হয়ে অনেক দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় বৃন্দাবন দাসকে। বিভিন্ন জেলায় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে বেশ কয়েকটিতে শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৪-৮৬ সাল পর্যন্ত পর পর তিন বছর চাটমোহর উপজেলার বর্ষসেরা ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে সবুজ-পদকে ভূষিত হয়েছিলেন।

পাবনায় ফুটবল খেলার মাঠের পাশেই ছিল চাটমোহর সাংস্কৃতিক পরিষদ। নাটক করা যায় কিনা! যথারীতি সেখানে তিনি উপস্থিতও হয়েছিলেন। ১৯৮৫ সালের কথা। সাংস্কৃতিক পরিষদের পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ফারুককে ঠাট্টা করে বলেছিলেন, ‘নাটকে অভিনয়ের সুযোগ দিতে হবে।’ এ কথা শুনে গোলাম মোহাম্মদ ফারুক তাকে সালাম সাকলায়েন রচিত 'চোর’ নাটকে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। সেখান থেকেই তার সৃষ্টিশীলতার শুরু।

এরপর সেখানেই বাংলাদেশ মুক্ত-নাটক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। সেই সুবাদে ‘আরণ্যক নাট্যদল’-এর কর্ণধার- মামুনুর রশীদের সঙ্গে পরিচয় এবং ঢাকার আরণ্যক নাট্যদলের সদস্য পদ লাভ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় মামুনুর রশীদের সহকারী হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561048993690.jpg
স্ত্রী শাহনাজ ফেরদৌস খুশি ও দুই ছেলের সাথে বৃন্দাবন দাস/ ছবি: সংগৃহীত

 

তারপর ১৯৯৪ সালে বৃন্দাবন দাস বেশ কিছুদিন অবশ্য কাজ করেছিলেন ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে জুনিয়র অফিসার পদে। ১৯৯৭ সালে আরণ্যক ছেড়ে তিনি ‘প্রাচ্যনা্ট’ গঠন করেন। তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘কেয়ার বাংলাদেশে’ কাজ করেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত।

বৃন্দাবন দাস জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৬৩ সালে ৭ ডিসেম্বর- পাবনা জেলার চাট মোহর উপজেলার সাঁরোড়া গ্রামে। বৃন্দাবন দাসের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চাটমোহরে। ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার চিন্তা এখনো তিনি নাটকেই যেন ব্যবহার করেন। তিনি পড়াশোনাতেও খুব মনোযোগী ছিলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সম্পন্ন করার পরে চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু সম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি আর চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ অর্থাৎ বর্তমানে চাটমোহর সরকারি কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাস করেন।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জগন্নাথ কলেজও পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএসএস (সম্মান) ও এম এস এস ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে চাটমোহরের মেয়ে শাহনাজ ফেরদৌস খুশির সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। খুশিও একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রী। তাদের 'যমজ পুত্র সন্তান দিব্য জ্যোতি আর সৌম্য জ্যোতি এখন অধ্যয়নরত এব উভয়েই অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। সুতরাং এখন পুরো পরিবার মিডিয়া জগতের সঙ্গে যুক্ত।

বৃন্দাবন দাসের গুণাবলির মূল উত্তরসূরি তার বাবা স্বর্গীয় দয়াল কৃষ্ণ দাস। তিনি ১৯২৫ সাল হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একজন প্রখ্যাত কীর্তন শিল্পী; পদাবলী কীর্তন এবং সাহিত্যে যেন 'অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী' ছিলেন। দয়াল কৃষ্ণ দাস প্রায় ৫০ বছর কীর্তন গেয়ে ছিলেন। তার মাতা ময়নারানী, তিনিও সংস্কৃতিমনা ছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/20/1561049161788.jpg

প্রাচ্যনাটের প্রয়োজনে ছোট একটি মঞ্চ নাটক 'কাঁদতে মানা' লিখেছিলেন বৃন্দাবন। মূলত এ নাটকটি মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে প্রাচ্যনাটের শুভ যাত্রা হয়। এরপর প্রখ্যাত নাট্য-পরিচালক সাইদুল আনাম টুটুলের পরিচালনায় নির্মিত হলো বৃন্দাবন দাসের লেখা প্রথম টেলিভিশন ধারাবাহিক-নাটক ‘বন্ধুবরেষু’। নাটকটি ১৯৯৯ সালে একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত ও দর্শকনন্দিত হয়।

