অভিজ্ঞতার সনদের বিনিময়ে দিতে হবে তিন মাসের বেতন!
কর্মক্ষেত্রে অসহনীয় চাপে দেখা দেয় শারীরিক অসুস্থতা। ফলে চাকরি করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সময় দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চাকরি ছাড়ার। সে অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছিলেন পদত্যাগপত্র। কিন্তু এতে বাদ সাধে প্রতিষ্ঠানটি। কয়েক দফায় পদত্যাগপত্র দেওয়ার পরও সেটি আমলে না নিয়ে বরং প্রতিষ্ঠান থেকে কাজে যোগদানের জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে।
একপর্যায়ে তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় বিরক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে উলটো তাকে বরখাস্তের মেইল পাঠায়। সেটাতেও তিনি আপত্তি তোলেননি।কিন্তু জটিলতা তৈরি হয় অন্য জায়গায়। যখন তিনি তার সাবেক প্রতিষ্ঠান থেকে অভিজ্ঞতার সনদ চাইতে যান তখন তাকে দেওয়া হয় এক অদ্ভুত শর্ত। ফেরত চাওয়া হয় তিন মাসের বেতন।
একদিকে বরখাস্ত অন্যদিকে অযৌক্তিকভাবে বেতন দাবি করা- সম্প্রতি এমন তিক্ততার কথা জানিয়ে ওই কর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'রেডিট' এ একটি পোস্ট করেছেন। ভারতের চেন্নাইয়ে নতুন চাকরি খুঁজে পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। তার প্রকৃত নাম পরিচয় জানা যায়নি।
তবে রেডিট-এ "র্যান্ডি৩১৫৯৯" নামে তিনি একটি একাউন্ট চালান। ওই একাউন্ট থেকেই তিনি পোস্ট দিয়ে তার এই তিক্ততার কথা তুলে ধরেন।
ওই পোস্টে তিনি লিখেন, 'কর্মক্ষেত্রে প্রচুর চাপের সম্মুখীন হচ্ছি, ফলে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তাই চিকিৎসার কারণ উল্লেখ করে এক মাসের মধ্যে চাকরি ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু পদত্যাগ গ্রহণ না করে উলটো অসুস্থতা সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।'
তিনি আরও লিখেন, "আমি একজন প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং ওই কোম্পানিতে ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। বেতন বাড়লেও কাজের চাপ অসহনীয় হয়ে ওঠে। এক মাস আগে, আমার ফ্যাটি লিভারের সমস্যা শনাক্ত হয়। এর কিছুদিন পর আবার জলবসন্ত। আমি তিন দিনের ছুটি চাইলে সিইও আমাকে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেন। আমি তাতে রাজি হইনি।"
এরপর ওই কর্মী গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হন। তিনি এটি জানিয়ে আবার পদত্যাগপত্র জমা দেন। কিন্তু কোম্পানি আবার সেটা প্রত্যাখ্যান করে তাকে পরদিন বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে মেইল করে। বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অভিজ্ঞতার সনদ চান। তখন কোম্পানিটি জুড়ে দেয় এক অদ্ভুত শর্ত। অভিজ্ঞতা সনদের বিনিময়ে চাওয়া হয় তিন মাসের বেতন।
এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে অনলাইন ব্যবহারকারীদের থেকে চেয়েছেন পরামর্শ। জবাবে অনেকেই তাকে একজন ভালো আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। আবার কেউ কেউ বলেছে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।
তার এমন পোস্টে অনেকেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। আবার অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মজা করেছেন।
একজন ব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, "জলবসন্ত নিয়ে আপনাকে সিইওর কেবিনে যাওয়া দরকার ছিল। তাহলে আপনি যা চাইতেন, তা-ই পেতেন।