ট্রুডোকে মেলানিয়ার চুমু : বিশ্বজুড়ে আলোড়ন শরীরী ভাষার বিশ্লেষণ



ফিচার ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
এই সেই আলোড়ন সৃষ্টিকারী ছবি

এই সেই আলোড়ন সৃষ্টিকারী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/27/1566911386705.jpg

ফ্রান্সের বিয়ারিটজে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলন জি-সেভেন। তবে, সম্মেলনের বিষয়বস্তু বা বিশ্বনেতাদের সিদ্ধান্তের চেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের ‘চুমু-কাহিনী! ছবিতে দেখা গেছে, স্বামীর হাত ধরা অবস্থায় মার্কিন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে চুমু খাচ্ছেন। ওই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প চোখ নিচু করে রেখেছেন। চেহারাও বেশ বিমর্ষ। এই বিষয়টিই আলোড়ন তুলেছে বিশ্বজুড়ে, ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, মেলানিয়া-ট্রুডোর চুমুর ছবিটি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। টুইটারে এটি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনাও। ছবিটি নিয়ে একেকজন নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ছবিতে ট্রলও করা হচ্ছে ট্রাম্পের বিমর্ষ চেহারা নিয়ে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মোহনীয় ভঙ্গিতে ট্রুডোকে চুমু খাচ্ছেন বা খেতে যাচ্ছেন মেলানিয়া। ওই মুহূর্তে মার্কিন ফার্স্টলেডির ভঙ্গিতে অনেকেই ট্রুডোর প্রতি তার মুগ্ধতা খুঁজে পেয়েছেন।

এ নিয়ে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, জাস্টিন ট্রুডোকে দেখে মনে হচ্ছে জি-৭ সম্মেলনে কেবল মেলানিয়াকে খুঁজে পেয়েছেন। এর সঙ্গে তিনি ‘হ্যাসট্যাগ মেলানিয়ালাভসট্রুডো’ যোগ করে দিয়েছেন।

আরেকজন লিখেছেন, ‘মেলানিয়া যখন স্বামীকে পিছনে রেখে ট্রুডোকে চুমু খাচ্ছেন, তখন সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে।’

লোনি লাভ নামের এক কমেডিয়ান লিখেছেন, ‘সব ধরনের ঝুঁকি নিতে এক পায়ে খাঁড়া মেলানিয়া।’

আরেকজন লিখেছেন, ‘মেলানিয়াকে দোষ দেওয়া যায় না! ট্রুডোর আবেদনই এমন।’

ডিয়ান ওবায়দাল্লাহ নামে আরেকজনের আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ছবি দেখে মনে হচ্ছে মেলানিয়াও কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বিমানের কথা ভাবছেন।

অন্য এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ট্রুডোর ব্যক্তিত্বই এমন; পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তির হাত ধরেও তাকে চুমু খেতে মন চায়!

বিশ্বনেতা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের একসাথে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছিল ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরাগুলো। সামিটের ইতি টানতে আয়োজিত এই ‘ফ্যামিলি ফটো’ সেশনে ট্রুডোর প্রতি মার্কিন ফার্স্ট লেডির এই ‘হৃদ্যতাপূর্ণ উষ্ণতা’ যেন অত্যন্ত বিশেষ একটি মুহূর্ত। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন কূটনৈতিক আয়োজনে এ ধরনের ছবি যে একটা ফ্রেমবন্দি হবে, তা কেউ ধারণাও করেননি। দুজনের উষ্ণতাপূর্ণ চাহনি আর আচরণ যেন আরো অনেক কিছুই প্রকাশ করে।

মেলানিয়া আর ট্রুডোর এই ভঙ্গিমা নিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে তাদের শরীরী ভাষা। যেমনটা তাদের আচরণের ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছেন বিখ্যাত শরীরী ভাষা বিশেষজ্ঞ প্যাটি উড। আসুন দেখা যাক কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি—

