হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে হয়ে গেলো গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বেভারলি হিলসের বেভারলি হিলটন হোটেলে ৫ জানুয়ারি রাতে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) বসেছিল এর ৭৭তম আসর। ২০১৯ সালের চলচ্চিত্র ও আমেরিকান টেলিভিশন অঙ্গনের সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে এই আয়োজনে। সব মিলিয়ে পুরস্কারের সংখ্যা ২৭টি। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন ব্রিটিশ কমেডিয়ান রিকি গারভেইস।
একনজরে বিজয়ীরা সেরা চলচ্চিত্র (ড্রামা): ১৯১৭ সেরা চলচ্চিত্র (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি): ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন হলিউড সেরা অভিনেতা (ড্রামা): ওয়াকিন ফিনিক্স (জোকার) সেরা অভিনেত্রী (ড্রামা): রেনে জেলওয়েগার (জুডি) সেরা অভিনেতা (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি): টেরন এজারটন (রকেটম্যান) সেরা অভিনেত্রী (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি): অকোয়াফিনা (দ্য ফেয়ারওয়েল) সেরা পার্শ্ব অভিনেতা: ব্র্যাড পিট (ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন হলিউড) সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী: লরা ডার্ন (ম্যারেজ স্টোরি) সেরা পরিচালক: স্যাম মেন্ডেস (১৯১৭) সেরা চিত্রনাট্য: ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন হলিউড (কোয়েন্টিন টারান্টিনো) সেরা মৌলিক সুর: জোকার (হিলদুর গুনাডট্টির) সেরা মৌলিক গান: আই’ম গনা লাভ মি অ্যাগেইন (রকেটম্যান) সেরা অ্যানিমেটেড ছবি: মিসিং লিংক সেরা বিদেশি ভাষার ছবি: প্যারাসাইট (দক্ষিণ কোরিয়া) সেসিল বি. ডিমিলে অ্যাওয়ার্ড (আজীবন সম্মাননা): টম হ্যাঙ্কস
টেলিভিশন সেরা সিরিজ (ড্রামা): সাকসেশন (এইচবিও) সেরা সিরিজ (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি): ফ্লিব্যাগ (অ্যামাজন) সেরা টেলিভিশন সিরিজ/টেলিভিশন মুভি: চেরনোবিল (এইচবিও) সেরা অভিনেতা (ড্রামা): ব্রায়ান কক্স (সাকসেশন) সেরা অভিনেত্রী (ড্রামা): অলিভিয়া কোলম্যান (দ্য ক্রাউন) সেরা অভিনেতা (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি): রামি ইউসেফ (রামি) সেরা অভিনেত্রী (মিউজিক্যাল অথবা কমেডি): ফিবি ওয়ালার-ব্রিজ (ফ্লিব্যাগ) সেরা অভিনেতা (মিনি সিরিজ/টেলিভিশন মুভি): রাসেল ক্রো (দ্য লাউডেস্ট ভয়েস) সেরা অভিনেত্রী (মিনি সিরিজ/টেলিভিশন মুভি): মিশেল উইলিয়ামস (ফসি/ভার্ডন) সেরা পার্শ্ব অভিনেতা: স্টেলান স্কার্সগার্ড (চেরনোবিল) সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী: প্যাট্রিসিয়া আর্কেট (দ্য অ্যাক্ট) ক্যারল বার্নেট অ্যাওয়ার্ড (আজীবন সম্মাননা): এলেন ডিজেনারেস
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের ভক্ত অনুরাগীর সংখ্যা কম না। প্রিয় তারকাকে তারা সব কিছুতেই সাপোর্ট করেন। নায়িকার সুন্দর সুন্দর ছবি দেখতে চান। এটাও চান, তাদের প্রিয় অভিনেত্রী আবারও বিয়ে সাদি করে সুখী জীবন যাপন করুক। কিন্তু অপুর জীবনে এখন সব প্রেম তার ক্যারিয়ার আর সন্তানকে ঘিরে। তাইতো প্রতিদিন তিনি ব্যস্ত হয়ে ওঠেন নানা কাজে।
তেমনি কাজের অংশ হিসেবে এই অভিনেত্রী সম্প্রতি একটি ফটোশুট করেছেন। যেনতেন ফটোশুট নয়, একেবারে বউ সেজে হাজির অপু, যেন কেবল কবুল বলার অপেক্ষা! সেই ছবিগুলো দু’দিন আগে ফেসবুকে পোস্ট করে অপু ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শুভ সকাল। এটা আমার নতুন লুক। আমাকে এতটা ধৈর্য্য দেওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তাকে অশেষ ধন্যবাদ।’ বউয়ের সাজে অপু বিশ্বাসের সেই ছবিগুলোতে ১৮ হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন পড়েছে। মন্তব্য পড়েছে ১৮’র বেশি। বেশির ভাগ মন্তব্যেই রয়েছে নায়িকার রূপের প্রশংসা।
