অভিষেকেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার



বৃষ্টি শেখ খাদিজা, নিউজরুম এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
মিথুন চক্রবর্তী, জায়রা ওয়াসি, ঋষি কাপুর ও শ্রেতা বসু প্রসাদ

মিথুন চক্রবর্তী, জায়রা ওয়াসি, ঋষি কাপুর ও শ্রেতা বসু প্রসাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে সম্মানজনক স্বীকৃতি ধরা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারকে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেরা ও প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই সম্মাননা। ঠিক তেমনিভাবে ভারতীয় তারকাদেরও নজর থাকে সম্মানজনক এই পুরস্কারের দিকে।

সম্মানজনক এই স্বীকৃতি কেউ কেউ পেয়ে থাকেন ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় পর। আবার যার কপাল ভালো তিনি অভিষেকেই অর্জন করেন এই সম্মান। চলুন জেনে নেওয়া যাক বলিউডের এমন কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম যারা ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তুলেছেন।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/21/1563717585560.jpgঋষি কাপুর
বাবা রাজ কাপুরের পরিচালিত ‘মেরা নাম জোকার’ ছবির মধ্য দিয়ে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন ঋষি কাপুর। যেখানে রাজু চরিত্রে অভিনয় করে জয় করে নেন দর্শকের হৃদয়। সেই সঙ্গে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে ১৯৭০ সালে ঘরে তোলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/21/1563717599795.jpgমিথুন চক্রবর্তী
রূপালি পর্দায় বলিউডের এই অভিনেতার অভিষেক হয় ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মৃগয়া’ ছবির মধ্য দিয়ে। আর প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন বর্ষীয়ান এই তারকা।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/21/1563717612824.jpgজায়রা ওয়াসিম
এই ‘দঙ্গল’ কন্যাকে কে ভুলবেন! নীতেশ তিওয়ারি পরিচালিত এই ছবিটির মাধ্যমে জায়রার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু হয়। আর এই ছবিটি তাকে দিয়েছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বিকাশ বহেল
‘কুইন’ ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় অর্জন করেছেন বিকাশ বহেল। কিন্তু বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার অভিষেক হয় ‘চিল্লার পার্টি’র মধ্য দিয়ে। এই ছবিটির সুবাদে একটি নয়, দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/21/1563717629854.jpgশ্রেতা বসু প্রসাদ
‘মাকদে’ দিয়ে ২০০২ সালে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করে শ্রেতা। ছবিটিতে তার অভিনয় দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তাইতো সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে সে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/21/1563717646122.jpgহর্ষ মেয়র
প্রতিভাবান এই শিশুশিল্পী ২০১৯ সালে ‘আই অ্যাম কালাম’র মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। যা তাকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/21/1563717660416.jpgপার্থ গুপ্ত
পরিচালক আমল গুপ্তের মতোই প্রতিভাবান তার ছেলে পার্থ গুপ্ত। তাইতো ছোট পার্থর অভিনীত ‘স্যানলি কা ডা্ব্বা’ বাজিমাত করে বক্স অফিসে। আর অভিষেক ছবির সুবাদে ২০১১ সালে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘরে তোলে সে।

   

কানে ‘গডফাদার’ স্রষ্টাকে ১১ মিনিটের করতালি সম্মাননা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লালগালিচায় হেঁটে লুমিয়েরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে টুপি নাড়ছেন ফ্রান্সিস ফোর্ড

লালগালিচায় হেঁটে লুমিয়েরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে টুপি নাড়ছেন ফ্রান্সিস ফোর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

৮৫ বছরের একজন মানুষের জন্য কী আকাক্সক্ষা সবার! হবেই বা না কেন? সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা অন্যতম। তিনি ‘গডফাদার’ ট্রিলজির কিংবদন্তি পরিচালক। তাকে নিয়ে আগ্রহ না থাকাটাই যেন অস্বাভাবিক!

কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরের সামনের সড়ক বিভাজক ঢেকে গিয়েছিল জনস্রোতে। তরুণ-তরুণী, বুড়ো-বুড়ি সবার দৃষ্টি তার দিকে। লালগালিচায় হেঁটে লুমিয়েরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এক হাতে টুপি নেড়ে সবার অভিবাদনে সাড়া দেন তিনি। তার অন্য হাতে ছড়ি। তাকে একনজর দেখতে দোতলার প্রেস রুমের ব্যালকনির এক কোণে লেগে গেলো জটলা। প্রেস রুমের বাইরে লবিতে গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরের একপাশের দরজায় মোবাইল ফোন তাক করে রেখেছেন অনেকে। তিনি সুবিশাল লুমিয়েরে ঢোকার পর টানা ৪ মিনিট মুহূর্মুহু করতালিতে সম্মান জানানো হয়।

তরুণ-তরুণী, বুড়ো-বুড়ি সবার দৃষ্টি পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার দিকে

১৯৭৪ সালে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’ ছবিটি কানে স্বর্ণপাম জয় করেছিল। ৫০ বছর আগের সেই জয় নিয়ে সে সময় বিতর্কও ছিল, কারণ উৎসবটিতে প্রদর্শনের সময় ছবিটির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি! ১৯৭৯ সালে কাপলো পরিচালিত ‘দ্য কনভারসেশন’ ছবিটিও স্বর্ণপাম জিতেছে। ১৯৯৬ সালে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে বিচারকদের প্রধান ছিলেন তিনি।

কানে ৪৫ বছর পর ‘মেগালোপলিস’ নিয়ে উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় ফিরলেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। গতকাল (১৬ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে। কল্পবিজ্ঞানধর্মী বড় ক্যানভাসের ছবি ‘মেগালোপোলিস’ নিজের ওয়াইন বিক্রি থেকে প্রাপ্ত ১২ কোটি ডলার খরচ করে কয়েক দশক সময় নিয়ে বানিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে ১৩ বছর পর তার নতুন ছবি এলো।

কানে ৪৫ বছর পর ‘মেগালোপলিস’ নিয়ে উৎসবের মূল প্রতিযোগিতায় ফিরলেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা

২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ছবিটির প্রদর্শনী শেষ হতেই টানা ৭ মিনিট দাঁড়িয়ে করতালিতে অভিবাদন জানিয়েছেন দর্শক ও অতিথিরা। তখন অভিনেতা অ্যাডাম ড্রাইভার ও জিয়ানকার্লো এসপোসিতোকে জড়িয়ে ধরেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। আবেগপ্রবণ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার কেমন লাগছে তা বলে বোঝানো যাবে না।’

এরপর দর্শক সারিতে থাকা নিজের পরিবারের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। তবে তিনি বলেন, ‘তারাই একমাত্র নয়, ছবিটির অসাধারণ অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আমার পরিবার। যেমন স্থপতি চেজার কাতিলিনা (মেগালোপোলিস ছবির প্রধান চরিত্র) বলেছেন, আমরা সবাই এক পরিবার। তোমরা সবাই আমার কাজিন। আমরা এক। আমরা মানব পরিবার। আমাদের পুরো পরিবার, দিনের শেষে এই সুন্দর বাড়ি ও পৃথিবীর প্রতি আমাদের সবারই আনুগত্য থাকা দরকার। এটাই আমার চাওয়া। শিশুরাই আমাদের কাছ থেকে এমন সুন্দর পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হতে চলেছে। সুন্দর পৃথিবীতে যেকোনো ভাষায় আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হলো ‘এসপারেনচা’। অর্থাৎ আশা। এটাই আমি উৎসর্গ করছি।’

‘মেগালোপলিস’-এর পুরো টিম হাজির হয়েছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে

এবারের মূল প্রতিযোগিতায় রয়েছে ২২টি চলচ্চিত্র। এরমধ্যে পল শ্রেডারের ‘ও কানাডা’র অভিনেতা রিচার্ড গেয়ার ‘মেগালোপলিস’-এর প্রিমিয়ার দেখেছেন। অস্কারজয়ী ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার সামনের সারিতে বসেন তিনি। নির্মাতার গালে চুম্বনের পর তাকে অভিনন্দন জানান এই তারকা।

