ধৈর্য ধরে সুদিনের অপেক্ষা করি আসুন: সুমি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শারমিন সুলতানা সুমি, ছবি: ফেসবুক

শারমিন সুলতানা সুমি, ছবি: ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ‘চিরকুট’র সদস্যরা প্রিয় ৩ জিনিস নিলামে তুলেছিলেন। যা ১০ লাখ টাকায় নিলামে কিনেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জায়েদি সজীবের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কালচারাল এক্সচেঞ্জ ইনক (এবিসিএক্স)। নিলামে পাওয়া এই অর্থ দিয়ে ২০ পরিবারের ৫ মাসের দায়িত্ব নেবে ‘চিরকুট’। এই প্রসঙ্গ ছাড়াও ঘর বন্দি সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে সম্প্রতি বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন ‘চিরকুট’র গীতিকার, সুরকার ও প্রধান শিল্পী শারমিন সুলতানা সুমি। তার সঙ্গে আলাপচারিতা দীর্ঘ করেছেন কৌশিক।

বার্তা২৪.কম: আপনার নথ, ইমনের মেন্ডোলিন ও পাভেলের ড্রামস কিট নিলামে তুলেছিলেন। নিলামের মাধ্যমে দেশের এই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তাটা কীভাবে?

সুমি: করোনায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে মোটামুটি একটি চিন্তাভাবনা করেছিলাম; এরই মধ্যে করোনার তহবিল সংগ্রহের নিলামের ব্যবস্থা করা ‘অকশন ফর অ্যাকশন’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের পরিকল্পনাটা আমাদের জানায়। তাদের পরিকল্পনা শুনে ভালো লেগেছিলো। তখন ভাবলাম ব্যাপারটা অসাধারণ, যদি আমরা নিজেদের প্রিয় জিনিস দিয়ে কিছু মানুষের পাশে মুখে হাসি ফোটাতে পারি। মূলত নিলামে অংশ নেওয়ায় পরিকল্পনাটা এভাবেই। ঠিক করি আমার প্রিয় নথ নিয়েই হাজির হবো, আমার খুব প্রিয় একটা জিনিস এটা, খুব যত্ন করে রাখি সবসময়। এটি কখনোই হারাতে চাইনি কিন্তু দেশের প্রয়োজনে কিংবা মানুষের জীবনের প্রয়োজনের থেকে আর বড় কিছু হতে পারেনা।

ব্যান্ড দল ‘চিরকুট’র সদস্য, ছবি: ফেসবুক 

বার্তা২৪.কম: আপনার নথের সাথে নিশ্চয়ই অনেক স্মৃতি?

সুমি: এটি আমার প্রিয় জিনিসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটিকে ঠিক শুধু নথ বললেও ভুল হবে এটি আমার আবেগের বস্তুও বলতে পারেন। ২০১৬ সালে এটি কিনেছিলাম। এই নথের সাথে আমার স্মৃতি বলে শেষ করা যাবেনা। এই নথ পরেই হাজির হয়েছি অসংখ্য অনুষ্ঠানে। এটি শুধু আমার কাছেই নয় আমার শুভাকাঙ্ক্ষী কিংবা আত্মীয়স্বজন যাই বলুন সবার কাছেই বেশ পরিচিত। এই নথ পড়েই অনেক কনসার্টে অংশ নিয়েছি, গান করেছি। এই নথের সাথে কাটানো মুহূর্তের স্মৃতিগুলো আমার জন্য সত্যিই অসাধারণ। আমাদের অন্য সদস্য পাভেলের কাস্টম মেইড ড্রামস কিটটা স্কটল্যান্ড থেকে আনা। আর ইমনের প্রিয় মেন্ডোলিন যা দিয়ে সে অনেক কনসার্টে অংশ নিয়েছে। প্রিয় জিনিসটির সাথে ওদের স্মৃতিগুলোও চমৎকার, জিনিসগুলোর সাথেই কেটেছে অসাধারণ অনেক মুহূর্ত।

বার্তা২৪.কম: কেমন লাগছে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে?