অপু বিশ্বাসের পোস্ট করা বিয়ের সাজের এসব স্থিরচিত্রে নানাজন নানা মন্তব্য করছেন। জহির নামের একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘তুমি এমন একজন নায়িকা, যে কি না চলচ্চিত্রজগতে আসার পরে অনেক নায়িকার ক্যারিয়ার নড়বড়ে করে দিয়েছ।’ রিপা হক নামের একজন লিখেছেন, ‘আমাদের সবার প্রিয় ঢালিউড মহারানী, এককথায় অসম্ভব সুন্দর লাগছে। এক একটা ছবি জাস্ট ওয়াও।’ সুমনা নামের একজন তো কয়েককাঠি সরেস। তিনি লিখেছেন, ‘কোথায় অপু, কোথায় বুবলি—অপু আসলেই সুন্দরী।’
চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরুর আগে অপু বিশ্বাস নৃত্যশিল্পী হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। শুরুর দিকে অবশ্য নাটকেও অভিনয় করতেন। ২০০৫ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন অপু বিশ্বাস। প্রথম চলচ্চিত্র ছিল আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ‘কাল সকালে’।
পরের বছর এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবিতে নায়িকা হন শাকিব খানের বিপরীতে। ছবিটি ব্যবসা সফল হয় এবং অপু বিশ্বাস রাতারাতি তারকায় রূপান্তরিত হন। শাকিব খানের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের জুটি দর্শকদের গ্রহণযোগ্যতা পেলে এফ আই মানিক তাঁদের নিয়ে একই বছরে ‘পিতার আসন’, ‘চাচ্চু’, ও ‘দাদীমা’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে পার্বতী চরিত্রে অভিনয় করেন অপু বিশ্বাস। ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রের পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম। ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অপুর সহ-অভিনয়শিল্পী ছিলেন শাকিব খান ও মৌসুমী।
১৯ বছরের পেশাদার চলচ্চিত্র–জীবনে শ খানেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস। এর মধ্যে শুধু শাকিব খানের সঙ্গে জুটি হয়েছেন ৮০টির মতো চলচ্চিত্রে। শাকিব খানের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের বেশির ভাগ চলচ্চিত্রই ব্যবসায়িক সফলতা পায়।
অপু বিশ্বাস ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল নায়ক শাকিব খানকে বিয়ে করেন। বিয়ের ৯ বছর পর ২০১৭ সালের এপ্রিলে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এসে অপু বিশ্বাস শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের কথা প্রকাশ করেন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তাদের পুত্রসন্তান আব্রাম খান জয় জন্মগ্রহণ করে। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শাকিবের সঙ্গে অপুর বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
আওয়ামী সরকার পতনের পর দেশের নানা জায়গায় সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। শোবিজ অঙ্গনেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে এতোদিন বদল হয়নি ছোটপর্দার ডিরেক্টর্স গিল্ডের নেতাদের পদ-পদবী। এই সংগঠনের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন অনন্ত হিরা। একই পদে তিনি বহাল থাকলেও পরে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক কমিটি। সেই কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ শাকিল ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সেই সভাপতি অনন্ত হিরা দুই কমিটির পক্ষ থেকে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার জানিয়েছিলেন। এই নিয়ে একাধিকবার বসেন তারা।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবারের মিটিংয়ে তারা যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন। আনুষ্ঠানিক সেই বিবৃতি বুধবার প্রকাশের দুই ঘণ্টা পরে সভাপতি হিরা এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, অসুস্থ হয়ে পদত্যাগ করছেন।
