বিশ্ব পর্যটন দিবসের বিশেষ সাক্ষাৎকার (পর্ব ২)

কালচারাল ট্যুরিজমকে বড় আকারে প্ল্যান করে উদযাপন করতে হবে



মারিয়া রিমা, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান

ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের অবস্থান, সমস্যা, সমাধান ও বিবিধ বিষয় নিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ডিপার্টমেন্টের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান-এর ৩ পর্বের সাক্ষাৎকারের আজ প্রকাশিত হলো দ্বিতীয় পর্ব। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের পক্ষে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট মারিয়া রিমা। প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন এখানে

বার্তাটোয়েন্টিফোর: ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের লেকিংগুলো কী? এর প্রতিকার কিভাবে করা যায়?

ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান: লেকিংগুলো প্রথমে বলব, আমাদের মেন্টালিটি। ইন্ডাস্ট্রির এরা ট্যুরিজম ওরিয়েন্টেড না, হয়ে গেছে প্রফিট ওরিয়েন্টেড। যার ফলে আমরা যা খুশি করে ফেলতে পারছি, ইন দ্য নেইম অব ট্যুরিজম। আরো কিছু ল দিয়ে দিতে হবে। যে লগুলোর অভাবে বা ইমপ্লিমেনটেশনের অভাবে তারা ইচ্ছামতো সবকিছু করতে পারছে। কিছুদিন আগে, আমি শুনেছি, ফাইভ স্টার হোটেল ফোর স্টার হোটেলের ডেফিনেশান নেয়া হয়েছে। এখানে নাকি আছে এই ফাইভ স্টার হোটেল হতে গেলে তার যে টোটাল এমপ্লয়ম্যান্টের একটা সারটেইন পার্সেনটেইজ, মনে করেন ৪০% বা ৩০% বাংলাদেশ থেকে যারা ট্যুরিজমে পড়াশোনা করেছে তাদেরকে রাখতেই হবে। রাখলে পরে আমাদের ছেলেমেয়েরা চান্স পাচ্ছে। অথচ কী হচ্ছে, বিদেশিরা এসে সবসময় আমাদের মাথার ওপর দিয়ে লাঠি ঘোরাচ্ছে। আমাদের দেশে পর্যটক আসে মাত্র ১ লক্ষ ৫০হাজার/ ৪৫হাজার। আর আমরা বিদেশে যাই হায়েস্ট যেটা আমার কাছে নাম্বার আছে, ২০০৮/৯ সালের হবে, সেটা হচ্ছে, ২৩ লক্ষ লোক গেছে। আরেকটা যেটা গভঃমেন্ট বলতে পারে ট্যুর অপারেটরকে যে, উইদাউট গ্রুপ, তুমি সিঙ্গেল কোনো ট্যুর অপারেট করতে পারবে না। গ্রুপ ট্যুরে অবশ্যই একজন গাইড থাকতে হবে। গাইড থাকলে স্পটে পলিউশন হয় এগুলো থাকবে না।

বার্তাটোয়েন্টিফোর: পর্যটন শিল্পের উন্নতির জন্য আমরা কোন কোন দেশকে মডেল দেশ হিসেবে ফলো করতে পারি?

ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান: বাংলাদেশ যেরকম বৈচিত্রময় দেশ সেটার জন্য আমাদের কাছের দেশ যেটা ইন্ডিয়াকে আমরা ফলো করতে পারি। আমরা নেপালকে ফলো করতে পারি। আমরা মালদ্বীপকে ফলো করতে পারি। কিন্তু আমাদের জন্য থাইল্যান্ড মডেল হিসেবে অ্যাপ্রোপ্রিয়েট না। সিঙ্গাপুর অ্যাপ্রোপ্রিয়েট না। ভুটানও কিন্তু আমাদের জন্য অ্যাপ্রোপ্রিয়েট না। ভুটান কিন্তু পর্যটককে ডিমোটিভেট করে। ওরা চায় না যে, পর্যটক এসে তাদের সৌন্দর্য নষ্ট করুক। এয়ারপোর্টে বিদেশিদের আড়াইশো ডলার ফি দিতে হয়। ওরা সাবকান্ট্রিদের জন্য আড়াইশো ডলার ওয়েভ করেছিল। কিন্তু ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশ থেকে এত লোক যাচ্ছে, এত পলিউশান সৃষ্টি করেছে ওদের ওখানে, ওরা এখন পলিসি চেঞ্জ করেছে। আগামী বছর থেকে ফি তারা চার্জ করবে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর: দেশের কোন কোন ট্যুরিজম ডেসটিনেশানগুলো পটেনশিয়াল মনে করেন? কোনগুলো ঢেলে সাজাতে পারি?

ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান: প্রথমে আমি বলব যেটা সেটা হচ্ছে পাহাড়পুর। পাহাড়পুর দিয়ে আমরা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে পারি। আমাদের পাহাড়পুর পড়ে আছে একবারে ব্যারেন ল্যান্ড হিসেবে। আপনি পাহাড়পুর যাবেন, দেখবেন, কী একটা স্তূপের মতো আছে, চারদিকে বিভিন্নরকম স্থাপত্য সেগুলো আছে, ওখানে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরবেন। এক ঘণ্টা ঘুরার পর টায়ার্ড হয়ে যাবেন, তারপর বলবেন যে, আর কী দেখব? শেষ। কিন্তু, এই পাহাড়পুরটা কিন্তু একটা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আমি আমার একটা এক্সপেরিয়েন্স বলি, আমি যখন পুনে গেলাম, ওখানে একটা ছোট বুদ্ধিস্ট মনোসট্রি দেখতে গেছিলাম। সেখানে আমাদের পাহাড়পুরের মতো ব্যারেন ভূমি না। ওখানে কিন্তু বুদ্ধিস্টরা আছে, ওখানে কিন্তু ক্লাস হচ্ছে। ওখানে মন্ত্র পড়া, রিচ্যুয়াল যা যা আছে তাদের সবকিছু হচ্ছে লাইভ। এবং আমাদের সামনে একদল ট্যুরিস্ট আসছে তাদেরকে দেখলাম ওখানকার লোক দিয়ে রিচ্যুয়ালগুলো করাল সব। করিয়ে সারাদিন ওখানে রাখল। আমাদের পাহাড়পুরে আগে যেসব কাজগুলো হতো এখন কেন আমরা ডামিভাবে এই কাজগুলো করতে পারি না। পাহাড়পুরের চারপাশে বুদ্ধিস্ট মঙ্ক যারা আছে তাদের বাসস্থান ছিল। আমরা যদি এখন এই রিচ্যুয়ালগুলো চালু করতে পারি তাহলে যারা বুদ্ধিস্ট আমাদের দেশে আসে তারা এগুলো করতে পারবে। এই একটা কাজ করলে দেখবেন যে, আমাদের দেশে কী পরিমাণ বুদ্ধিস্ট আসে। ময়নামতিকেও দেখেন আমরা এইভাবে ফেলে রেখেছি। আর কিছু ডেসটিনেশানকে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে রাখছি। যেমন ধরেন, সেন্টমার্টিন। গভঃমেন্ট এখন গিয়ে বলতেছে ১২শ’র বেশি টুরিস্ট যেতে পারবে না। যেটা আমরা ৪/৫ বছর আগে সতর্ক করেছিলাম। আমরা ছোট একটা সার্ভে করে বলেছিলাম, সেন্টমার্টিনের যে অবস্থা, গড়ে ২ হাজারের বেশি টুরিস্ট যেতে দেয়া ঠিক হবে না। এই ৪/৫ বছর পর গভঃমেন্ট এটাকে ১২শ’ করেছে। আমরা সময় থাকতে যেটা বলি গভঃমেন্ট যদি স্টেপগুলো নিত তাহলে পর্যটনের এই অবস্থা হতো না। এখানে প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, পর্যটনের অথরিটি যারা আছে মন্ত্রণালয় বলেন, BTB বলেন BPC বলেন তাদের সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চার যারা আছেন তাদের কোনো সমন্বয়, যোগাযোগ একদমই নাই। আমরা রিসার্চ করি তারপর এটা পাবলিকেশান হয়, তারপর এটা আলমারির মধ্যে ঢুকে পড়ে। এটার ইমপ্লিমেনটেশান কিভাবে হবে, যে দেখি উনি কী বলছেন, ভালো বলছেন, এরকম কোনো চিন্তা ভাবনা নাই তাদের।