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/27/1566912171604.jpg
মার্কিন শারীরী ভাষা বিশেষজ্ঞ প্যাটি উড


হাত ধরে থাকা: ট্রুডো আর মেলানিয়ার মুখের দিকেই বেশিরভাগ মানুষ তাকিয়ে থাকলেও নিচে কিন্তু মেলানিয়া ঠিকই ধরে রেখেছেন স্বামীর হাত। এটা দুজনের মধ্যকার আবেগপূর্ণ ভালোবাসা প্রকাশ করে। স্ত্রীর হাতের কয়েকটি আঙ্গুল ট্রাম্প এমনভাবে ধরে রয়েছেন যেন তিনি স্ত্রীর আঙুলগুলোকে ওপরের দিকে টানছেন। ট্রাম্প তার বুড়ো আঙুল দিয়ে ধরেছেন মেলানিয়ার হাত। কিন্তু মেলানিয়ার বুড়ো আঙুল ট্রাম্পের হাত জড়িয়ে নেই। কাজেই এখানে দুজন হাত ধরে আছেন দেখা গেলেও আসলে কিভাবে ধরে আছেন তা বুঝতে হবে। আর এ ধরার প্রক্রিয়াটি সময়ের সাথে বদলেছে। আরো দেখতে হবে, অন্যান্য জুটিদের হাত ধরা আর তাদেরটা ধরার মধ্যে পার্থক্যটা কী।

ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়ার অবস্থান: জুটি হিসেবে তাদের অবস্থানটাও বিবেচ্য। ট্রাম্পের সাথে মেলানিয়ার শারীরিক সংস্পর্শ নেই। যদিও দুজনের হাত স্পর্শ করে রয়েছে। দুজনের পুরো হাতের অবস্থান দেখে বোঝা যায়, ট্রাম্পের হাত মূলত মেলানিয়ার হাতের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।

ট্রুডো এবং মেলানিয়ার অবস্থান: ট্রুডো ও মেলানিয়ার দূরত্ব ৮ ইঞ্চির মতো হবে। কাজেই তারা খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছেন। এই দূরত্বের মধ্যে অন্তরঙ্গতা তৈরি হতে পারে। ১২ থেকে ১৪ ইঞ্চি দূরত্ব থাকলেই সৃষ্টি হতে পারে অন্তরঙ্গতা। মেলানিয়া ট্রুডোকে চুমো না খেয়ে সরে যেতে চাইছেন না। সাধারণত এ ধরনের অভ্যর্থনামূলক আচরণের ক্ষেত্রে নারীদের নিম্নাংশ এবং বুক কিছুটা দূরে থাকে। এই ভঙ্গিকে বলা হয় ‘সোশাল আর্ক’। এ জাতীয় সামাজিক অভ্যর্থনার সময় মূলত দেহের যৌন স্পর্শকাতর অংশগুলোকে দূরে রাখতে হয়।

মেলানিয়ার মোহনীয় দৃষ্টি: মেলানিয়া কিভাবে ট্রুডোর দিকে তাকিয়ে আছেন, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইউরোপিয়ান নারী-পুরুষরা পারস্পরিক অভিবাদন জানাতে পরস্পরকে চুমু খেতে পারে। এ সময় সাধারণত মেয়েদের দু চোখ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ছবিতে মেলানিয়ার চোখ বন্ধ নেই। এমনকি ট্রুডোর চোখের পাতার অবস্থান দেখেও বোঝা যায় তাদের চোখ বন্ধ নেই। তবে, দৃষ্টির ভঙ্গিটা কিন্তু বেশ মোহনীয় মেলানিয়ার। আসলে মেলানিয়া সুখানুভূতি নিয়ে তাকিয়ে আছেন। তিনি ট্রুডোকে চুমু খেতে আন্তরিকভাবে ইচ্ছুক। কাজটি করতে মেলানিয়ার মুখ প্রস্তুত, তার গলা উঁচু হয়ে উঠেছে। তার ঠোঁট চুম্বনের জন্যে প্রস্তুত। আর চাহনি তো কথাই নেই। দুজনের এই ছবি কোনো রোমান্টিক উপন্যাসের প্রচ্ছদ হতে পারে।