ডিরেক্টরস গিল্ডের একাধিক পরিচালক জানান, সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুটি কমিটি মিলে তারা একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছিলেন। তবে আগের নির্বাচিত কমিটি ও ৫ আগস্টের পর সংস্কার কমিটির মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে বোঝাপড়া চলছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার মিটিং করে যৌথ বিবৃতি দেন দুই কমিটির প্রধান। সেই বিবৃতি অনন্ত হিরা নিজেই নাট্য পরিচালকদের ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করেছিলেন।
অনন্ত হিরা ও সৈয়দ শাকিলের সেই যৌথ বিবৃতিতে লেখা ছিল, ‘ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম চলমান। উক্ত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করাটা যেমন সংস্কার কমিটির দায়িত্ব, তেমনি সংস্কার কমিটিকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে কার্যনির্বাহী পরিষদ দায়বদ্ধ। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি বা ভুল–বোঝাবুঝি হতে পারে, যা দ্রুত নিরসন করা উত্তম। সংগঠনের কল্যাণে যেকোনো কার্যক্রমে আমরা আপনাদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাব। আসুন, আমরা ইতিবাচক থাকি, একতাবদ্ধ থাকি। ধন্যবাদ।’
তার দুই ঘণ্টা পরেই সভাপতির পদত্যাগ করার চিঠি দেখে অবাক হয়েছেন সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক। কেন তিনি পদত্যাগ করেছেন, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না এই আহ্বায়ক। বৃহস্পতিবার সৈয়দ শাকিল বলেন, ‘পদত্যাগের ঘটনাটা আমাদের অবাক করেছে। একটি সংগঠনের অচলাবস্থা সহসাই কাটবে না। তারপরও আমরা বসে সমস্যাগুলো কমানোর চেষ্টা করছি। আমরা চাই পেশাজীবী এই সংগঠনে সংস্কারকাজগুলো এগিয়ে নিতে। সেভাবেই আলোচনা এগোচ্ছিল। এর মধ্যে হিরা ভাইয়ের পদত্যাগের কথা দেখলাম। এটা আমাদের অবাক করেছে।’ তিনি জানালেন, আজ চারটার পরে জরুরি মিটিং করবেন। সেখানেই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।
কেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলেন, জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও অনন্ত হিরার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। অনন্ত হিরা নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশে তার পদত্যাগের চিঠিতে লিখেছেন, ‘ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের একজন গর্বিত প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বিগত ২০২৩ সালের ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আপনারা আস্থা রেখে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করায় আমি আমৃত্যু আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। শপথ গ্রহণের পর থেকে সংবিধানের প্রতি শতভাগ বিশ্বস্ত থেকে শ্রম ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি এবং আপনাদের প্রণীত সংবিধান মোতাবেক নির্ধারিত মেয়াদকালের শেষ দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের শতভাগ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মানুষ তো আর তার জন্য নির্ধারিত নিয়তি বদলাতে পারে না।’
এই সময়ে তিনি সেই চিঠিতে আরও লিখেছেন, ‘তাই আমি আমার শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করবার মতো অপ্রিয় সিদ্ধান্তটি নিতে বাধ্য হয়েছি। সম্মানিত সদস্য, আপনারা আমার পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করে আমাকে আরও একবার আপনাদের কাছে আমৃত্যু ঋণী থাকবার সুযোগ দেবেন, এটাই আপনাদের কাছে আমার একান্ত নিবেদন। ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি সফল হোক। ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ সম্মান নিয়ে শিরদাঁড়া উঁচিয়ে এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশায়।’