আমাদের নতুন করে গড়ে উঠতে পারে সেটা হচ্ছে আমাদের সোনাদিয়া দ্বীপ। সোনাদিয়াকে এখন পর্যটনের একটা এরিয়া করা হচ্ছে। সোনাদিয়া দ্বীপ ১২/১৫ কিঃমিঃ হবে হয়তো। এইখানে যদি ফাইভ স্টার হোটেল বানান, পর্যটনের স্থাপনাগুলো করেন, তাহলে দ্বীপটা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা বলব, আপনি সোনাদিয়াকে পর্যটন স্পট বানান ঠিক আছে। কিন্তু ওখানে ফাইভ স্টার হোটেল বানাবেন না। ওখানে যে বাড়িঘর আছে তেমন বাড়িঘর বানাতে হবে। এবং এখানে রেসট্রিকটেড এরিয়া হতে হবে যে কতজন ট্যুরিস্ট যাবে ইত্যাদি। আরেকটা হলো, নাফ নদীতে একটা দ্বীপ আছে। একদম গোল এরিয়া। আমি বহু আগে দেখেছিলাম। আমি বলেছিলাম, গভঃমেন্ট যদি কিছু না করতে পারে আমাকে লিজ দিয়ে দিক। দ্বীপের একপাশে মায়ানমার, একপাশে বাংলাদেশ। এত সুন্দর দ্বীপ! আমি যখন মায়ানমার যাই ২০১০ সালে তখন এই দ্বীপ দেখি। দ্বীপটাতে এখন কিছু হচ্ছে মনে হয়। কী হচ্ছে তা দ্বারা পরিবেশ ধ্বংস করবে না রক্ষা করবে সেটা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা জানে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর: ট্যুরিজমের সাথে হসপিটালিটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হসপিটালিটিতে আমাদের কী কী ইমপ্রুভমেন্ট দরকার?

ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান: আমাদের ফাইভ স্টার হোটেলগুলোর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তুলনায় টেরিফ এত বেশি, কেন এত বেশি হবে আমি কোনো রিজনই খুঁজে পাই না। একটা হতে পারে বিদেশিদের দিয়ে চালায়, এটা হতে পারে। যদি বাংলাদেশিদের দিয়ে চালাত এত বেশি হতো না। আমি পাতায়া গিয়ে ১২শ’ বাতে মানে ধরেন ২৪শ’ টাকায় ফাইভ স্টার হোটেল, ট্রু সেন্স ফাইভ স্টার হোটেলে ছিলাম। বাংলাদেশে ৩০ হাজার টাকা নেয়। এইরকম পাগলের মতো দাম নেয়ার কোনো প্রয়োজনই দেখি না।

বার্তাটোয়েন্টিফোর: আপনি কমিউনিটি ট্যুরিজম নিয়েও কাজ করেছেন। এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।

ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান: কমিউনিটি ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে আমাদের এখানে। ধরেন, আমি যদি পাহাড়পুর নিয়েই বলি। পাহাড়পুর, মহাস্থানগড় এবং আশেপাশের আর যা আছে সব মিলিয়ে আমরা ২/৩ দিনের একটা প্যাকেজ ট্যুর করতে পারি। এখন টুরিস্টদের তো পাহাড়পুরে ২/৩ দিন রাখতে হবে। তখন ওখানে আশেপাশে যে কমিউনিটি আছে তাদেরকে এর সাথে ইনভল্ভ করেন। তাদের বাসার সাথে একটা আলাদা রুম করে দেন ট্যুরিস্টদের জন্য। সেটা গভঃমেন্ট থেকে হতে পারে, ওখানকার কমিউনিটি থেকে হতে পারে, স্পেশাল ব্যাংক লোন নিয়ে হতে পারে বা যেভাবেই হোক না কেন। যেমন আমি আমার বাসার সাথে একটা আলাদা রুম করে দিলাম টুরিস্টদের জন্য। ওখানে টুরিস্ট থাকবে। এবং আমাদের এখানে একদল গাইড তৈরি করে দিতে হবে। তাহলে কী হলো, গাইড প্রফেশানটা গড়ে উঠল। একমোডেশানের ব্যবস্থা হলো। এবং ট্যুরিস্ট যে বাড়িতে থাকল সেখানে তার খাবার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এরকম আর্টিফিশিয়ালি তৈরি করা হইছিল কিন্তু ওগুলা অফ হয়ে গেছে। আর্টিফিশিয়ালি তৈরি করলে তো হবে না। এরকম লোকাল লোক দিয়ে করাতে হবে। এইভাবে করলে সেটা টেকসই হবে। বান্দরবনে যেমন এখন লোকাল পিপলরা আছে। তারা খাবার ব্যবস্থা, থাকার ব্যবস্থা করছে। ট্যুরিস্টকে নিয়ে গিয়ে টাকা খরচ করার মতো ফেসিলিটিগুলো দিতে হবে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর: আমাদের এথনিক বা নৃ-গোষ্ঠীদের উৎসব ট্যুরিজমের অন্তর্ভুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত?

ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান: আমাদের এথনিক প্রায় ১৪/১৫টা গ্রুপ আছে। এদের মধ্যে ১২টা গ্রুপের লোক আছে শুধু বান্দরবানে। এজন্যই বান্দরবান এত এট্রাকটিভ হয়। একেকটা গ্রুপে ধরেন লোক আছে দুই হাজার। তাদের নিজস্ব কালচার আছে। নিজস্ব উৎসব আছে। এই এক অবাক কাণ্ড! এরা বড় একটা ট্যুরিস্ট প্রোডাক্ট হতে পারে। আমরা এতদিনেও কেন যে ‘এথনিক ফেস্টিবল ম্যাপ’ তৈরি করতে পারলাম না জানি না। ওরা আমাদের মতো এপ্রিল ১৩ তারিখে ‘বৈসবি’ উৎসব পালন করে। কিছুদিন পর আরেকটা গ্রুপ আরেকটা পালন করে। এরকমভাবে ওদের যতগুলো ফেস্টিবল হয় সব নিয়ে কেন আপনি একটা কালচারাল আইটিনির‍্যারি তৈরি করছেন না?

টাঙ্গুয়ার হাওরে আমি দেখেছি এরকম কিছু ট্রাইবাল গ্রুপ আছে। খাসিয়া আছে, সাঁওতাল আছে। আরেকটা আছে দলিত সম্প্রদায়ের লোক। এদের একটা ফেস্টিবল হয়। সেই ফেস্টিবলে ওরা করে কী, উঁচু জায়গায় পিলারের মতো করে সেখানে একজন লোকের পিঠে বড়শি গেঁথে তাকে ঘোরানো হয়। এসব সব নিয়ে একটা ‘ট্রাইবাল কালচারাল ফেস্টিবল আইটিনির‍্যারি’ তৈরি কেন করছি না? এগুলো আমি কেন করব? গভঃমেন্ট কি আমাকে টাকা দিয়েছে করার জন্য? গভঃমেন্ট টাকা দিক আমি করে দিব। আর নাহয় গভঃমেন্ট নিজে এটা করুক। এটা গভঃমেন্টের কাজ। এটা আমার কাজ না। অথবা বড় বড় ট্যুর অপারেটর যারা আছে তারা তাদের আইটিনির‍্যারিতে ভ্যারাইটি আনার জন্য তারা এটা করতে পারে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর: আমাদের কালচারাল ট্যুরিজম আছে। এগুলোকে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপন করতে গেলে কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি? যেমন, থাইল্যান্ডের বর্ষবরণ, স্পেনের ‘লা টমেটিনা’।

ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান: দেখেন, আমাদের স্টুপিডিটি, কিভাবে আমরা আমাদের পহেলা বৈশাখটাকে পালন করছি। থাইল্যান্ডে যে বর্ষবরণ ওইটাকে বলে সক্রান। এই সক্রান আগে ব্যাংকক বেইজ ছিল। পরে গভঃমেন্ট করে দিল এটাকে থাইল্যান্ডে যতগুলো প্রদেশ আছে প্রত্যেকটা প্রদেশে পালন করতে হবে। মানে এটাকে ডিসেন্ট্রালাইজ করে দিল। আর আমাদের দেশে দেখেন, চারুকলা থেকে টিএসসি পর্যন্ত যায়, ঘুরে আসে পয়লা বৈশাখ হয়ে গেল। হাজার হাজার লোক গিয়ে জমা হয়। কেন? গভঃমেন্ট এটা আরো বিভিন্ন জায়গায় করতে পারে না? এটা গুলশানে করতে পারে না? এটা নারায়ণগঞ্জে করতে পারে না? উত্তরায় করতে পারে না? এভাবে হলে এক জায়গায় চাপ কমত। একইভাবে বিভাগীয় শহরে বলে দিল তোমরা পালন করো। এটা কিন্তু বিদেশে অন্যরকম। আমাদের পয়েলা বৈশাখ আনফরচ্যুনেটলি কেন জানি একদিনেই শেষ।