সুমি: এই অভিজ্ঞতাটাও ভিন্ন রকম, গর্বের। অতুলনীয়ও বলতে পারেন। যত টাকাতেই বিক্রি হোক না কেনো ব্যাপারটা আমাদের তথা পুরো মিউজিকের জন্যই আনন্দের দিন; আমরা কারো প্রয়োজনে আসতে পেরেছি। এই ১০ লক্ষ টাকাটা আমাদের জন্য ১০ কোটি টাকার সমান। নিলামের টাকায় প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে ২০ পরিবারের ৫ মাসের খাবারের জোগান দেওয়া হবে এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে। কিছু মানুষের জীবনে কাজে আসতে পেরেছি এর জন্য অবশ্যই কৃতজ্ঞতা সৃষ্টিকর্তার প্রতি। আশা করি এভাবেই বারবার মানুষের প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে সক্ষম হবো।

বার্তা২৪.কম: ঘরে সময় কাটছে কিভাবে?

সুমি: কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই মূলত বাসার সময়গুলো পাড় হচ্ছে। লেখালেখি করছি, গান করছি, নতুন নতুন কিছু জানার চেষ্টা এভাবেই নিজেকে ব্যস্ততায় রেখে দিনের বেশিরভাগ সময়টা যাচ্ছে।

শারমিন সুলতানা সুমি, ছবি: ফেসবুক 

বার্তা২৪.কম: ‘চিরকুট’র ‘আলোর গান’ নামের উদ্যোগ...

সুমি: এই ঘর বন্দি সময়টায় ভিন্ন কিছু আয়োজনের চিন্তা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ। অদ্ভুত এই ঘর বন্দী জীবনে আলো বলতে ওই বারান্দা, ছাদ আর জানালাটুকুই এখন আমাদের সম্বল। এই টুকরো টুকরো আলোতেই এখন তাই বুকের ভিতর গড়তে হবে একটা পুরো সূর্য’র শক্তি। যা এই প্রবল অন্ধকারেও হয়তো পথ দেখাবে আমাদের। আর তাই এই ছোট্ট প্রয়াস। এই উদ্যোগে অংশ নিতে পারেন যেকোনো কেউই, অন্ধকার এই সময়ে আপনার বাড়ির ছাদ, বারান্দা অথবা জানালার আলোর সামনে দাঁড়িয়ে সপরিবারে অথবা একা পছন্দের যেকোন গান গেয়ে, ভিডিও করে পাঠিয়ে দিন আমাদের মেইলে। আমাদের শর্তটা হচ্ছে গানটা করতে হবে সূর্য অথবা চাঁদের আলোয় গাইতে হবে বারান্দায়, ছাদে অথবা জানালার সামনে বসে/দাঁড়িয়ে যেভাবে খুশি। এই অন্ধকার দিনের মাঝে আলোকে ফুটিয়ে তুলতেই আমাদের এই উদ্যোগ।

শারমিন সুলতানা সুমি, ছবি: ফেসবুক 

বার্তা২৪.কম: এই দুর্যোগে কনসার্টে বড় ধরণের প্রভাব পড়বে নিশ্চয়ই?

সুমি: নিঃসন্দেহে এই দুর্যোগে গানের জগতে একটি বড় ধরণের প্রভাব পড়ছে এবং আগামীতেও তা পড়বে। এটিকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এটি ঠিক, দুর্যোগের পর কনসার্টে ফেরাটা মোটেই সহজ হবে না। তবে আমি বিশ্বাসী একটু সময় নিলেই তা সম্ভব। সময়টা এক কিংবা দুই বছর যাই হোক, আমি সবসময় বিশ্বাস করি ধৈর্য্য ধরলে অবশ্যই ভালো কিছু সম্ভব। খুব শীঘ্রই আমরা ফিরে আসব।

   

চলে এলো কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গান ‘মা লো মা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘মা লো মা’ গানের পোস্টার

‘মা লো মা’ গানের পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় সিজনের দ্বিতীয় গান ‘মা লো মা’ প্রকাশ হলো আজ। গানটিতে অংশ নিয়েছেন প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান এবং র‍্যাপার আলী হাসান। নতুন এই গান দর্শক-শ্রোতাদের নিয়ে যায় জীবন ও নিজেকে আবিষ্কারের এক অনন্য যাত্রায়।

গানটির সঙ্গীত প্রযোজক প্রীতম তার নিজস্ব কিছু টুইস্টও যোগ করেছেন। তার সাথে আছেন দেওয়ান পরিবারের দুই সদস্য: সাগর দেওয়ান এবং আরিফ দেওয়ান। তাদের পূর্বপুরুষই মা লো মা ঝি লো ঝি নামের গানটির মূল রচয়িতা। মা লো মা গানটি জীবন যে একটি নিরন্তর যাত্রা তা আমাদের বুঝতে শেখায়। এই জীবনে অনিবার্যভাবে বড় কিংবা বুড়ো হওয়া এবং নস্টালজিয়া যেন একই মুদ্রার দুটো পিঠ।

