এন্ড্রু কিশোর: পদ্মার তীর থেকে সুরের আকাশে



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
এন্ড্রু কিশোর:পদ্মার তীর থেকে সুরের আকাশে

এন্ড্রু কিশোর:পদ্মার তীর থেকে সুরের আকাশে

  • Font increase
  • Font Decrease

জন্ম নিয়েছিলেন তিনি উত্তরের বরেন্দ্রভূমির পদ্মার তীরে। জীবনের পুরো সময়ই ছিলেন শিকড়সমেত জন্ম মাটিতে। তবু আধুনিক বাংলা গানে সম্রাটের দাপটে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের সুর ও সঙ্গীতের আকাশে পদ্মার তীর থেকে ভেসে আসা অনিন্দ্য লহরী তিনি, এন্ড্রু কিশোর।

কখনো ঢাকায় স্থায়ী হননি। কাজের প্রয়োজনে আসা-যাওয়া করেছেন। রাজধানী থেকে দূরে থেকেও যে জাতীয় অঙ্গনে সরব বিচরণ করা যায়, তারও দৃষ্টান্ত তিনি। স্বকীয় মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতায় তিনি ভেঙে দিয়েছেন সেই ধারণা, যাতে মনে করা হতো সবকিছু পাওয়া যায় কেবল ঢাকা থাকলেই।  

তিনি তাঁর ভরাট গলা, শাণিত উচ্চারণ, অনন্য গায়কীতে স্থান, কাল ভেদে সমগ্র বাংলাদেশের প্রিয়তম শিল্পী। জনপ্রিয়তায় তুলনাহীন। একটানা কয়েক দশক আধুনিক গান ও চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক গানে অপ্রতিদ্বন্দ্বী তিনি। ১৯৫৫ সালে জন্ম নিয়ে ৬৫ বছরের চিরতরুণ, চিরসবুজ জীবন কাটিয়ে ২০২০ সালের করোনাদগ্ধ তাপিত প্রহরে শেষ করলেন জীবনের গল্প।

গানে ও সুরে তিনি সব সময় সত্য, সুন্দর ও জীবনের কথাই বলেছেন। ১৯৯১ সালে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সুরে 'জীবনের গল্প আছে বাকী অল্প' শিরোনামে এক বেদনাবিধুর গানের মাধ্যমে স্পর্শ করেছিলেন লক্ষকোটি শ্রোতার হৃদয়। রোগে ও কষ্টে সেই জীবনের অবসান ঘটালেন তিনি এই বর্ষার ঋতুতে। বৃষ্টির সমান্তরালে কাঁদালেন অজস্র প্রিয় ভক্তকে।

শুধু এই গান নয়, শত শত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি, যার অধিকাংশই জনপ্রিয়। যেমন, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, ডাক দিয়েছেন দয়াল আমারে, সবাই তো ভালবাসা চায় ইত্যাদি অন্যতম। গত শতকের মধ্য ৭০ দশক থেকে শুরু করে একটানা চার দশক গানের জগতে রাজত্ব করে তিনি গানে গানে ভরিয়ে দিয়েছেন সারা বাংলাদেশকে, সমগ্র বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীকে।  

এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু হয়েছিল ১৯৭৭ সালে; মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রে আলম খানের সুরে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে। এরপর বাদল রহমানের এমিলের গোয়েন্দা বাহিনীতেও কণ্ঠ দেন তিনি। ১৯৭৯ সালে প্রতিজ্ঞা চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গান গাওয়ার পর আর পেছনে ফিরতে হয়নি তাকে। তবে থামতে হয় দুরারোধ্য ব্যাধির কারণে।

ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নয় মাস ধরে ভুগছিলেন তিনি। বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে ছিলেন দেশে, প্রিয় ঠিকানা পদ্মা তীরের সেই রাজশাহীতে, বোনের বাড়িতে। সেখানে সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় তার মৃত্যুতে এক অবিস্মরণীয় সঙ্গীতকারের চিরবিদায় সূচিত হয়।

তাঁর মৃত্যু বেদনায় ছুঁয়ে গেছে সমগ্র দেশবাসীকে।    শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকার্ত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের সবাই।