থাইল্যান্ড বলেন, হংকং বলেন, মালয়েশিয়াতেও এবং চাইনিজ নববর্ষ যে ওরা পালন করে সব জায়গাতে সাতদিন আগে থেকে তারা সমস্ত জায়গায়, পুরো রাস্তায় দেখবেন আলো দিয়ে, ব্যানার দিয়ে ফেস্টুন দিয়ে সাজিয়ে রাখবে। সাতদিন আগে থেকে আপনাকে বলে দিচ্ছে যে, ওইদিন বর্ষবরণ। এবং ওই উপলক্ষে তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করে। আমাদের এখানে আমরা এইভাবে আয়োজন করলে বিদেশিদের আমরা দেখাতে পারি যে, আসো তোমরা আমাদের এই প্রোগ্রাম দেখতে আসো। আরেকটা ব্যাপার দেখেন, একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনকে আমরা আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলন বানালাম। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনো ট্যুরিস্ট কি আমরা আনতে পেরেছি আমাদের এই ভাষা দিবস উদযাপনে? এই লক্ষ লক্ষ লোক লাইন দিয়ে দাঁড়াল তারপর ফুল দিয়ে চলে গেল। ভাষা দিবস শেষ। আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী যে কালচারাল ট্যুরিজম আছে এগুলোকে আরো বড় আকারে প্ল্যান করে উদযাপন করতে হবে।

চলবে। তৃতীয় পর্বে সমাপ্য

   

৫০ বছর আগে মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি আজও শ্রেষ্ঠ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালটা ১৯৬৮। বিশ্বব্যাপী মানুষ মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। তখনো জানতো না, বড়দিন উপলক্ষে তারা একটি বিশেষ উপহার পেতে চলেছে। পৃথিবী থেকে আমরা হরহামেশাই চাঁদ দেখি। অমাবস্যা-পূর্ণিমা, এমনকি পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বদৌলতে নানা দৃষ্টিকোণে নানা আকারের চাঁদ দেখতে পাই। তবে চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এরকমটা হয়তো অনেকেই ভাবেন।

নাসার মহাকাশচারীরা অ্যাপোলো ৪ এ করে তখন চাঁদের চারপাশে টহল দিচ্ছে। সেখান থেকে তারা চাঁদের বাসকারীদের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন হবে তার এক নমুনা জোগাড় করেন। ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে ক্রুরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় ব্যারেন লুনার হরিজোন থেকে একটি ছবি তোলে। সেখানে সুদূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা হয়। চমৎকার সেই রঙিন ছবিটি সবকিছু পরিবর্তন করতে চলেছিল।

ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স এবং জিম লাভেল। ছবিটি ধারণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও এটিকে প্রকৃতির সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটিই মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম রঙিন এবং উচ্চ রেজুলেশনের ছবি।

১৯৭০ সালে পরিবেশ সচেতনতা এবং এই ব্যাপারে সক্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পৃথিবী দিবস প্রচারিত হওয়ার কারণে ছবিটিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাইকেল প্রিচার্ড ছবিটিকে নিখুঁত দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ছবিটি পৃথিবীর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল, যা আগে কোনো ছবি করতে পারেনি। প্রকাণ্ড মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা ক্ষুদ্র গ্রহ, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ছবিটি।

১৯৬০ সালের পরই পৃথিবী নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। ষাটের দশকের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মানুষ অনুধাবন করে পৃথিবীকে আজীবন একইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রহের প্রতি আমাদের আরও অনুরাগী হতে হবে। সেই উদ্দেশে ১৯৬৯, ‘৭০ ও ‘৭১ সালে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এবং ‘গ্রিনপিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ছবিটি প্রকাশের ১৮ মাস পর ২০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক পৃথিবী রক্ষার আন্দোলনে রাস্তায় নামে।

পৃথিবী রক্ষা করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করার বেলায় ছবিটি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এখনো অবদি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পাঠানো ছবিগুলোর মধ্যে ১৯৬৮ সালে বড়দিনের আগে তোলা সেই ছবিটিকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়।

;

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;