ট্রাম্পের অভিব্যক্তি: ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে, মেলানিয়া ট্রুডোকে একটা আবেদনময়ী চুমু দিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু স্বামীর হাত ধরে থেকেই তিনি কাজটি করতে চলেছেন। কিন্তু তার এমন আচরণ স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পকে প্রভাবিত করেছে। রীতিমতো জনতার মঞ্চে মেলানিয়া ঠিক এ কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তাই, এটা বুঝে ক্ষোভের সাথেই নিচে তাকিয়ে ট্রাম্প।
ট্রাম্পের চিবুক খেয়াল করুন। তার ঠোঁটের দিকে তাকান। চোখ দুটো বন্ধ, ভ্রুজোড়া দেখলে বোঝা যায় তার মধ্যে টেনশন কাজ করছে। তার চোখে এবং মুখে কিছু তীর্যক ভাঁজ পড়েছে যা আসলে ক্ষোভের প্রকাশ করে।

তবে উডের এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত নন আরেক শরীরী ভাষা বিশারদ জুডি জেমস। তার মতে, দাম্পত্য জীবনে যথেষ্ট সুখী ট্রাম্প আর মেলানিয়া। ওই ছবিতে ভিন্ন কোনো বার্তা পাওয়ার সুযোগ নেই।
জুডি জেমসের মতে, ক্যামেরার যে ‘অ্যাংগেল’ থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে, সেটাই আসলে হইচই ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

   

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ম্যাক্স' নামের একটি বিড়ালকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট অব লিটারেচার’ বা ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। দেশটির ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের স্নাতক অনুষ্ঠানে বিড়ালটিকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়। তবে সেই অনুষ্ঠানে বিড়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর নিয়ম না থাকায় উপস্থিত ছিল না ম্যাক্স। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুষ্ঠানে বিড়ালটি উপস্থিত ছিল না। তাই বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডোর কাছে খুব শিঘ্রই এই ডিগ্রি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।   

বন্ধুসুলভ এই বিড়ালটিকে তার ইঁদুর শিকারের দক্ষতা বা অতিরিক্ত ঘুমানোর জন্য নয় বরং তার সহচার্যের জন্যই স্বীকৃতি দিয়েছে।   বিড়ালটিকে এই ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!

বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ফেসবুক পোস্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স দ্য ক্যাট, অনেক বছর ধরেই ক্যাসেলটন পরিবারের একজন আদুরে সদস্য। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তায় পাশেই বসবাস করে এক পরিবার। বিড়ালটি সেই পরিবারেরই পোষা।

বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডো বলেন, ‘বিড়ালটি ঠিক করেছে সে ক্যাম্পাসে যাবে। এরপর থেকেই সে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে। আর শিক্ষার্থীরাও তাকে আদর করতে শুরু করে।’

বিড়ালটি প্রায় চার বছর ধরে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করছে। বিড়ালটিকে পথের ধারে শুয়ে থাকতে দেখলেই সবাই তার সঙ্গে সেলফি নেয়।

এমনকি সাবেক ছাত্ররাও যখনই ক্যাম্পাসে আসেন তারা তখনই বিড়ালটির খোঁজ নিতে তার মালিক ডো-এর কাছে যান। ডো তাদের কাছে বিড়ালটির মা হিসেবেই বেশি পরিচিত।

;