ডিরেক্টরস গিল্ডের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বৃহস্পতিবার বলেন, ‘পদত্যাগ করার বিষয়ে আমরা আগে থেকে কিছুই জানতাম না। একদিন আগেও আমাদের কথা হয়েছে। সেখানে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে দিকনির্দেশনামূলক কথা হয়। যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। এখন হঠাৎ করেই কেন যে পদত্যাগের প্রশ্ন আসল, এই প্রসঙ্গে কিছু বলতে পারছি না। বরং ঘটনা আমাদের অবাক করেছে।’
তবে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘এক সংগঠনের নির্বাচিত ও পরে সংস্কার কমিটি করা হলে শুরু থেকেই দুই কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বই চলছিল। কে কার ওপর প্রভাব খাটাবে, এই প্রশ্ন আসছিল। সিংক হচ্ছিল না। নির্বাচিতরা সংস্কার কমিটিকে মানতে পারছিলেন না। অন্যদিকে সংস্কার কমিটি কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে কাজ করতে চাইলেও সমস্যা পড়ত। কার্যনির্বাহী কমিটি মনে করত, সংস্কার কমিটির দরকারই নেই। এই নিয়ে দ্বন্দ্ব বেড়েই চলছিল। বর্তমান দ্বন্দ্বে সংগঠনটি ধ্বংসের জায়গায় চলে গেছে।’
এফটিপিও’র চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এভাবে সভাপতি পদত্যাগ করায় সংগঠনটি আরও বিপদে পরে গেল। একই সঙ্গে সংগঠনের দুটি কমিটি থাকায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে নিজেদের মধ্যে বসে সমস্যার সমাধান করা উচিত ছিল।’
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর বড় বাজেটের সিনেমা হিসেবে ‘দরদ’ই প্রথম মুক্তি পেয়েছে। শাকিব খানের এই সিনেমা নিয়ে ভক্তদের উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনার কমতি ছিল না। একই সঙ্গে মনঃকষ্টও ছিল পরিচালককে নিয়ে। তাদের অনেকের অভিযোগ ছিল, ছবিটি নিয়ে সেই অর্থে প্রচারণা করেনি। ঠিক সময়ে গানও প্রকাশ করেনি।
এ নিয়ে তাই ভক্তদের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা ছিল। অনন্য মামুনকে অনেক কথাও শুনতে হয়। কিন্তু মুক্তির প্রথম দিনে মাল্টিপ্লেক্সে এই ছবির রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
প্রেক্ষাগৃহ মালিক ও কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর এখন পর্যন্ত যে কয়টা ছবি মুক্তি পেয়েছে, মাল্টিপ্লেক্সে প্রথম দিনে সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড গড়েছে ‘দরদ’। ছবিটির প্রথম দিনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এ বছর মাল্টিপ্লেক্সে প্রথম দিনের টিকিট বিক্রিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ছবিটিও শাকিব খানের। গত পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘তুফান’ ছবিটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি করে। এ বছর মুক্তি পাওয়া শাকিবের রাজকুমার ছবিটি প্রথম দিনের টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১২ লাখ টাকার বেশি।
প্রচারণায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতা, ঈদের বাইরে এমন একটা সময় ছবি মুক্তি, তারপরও এমন টিকিট বিক্রিকে অবিশ্বাস্য বলছেন কেউ কেউ। আর এটা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিলও বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্টরা। সিলেট গ্র্যান্ড মুভি থিয়েটারের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দরদ দেখে মুগ্ধ দর্শক। প্রথম দিন তাদের শো হাউসফুল ছিল।’
