পুলিশের সম্মানে গাইলেন তারা

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুমার বিশ্বজিৎ, সামিনা চৌধুরী, তাহসান খান ও কোনাল

কুমার বিশ্বজিৎ, সামিনা চৌধুরী, তাহসান খান ও কোনাল

করোনায় সম্মুখ যোদ্ধা আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিতদের সম্মান জানিয়ে ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় চার তারকা শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, সামিনা চৌধুরী, তাহসান খান ও কোনাল।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গেছে, গানটি লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ, সুর-সংগীত করেছেন ‘চিরকুট’ ব্যান্ডের ইমন চৌধুরী। সার্বিকভাবে এ গানের তত্ত্বাবধানে আছেন পিকলু চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বললেন, প্রত্যেকে শিল্পী গানটি স্বেচ্ছায় ও আন্তরিকতা দিয়ে গেয়েছেন। যেমন তাহসান আছেন আমেরিকায়। সেখান থেকে বলা মাত্রই রেকর্ডিং করে পাঠিয়েছেন। এছাড়া বিশ্বজিৎ দাদা, সামিনা আপা, কোনাল আপা যে যার সুবিধামত স্টুডিও থেকে গানটি করে পাঠিয়েছেন। শিগগিরই ভিডিও নির্মিত হবে। ভিডিওতে করোনাকালে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং শিল্পীদের উপস্থিতিও থাকবে। গানটি ঈদে সবগুলো টিভি এবং পুলিশসহ বিভিন্ন ফেসবুক পেজে প্রকাশ হবে।

কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সম্মুখযোদ্ধাদের নিয়ে গানটি করেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই করোনাকালীন সময়ে যে মানুষগুলো আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই মূলত এই উদ্যোগ। চিরকুটের ইমনের কম্পোজিশন দারুণ হয়েছে। আমাদের ভয়েস নেয়া শেষ। এখন বাকি কাজ শেষ হলেই গানটি সবাই দেখতে ও শুনতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন মুলুক থেকে তাহসান বলেন, বিশেষ করে দায়িত্ব পালনের সময় স্বাস্থ্যসেবা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যরা সবচেয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অনুপ্রেরণা এবং মানসিক শক্তির জন্য আমরা গান করেছি, আর তো তেমন কিছু করতে পারছি না। আসলেই তারাই এখন আসল যোদ্ধা।

কোনাল বলেন, তারা দেশের জন্য কাজ করছেন এবং আমরা তাদের জন্যই গাইলাম। নিজেরা আক্রান্ত হলেও সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় পুলিশ ঝাঁপিয়ে কাজ করেছেন। তাদের জন্য গান করতে পারাটা ভীষণ ভালো লাগার ব্যাপার। মিউজিসিয়ান ইমন ভাই যখন আমাকে গানটির কথা জানালেন, শুনেই আগে পিছে না ভেবে এক বাক্যে হ্যাঁ বলে মন খুলে গেয়েছি।

গানটির গীতিকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, করোনায় পুলিশের ভূমিকা ফোকাস করে গানটি লিখেছি।

সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইমন চৌধুরী বলেন, পুলিশ বাহিনি নিজেদের জীবন বাজী রেখে আমাদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। গানটি করার মূল উদ্দেশ্য তাদের সম্মান জানানো এবং অনুপ্রেরণা দেয়া। যে চারজন শিল্পী গান গেয়েছেন তারা প্রত্যেকেই ছিলেন যত্নশীল। পিকলু ভাইও কাজটির জন্য পরিশ্রম করছেন। গানটি সকলের কাছে ভালো লাগলে আমার শ্রম স্বার্থক হবে।