৯৩ বছর বয়সে বৃদ্ধের অবিশ্বাস্য কর্মকাণ্ড



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

  • Font increase
  • Font Decrease

শৈশবে খেলা, কৈশরে পড়ালেখা, যৌবনে চাকরি, মধ্যবয়সে সংসার, বৃদ্ধবয়সে একটা মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজে অবসরে সময় কাটিয়ে দেওয়া। কপাল খারাপ থাকলে বিছানাতেই শোয়া বা আধশোয়া থেকে মৃত্যুর দিন গোণা। সাধারণত এভাবেই মানুষের জীবন কেটে যায়। অনেকে আবার মধ্যবয়সের পরেই নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অথবা শরীরকে বিভিন্ন রোগের আবাসস্থল বানিয়ে দুর্বল হয়েই বেঁচে থাকেন। তবে খড়ের গাদায় সূচের মতো দু-একজন থাকে যারা একেবারেই ব্যতিক্রম। তেমনভাবেই আলোচনায় এসেছেন ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ।  তার ব্যতিক্রমী জীবনযাপনের ধারাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে যুসমাজে।     

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জন স্টারব্রুক। তিনি একজন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড়। এটি মূলত পানির মধ্যে বাস্কেটবলের মতো একধরনের খেলা। এইখেলার সাথে কুস্তি খেলারও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। জনের বর্তমান বয়স ৯৩ বছর। এই বয়সেও যথেষ্ট সুস্থ এবং সবল তিনি। সমবয়েসীদের যেখানে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও ২ জনের সহায়তা লাগে, সেখানে এখনো ম্যারাথনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বেশ দক্ষ সাঁতারুও বটে! ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাঁতার কাটা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

প্রায় শতাব্দি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের এমন কারিশমা দেখে চোখ ছানাবড়া হবার উপক্রম। জন মূলত একজন সাঁতারু। পেশাগতভাবে না হলেও অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি সাঁতার কাটেন তিনি। দেশের সম্মানজনক অনেপ্রতিযোগীতায় একাধিক বার চ্যাম্পিয়নের খেতাবও জেতেন। চাকরি করেছেন ‘ব্রিটিশ আর্মি মেডিক্যাল কর্পস’-। সেখানেও সাঁতারের দক্ষতার কারণে তার বেশ সুনাম ছিল।   

ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছেন ৯৩ বছরের জন

তবে সাঁতারের পাশাপাশি এখন ম্যারাথেনেও অংশগ্রহণ করেছেন জন। ৫২ টির বেশি ম্যারাথনের দৌড় শেষ করেছেন তিনি। জানালেন এই বয়সেও তার এমন চ্যালেঞ্জিং সব কাজের অভিজ্ঞতা। সুস্থতা ধরে রাখার রহস্যও ফাঁস করলেন সকলের কাছে। ব্রিটিশ নাগরিক জন বন্ধুদের কাছে ‘দ্য লিজেন্ডনামেই পরিচিত। একই নামে তাকে আখ্যায়িত করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো

জন স্টারব্রুক জানান, তিনি এখনো সপ্তাহের ৬ দিনই জিমে যাতায়াত করেন। বিশেষ কোনো খাদ্যাভাস নেই তার। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখতে পছন্দ করেন- এই যা। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে পোরিজ খান তিনি। তবে তিনি কখনো ধূমপান করেননি। অ্যালকোহলও খুব সীমিত পরিমাণে সেবন করতেন। মূলত এই বয়সেও এটা সবল থাকার পেছনে বংশ পরম্পরায় পাওয়া নিজের জীন আসল কারণ- বিশ্বাস করেন জন।

কারণ যাই হোক, প্রানবন্ত এই বৃদ্ধ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। তার মতোই দৃঢ় মানসিকতা ধরে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুবক-যুবতীরা।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

;

প্রশ্ন আর উত্তর যেন পরস্পরের সাংঘর্ষিক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশ্ন থাকে এক আর তার উত্তর হয় ভিন্ন। এমন উত্তরপত্রের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়। এবার এমনই এক উত্তরপত্রের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে রীতিমতো সবাই অবাক! তবে এই ঘটনার জন্ম দেওয়া দেশটি বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের একটি হিন্দি পরীক্ষায় ঘটেছে এমন কাহিনী।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত ভিডিওতে পরীক্ষার্থীর এমন উত্তর দেখে শিক্ষককেও হাসতে দেখা যায়। 

