রবীন্দ্রসংগীত চর্চা ও বিকাশের সংগঠন ‘উত্তরায়ণ’ এর নবম বার্ষিকী আসছে ২ নভেম্বর। এদিন শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হবে ‘ইউরোপে রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক বিশেষ গীতি আলেখ্য।
এদিন সন্ধ্যায় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য ভিন্ন ধারার এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন উত্তরায়ণ’র পরিচালক ও বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী লিলি ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
এই আয়োজন প্রসঙ্গে লিলি ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর গানকে আমরা নানাভাবে দর্শক-শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের আয়োজন সাজিয়েছি তাঁর ইউরোপ ভ্রমণের সময় রচিত গানগুলি দিয়ে। কবিগুরু অসম্ভব ভ্রমণপিপাসু মানুষ ছিলেন। শুধুই ভ্রমণ ই করতেন তা নয়, যখন যে দেশে গেছেন সে দেশ সম্পর্কে যথেষ্ট অবহিত হয়েছেন। তাঁর লেখণীতে বারবার সে দেশের সমাজ, রাজনীতি, প্রকৃতি ও মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নানাভাবে উঠে এসেছে। আমরা এবার চেষ্টা করেছি তাঁর ইউরোপ ভ্রমণকালে রচিত ২০টি গান ও গল্প সবার সামনে তুলে ধরার। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।’
বিজ্ঞাপন
‘ইউরোপে রবীন্দ্রনাথ’ পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন লিলি ইসলাম। সংগীত পরিচালনা করেছেন হিমাদ্রী শেখর। পাঠ ও আবৃত্তিতে থাকছেন ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় ও ডালিয়া আহমেদ। সংগীত পরিবেশন করবেন উত্তরায়ণের সদস্যবৃন্দ। পুরো আয়োজনটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আজ রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম মাতাতে প্রস্তুত বলিউড ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। তার মঞ্চে ওঠার আগেই পাওয়া গেলো নতুন খবর। আরেক প্রখ্যাত বলিউড ও পাকিস্তানি গায়ক রাহাত ফতেহ আলী খানও আসছেন ঢাকায় গাইতে।
আগামী ২১ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে 'ইকোস অব রেভ্যুলেশন' শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্টে গাইবেন তিনি। কনসার্ট থেকে আয়কৃত অর্থ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দান করা হবে। বিশ্বখ্যাত সংগীতজ্ঞ রাহাত ফাতেহ আলী খান ছাড়াও কয়েকটি জনপ্রিয় দেশীয় ব্যান্ড গান পরিবেশন করবেন।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে কনসার্টটির আয়োজক 'স্পিরিটস অফ জুলাই' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন 'স্পিরিটস অফ জুলাই’-এর সদস্য ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ রিজভী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাদেকুর রহমান সানি, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাফর আলী এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওয়াহিদ-উজ-জামান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, '‘জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামক এক প্লাটফর্মের মাধ্যমে আগামী ২১ শে ডিসেম্বর (শনিবার) ‘ইকোস অব রেভ্যুলেশন’ শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্ট আয়োজন করতে যাচ্ছি। এই কনসার্ট থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ আমরা আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করার মাধ্যমে তাদের পাশে থাকতে চাই। এ প্রেক্ষিতে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় জুলাই গণহত্যায় শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দান করা হবে।'’
গত ১২ নভেম্বর ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’ প্লাটফর্মের সঙ্গে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হয়েছে বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
কনসার্টের মূল আকর্ষণ বিশ্বখ্যাত সংগীতজ্ঞ রাহাত ফাতেহ আলী খান বিনা পরিশ্রমে গান পরিবেশন করবেন উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, 'বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তার সঙ্গে ‘স্পিরিটস অফ জুলাই’-এর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তিতে আমাদের কনসার্টে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন অর্থাৎ তার পারিশ্রমিকও আহত-নিহতদের পরিবারকে প্রদান করা হবে।'
এ ছাড়া কনসার্টে স্বল্প পারিশ্রমিকে দেশীয় সংগীত ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, অ্যাশেজ, আফটারম্যাথ ও র্যাপ সংগীতশিল্পী সেজান এবং হান্নানও গান পরিবেশন করবেন বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। সংগীত ছাড়াও কনসার্ট ইভেন্টে জুলাই বিপ্লব-সংক্রান্ত গ্রাফিতি প্রদর্শনী, মঞ্চনাটক এবং মুগ্ধ ওয়াটার জোনসহ আরো বিভিন্ন কর্ণার থাকবে বলে এ সময় উল্লেখ করা হয়।
ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কনসার্টের টিকেট বিক্রি শুরু হতে পারে বলে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'চ্যারিটি কনসার্টটির টিকিটের শুভেচ্ছা মূল্য মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে, তবে এর পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। শিগগিরই মূল্য নির্ধারণ করে টিকিটের সামগ্রিক বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে।'
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, 'অর্থ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও পরামর্শ প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছি। এ পরিষদে রয়েছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মাহফুজুল হক সুপণ, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আনসারুল আলম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিন ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আলম চৌধুরী, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল হক খান, বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল হাসান মুনির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কনসার্টের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মাহফুজুল হক সুপণ, অধ্যাপক ড. আনসারুল আলম, মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার, কনসার্টের টাইটেল স্পন্সর প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জিয়াউর রহমান ও কনসার্টের আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম এহসান উল্লাহ ধ্রুব, সংগীত বিভাগের ওয়াজীহ তওসীফ, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের নূর-এ-আলম, আইন বিভাগের আরাফাত চৌধুরী, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স শিক্ষার্থী হাসিব-উল-হাসান; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান নাজিব এবং আইইউবির মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাইয়ান রহমান প্রমুখ।
২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’। সেবার সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা মিউজিকসহ মোট আটটি শাখায় অস্কার জিতে নিয়েছিলো ছবিটি। বলে রাখা ভালো, এই ছবির জন্যই কাঙ্খিত অস্কার ঘরে তোলেন ভারতীয় সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক এআর রহমান। ‘জয় হো’ গানটির কথা ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের ভুলবার কথা নয়। যেখানে প্রধাণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দুই ভারতীয় বংশদ্ভূত অভিনয়শিল্পী দেব প্যাটেল ও ফ্রিদা পিন্টো।
ভারতের বস্তির মানুষের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে আরও দেখা যায় বলিউড সুপারস্টার অনিল কাপুর ও ইরফান খানকেও।
ড্যানি বয়েল পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তির পর কেটে গিয়েছে ১৭ বছর। এবার পর্দায় আসতে চলেছে ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’এর সিক্যুয়াল! সম্প্রতি মিলেছে এমনই ইঙ্গিত।
নতুনভাবে চালু হওয়া প্রোডাকশন কোম্পানি ‘ব্রিজ ৭’ স্লামডগ মিলিয়নিয়ারের সিক্যুয়াল ও টিভি স্বত্ব কিনে নিয়েছে।
‘ডেডলাইন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক এ কোম্পানিটি পরিচালনা করছেন প্রযোজক স্বতী শেঠি এবং অভিজ্ঞ সিএএ এজেন্ট গ্রান্ট কেসম্যান। তারা এ স্বত্বটি কিনেছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি সেলাডর থেকে।
এদিকে সেলাডর ব্রিজ ৭-এর সঙ্গে মিলে ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’র সিক্যুয়ালের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি। স্বতী শেঠি এবং গ্রান্ট কেসম্যান একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কিছু গল্প সারা জীবন আমাদের মনে থাকে, স্লামডগ মিলিয়নিয়ার তেমনই একটি গল্প যেটা ভুলে যাওয়ার নয়। এটা সেই ধরনের গল্প, যা বিনোদনকে গভীর মানবিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে সংযুক্ত করে।’
এই চলচ্চিত্রের গল্পটি মুম্বাইয়ের দুই দরিদ্র ছেলে জামাল এবং সেলিমের জীবনকে কেন্দ্র করে। যাদের একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়, যার নাম লতিকা। অনিল কাপুরের অভিনীত জনপ্রিয় গেম শো হোস্ট প্রেম কুমারের চরিত্রটি এ সিনেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। কাহিনিটি তাদের জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে, যার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় দাঙ্গায় তাদের মায়ের মৃত্যু এবং দারিদ্র্য কাটিয়ে ওঠার সংগ্রাম।
সিনেমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল জামালের ‘হু ওয়ান্টাস টু বি অ্যা মিলিয়নিয়ার’ গেম শোতে অংশগ্রহণ করা, যেখানে সে ২৫ মিলিয়ন রুপি জিতে নেয় এবং তার এই জয় ছবিতে লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
৮২তম অস্কার অনুষ্ঠানে ঝড় তুলে দিয়েছিল ‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার।’ ২০০৫ সালে বিকাশ স্বরূপের উপন্যাস ‘কিউ অ্যান্ড এ’-এর উপর ভিত্তি করে ছিল সিনেমার মূল গল্প।
ছোটপর্দার পরিচিত অভিনেত্রী জেবা জান্নাত কিছুদিন আগে নিজের বিয়ের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন।
গত বছরের প্রথম দিকে একটি ঘনিষ্ঠ ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন জেবা, যেখানে এক যুবকের সঙ্গে তাকে দেখা যায়। ঘনিষ্ঠ সেই মুহূর্তে যুবকটি অভিনেত্রীর কপালে চুম্বন করছিলেন, আরেকটি দৃশ্যে জেবা তাকে চুম্বন করেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি ভালোবাসার মূল্যায়ন ও সম্মান নিয়ে একটি বার্তা দিয়েছিলেন। তবে কে এই যুবক এবং তার সঙ্গে তার সম্পর্কের গভীরতা কী, সে বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করেননি। বিষয়টি নিয়ে তখন থেকেই নেটিজেনদের বেশ চর্চা।
বিয়ের ঘোষণা দেওয়ায় যেমন সবাই শুভ কামনা জানিয়েছিল, উচ্ছ্বসিত হয়েছিল।
তবে সম্প্রতি তার এক ফেসবুক পোস্ট ও ভিডিও ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। যেখানে এই অভিনেত্রীকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
গত ২৭ নভেম্বর দুটি ছবি পোস্ট করা হয় জেবা জান্নাতের ফেসবুক প্রোফাইলে। সেখানে তাকে হাসপাতালে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায়। ক্যাপশনে লেখা, ‘কাউকে কষ্ট দিও না এবং নিজের থেকেও কষ্ট পেও না। তুমিই একমাত্র মানুষ যে সবসময় সব পরিস্থিতিতে তোমার সঙ্গে থাকে, আর কেউ না। ভাই, জীবন তো একটাই, দরকার নেই আর কোন মানুষের। তুমি ফুল, আকাশের মধ্যরাতের তারাকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা করতে পার, একা একা হাটতে পারো। একজন নিষ্ঠুর হৃদয়ের মানুষকে তোমার পবিত্র হৃদয় দিয়ে ভালোবাসা দেওয়ার দরকার নেই। তোমার এর চেয়ে ভালো কিছু প্রাপ্য।’
সবশেষে লেখা, ‘বন্ধুরা, জেবা জান্নাত অসুস্থ। তার জন্য প্রার্থনা করুন।’
এবার অসুস্থতার ভিডিও সবার মনেই প্রশ্ন তুলেছে। অনেক ভক্ত মনে করছেন, এটি তার কোনো নাটকের শুটিংয়ের দৃশ্য।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। প্রাথমিকভাবে দলটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’ (বিআইপি)। এরই মধ্যে দলটি নিয়ে ভক্তদের সতর্কবার্তা দিলেন এই অভিনেতা। জানালেন, তার নাম ব্যবহার করে এক ধরণের প্রচার চালানো হচ্ছে। যেটির সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট নন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সোহেল রানা। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমাকে প্রধান অতিথি করে একটি নতুন পার্টি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, এমনি ধরনের একটি দাওয়াত নেওয়া অনেকের কাছে পৌঁছেছে। আমি তাদের সবার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, এমন কোনো দাওয়াত আমি গ্রহণ করিনি অথবা উক্ত পার্টির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অনেকেই হয়তো ভুল বুঝতে পারেন, সে কারণে সবাইকে জানান দেওয়া।’
গত অক্টোবরে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার সভাপতিত্বে দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই রাজনীতিতে সোহেল রানার পদার্পণ নিয়ে আলোচনা চলছে।
মূলত, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন সোহেল রানা। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৬৮ সালে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ইকবাল হলের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৯ সালে আকস্মিকভাবে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যপদ গ্রহণ করেন সোহেল রানা। দলটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন এই চিত্রনায়ক। এদিকে জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে ছাত্র-জনতার পক্ষে অবস্থান নেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমার প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন সোহেল রানা। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।