পাবনার আঞ্চলিক ভাষাকে বৃন্দাবন তার নাটকে শক্তিশালী এক বৃহৎ স্থান করে দিয়েছেন। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটক: বন্ধুবরেষু, মানিক চোর, বিয়ের ফুল, ঘরকুটুম, পাত্রী চাই, হাড় কিপটে, গরু চোর, আলতা সুন্দরী, সার্ভিস হোল্ডার, ভালোবাসার তিন কাল, সাকিন সারি সুরি, লেখক শ্রীনারায়ণ চন্দ্রদাস, কতা দিল্যেমতো, মোহর শেখ, ওয়ারেন, টক শো, পত্র মিতালী, ফিরে পাওয়া ঠিকানা, সম্পত্তি, সম্পর্ক, উঁট, ডায়রী, কাসু দালাল ও তিন গেদাসহ প্রায় দুই শতাধিক নাটক রচনা করেছেন। তার লেখা মঞ্চ নাটক : কাঁদতে মানা, দড়ির খেলা, অরণ্য সংবাদ, কন্যা ইত্যাদি।

নাটকে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি' ও 'বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন' কর্তৃক সেরা নাট্যকারের পুরস্কার পেয়েছেন বৃন্দাবন দাস। তাছাড়া তিনি বিনোদন বিচিত্রা, টেনাশিনাস, ট্যাব, আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড, প্রতিবিম্ব (অস্ট্রেলিয়া) সহ বহু সম্মাননা ও পুরস্কার লাভ করেন।

লেখক: নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও প্রভাষক।

   

ঐশ্বরিয়া-কিয়ারা নয়, সোনামের মতে কানে সেরা পোশাক পরেছেন ন্যান্সি ত্যাগী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কানে ন্যান্সি ত্যাগী(বামে), সোনাম কাপুর (ডানে)

কানে ন্যান্সি ত্যাগী(বামে), সোনাম কাপুর (ডানে)

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনোদন এবং ফ্যাশন সম্পর্কিত ব্যক্তিদের টক অব দ্য টাউন হলো  ‘কান’স ফিল্ম ফেস্টিভাল’। বিগত বছরের তুলনায় এই বছর কানরে উৎসবে কিছুটা ভিন্নতা দেখা গেছে।  তারকাদের পাশাপাশি ছোট-বড় অনেক ইনফ্লুয়েন্সারও যোগ দিয়েছেনে উৎসবে। তাদের মধ্যেই একজন ভারতীয় ইন্ফুয়েন্সার ন্যান্সী ত্যাগী। নিজের ডিজাইন করা পোশাক পরিহিত প্রথম তারকা হিসেবে চর্চায় রয়েছেন ন্যান্সি।

একের পর এক ঝকমকে পোশাকে নান্দনিকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন ন্যান্সি। দেশবাসীর পাশাপাশি তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ তারকারাও। উর্ফি জাভেদ, খুশা কাপিলা সহ বড় বড় তারকাও তার প্রশংসায় ভাসছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন বলিউডের ফ্যাশন আইকন সোনাম কাপুর।

সোনাম কাপুরের মতে, ন্যান্সির বানানো পোশাকই কানে তার দেখা সেরা পোশাক। একই সঙ্গে সোনাম ন্যান্সীর কাছে অনুরোধ করেন, যেন তার জন্য ন্যান্সী কোনো পোশাক তৈরি করে দেন।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ন্যান্সি

১৮ তারিখের ইভেন্টে ন্যান্সী নিজের তৈরি করা পোশাক পরে প্রথম বার রেড কার্পেটে হাঁটেন। গোলাপি কাপড়ে তৈরি করা বিশাল টোইল সমৃদ্ধ গাউনটি ন্যান্সি একা হাতে তৈরি করেছেন। তাও মাত্র ১ মাসের মধ্যেই। তিনি এতে ব্যবহার করেছেন ১ হাজার মিটার কাপড়। এই গোলাপি গাউনটির ওজন ছিল ২০ কেজি। প্রথম দিন কানের লাল গারিচা পা রাখার সাথে সাথেই হৈ-চৈ ফেলে দেন ন্যান্সি। ৩০ দিনের মধ্যে তৈরি করা তার অসাধারণ পোশাকের কারণে দেশ জুড়ে হচ্ছে জয়জয়কার।

দ্বিতীয় দিন একটি চকচকে ল্যাভেন্ডার শাড়ি পরে হাজির হন তিনি। শাড়ির ডিজাইনের আদলে তৈরি করা পোশাকটিতে রয়েছে কিছুটা ওয়েস্টার্ন টাচ। এই পোশাকটিও নিজেই তৈরি করেছেন ন্যান্সী। প্রথম পোশাকের মতো দ্বিতীয় পোশাক দিয়েও সকলের নজর ও প্রশংসা কেড়েছেন এই উত্তর প্রদেশের এক ছোট শহরের মেয়ে।