‘মেগালোপলিস’-এর গল্পে দেখা যায়, একটি দুর্ঘটনায় নিউ ইয়র্ক সিটি ধ্বংস হওয়ার পর টেকসই ইউটোপিয়া হিসেবে শহর পুনর্র্নিমাণের জন্য কাজ শুরু করে চেজার। কিন্তু তাকে চ্যালেঞ্জ করে দুর্নীতিগ্রস্ত মেয়র ফ্র্যাঙ্কলিন সিসেরো। তার মেয়ে জুলিয়াকে ভালোবেসে ফেলে চেজার। মেয়েটি তাকে লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করে যায়।

‘মেগালোপলিস’ সিনেমার দৃশ্যে হলিউড অভিনেতা অ্যাডাম ড্রাইভার
;

কানে গিয়ে আদনান বললেন, আরও বেশি আন্তর্জাতিক কাজে যুক্ত হব



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
কান উৎসবে আদনান আল রাজীব

কান উৎসবে আদনান আল রাজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক আয়োজন ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এর ৭৭তম আসর। উৎসব উদ্বোধন করেছেন তিনবার অস্কারজয়ী হলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। বাংলাদেশ থেকে এ বছর কোনো সিনেমা অফিশিয়াল মনোনয়ন না পেলেও নিজের প্রযোজিত বিদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘র‌্যাডিক্যালস’ নিয়ে এই মর্যাদাপূর্ণ উৎসবে অংশ নিয়েছেন মেধাবী নির্মাতা ও প্রযোজক আদনান আল রাজীব।

কানের সমান্তরাল বিভাগ ‘ক্রিটিকস উইক’-এ প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘র‌্যাডিক্যালস’ সিনেমাটি। এটি মূলত ফিলিপাইনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, যেটি পরিচালনা করেছেন ফিলিপাইনের নির্মাতা আরভিন বেলারমিনো। প্রযোজনায় রয়েছেন ক্রিস্টিন ডে লিয়ন। এ ছাড়াও আদনান আল রাজীব ও তানভীর হোসেনের সঙ্গে এটি সহপ্রযোজনা করেছেন ডমিনিক ওয়েলিনস্কি।

কান উৎসবে আদনান আল রাজীব

কান উৎসবে পৌঁছানোর অনুভূতি শেয়ার করতে গিয়ে আদনান আল রাজীব বলেন, ‘এই অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব না। মনে হচ্ছে কল্পনাতীত। পুরো টিম এখানে এসে উপস্থিত হয়েছে। আসার পর থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নির্মাতা-প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন অনেক কিছু শিখেছি, যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবসময় নির্মাতা হিসেবে নিজের ভিত্তিটা গড়ার চেষ্টা করেছি। এখন চেষ্টা করছি প্রযোজক হিসেবে আরও বেশি আন্তর্জাতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে। এতে নতুন কিছু করার এবং শেখার সুযোগ তৈরী হবে। অনেকেই হয়তো ভাবেন, প্রযোজনা মানে শুধু টাকা লগ্নি করা। কিন্তু এটা ভুল। এর বাইরেও অনেক ক্রিয়েটিভ বিষয় রয়েছে। সেসব কাজে নিজেকে যুক্ত করতে চাই।’

তিনি আরও জানান, কানে ‘র‌্যাডিক্যালস’ সিনেমার তিনটি প্রদর্শনী হবে। আগামী ২১ মে দুটি এবং ২৪ মে একটি। এ নিয়ে আদনান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এতগুলো শো প্রদর্শনী কেউ পেয়েছে কি না আমি জানি না। তবে আমাদের এই সিনেমাটি তিনটি শো পেয়েছে।’

কান উৎসবে আদনান আল রাজীব ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘র‌্যাডিক্যালস’ টিম

কানে হাজির হয়ে প্রতিটা মুহূর্তই বেশ উপভোগ করছেন জানিয়ে এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘এখানে ফিলিপাইনের অনেক নির্মাতা পাশাপাশি আরও অনেক দেশের নির্মাতারাই আছেন তাদের সঙ্গে মিশে এবং কথা বলে তাদের পিচিং করার ধরন বোঝার চেষ্টা করছি। বাহিরের দেশের নির্মাতারা কীভাবে এলো কোনো প্রজেক্ট পিচ করে তারপর সেটা নিয়ে কীভাবে সামনে এগিয়ে যেতে হয় এ রকম অনেক বিষয়। এখানে আসার পর থেকে এই বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করছি যেহেতু সামনে এ রকম আরও অনেক আন্তর্জাতিক প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তবে এই বিষয়গুলোতে আমাকে ভীষণভাবে সহযোগিতা করছে তানভীর হোসেন।’

