মৃত্যুভয় দূর করে ভূত সাজার উৎসব হ্যালোইন
সন্ধ্যের আঁধার নামার সঙ্গে নেমে আসে গা-হিম করা নীরবতা। অজানা ভয়ংকর কিছুর আতঙ্কে যেন আত্মা বের হয়ে যায়। ভূত বা অশরীরী কিছুতে বিশ্বাস করে না এমন মানুষ বহু পাওয়া যাবে। তবে এতে ভয় পায় না তেমন মানুষ বোধহয় হারিকেন দিয়ে খুজলেও পাওয়া যাবে না। অথচ এই ভয়কেই উপভোগ করার উপলক্ষ্যে হয় আনন্দ উৎসব- ভাবা যায়!
আমাদের দেশে সর্বত্র উদযাপিত না হলেও পশ্চিমা সংস্কৃতির ইতিহাসের আদি উৎসব হ্যালোইন। এইদিন অ্দভুতুরে সাজে সেজে একত্রিত হয় সকলে। যদিও এটি একটি আনন্দ উৎসব হিসেবে উদযাপিত হয়, তবে মূলত এই দিনটি মৃত ব্যক্তিদের দিন। সন্ধ্যার পর হ্যালুইন উৎসব শুরু হয়।
প্রয়াত ব্যক্তিদের আত্মাকে স্মরণ করে প্রায় ২ হাজার বছরেরও অধিক সময় ধরে হ্যালোইন পালিত হয়। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত এই উৎসব। যদিও স্থানভেদে তারিখে ভিন্নতা থাকে। ১৭৪৫ সালে প্রথমবার হ্যালোইন শব্দটির ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। স্কটিশ ভাষার ‘অল হ্যালোজ ইভ’ থেকে এসেছে এই হ্যালোইন বা হ্যালোউইন, যার অর্থ ‘শোধিত/পবিত্র সন্ধ্যা’।
শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ হ্যালোইনের দিন নানানভাবে ভূতুড়ে সাজে সজ্জ্বিত হন। ভূতুড়ে থিমে ঘর-বাড়ি সাজিয়ে সকলে একত্রিত হন। শিশুরা চকলেট-টফি সহ মিষ্টিজাতীয় খাবার জোগাড় করার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে।
সকল মানুষই মরণশীল, তবুও সকলে মৃত্যুকে ভয় পায়। মৃত্যু কোনো শত্রু নয়। বরং আমাদের পুরানো বন্ধু; যে ইহজীবনের মোহমায়া থেকে মুক্তি দিয়ে আমাদের উধ্ব অভিমুখে নিয়ে যায়। তাই মৃত্যু থেকে বাঁচার চেষ্টা না করে তাকে হাসিমুখে আলিঙ্গন করা উচিত। এমন চিন্তাচেতনা থেকেই মৃত্যু পরবর্তী জীবনকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করার অনুপ্রেরণায় উদযাপিত হয় হ্যালোইন। তাই হ্যালোইন উৎসবের মূল থিম হলো ‘হাস্যরস ও উপহাসের মাধ্যমে মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়া।