করোনাকালের সঙ্কুল পরিস্থিতিতে এই ঘোরতর বর্ষায় সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে যাওয়া গুণী কণ্ঠশিল্পী  এন্ড্রু কিশোর ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতে অনুরক্ত ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র সবুজ মতিহারের চত্বর থেকে পদ্মা বিধৌত রাজশাহী থেকে সত্য, সুন্দর ও জীবনের গানে গানে স্মৃতির ভেলায় ভেসে জাগরিত থাকবেন সবার মাঝে, কাল-কালান্তরে।

আরও পড়ুন: ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ এন্ড্রু কিশোর আর নেই

   

মেহজাবীনের আরেক নারীকেন্দ্রিক সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বড় পর্দায় ‘প্রিয় মালতী’ হয়ে হাজির হবেন মেহজাবীন

বড় পর্দায় ‘প্রিয় মালতী’ হয়ে হাজির হবেন মেহজাবীন

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটক, বিজ্ঞাপন ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দারুণ সফল মেহজাবীন চৌধুরী। তবে বড়পর্দায় প্রিয় অভিনেত্রীকে দেখার আগ্রহ ভক্তদের দীর্ঘদিনের।

এ বছরই সেই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে জানা গেছে, বড়পর্দার জন্য করা মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’।

এবার নিজের জন্মদিনেই সিনেমা হলের জন্য করা দ্বিতীয় সিনেমার ঘোষণা দিলেন এই জনপ্রিয় তারকা! শঙ্খ দাশগুপ্তের পরিচালনায় এবার বড় পর্দায় ‘প্রিয় মালতী’ হয়ে হাজির হবেন মেহজাবীন চৌধুরী। ফ্রেম পার সেকেন্ড ও চরকির যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি এ বছরের কোনো একটা সময় মুক্তি দেয়া হবে সিনেমা হলে।

গত ১৯ এপ্রিল অর্থাৎ মেহজাবীনের জন্মদিনেই ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জমকালো এক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সিনেমাটির ঘোষণা দেয়া হয়।

প্রযোজক আদনান আল রাজীব আর মেহজাবীন খুব ভালো বন্ধু!

মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘জন্মদিনে সিনেমার ঘোষণাতা আমার জন্য খুব স্পেশাল। এই সিনেমায় দর্শক ভিন্ন এক মেহজাবীনকে দেখতে পাবে। এমন একটা টিমের সাথে কাজ করতে পেরে নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’

প্রথমেই মঞ্চে আসেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা দম্পতি। মেহজাবীনকে নিয়ে দেন মজার কিছু তথ্য। তিশা বলেন, ‘মেহজাবীন তার জেনারেশনের সবচেয়ে পাওয়ারফুল অভিনেত্রী। সে একইসঙ্গে দারুণ গোছানো একজন মানুষ। সে আমার বোনের মতো, কারণ আমার কোন আপন বোন নেই।’

এরপর মঞ্চে আসেন আশফাক নিপুন ও এলিটা করিম দম্পতি। তারাও জানান মেহজাবীনকে নিয়ে মজার কিছু তথ্য। আশফাক নিপুন বলনে, ‘মেহজাবীন অভিনয়ে নিজেকে যেভাবে গড়েছেন সেটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা দম্পতি

ফ্রেম পার সেকেন্ড-এর প্রযোজক আদনান আল রাজীব বলেন, ‘‘প্রিয় মালতী’র গল্পটা একদম ইউনিক। এই গল্পটা শঙ্খ (পরিচালক) যখন আমাদের সাথে শেয়ার করে তখনই সবাই পছন্দ করি। এমন গল্প আমরা কখনও দেখিনি। সেই সাথে মেহজাবীন এই সিনেমার সাথে যুক্ত হওয়াতে এই সিনেমায় অন্য একটা মাত্রা যোগ হয়েছে।’

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘এই সিনেমার সাথে থাকতে পারাটা আমার জন্য খুব ইমোশনের। কাছের মানুষজন নিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করার আনন্দটা ভাষার প্রকাশ করার না। গুণী পরিচালক, গুনী অভিনেত্রীসহ দুর্দান্ত একটা টিম এই সিনেমার সাথে যুক্ত হয়েছে। সিনেমা হলে দর্শকের কাছ পর্যন্ত পৌঁছানোটা এখন আমাদের অপেক্ষা।’

পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ফিল্ম মেকিংটা আমার কাছে সব সময় কষ্টের কাজ মনে হয়। তবে ‘প্রিয় মালতী’ কাজটা আমার জন্য একদম সহজ করে দিয়েছে দুই প্রযোজক। আমি শুধু নির্মাণ ও গল্প নিয়েই ভেবেছি। সেই সাথে যাদেরকে কাস্ট হিসেবে চিন্তা করেছি তাদেরকে সাথে পেয়েছি।’

আশফাক নিপুন ও এলিটা করিম দম্পতি

মেহজাবীন এর সাথে এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, শাহজাহান সম্রাট, রিজভী রিজুসহ আরও অনেকে। গত বছরের সেপ্টম্বর-অক্টোবরের দিকে হয়েছে এই সিনেমার শ্যুট। ঢাকা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারণ করা হয়েছে দৃশ্য।

সিনেমা ঘোষণার পাশাপাশি কেক কেটেও উদযাপন করা হয় মেহজাবীনের জন্মদিন। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নুসরাত ইমরোজ তিশা,আশফাক নিপুন, এলিটা করিম, মোস্তফা মন্ওয়ার, জেফার রহমান, রাকা নওশীন নাওয়ার সহ আরও অনেকে। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিকবৃন্দ, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফিল্মি ফিচার, ফ্রেম পার সেকেন্ড ও চরকির সদস্যরা।

সিনেমা ঘোষণার পাশাপাশি কেক কেটেও উদযাপন করা হয় মেহজাবীনের জন্মদিন

 

;

কানে লড়বে আদনানের স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘র‌্যাডিক্যালস’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
আদনান আল রাজীব ও  ‘র‌্যাডিক্যালস’-এর পোস্টার

আদনান আল রাজীব ও ‘র‌্যাডিক্যালস’-এর পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

এক যুগ ধরে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন নির্মাণে অনবদ্য দক্ষতা দেখিয়ে আসছেন আদনান আল রাজীব। অল্প বিস্তর যে সব ফিকশন নির্মাণ করেছেন, সেগুলোও দর্শকের দারুণ সাড়া পেয়েছে। এখন তিনি কোক স্টুডিও বাংলা সিজন থ্রি’র সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এই সিজনের গানগুলোর ভিডিও নির্মাণের দায়িত্ব পড়েছে তার কাঁধে। এরইমধ্যে প্রথম গান ‘তাঁতি’ নির্মাণ করে কুড়িয়েছেন প্রশংসা।

এবার আদনানের কর্মযজ্ঞ পেরলো দেশের গণ্ডি। তাও কান চলচ্চিত্র উৎসবের মতো প্রখ্যাত আঙিনায়! কানের সমান্তরাল বিভাগ ‘ক্রিটিকস উইক’-এর ৬৩তম আসরে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হলো আদনান আল রাজীব প্রযোজিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘র‌্যাডিক্যালস’। এটি আদনানের সঙ্গে সহ-প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশের আরেক নির্মাতা তানভীর হোসেন। ফলে কানসৈকতে আবারও লাল-সবুজ পতাকার প্রতিনিধিরা আমন্ত্রণ পেলেন। আগামী মাসে এই আয়োজনে দুই জনই অংশ নিতে যাবেন।

আদনান আল রাজীব

‘র‌্যাডিক্যালস’ মূলত ফিলিপাইনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন আরভিন বেলারমিনো। প্রযোজনায় ক্রিস্টিন ডে লিয়ন। আদনান আল রাজীব ও তানভীর হোসেনের সঙ্গে এটি সহ-প্রযোজনা করেছেন ডমিনিক ওয়েলিনস্কি।

কান উৎসবের সমান্তরাল বিভাগে নির্বাচিত হওয়াটা সম্মানের হিসেবে দেখছেন আদনান আল রাজীব। তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি বলে বোঝানোর মতো নয়। একজন প্রযোজক কিংবা নির্মাতা হিসেবে এটা অনেক বড় অর্জনের মতো। যদিও সামনে আরও অনেকটা পথ আমরা হাঁটতে চাই ছবিটি নিয়ে। যেটার শুরু মাত্র হলো।’