এই অবধারিত পরিবর্তনকে মেনে নিয়েই একটি কথোপকথনের মতো করে এগিয়ে যায় গানটি। এখানে ভাঙা নৌকার উপমা দিয়ে জীবনকে বোঝানো হয়েছে আর নদী দ্বারা বোঝানো হয়েছে পৃথিবীকে।

‘মা লো মা’ গানে প্রীতম হাসান

‘ছাদ পেটানো গানের’ সংযুক্তি এই গানের গভীরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। লোকসঙ্গীত ‘সারি গানের’ এই ধারাটির শুরু মোগল আমলে। এই গানের একটি শহুরে সংস্করণ দেখতে পাওয়া যায় আশি ও নব্বই দশকের রাজমিস্ত্রীদের মাঝে। জীবিকার জন্য শহরে পাড়ি দেওয়া এই শ্রমিকরা কংক্রিটের ছাদ তৈরির সময় এ ধরনের গান গাইতেন। ছাদ পেটানোর ছন্দের সাথে গানের কথা মিলে একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি কাজের সময় একটি উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করে। ‘মা লো মা’ শুধুই একটি গান নয়। সব বয়সের দর্শক-শ্রোতা এই গানের সাথে একাত্ম হতে পারেন। নিজেকে গ্রহণ করে নেওয়া আর বিকাশের যাত্রার মধ্যে যে সৌন্দর্য আছে গানটি সবাইকে সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়।

কোক স্টুডিও বাংলা’র অফিশিয়াল ইউটিউব এবং স্পটিফাই চ্যানেলে এই গান শোনা যাচ্ছে।

;

চরকিতে চঞ্চল-তানজিকা-নাঈমের ‘কালপুরুষ’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘কালপুরুষ’-এর পোস্টার

‘কালপুরুষ’-এর পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

একদম বামে নিচের দিকে এক জোড়া রক্তাক্ত পা দেখা যাচ্ছে। প্রথম দেখে বোঝা দায় যার পা সে জীবিত নাকি মৃত। এই পা থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে একজন কিশোরী ও একজন নারী। তারপর একজন লাল রঙা জ্যাকেট ও চোখে একটু ভিন্ন ধরনের চশমা পরা পুরুষ আছেন চেয়ারে বসে। আর একদম ডানে দাঁড়িয়ে আছেন আরেকজন পুরুষ। তার সামনেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিছু রক্তের কণা।

যেটার বর্ণনা এতোক্ষণ করা হলো সেটা কোনো ক্রাইম জোনের না। এরকম দৃশ্যের দেখা মিলেছে চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘কালপুরুষ’-এর পোস্টারে। যেটা পরিচালনা করেছেন সালজার রহমান। গতকাল অর্থাৎ ২ মে বিকেলে চরকির অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করা এই পোস্টারটি। চঞ্চল চৌধুরী, এফ এস নাঈম, তানজিকা আমিনকে দেখা যাচ্ছে পোস্টারটি। তাদেরকে সহ এই সিরিজে দেখা মিলবে আরও অসংখ্য অভিনেতা-অভিনেত্রীর।

চরকি ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফিল্ম সিন্ডিকেট প্রায় একই সময়েই তাদের যাত্রা শুরু করে। আর চরকির শুরু থেকেই ‘ঊনলৌকিক’ নির্মাণ দিয়ে পাশে ছিল ফিল্ম সিন্ডিকেট। এ পর্যন্ত বেশ বেশ ভালো ও দুর্দান্ত কিছু কনটেন্ট নির্মাণ করে বাংলাদেশের কনটেন্ট জগতে একটা সাড়া ফেলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। কিছুদিন আগে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেয়া হয় যে আগামী ৩ বছরে ফিল্ম সিন্ডিকেট চরকির জন্য নির্মাণ করবে ১০টি সিরিজ। সেই অনুযায়ী খুব শীঘ্রই চরকিতে মুক্তি পাবে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম সিরিজ ‘কালপুরুষ’।