কান উৎসব শেষ করে পরদিনই পুরো টিম উড়ে যাবেন প্যারিসে। সেখানে প্রায় এক সপ্তাহ নতুন কিছু কাজ নিয়ে পরিকল্পনায় বসবেন তারা। এরপর আগামী মাসে দেশে ফেরার কথা রয়েছে এই নির্মাতার।

কানের সমূদ্র সৈকতে আদনান আল রাজীব

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে কান উৎসবে যোগ দেওয়ায় আদনান আল রাজীবকে শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন তার সহকর্মীরা। ফিলিপাইনের সংস্কৃতি মোরগ-নাচের একটি প্রতিযোগিতাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র র‌্যাডিক্যালস। এতে অভিনয় করেছেন টিমোথি কাস্তিলো, রস পেসিগ্যান, এলোরা এসপানো।

;

ঢাকায় আসছেন ‘কুরুলুস উসমান’-এর উসমান’খ্যাত বুরাক



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কুরুলুস উসমান’ সিরিজে বুরাক ঔজচিভিত

‘কুরুলুস উসমান’ সিরিজে বুরাক ঔজচিভিত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুর্কি সুপারস্টার বুরাক ঔজচিভিত বাংলাদেশেও দারুণ জনপ্রিয়। বাংলা ভাষায় ডাবিং করা তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় দুটি সিরিজ ‘কুরুলুস উসমান’ ও ‘সুলতান সুলেমান’-এ অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। বিশেষ করে ‘কুরুলুস উসমান’–এর বিশেষ আকর্ষণ নায়ক বুরাক ঔজচিভিত। তবে নিজের নামে নয়, বাংলাদেশি দর্শকের কাছে ‘উসমানী সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমান’ হিসেবেই বহুল পরিচিত তার। সবার পছন্দের এই নায়ক আসছেন বাংলাদেশে।

তুরস্কের বিখ্যাত এই অভিনেতা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। সেখানে তাকে ভাঙা বাংলায় বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘সালাম বাংলাদেশ, কেমন আছেন আপনারা ‘ এরপর তিনি জানান, বাংলাদেশে আসার জন্য তিনি বেশ এক্সাইটেড।

বুরাক ঔজচিভিত / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

জানা গেছে, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের রূপান্তর যাত্রার অংশ হিসেবে বুরাক ঔজচিভিতকে আমন্ত্রন জানিয়েছেন ঢাকায়।

সিঙ্গার বাংলাদেশ বুরাক ঔজচিভিত-এর সাথে একাধিক সম্পৃক্ততা এবং উদ্যোগ নিয়ে আসতে চলেছে। অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে, বুরাক ঔজচিভিত সিঙ্গার বাংলাদেশের সাথে একটি ধারাবাহিক কার্যক্রমে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফর করবেন। ১৭ এবং ১৮ মে সিঙ্গার বাংলাদেশের উরাধুরা ফ্রাইডে ডিলের সময় singerbd.com থেকে যেকোনো পণ্য কেনার মাধ্যমে ভাগ্যবান বিজয়ী এই প্রিয় অভিনেতার সাথে একান্ত সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারবেন।

‘সিঙ্গার’ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কনজ্যুমার ডিউরেবল পণ্যের খুচরা বিক্রেতা। যার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ৪৬৩টি খুচরা পণ্য বিপণন কেন্দ্র ও ১০০০ এরও বেশি ডিলারশিপ রয়েছে।

‘কুরুলুস উসমান’ সিরিজে বুরাক ঔজচিভিত

বুরাক ঔজচিভিত তুরস্কের নামি অভিনেতা। উসমানি সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট উসমানের ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা তার। পাশাপাশি সুলতান সুলেমান সিরিজে বালিবের চরিত্রে অভিনয় করেও প্রশংসিত বুরাক। সিরিজে তার প্রেমে পড়েন সুলতান সুলেমানের মেয়ে মেহরিম সুলতান। কিন্তু বালিবের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন মেহরিম সুলতান। এই দুটি সিরিজের কারণে রাতারাতি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে যান বুরাক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নায়কের ভক্ত-অনুসারীর সংখ্যা অনেক। বুরাকের জন্ম ১৯৮৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের ইস্তাম্বুলে। এই মডেল ও অভিনেতা তুরস্কের মারমারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদে পড়ালেখা করেছেন। স্নাতক করেছেন ফটোগ্রাফি নিয়ে।