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে @n2154j অ্যাকাউন্টের একটি আইডি থেকে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি প্রশ্ন ছিল এমন, সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ (যৌগিক ব্যঞ্জনবর্ণ) কী? এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীটি একটি খাদ্য রূপক দিয়ে উত্তর দিল: "মাটার পনির এবং সব মিশ্র সবজি একত্রিত একটি খাবার।"

আরেকটি প্রশ্ন ছিল "অতীত কাল কাকে বলে?" এর উত্তরে ওই পরীক্ষার্থি লিখেছে, "যখন অতীত আমাদের অতীতের আকারে আসে, তখন তাকে অতীত কাল বলা হয়।"

ভিডিও অনুযায়ী আরও একটি প্রশ্ন ছিল "বহুবচন কাকে বলে?" এর উত্তরে সে লিখেছে "যে পুত্রবধূ তার শ্বশুরবাড়ির কথা শোনে তাকে বহুবচন বলে।"

শিক্ষার্থীটির এমন উত্তর শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন শিক্ষক। এমন উত্তরগুলোকে শিক্ষক ভুল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যদিও এমন উত্তরের জন্য তাকে পুরোপুরি হতাশ করা হয়নি। তাকে ১০ মার্কের মধ্যে ৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক পরে তার উত্তরপত্রে লিখে দিয়েছিলেন, এই ৫ মার্ক তোমার মস্তিষ্কের জন্য, ছেলে।

ভিডিওটি দেখে সবাইকে হাসির ইমোজি দিতে দেখা যায়। সম্পূর্ণ নম্বর না পাওয়ায় অনেকেই যুক্তি দিয়ে লিখেছেন, ছাত্রটি তার কৌতুক প্রতিভার জন্য পূর্ণ নম্বর পাওয়ার যোগ্য।

তবে এমন ঘটনা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, ছাত্র এবং শিক্ষকের হাতের লেখা সন্দেহজনকভাবে একই রকম।

অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "প্রশ্ন এবং উত্তর একই হাতের লেখা"। 

;

ফেনী শহরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে-আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে' জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গানে ফুটে উঠেছে কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য। কৃষ্ণচূড়া যেন প্রকৃতিকে দান করেছে লাল আভার অপরূপ সৌন্দর্যের মহিমা। সাথে গ্রীষ্মের উত্তাপে শহরে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা জাতের ফুল। তীব্র তাপদাহের পর কালবৈশাখী, এরপর মাঝারি বৃষ্টির মধ্যে ফুলের আগমন। এতে রঙের উল্লাসে মেতে উঠেছে ফেনী শহরবাসী।

ফেনী শহরের কোর্ট বিল্ডিং, এলজিইডি, পুলিশ লাইন, নবীন চন্দ্র সেন কালচারাল সেন্টার, ফেনী সরকারি কলেজ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া। এটি একদিকে প্রকৃতিকে যেমন সাজিয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যে, অন্যদিকে এর সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে তরুণ-তরুণী, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষসহ ফুলপ্রিয় পথচারীদের। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে, সরকারি দফতরসহ স্কুল-কলেজে কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল ও উজ্জ্বল সবুজ পাতার সংমিশ্রণ দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে চারপাশ।


কৃষ্ণচূড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ফুলের ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে আছে পুরো শহর। শহরের মূল সড়কের ডিভাইডারে পৌরসভার উদ্যোগে লাগানো হাসনাহেনা, রজনিগন্ধা, গন্ধরাজসহ নানা জাতের ফুল গাছে ফুল ফুটেছে। এটি একদিকে বাড়িয়েছে সৌন্দর্য অন্যদিকে হেঁটে কিংবা রিকশায় চলাচল করলে পাওয়া যায় এসব ফুলের সুঘ্রাণ।