‘কালপুরুষ’-এর পোস্টার

পরিচালক সালজার রহমান এর আগে নির্মাণ করেছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনচিত্র। তবে ওটিটিতে কাজ এই প্রথমই। সিরিজের আইডিয়া বা গল্পের ধারণা তিনি কীভাবে পেয়েছেন এ প্রশ্নের উত্তরে সালজার বলেন, ‘অনেক আগে পুরানো ঢাকার একটি ওষুধের দোকান গিয়েছিলাম। সেখান থেকে নানা কারণে এই সিরিজের গল্পটা মাথায় আসে। এরপর কোভিডের সময় সিরিজটা লিখেছিলাম। তারপর নানা ঘটনার পর সিরিজটা লেখা শেষ হয়।‘

‘কালপুরুষ’ সিরিজের গল্পটা একদমই নতুন ও ভিন্ন ধারা। দর্শকের জন্য একদম নতুন কিছু নিয়েই হাজির হয়েছেন বলে জানান পরিচালক।

;

বলিউডে অভিষেক লগ্নে আসিফ বললেন, ‘সমূদ্রের মধ্যে আমি সামান্য ডিঙ্গি নৌকা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আধুনিক গানের যুবরাজ বলা হয় আসিফ আকবরকে। দেশের জনপ্রিয় এই শিল্পীর ক্যারিয়ারে যোগ হলো নতুন পালক। এবার তার মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে।

গত ২ মে রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে আসিফ লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অভিষেক ঘটেছে। প্রিয় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছি। আল্লাহ মহান। ভালোবাসা অবিরাম।’

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

এর ঠিক একদিন আগে অবশ্য তিনি কিছুটা রহস্য রেখে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আজকে রেকর্ডিং ছিল বিখ্যাত যশরাজ স্টুডিওতে। এ আর রেহমান স্যারের স্টুডিও দেখে এবং সেখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে মন ভাল হয়ে গিয়েছিল। যশরাজ স্টুডিওতে কাজ করে মনে হচ্ছিলো সমূদ্রের মধ্যে আমি সামান্য ডিঙ্গি নৌকার মত ভেসে আছি। অনেক কথা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে, পারছিনা, কাজের পরিবেশ আর পেশাদারীত্ব দেখে ইমোশনাল হয়ে গেছি। এই ঘোর কাটতে সময় লাগবে। শুধু এটুকু বলতে পারি - আপনারা দোয়া করেছেন, আপনাদের দোয়া ব্যর্থ হয়নি, ইনশাআল্লাহ ব্যর্থ হতে দিবোনা যতদিন সুস্থ্য থাকি। ভালবাসা অবিরাম।’

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

এমন সুখবর পেয়ে বাংলা গানের এ যুবরাজের ভক্ত ও শুভাকাঙ্খিরা তাকে শুভ কামনা জানিয়েছেন। আহমেদ শিপন নামে একজন লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় সম্মানের এবং গর্বের বিষয়।

সুস্ময় কুমার দাস নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘আপনার মতো মহান শিল্পীর জন্য বাংলাদেশ গর্বিত। আরও অনেক দূর এগিয়ে যান। শুভ কামনা রইল সিলেট থেকে। ভালোবাসা অবিরাম।’

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

আসিফ তার গানের বিষয়ে বিস্তারিত এখনই জানাননি। হয়তো কিছুদিনের পর সবকিছু বিস্তারিত জানা যাবে। তবে কিছু দিন আগেই মুম্বাইয়ে পাড়ি জমিয়েছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি অস্কারজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমানের মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে তার গান রেকর্ড হয়।

গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমান আসিফ। এর আগে ২৪ এপ্রিল লেবাননে একটি গানের শো করেন ‘ও প্রিয়া তুমি কথায়’খ্যাত গায়ক।

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

এর আগে গেল বছর বলিউডের শ্রেয়া ঘোষালের সাথে গাওয়ার কথা ছিলো তার। যদিও শেষ পর্যন্ত সেসময় তা ঘটেনি। তবে এবার আসিফের সহশিল্পী হিসেবে কি শ্রেয়া ঘোষাল আছেন কিনা, তা জানা সম্ভব হয়নি।

;

দর্শকপ্রিয়তায় সেরা নাটকের তালিকায় "ইতি তোমার আলো"



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দর্শকপ্রিয়তায় সেরা নাটকের তালিকায় "ইতি তোমার আলো"

