বিশ্বের দীর্ঘতম সাইকেল ১৮০ ফুট ১১ ইঞ্চি!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিশ্বের দীর্ঘতম সাইকেল ১৮০ ফুট ১১ ইঞ্চি!। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের দীর্ঘতম সাইকেল ১৮০ ফুট ১১ ইঞ্চি!। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দীর্ঘতম সাইকেলটির তকমা এখন নেদারল্যান্ডসের (ডাচ) দখলে। সাইকেলটি লম্বায় ১৮০ ফুট ১১ ইঞ্চি। দেশটির আটজন ইঞ্জিয়ান এই সাইকেলটি তৈরি করেছেন।

এমন আবিষ্কারের জন্য দলটির নেতৃত্বে থাকা ইভান শাল্ক গিনেস ওয়ার্ল্ডস থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বার্নি রায়ান। ২০২০ সালের তার তৈরিকৃত সাইকেলটির দৈর্ঘ্য ছিল ১৫৫ ফুট ৮ ইঞ্চি।

রেকর্ডের এমন তথ্য জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ৩৯ বছর বয়সী ইভান শাল্ক। তিনি শৈশব থেকেই এমন আকৃতির সাইকেল তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন।

সাইকেলটি চালাতে সহজ হলেও এটি ডাচ শহরে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য খুব বেশি কার্যকর হবে না।

ইভান শাল্ক বলেন, "আমি বছরের পর বছর ধরে এই ধারণাটি নিয়ে ভাবছি। পরে গিনেস ওয়ার্ল্ডস থেকে একটি বইয়ে এমন রেকর্ডের ধারণা পেয়েছি।  

রেফারেন্স বই অনুসারে, এই রেকর্ডটি গত ৬০ বছরে বহুবার ভাঙা হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বড় আকৃতির সাইকেল প্রথমে তৈরি হয়েছিল জার্মানির কোলন শহরে ১৯৬৫ সালে। যার পরিমাপ ছিল ৮ মিটার (২৬ ফুট ৩ ইঞ্চি)। অতীতের রেকর্ডধারীদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড, ইতালি, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া এবং নেদারল্যান্ডের দুটি দল সহ বিভিন্ন দেশের লোক ছিল।

তিনি জানান, আমি ২০১৮ সালে এই প্রকল্পটি শুরু করেছি। তৈরিকৃত এই সাইকেলটিতে উচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে এটি তৈরি করেছি।

অল্পতে খেয়াল করে না মানুষ, বড় দুর্ঘটনা ছাড়া!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কটি এখন যেন মরণ ফাঁদ

ছবি: বার্তা২৪, সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কটি এখন যেন মরণ ফাঁদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই পাশে সারি সারি মরাগাছ! দেখতে চমৎকার লাগলেও সেটি এখন যেন মরণ ফাঁদ! স্থানটি ভয়ানক হলেও তরুণ-তরুণীদের এখন ফটোশুটের একমাত্র জায়গা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে ভিড় জমে ছবি তোলার। কেউ ব্যস্ত ভিডিওশুটে, কেউ-বা রিলসে আবার কেউ সেলফি ওঠাতে।

একদিকে, যেমন বিনোদনের জায়গা, ঠিক তেমনি অন্যদিকে ভয়ানক কান্নার স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কটি।

মরা এসব গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে প্রাণহানির ঝুঁকিও! প্রতিনিয়ত এমনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে চলাচল করতে আসা মানুষ।

সরেজমিন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের মাইলের পর মাইল ঘুরে দেখা যায়, দুই বছর আগের সেই মরাগাছের কঙ্কালসার দেহ দাঁড়িয়ে আছে এখনো, যা ক্রমশই ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে প্রকৃতির নিয়মে! কিন্তু দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছেন সবাই।

এসব মরাগাছের ডাল আকস্মিকভাবেই ভেঙে পড়ে সড়কের ওপর। কিন্তু কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। এই গাছগুলো অপসারণ করা হচ্ছে না, এই নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে এই সড়কের দুইপাশে চারাগাছ রোপন করেন জেলা পরিষদ ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

বছরখানেক আগে সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের শত শত গাছ মারা যায়। সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেই গাছের ডাল ভেঙে পড়ে, ছবি- বার্তা২৪.কম

বছরখানেক আগে সড়কটির বেশকিছু স্থানের গাছ শুকিয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে শত শত গাছ মারা যায়। সামান্য ঝড় বৃষ্টিতেই গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। অনেক সময় বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহনে চলাচলকারী ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। আমরা অনেকদিন ধরেই সংশ্লিষ্টদের বলেছি, গাছগুলো অপসারণ করতে কিন্তু এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ এখনো চোখে পড়েনি। হয়ত ‘একবারে ২-৩ জন না মরলে গাছ কাটবে না’ কর্তৃপক্ষ!

সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়ক দিয়ে চলাচল করা বাসচালক মিজান শেখ বলেন, যখন-তখন গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে! গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, যান চলাচল। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন মরণফাঁদ! কবে হয়ত আমরা এই মরণফাঁদের কবলে পড়বো! আমরা শুধু বলে যাচ্ছি কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না! মানুষ অল্পতে খেয়াল করে না, বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত!

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্য মাধব চন্দ্র দত্ত বার্তা২৪.কমকে বলেন, জেলা পরিষদ আর সড়ক জনপদ বিভাগকে জানাতে জানাতে আমরা ঠকে গেছি! যতবার আন্দোলন, মানবন্ধন করেছি, ততবারই আমাদের তারা আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু দিনশেষে তারা তাদের কথা রাখেননি!

মাধব চন্দ্র বলেন, আমি মনে করি, গাফেলতির কারণে তারা এই বিষয়টা নজরে নিচ্ছেন না। তারা কখনো চিন্তা করেন না, ওই এলাকার মানুষের কথা! ওই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষজন যাতায়াত করেন।

সড়কের অবস্থা ভয়াবহ উল্লেখ করে মাধব চন্দ্র আরো বলেন, এখন বর্ষার সময়। ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, এই সময়ে গাছগুলো ভিজে ভারী হয়ে যাবে। যখন-তখন কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে বলে আশঙ্কা করি। এই বিষয় অনেকবার তাদের নজরে আসলেও তারা এড়িয়ে গেছেন এবং এখনও যাচ্ছেন। আমরা চাই, শিগগিরই এই গাছগুলো অপসারণ করে আবার নতুন গাছ সেখানে রোপন করা হোক।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, গাছগুলি ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে, গাছগুলি মার্কিং করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে টেন্ডারের মাধ্যমে মরা গাছগুলি অপসারণ করা হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়কের পাশে মরা গাছগুলোর মধ্যে কিছু গাছ জেলা পরিষদের আর বাকি গাছ সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের মালিকাধীন।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা সামাজিক বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গাছগুলো মারা যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটকে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানকার একটি দল এসে কাঠ ও পোকার নমুনা নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, ‘লাখ্যা’ নামে এক ধরনের পোকার আক্রমণে গাছগুলো মারা গেছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই এলাকায় লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় গাছগুলো মারা যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

;

এক বিলাসবহুল বিয়ে, অতিথির উপহারই প্রায় লাখ টাকা করে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকান সিনেমা 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র কথা হয়তো মনে আছে? পুরো মনে না থাকলেও নিশ্চয়ই সিনেমায় আলোচিত একটি বিয়ের দৃশ্য মনে আছে। যেখানে বিয়েতে আসা সব অতিথিদের জন্য থাকে অর্থ উপহার, থাকে বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধা। এমন অসম্ভাব্য মঞ্চসজ্জা আসলে সিনেমা বা কল্পকাহিনীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার তা বাস্তবের দৃশ্যপটে হাজির। এমন উপলক্ষ তৈরি করেছেন চীনা সেলিব্রেটি ট্র্যাভেলার ডানা চ্যাং। সম্প্রতি এই সেলিব্রেটির বিয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই 'ক্রেজি রিচ এশিয়ানস'র দৃশ্য ফুটে ওঠেছে।

বিলাসবহুল এমন বিয়ের খবরের তথ্য দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

চীনা ওই বিয়েতে অতিথিদের রীতিমতো টাকা পয়সা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ওই ভিডিওর শুরুতে ডানা চ্যাং বলেছেন, ‘বাস্তবে একটি ক্রেজি রিচ এশিয়ান বিয়ে এমনই দেখায়। এর আগে এমন বিয়ে কোথাও দেখা যায়নি।’

সত্যিকার অর্থে ভিডিওটিতে যেমনটি দেখা গেছে, তা দেখে ডানার ফলোয়ারদের মাথা ঘুরে গেছে!

