মঞ্চে উঠে বেসবাবা সুমন জানালেন, শেষ স্টেজে ওঠা এটাই হোক...

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মঞ্চে বেসবাবা সুমন

মঞ্চে বেসবাবা সুমন

রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ষষ্ঠবারের মতো (৭ মার্চ) দুপুর ১টায় থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জয় বাংলা কনসার্ট মাতিয়েছেন মিনার ও অ্যাভয়েড রাফার একক পরিবেশনার সঙ্গে জনপ্রিয় ৯টি ব্যান্ডদল। লাইন আপে নাম না থাকার পরও এবারের জয় বাংলা কনসার্টের মঞ্চে দেখা গেছে জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ‘অর্থহীন’ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমনকে (বেসবাবা সুমন)।

রাত ১১টার বেশ কিছু সময় পর মঞ্চে ওঠেন ব্যান্ডদল ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ড। সে সময় ব্যান্ডদলটির দলনেতা ফুয়াদ মঞ্চে ডেকে নেন অসুস্থ বেসবাবা সুমনকে। লাঠিতে ভর দিয়ে মঞ্চে উঠে সুমন বলেন, সবাই ভালো। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমার শরীরে লোয়াল স্পাইনে একটা সমস্যা আছে। যেটার অপারেশন করতে অনেকেই রাজি হয়নি। তারা বলেছে আমার কোমর থেকে পা পর্যন্ত প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়ার ৭০ ভাগ সম্ভবনা আছে। ১৮ তারিখ আমি অপারেশনটা করতে জার্মানী যাচ্ছি, যদি সুস্থ হয়ে ফিরি আবার নিয়মিত স্টেজে দেখা হবে।

বিজ্ঞাপন
ফুয়াদের সঙ্গে বেজবাবা সুমন

 

এরপর মঞ্চে ‘মুখটা তুলে আকাশটাতে দেখ আরেকবার’ ও ‘গাইবো না আর কোন গান তোমায় ছাড়া’ গান পরিবেশন করেন বেজবাবা সুমন। এরপর তিনি ফুয়াদকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ১৮ তারিখের আগে আমার অর্থহীনের হয়ে স্টেজে ওঠা সম্ভাব ছিলানা। এরপর ফুয়াদ যখন আমাকে বললো আমি দুই একটা গান করতে পারবো কিনা, বললাম অবশ্যই। কারণ আমার শেষ স্টেজে ওঠা এটাই হোক, যদি আর উঠতে না পারি। সবাইকে ধন্যবাদ সবাই দোয়া করবেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন বেসবাবা সুমন, চেয়েছেন দোয়া

১৯৮৬ সালে ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ ব্যান্ড গঠনের মাধ্যমে সুমন তার রক সংগীতের জীবন শুরু করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সের মধ্যে অনেকগুলো ব্যান্ডে বেস বাজানোর সৌভাগ্য হয় তার। ১৯৯৭ সালে তিনি সেই সময়ের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ওয়ারফেজ’ গিটারবাদক হিসেবে যোগ দেন। দুই বছর ওয়ারফেজে বাজানোর পর, ১৯৯৯ সালে নিজের প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুমন ও অর্থহীন’ প্রকাশ করেন তিনি। অ্যালবামটি অনেক জনপ্রিয়তা পেলে, সে বছর অর্থহীন ব্যান্ডের যাত্রা শুরু করেন সুমন। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই বেইজ গিটারিস্ট নিজের প্রকৃত নামের চেয়ে সংগীত জগতে বেসবাবা সুমন নামে বহুল পরিচিত। ২০১৩ সাল থেকে একাধিকার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও গান ছাড়েননি এই সুরের জাদুকর।