 ‘র‌্যাডিক্যালস’-এর দৃশ্য

ফিলিপাইনের সংস্কৃতি মোরগ-নাচের একটি প্রতিযোগিতাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘র‌্যাডিক্যালস’। এর নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা সেই দেশেরই। এতে ঢাকার দুই তরুণের ভূমিকা মূলত কী? জানতে চাইলে আদনান আল রাজীব বলেন, ‘আমাদের ভূমিকা অনেক। ছবিটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবটা জুড়েই ছিলাম আমরা। মূলত নির্মাতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমরা শুরু থেকে এখনও এগিয়ে চলেছি। শুটিং শেষের পর নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীদের কাজ শেষ। আর আমাদের মূল কাজ শুরু সেখান থেকেই। যার শুরুটা হচ্ছে কান-এর মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব থেকে, সেটাই হচ্ছে আমাদের বড় অর্জন। তবে আমাদের পরিকল্পনা আরও অনেকদূর। দেখা যাক কানে কতটা মান রাখতে পারি।’

আদনান আল রাজীব

কান উৎসবের আরেক সমান্তরাল বিভাগ ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে ২০০২ সালে তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ নির্বাচিত ও পুরস্কৃত হয়। এর অনেক বছর পর ২০২১ সালে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নেয়। এটি দেখানো হয় আঁ সাঁর্তে রিগা বিভাগে।

;

ভেবেছিলাম খুব বেশি হলে ৫০ ভোট পাবো : নিপুণ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নিপুণ আক্তার /  ছবি : ফেসবুক

নিপুণ আক্তার / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

গতকাল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২০২৬) মেয়াদের নির্বাচন। এ মেয়াদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা সভাপতি মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

নির্বাচনে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের কাছে সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ফল ঘোষণার পরে ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন পরাজিত এই প্রার্থী।

নিপুণ আক্তার /  ছবি : ফেসবুক

সাংবাদিকদের নিপুণ বলেন, ‘ডিপজল ভাইয়ের বিপক্ষে মাত্র ১৬ ভোটে হারবো সেটা আমি চিন্তাও করিনি। আমি ভেবেছিলাম ডিপজল সাহেবের সঙ্গে আমি যখন দাঁড়াবো, খুব বেশি হলে ৫০ ভোট পাবো।’

এই নায়িকা বলেন, ‘আমার ২৬টা ভোট নষ্ট হয়েছে, ২০৯টি ভোট আমি পেয়েছি। যেখানে ডিপজল ভাই পেয়েছেন ২২৫টি ভোট। শিল্পী সমিতির ভাই-বোনেরা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, তারা আমাকে ভালোবাসেন। আমাকে এত সম্মান দেওয়ার জন্যে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে মন্তব্য করে নিপুণ আরও বলেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ২০২৪-২৬ নির্বাচন যারা পরিচালনা করেছেন তাদের। আমার মনে হয় আমার টার্মে থেকে আমি খুব সুন্দর একটি নির্বাচন পরিচালনা করেছি।’

নিপুণ আক্তার /  ছবি : ফেসবুক

গতকাল শুক্রবার চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গনে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণের পর ভোট গণনা শুরু হয় রাত আটটায়। রাতভর গণনা শেষে সকাল পৌনে ৭টার দিকে দিকে প্রাথমিকভাবে ভোট ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

;

কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না মিশা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জয়ের মালা গলায় দিয়ে মিশা সওদাগরকে নিয়ে উচ্ছ্বাস

জয়ের মালা গলায় দিয়ে মিশা সওদাগরকে নিয়ে উচ্ছ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন মিশা সওদাগর।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে তিনটি ছবি পোস্ট করে খল অভিনেতা মিশা সওদাগর লিখেছেন, ‘আপনাদেরকে কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনো ভাষা আমার জানা নেই। আপনারা পাশে ছিলেন বিধায় এ সাফল্য অর্জন করতে পেরেছি। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিনম্র শ্রদ্ধা সম্মান। আপনাদের কাছে অনেক অনেক আমরা কৃতজ্ঞ। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।’

নির্বাচনে মিশা পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি পেয়েছে ২২৫ ভোট।। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯ ভোট)।

সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)।

Caption

 

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)। কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।

গতকাল শুক্রবার চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গনে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণের পর ভোট গণনা শুরু হয় রাত আটটায়। রাতভর গণনা শেষে সকাল পৌনে ৭টার দিকে দিকে প্রাথমিকভাবে ভোট ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

;