;

লোপেজের পাশে বেনের অনুপস্থিতিতে সন্দিহান ভক্তরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অ্যাটলাসের প্রিমিয়ারে জেনিফার লোপেজ

অ্যাটলাসের প্রিমিয়ারে জেনিফার লোপেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

নেটফ্লিক্সের আসন্ন প্রজেক্ট ‘অ্যাটলাস’ এ কাজ করেছেন জেনিফার লোপেজ। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্মিত এই সিনেমায় প্রধান এবং নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমায় প্রধান খল চরিত্রে সিমু লিউ ছাড়াও স্টার্লিং কে. ব্রাউন, মার্ক স্ট্রং-সহ অনেক নামকরা অভিনয় শিল্পীরা কাজ করেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সিনেমাটি প্রকাশ পাবে ২৪ মে।

ক্যালিফোর্নিয়ার মিশরীয় থিয়েটারে এর প্রিমিয়ার উপলক্ষে রেড কার্পেট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০ মে রাতে সেখানে সিনেমা সংশ্লিষ্ট একগাদা হলিউড তারকা উপস্থিত হন।

এই অনুষ্ঠানে এসে আবারও ব্যকি্তগত  ব্যাপার নিয়ে  আলোচিত হন অভিনেত্রী এবং পপ সঙ্গীত শিল্পী জেনিফার লোপেজ। হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেকের অর্ধাঙ্গিনী তিনি। তবে এই অনুষ্ঠানে একাই আসেন লোপেজ।

রেড কার্পেটে হেঁটে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করার সময় সকলের নজর ছিল লোপেজের দিকে। পাপ্পারাজিরা অপেক্ষা করছিলেন বেনের আগমনের। সকলকে অবাক করে দিয়ে একাই এগিয়ে যান লোপেজ।

জেনিফার লোপেজ- বেন অ্যাফ্লেক দম্পতি

বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল এই তারকা দম্পতির সংসারে চীর ধরতে শুরু করেছে। যদিও প্রিমিযার অনুষ্ঠানেও বিয়ের আংটি হাতে নিয়েই উপস্থিত হন লোপেজ। মেট গালাতেও একাই এসেছিলেন লোপেজ, বেন উপস্থিত ছিলেন না। পুরোটা সময় লোপেজ জেনডায়া-ব্যাড বানিদের সঙ্গে ঘুরছিলেন। আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলে দিলো।

যদিও বেনের এই অনবরত অনুপস্থিতিতে লোপেজ বা বেন কেউই কোনো পোক্ত কারণ দেখাননি। তবে আগে এক সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল,‘যদি সাময়িক উন্মাদনার কারণ দেখিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্ভব হতো তবে অনেক আগেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটতেন। গত ২ বছর যেন কোনো জ্বরের ঘোরে কাটাচ্ছিলেন তিনি। এখন ধীরে ধীরে তার জ্ঞান ফিরতে শুরু করেছে। তাই তিনি অনুভব করতে পারছেন কোনো ভাবেই এই সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা সম্ভব নয়!’

এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকরেই সন্দেহ ছিল। তবে যত দিন যাচ্ছে ততই যেন গুঞ্জনের সত্যতা মিলতে শুরু করেছে।

;

কানে গিয়ে আন্তর্জাতিক সিনেমায় সুযোগ পেলেন ভাবনা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ `কান চলচ্চিত্র উৎসব'-এ প্রথমবার অংশ নিয়ে বর্তমানে বেশ আলোচনায় রয়েছেন অভিনেত্রী ভাবনা। নিত্য নতুন পোশাক পরে ছবি দিচ্ছেন, তা নিয়ে মেতে উঠছে নেটিজেনরা।

তবে ভাবনার এবারের কানযাত্রা শুধুমাত্র ফ্যাশনের মধ্যেই আটকে নেই। বিশ্ব চলচ্চিত্রে নিজেকে দেখতে চান, এমন ইচ্ছা থেকেই নিজ উদ্যোগে তার এই উৎসবে যাওয়া। এমন দারুণ একটি জায়গায় গিয়ে তিনি ঘোষণা দিলেন নিজের ৭ম সিনেমার।

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

মালয়েশিয়া বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি নির্মাতা  জাফর ফিরোজের ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবির নাম ‘জেনুবিয়া’।