ফেনী শহরের কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ সৌন্দর্য দেখে ফুলপ্রিয় পথিকরা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতিকে অনন্য সাজে সাজিয়েছে। এই ফুলের সৌন্দর্যের কারণে পথচারীরা একবার হলেও এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এর গাছের উপর নজর দিবে। পাশাপাশি তীব্র গরমে অন্যান্য ফুলের সুঘ্রাণে চারপাশ মুখরিত হওয়াতে ক্লান্তিতা কিছুটা হলেও কমছে।


তারা বলছেন, কৃষ্ণচূড়া ফুলের এই নান্দনিক দৃশ্য দেখতে এর গাছ রোপণ করা জরুরি। রাস্তা প্রশস্তকরণ, ঘর-বাড়ি নির্মাণসহ নানা প্রয়োজনে গাছ কেটে ফেলা হয়। অন্যান্য গাছ রোপণ করার পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া রোপণ করলে একদিকে যেমন সৌন্দর্য বাড়াবে অন্যদিকে পরিবেশ বান্ধব হবে।

সাজিদ হাসান নামের এক পথচারী বলেন, কৃষ্ণচূড়া একদিকে যেমন প্রকৃতিতে অপরুপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে, আরেকদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমাবে। সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে, আমার মতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে এই গাছটিও যুক্ত করা উচিত। তীব্র গরমের পর বৃষ্টি হলো, এরপর শহরে নানা রঙের ফুলের দেখা মিলছে, ফুলের ঘ্রাণে চলাচল করতেই ভালো লাগছে।

ফারজানা ইয়াসমিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফুলের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের কলেজে বকুল তলা আছে, ক্যান্টিনের পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। সুযোগ পেলেই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করি।

অনিক মোহন নামে একজন বলেন, রিকশায় করে যখন বাসায় ফিরি, শহরের রাস্তার মাঝে ভিডাইভারে লাগানো নানা জাতের ফুলের ঘ্রাণ মনকে আনন্দিত করে। রাতের বেলা শহর যখন নিস্তব্ধ হয়ে যায়, তখন এ ফুলের সৌন্দর্য কয়েকশ’ গুণ বেড়ে যায়।

সড়কের পাশে কৃষ্ণচূড়া লাগানো হলে সৌন্দর্য বাড়বে বলে মনে করেন পথচারী মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য যে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে, ওই গাছগুলোর জায়গা কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।

একই কথা বলেন শহরের ব্যবসায়ী নাদিম আহমেদ। তিনি বলেন, সৌন্দর্য ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে এই গাছ রোপণ করা উচিত আমাদের। তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে অন্যন্যা গাছ রোপণ করার পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করার উদ্যোগ নিতে হবে। যেগুলো শহরে আছে তাতেই সৌন্দর্য বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ, আরও যদি লাগানো যায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে আমাদের শহর।

কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়। যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্ত প্রায়, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি জন্মানো সম্ভব হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধন গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চল ব্যাপী ছড়ায়।

শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ থাকে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং উজ্জ্বল লাল। পত্র ঝরা বৃক্ষ, শীতে গাছের সব পাতা ঝরে যায়। বাংলাদেশে বসন্ত কালে এ ফুল ফোটে। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে। কৃষ্ণচূড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে।

জানা যায়, অপরূপ সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি কৃষ্ণচূড়া ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পাতা, মূলের বাকল ও ফুল ভেষজ গুণাগুণ সম্পূর্ণ, যা জ্বর ও খুশকি নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ভেষজটি হেমিপ্লেজিয়া, আর্থরাইটিস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। কৃষ্ণচূড়া গাছের শিকড়, বাকল এবং ফুল সবই পরজীবী সংক্রমণ নিরাময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।

;