পরিচালক অনন্য মামুন বলেন, ‘ধারণা ছিল ছবিটি ভালো যাবে। এতটা ধারণা করিনি যে প্রথম দিনেই সেল রেকর্ড করবে। ছবি পরিচালনার পাশাপাশি আমি অন্যতম একজন প্রযোজকও। তা–ই এই খবর নিঃসন্দেহে আমার জন্য ভীষণ আনন্দের, অনুপ্রেরণারও। আমরা বলেছিলাম, ঈদ ছাড়াও ছবিটি দর্শক ঠিকই দেখবেন, তা–ই ঘটেছে। আমি এও বলেছি, বাংলাদেশি চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে এ সময়ে আমরা ছবিটি মুক্তি দিতে চেয়েছি। কারণ, কয়েক মাস ধরে আমার দেশের মানুষ অন্য রকম একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভাবছিলাম, মানুষ কি সিনেমা হলে আসবে? ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে। সিনেমা হল ভিজিটে গিয়ে দেখেছি, পুরুষ দর্শকের পাশাপাশি নারী দর্শকদের যে ভিড়, তা সাহস জুগিয়েছে। কেউ কেউ তো বলছে, তারা আবার দেখতে চায় ছবিটি। এই ছবির দিকে অনেক প্রযোজকও তাকিয়ে আছেন। কারণ, তারা বেশ কিছুদিন ধরে ছবি মুক্তি না দিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। আমি মনে করছি, দরদ–এর সাফল্য তাদের ছবি মুক্তির সাহসটা বাড়াবে।’
স্টার সিনেপ্লেক্স কতৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘প্রথম দিন তো ভালোই গেছে। স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় মোটামুটি সব শো হাউসফুল ছিল। আজ সকাল থেকেও টিকিটের ভালো চাপ রয়েছে। যে অবস্থা দেখছি, তাতে প্রদর্শনী বাড়াতে হবে হয়তো। সত্যি কথা বলতে, ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’ ও ‘তুফান’–এর পর শাকিব খানকে নিয়ে মাল্টিপ্লেক্স দর্শকদের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। শাকিব খানও সেভাবেই তার ছবি উপহার দিচ্ছেন, এমনটাই মনে হচ্ছে। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে ছবিটা এতটা ভালো ফলাফল দেবে, প্রত্যাশা করিনি।’
জানা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় ২৬, লায়ন সিনেমাসে ৮, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে ৪, সিলেটের গ্র্যান্ড মুভি থিয়েটারে ৩ এবং বগুড়ার মম ইনে ৩টি করে প্রদর্শনী চলছে ‘দরদ’ ছবির। এই সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করা যশোরের মনিহার সিনেপ্লেক্সে ৫টি প্রদর্শনী চলছে।
‘দরদ’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউডের সোনাল চৌহান। সিনেমার গল্পে দেখা যায়, বারানসিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি খুন হতে থাকে। এ ঘটনা সবাইকে হতবাক করে। ছোট শহরের দুলু মিয়ার ওপর সন্দেহ গিয়ে পড়ে। সিনেমায় দুলু মিয়া চরিত্রে হাজির হচ্ছেন তারকা অভিনেতা শাকিব খান। ফাতিমা চরিত্রে সোনাল চৌহান।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলিউড যুগল রণবীর-দীপিকার মেয়ের ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। তারকা দম্পতির মেয়ের ছবি দেখার জন্য ভক্তদের মাঝে উন্মাদনার শেষ নেই। অবশেষে সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেল রণবীর সিং ও দীপিকা পাডুকোনের মেয়ে 'দুয়া পাডুকোন সিং' এর ছবি।প্রতিবেদন- হিন্দুস্তান টাইমস।
ছবিতে দেখা যায়, মেয়েকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সদ্য বাবা-মা হওয়া এই বলি দম্পতি। তবে ছবি দেখে অনেকের মনেই খটকা লাগে। নেটিজেনরা বলছেন এটা ফেক (ভুয়া) ছবি। ছবিটি আসলে গায়িকা নীতি মোহন এবং তার স্বামী নিহার পান্ডিয়ার। আর কোলে থাকা বাচ্চাটি তাদের। কিন্তু সেই ছবিটিকে এডিট করে তাদের দুজনের জায়গায় রণবীর ও দীপিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই ছবি নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় অবস্থা ভক্তদের।
মাস দুয়েক আগে বাবা- মা হয়েছেন রণবীর ও দীপিকা। তাদের মেয়ের ছবি এখনো প্রকাশ্যে আনেন নি তারা। কিছুদিন আগে দীপাবলির উৎসবে প্রথমবার প্রকাশ্যে আনে মেয়ের ছবি। তবে মুখের নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়ের পায়ের ছবি শেয়ার করেছেন এই তারকা দম্পতি।
লাল কাপড়ের ওপর শুয়ে রয়েছে জরির কাজ করা পাজামা পরা দুটি পা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি শেয়ার করে দীপিকা লিখেছেন, ‘দুয়া পাড়ুকোন সিং। দুয়া শব্দের অর্থ প্রার্থনা। ও আমাদের সমস্ত প্রার্থনার উত্তর। আমাদের হৃদয় ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। দীপিকা ও রণবীর।’