পরিচালক জাফর ফিরোজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করে ১২ বছর আগে মালয়েশিয়া যান। বর্তমানে সেখানে পিএইচডি করছেন। এর আগে ‘রিবর্ণ’ নামের একটি চায়নিজ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এবারই প্রথম ভাবনাকে মূল চরিত্রে রেখে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ফিরোজ। ছবিটি বাংলা, ইংরেজি ও চায়নিজ ভাষায় তৈরি এবং মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।

আর এই ছবির নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন কিয়াও লি, যিনি একজন ব্রিটিশ চায়নিজ প্রযোজক। একই সঙ্গে তিনি ইউনেসকো ফিল্ম সিটির সঙ্গেও যুক্ত আছেন।

‘জেনুবিয়া’ ছবির প্রথম পোস্টার

কান থেকে ভাবনা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘‘অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার চাওয়া থাকে প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন চরিত্রে দেখার। ‘জেনুবিয়া’র চরিত্রটি ঠিক তেমনি, যা নিয়ে গর্ব করা যায়। এখনই বিস্তারিত বলতে পারছি না। কিন্তুগল্পটা শোনার পর মনে হয়েছে, সত্যি অসাধারন। যেদিন ছবিটা সবাই দেখবেন সেদিন বুঝতে পারবেন আমি কেন এই কথাগুলো বললাম।’

প্রথমবার একা কানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাবনা বলেন, ‘আমি একা এসেছি বলে প্রথমদিকে বেশ নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু আস্তে আস্তে ভয়কে জয় করতে শিখেছি। আমার সঙ্গে কান উৎসবে আসার পর যা কিছু ঘটছে, সবই কল্পনাতীত।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

‘জেনুবিয়া’ ছবিটি নিয়ে নির্মাতা গণমাধ্যমকে বললেন, ‘‘এ বছরের নভেম্বরে মালয়েশিয়াতে আমরা একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করছি। তারই মার্কেটিংয়ের জন্য কান উৎসবে যাই। শুনলাম, বাংলাদেশ থেকে ভাবনা এসেছেন সেখানে। তার সঙ্গে যোগাযোগ করে গল্প শোনাই। তিনি রাজি হয়ে যান। আমরাও সিদ্ধান্ত নিলাম একসঙ্গে কাজটি করবো। আগামী তিন মাসের মধ্যে ছবির কাজ শুরু করতে চাই। পুরো শুটিং মালয়েশিয়াতেই হবে। অন্যান্য অভিনয়শিল্পীও এরমধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক

ভাবনাকে কাস্ট করা নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘কানে দেখা হয়েছে বলেই হুট করে তাকে সাইন করানো হয়নি। গল্পের সঙ্গে মানানসই এমন কয়েকজন আমাদের তালিকায় ছিলেন। তারমধ্যে ভাবনাও একজন। যখন শুনলাম ভাবনা কান উৎসবে আসছেন, তখন ভাবলাম, হোয়াই নট তার সঙ্গে বসি। এরপর তো ব্যাটে বলে মিলেই গেল! আমার ছবিতে চরিত্রটি যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, তাতে ভাবনার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তিনি খুব সুন্দরভাবে তা উপস্থাপন করতে পারবেন। তার আত্মবিশ্বাসও আমাদের অনেক বেশি আশ্বস্ত করেছে।’

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভাবনা /  ছবি : ফেসবুক
;

বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল

বেবি বাম্প আগলে দীপিকা, রণবীরের হাত ধরা মুহূর্ত ভাইরাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারেত লোকসভা নির্বাচন চলছে। মহারাষ্ট্রে পঞ্চম দফা নির্বাচনে, বলিউডের অনেক তারকা তাদের ভোটকেন্দ্রে গেছেন ভোট দিতে।


ভোট দেওয়ার প্রমাণ হিসাবে তাদের হাতের কালিও তুলে ধরেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন নতুন মা-বাবা দীপিকা পাডুকোন এবং রণবীর সিংও। এসময় হবু মায়ের বেবি বাম্প দেখা গেছে ।


দীপিকা এবং রণবীর ভোটকেন্দ্রে যাওয়া মন কেড়েছে ভক্তদের। তাদের একসঙ্গে হেঁটে যেতে দেখে মুগ্ধ সবাই।

রণবীর, সব পরিস্থিতিতে দীপিকার হাত ধরে আগলে রাখেন। তিনি তাঁকে বুথেও নিয়ে যান। ভোট দিতে যাওয়ার সময় দু’জনেই সাদা শার্ট এবং নীল রঙের ডেনিম পরেন।

এখানেই দীপিকার প্রথমবার বেবি বাম্প দেখা গেল। ক্যামেরার সামনে হাসতে হাসতে তাদের পোজ দিতেও দেখা যায়।

;