ভিডিও থেকে জানা গেছে, নববিবাহিত দম্পতি তাঁদের অতিথিদের সারা জীবন মনে রাখার মতো একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিয়েছেন। অতিথিদের তাঁরা একটি পাঁচতারা হোটেলে পাঁচ দিনের জন্য রেখেছিলেন। আর এই সময়ের মধ্যে অতিথিদের যে কোনো প্রয়োজনে রোলস রয়েস এবং বেন্টলির মতো ব্যয়বহুল সব গাড়ির বহর সদা প্রস্তুত ছিল। বিয়ের জমকালো সাজসজ্জা এতটাই চোখধাঁধানো ছিল যে, অনেকে এটিকে ইউরোপীয় ভেবে ভুল করবেন।

এমন দৃশ্যকে আরও আকর্ষণীয় করেছে ফুল ও তাদের ছবি দিয়ে বানানো বিয়ের কার্ড।

চীনা রীতিতে অতিথিরা সাধারণত পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে যান এবং সেগুলো বর-কনের সাফল্য কামনায় উপহার হিসেবে দান করেন। তবে ডানার বিয়েতে ঘটেছে উলটো চিত্র। এতে অতিথিরা টাকা দেননি বরং উপহার হিসেবে প্রত্যেকেই পেয়েছেন রাজকীয় লাল রঙয়ের এক খাম। যার মধ্যে ছিল ৮০০ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ হাজার টাকা। তবে এতেই সীমাবদ্ধ ছিলো না ডানা চ্যাং। ডলারের পাশাপাশি অতিথিদের বাড়ি ফেরার রিটার্ন টিকিটও সরবরাহ করেছিলেন ওই দম্পতি।

তাদের এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এতে অনেকেই তাদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন। এমন বিয়েকে অনেকেই আবার চলতি বছরের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘হে দয়াময়, উনি কোন লেবেলের বিলিয়নিয়ার।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘ঈশ্বর তুমি আমাকে কিছু না দিয়ে অন্যদের কত কিছু দিয়েছ!’

রসিকতা করে আরেকজন লিখেছেন, ‘ভিডিও দেখে গরিবেরা কাঁদছে।’ 

অনেকে এই দম্পতির উদারতা এবং নম্রতার প্রশংসা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "অতিথিদের উপহার দেওয়ার জন্য তারা খুবই নম্র। এমন পরিস্থিতি টাকা থাকলেই সবাই করতে পারে না।"

অনেকেই আবার এমন কাজের নিন্দা করেছেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আপনাদের এমন কাজ কোনো ভালো শ্রেণির সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে না।"

তবে সমালোচক আর প্রশংসাকারীদের এক পাশে রেখে বিষয়টিকে দেখলে নতুন কিছুরই আবির্ভাব ঘটেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়। হয়তো এর সাথে আপনিও দ্বিমত হবেন না। 

;

পৃথিবীকে ছাড়িয়ে ‘স্বর্গে জমি’ বিক্রি চলছে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই, শুনতে পাই। এইতো কয়েক মাস আগে চাঁদে জমি কেনার একটি বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে এবার আর চাঁদে নয়, চাইলে 'স্বর্গে জমি' কিনতে পারবেন! আসলেই কী তাই?

চলতি সপ্তাহে মেক্সিকোর একটি গির্জা ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’ করছে বলে- এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অবশ্য এর আগে একজন এই বিষয়টি নিয়ে টিকটকে একটি ভিডিও ছেড়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, এমন বিষয় প্রচার পর্যন্তই তারা সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং জমির প্লট বিক্রি করে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহও করেছে চার্চটি। 

এ নিয়ে অনেক মূলধারার গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছে। এসব খবরে বলা হয়েছে, ইগলেশিয়া দেল ফাইনাল দে লস গির্জা ‘স্বর্গে একখণ্ড জমি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে।