দর্শকপ্রিয়তায় সেরা নাটকের তালিকায় "ইতি তোমার আলো"

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যতিক্রমধর্মী গল্প ও সুনিপূণ নির্মাণে দর্শকপ্রিয় নাটকগুলোর একটি হিসেবে বিশেষ আলোচনায় এসেছে নাটক "ইতি তোমার আলো"। সমাজের রুঢ় বাস্তবতা, প্রেম, হতাশা আর সম্পর্কের টানাপোড়েনে সুন্দর গল্পের নাটকটি দর্শক মনে আন্দোলিত করেছে। শহরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানো কিছু চিরচেনা চরিত্রকে যেন আমরা খুঁজে পাই এই নাটকে। গল্পের শক্ত গাঁথুনি ও প্রতিটি দৃশ্যের আবেগময় সংলাপে মন জুড়ে যায় দর্শকদের। নাটকটি পরিচালনা করেছেন বর্তমান সময়ের প্রতিভাবান তরুণ পরিচালক সেলিম রেজা। নাটকটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করেছেন সায়েম খান।

নাটকটি নিয়ে পরিচালক সেলিম রেজা বলেন, "ইতি তোমার আলো" আমার ভাল কাজগুলোর মধ্যে একটি। এই গল্পটি শোনার পরই কেন যেন মনে হয়েছে এটি সমাজ সংসারে সাধারণ মানুষের অসাধারণ গল্প। আমি সায়েম খানের গল্পটি চিত্রায়িত করেছি অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে। কারণ সমাজে একজন পতিতার মাঝেও সুখের সংসারের স্বপ্ন থাকে। মা হওয়ার ইচ্ছা জাগে। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে সেই ইচ্ছার জলাঞ্জলি দিয়ে সে ফিরে যায় তার অন্ধকার জীবনে। এই নাটকটিতে সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় ছিল অনবদ্য। বিশেষ করে "আলো" নাম ভূমিকায় অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বির অভিনয় দেখে আমি পরিচালক হিসাবে খুবই অভিভূত।"

নাটক প্রসঙ্গে চিত্রনাট্যকার সায়েম খান বলেন, 'এই নাটকের গল্পটি আসলে চেনা মানুষের অচেনা গল্প। যে গল্পে প্রেম থেকে জেগে উঠে বিরহ। কল্পনার জগতে হারাতে হারাতে বিমোহিত হওয়ার একটা সময়ে মানুষ হতাশার খাদে আটকে আবার ফিরে যায় তার পুরাতন রূপে। আলো চরিত্রটি ঠিক এমনই। নাটকটি নির্মাণে পরিচালক সেলিম রেজাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। কারণ গল্পটি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তিনি চরিত্রগুলোকে তার নিজের মাঝে ধারণ করেছেন।'

"ইতি তোমার আলো" নাটকটিতে অভিনয় করতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত হালের দর্শক নন্দিত ব্যস্ত অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বি। তিনি বলেন, 'দর্শক আমার অভিনীত এই নাটকটি খুব ভালভাবে গ্রহণ করেছেন জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এটি আমার জীবনে অভিনয় করা ভাল নাটকগুলির মধ্যে একটি হয়ে রইল। ভাল নাটকে ভূয়সী প্রশংসা পাওয়াই একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর জীবনে পরম পাওয়া। তাই "ইতি তোমার আলো" নাটকটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে রইল।"

জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত দত্ত বলেন, "ইতি তোমার আলো" নাটকে আমি উর্বির বিপরীতে অভিনয় করেছি। দুর্দান্ত একটি গল্প নিয়ে পরিচালক সেলিম রেজা নাটকটি সুচারুভাবে নির্মাণ করেছেন। নাটকটি নিয়ে মানুষের ইতিবাচক আলোচনা আমাকে ভাল গল্পের কাজের প্রতি আগ্রহ আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিল।

প্রিয়ন্তী উর্বি ও শাশ্বত দত্ত ছাড়াও এই নাটকে আরও অভিনয় করেছেন সেজুতি খন্দকার, রিমু রোজা খন্দকার, তানহা ইয়াসমিন ও ইনায়া আজরা।

ফিল্ম ফ্যাক্টরী এর ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি অবমুক্ত করা হয়েছে।

নাটকের লিংকঃ
https://www.youtube.com/watch?v=h0xI5plbLp8&t=2079s

;