ছবিতে বৃহস্পতি-শনির দুর্লভ নৈকট্য
এমনিতে বৃহস্পতি আর শনির মাঝখানে ব্যবধান পৃথিবী আর সূর্যের মধ্যকার দূরত্বের (১৪৯,৫৯৭,৮৭০ কিলোমিটার) চারগুণেরও বেশি। তবে চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর (২০২০) সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে ব্যবধান ছিলো মাত্র প্রায় ৬৯৫ কিলোমিটার।
১২২৬ সালের ০৪ মার্চ বৃহস্পতি ও শনি গ্রহ একে অপরের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৮শ বছর। এই এত বছর পর, দুই গ্রহ এর চেয়েও কাছাকাছি এসে দেখা দেয়।
একের অধিক গ্রহ-নক্ষত্র খুব কাছাকাছি এসে সারিবদ্ধ হওয়ার এই মহাজাগতিক ঘটনাকে জোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘কনজাংশান’। বাংলায় কনজাংশানের প্রচলিত অর্থ সংযোগ বা মিলন হলেও, অন্য একটি খটমট অর্থ ‘যুগপৎ সংঘটন’ই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো যায়। যুগপৎ মানে একই কালে বা সঙ্গে এবং সংঘটন মানে ঘটনা। যেহেতু বৃহস্পতি ও শনি সৌরজগতের বড় দুই গ্রহ, এজন্য জোতির্বিজ্ঞানীরা এটিকে বলছেন ‘গ্রেট কনজাংশান’।
আরও পড়ুন:৮০০ বছর পর বৃহস্পতি-শনি এত কাছাকাছি
এর আগে, রাইস ইউনিভার্সিটি’র পদার্থ ও জোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক প্যাট্রিক হার্টিগান বলেন, কিন্তু এইবারের এই যুগপৎ সংঘটন সত্যিই ব্যতিক্রম কারণ, এই প্রথমবারের মতো তারা এত কাছাকাছি আসবে।
এমনকি তারা এতটাই কাছে আসবে যে, কোনোকিছু ছাড়া দেখলে অনেকের জন্য তাদের আলাদা করে দেখাটাই মুশকিল হয়ে যাবে! মনে হবে, দুটি গ্রহ জোড়া লেগে গেছে। কাজেই এটি সত্যিই একটি দুর্লভ মহাসংঘঠন, যোগ করেন তিনি।
নাসা আবার এই কনজাংশানের নাম দেয় ‘ক্রিসমাস স্টার’, কারণ আকাশের রোজকার তারার চেয়েও বেশি উজ্জ্বল হয়ে দেখা দেয় এই গ্রহ-জোড়।
তাহলে ছবিতে দেখে নেওয়া যাক দুর্লভ এই গ্রেট কনজাংশান-