স্ত্রীর সঙ্গে বুরাক ঔজচিভিত / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

;

যে নাটক দেখে কাঁদছে প্রবাসীরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘বাহাদুরী’ নাটকের পোস্টার

‘বাহাদুরী’ নাটকের পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবাসীদের গল্প নিয়ে এ পর্যন্ত বহু নাটকই নির্মিত হয়েছে যা দর্শকমনে ছাপও রেখেছে। তেমনি বাস্তবধর্মী গল্পে নির্মিত সাম্প্রতিক নাটক ‘বাহাদুরি’ও দর্শকদের আবেগে ভাসাচ্ছে! এটি পরিচালনা করেছেন শেখ নাজমুল হুদা ঈমন।

গল্পে দেখা যায়, সাত বছর পর বিদেশ থেকে দেশে আসেন নিলয় আলমগীর। কিন্তু তার মেয়ে তাকে চেনে না, বাবা বলে ডাকে না। বিদেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা পাঠালেও দেশে এসে ব্যবসা করার জন্য পরিবারের কাছ থেকে কোন সাহায্য পান না। অথচ তার কাছে স্ত্রী, শালী, শ্বাশুড়ি, ভাই, বাবার নানা আবদার। যখন নিলয় সবকিছু বুঝতে পারলো তখন তার দেশে থাকার ইচ্ছেটাই মরে গেল!

‘বাহাদুরী’ নাটকের দৃশ্যে নিলয় আলমগীর

ইউটিউবে মুক্তির পর দারুণ সাড়া পাচ্ছে নাটকটি, বিশেষ করে প্রবাসীদের। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নাটকটি দেখেছে ২৫ লাখেরও বেশি দর্শক এবং মন্তব্য পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার। সব ইতিবাচক মন্তব্য এবং শেষ দৃশ্যে এসে আবেগাপ্লুত হচ্ছেন দর্শক।

ইউটিউবে মন্তব্যের ঘরে অনেকেই লিখেছেন, ‘একজন প্রবাসী হিসাবে নাটকটি আমার জীবনের সাথে মিলে গিয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ পরিচালক ভাইকে, তিনি বাস্তবসম্মত একটি নাটক তৈরি করেছেন এবং এটা দেখে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশীদের শিক্ষা নিতে হবে।’

নির্মাতা নাজমুল হুদা ঈমন বলেন, ‘যখন নাটকটি সম্পাদনার কাজ করছিলাম তখন শেষ দৃশ্যে নিলয় আলমগীর ভাইয়ের অভিনয় দেখে আমার চোখেও পানি চলে আসে। অভিনয় দিয়ে একজন নির্মাতাকে আবেগপ্রবণ করে তোলা চাট্টিখানি কথা না।’

‘বাহাদুরি’ নাটকে নির্দেশনা দিচ্ছেন শেখ নাজমুল হুদা ঈমন

নিলয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও জানালেন এই নির্মাতা, ‘নিলয় ভাইকে নিয়ে শুটিং করার আগে অনেকেই আমাকে বলছিল, তাকে নিয়ে এরকম গল্প দর্শক পছন্দ করবে না। এমনকি এও বলেছিল যে, তিনি নাকি সেটে নির্মাতাকে ডমিনেট করেন, স্ক্রিপ্ট পরিবর্তন করে ফেলেন। কিন্তু আমি এমন কিছুই নিলয় আলমগীরের মধ্যে পাইনি। স্ক্রিপ্টটা পড়ার পর সেখান থেকে একটা শব্দও তিনি পরিবর্তন করেননি বরং তার সহশিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করে পুরো কাজটা কীভাবে ভালো করা যায় সেটা নিয়ে তাকে উদগ্রীব হতে দেখেছি।’

‘বাহাদুরি’ নাটকে নিলয় আলমগীর ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন তানিয়া বৃষ্টি, শোয়েব মনির, শাহবাজ সানি প্রমুখ। নাটকটি দেখা যাচ্ছে বাংলাভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে।

;