আসলে ব্যঙ্গ করে ইভানজেলিক্যাল গির্জার নাম করে এই ‘স্বর্গে জমি বিক্রি’র কথা বলা হচ্ছে। যাঁরা কাজটি করেছেন, তাঁরা এর মাধ্যমে গির্জার একশ্রেণির ধর্মগুরুর প্রতারণার কথা তুলে ধরতে চেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সংগঠনের পেজটি বেশ জনপ্রিয়।

তারা বলছে, প্লটের প্রতি বর্গমিটারের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার অর্থ দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭৫৮ টাকা। আগ্রহী ক্রেতারা আমেরিকান এক্সপ্রেস, অ্যাপল পে ব্যবহার করে অর্থপ্রদান করতে পারেন বা পেমেন্ট প্ল্যান অ্যাপের মাধ্যমেও এই অর্থ দেওয়া যাবে।

ওই গির্জার ধর্মযাজককে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্মযাজক ২০১৭ সালে স্বর্গে প্লট বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে ঈশ্বরের সাথে কথা বলেছেন। তখন তাকে ঈশ্বর ওই প্লট বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন।

এ বিষয়তি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরে যায় সামাজিক মাধ্যমে। অনেকেই তাদের নিজেদের অভিমত তুলে ধরেছেন।

একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আমি আশা করি ধর্মযাজক আমাকে স্বর্গে কিছু জমি ক্রয় করা সুযোগ দেবেন। আমি প্রথমে তাকে সেখানে পাঠাব এরপর তাকে ফেসটাইমের মাধ্যমে আমাকে কল দিতে বলব যাতে আমি কি কিনতে যাচ্ছি তা দেখতে পারি।"

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার জানা দরকার, কারা জমি দিচ্ছে, যাতে আমি তাদের স্বর্গের জমিতে মূল্যছাড়ের অফার দিতে পারি।’

তৃতীয় আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ঈশ্বরের নামে এমন চুরির কাজ শয়তানের কাজ।’

;

টাকার বান্ডিল দিয়ে তৈরি ‘কার্পেট’, হাঁটলেন প্রেমিকাকে নিয়ে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধনী ব্যক্তিরা তাদের অর্থসম্পদ দেখানোর জন্য কতই কিছু না করে। মাঝেমধ্যে তারা এমন কিছু কাজ করে যা শেষ পর্যন্ত স্রেফ পাগলামির পর্যায়ে চলে যায়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক নিন্দা কুড়িয়েছে। তারা এমন কাজকে 'জঘন্য' বলেও অভিহত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রাশিয়ান এক উদ্যোক্তা তার প্রেমিকার হাত ধরে তাকে টাকার বান্ডিলের উপর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ঘটনাটি অনেক পুরাতন। কিন্তু নতুন করে আবার ব্যবহারকারীদের সামনে এলে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন রাশিয়ান উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সের্গেই কোসেনকো। তিনি ‘মিস্টার থ্যাংক ইউ’ নামেও পরিচিত। ভিডিও তৈরি এবং প্রেমিকাকে ‘রাজকীয় অভ্যর্থনা’ দিতেই নগদ টাকার বান্ডিল দিয়ে ‘কার্পেট’ তৈরি করেছিলেন তিনি।

ভিডিওতে দেখা যায়, কোসেনকোর প্রেমিকা একটি হেলিকপ্টার থেকে নেমে তার হাত ধরে নগদ টাকার স্তূপের ওপর দিয়ে হাঁটছেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনটি ‘প্রেম-পূর্ণ ইমোজি’ দেয়া ছিল।

কার্পেট হিসাবে ব্যাঙ্কনোট ব্যবহারের এমন ভিডিও দেখে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আবার এই দম্পতিকে "ধনের কুৎসিত প্রদর্শন" বলে আখ্যায়িত করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, নোটগুলো জাল।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ''আপনি অনেক ধনী হতে পারেন, কিন্তু এভাবে টাকা নষ্ট করাটা উচিত না। এই টাকা দিয়ে আপনি শত শত পরিবারকে সাহায্য করতে পারতেন এবং হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার জোটাতে পারতেন।''

আরেকজন বলেছেন, ''এভাবে টাকার অপমান করা লজ্জাজনক।''

উল্লেখ্য, সের্গেই কোসেনকো ইনস্টাগ্রামে নিজেকে একজন গায়ক, উদ্যোক্তা ও ক্রিয়েটর হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমের এই প্ল্যাটফর্মে তার চার কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে।

;